চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
চট্টগ্রামে ভাইয়ের বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলেন রোকসানা আক্তার। ১ জুন বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন। ১৭ জুন স্বজনেরা খবর পান ফেনীতে এক নারীর লাশ পাওয়া গেছে। লাশটি রোকসানার বলে শনাক্তের পর পুলিশ হস্তান্তর করলে ১৮ জুন পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এর আট দিন পর রোকসানা বাড়িতে হাজির হন।
ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুনবতী ইউনিয়নের রাজবল্লভপুর গ্রামে।
তাহলে দাফন করা নারীটি কে? ফিরে আসা তরুণীকে এক নজর দেখতে উৎসুক মানুষ তাঁর বাড়িতে ভিড় করছেন। রোকসানা আক্তার (৩০) ওই গ্রামের মৃত তাজুল ইসলামের মেয়ে।
আজ শনিবার বিকেলে সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, মে মাসের শেষ দিকে রোকসানা আক্তার চৌদ্দগ্রামে নিজ বাড়ি থেকে ছোট ভাই সালাহ উদ্দিনের চট্টগ্রামের ষোলশহরের বাসায় বেড়াতে যান। ১ জুন ভোরে কাউকে না জানিয়ে রোকসানা বেরিয়ে যান। এরপর সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় থানায় কোনো নিখোঁজ ডায়েরিও করা হয়নি।
১৭ জুন ঈদুল আজহার দিন বিকেলে ফেনী শহরে ভাড়া বাসায় অবস্থানরত খালাতো বোন হাজেরা আক্তার ও খালাতো ভাই শাহজাহান খবর পান, ফেনী শহরের জিয়া মহিলা কলেজের সামনে ড্রেনে নারীর লাশ পড়ে আছে। তাঁরা সেখানে গিয়ে রোকসানা আক্তারের চেহারার সঙ্গে মিল দেখে ভাই এবায়দুল হককে খবর পাঠান। এরই মধ্যে ফেনী শহর পুলিশ ফাঁড়ি লাশটির সুরতহাল শেষে মর্গে পাঠায়।
রাতেই এবায়দুল হক জিয়া মহিলা কলেজের ড্রেন এলাকায় পৌঁছে আশপাশের মানুষকে বোনের ছবি দেখিয়ে লাশটি একই রকম কি না জিজ্ঞেস করলে সবাই ছবির সঙ্গে মিল রয়েছে বলে জানান। পরে এবায়দুল হক আত্মীয়স্বজনসহ ফেনী শহর পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে লাশ উদ্ধারকারী উপপরিদর্শক প্রতুল দাসকে রোকসানার ছবি দেখান।
তাঁরা লাশটি রোকসানার বলে শনাক্ত করেন। পরদিন ময়নাতদন্ত শেষে পুলিশ এবায়দুল হকের কাছে লাশ হস্তান্তর করে। ওই দিন বাদ আসর গুণবতী ইউনিয়নের রাজবল্লভপুর মধ্যমপাড়ায় সামিশকরা দীঘির দক্ষিণপাড়ে তাঁর লাশ দাফন করা হয়।
লাশ দাফনের আট দিন পর ২৬ জুন (বুধবার) বিকেলে রোকসানা বাড়িতে হাজির হন।
তাৎক্ষণিক ঘটনাটি জানাজানি হলে বাড়ির উঠানে আশপাশের উৎসুক মানুষ তাঁকে একনজর দেখতে ভিড় জমায়। এ সময় নারী-পুরুষ তাঁকে জিজ্ঞেস করে, রোকসানা তোমাকে দাফন করলাম, তুমি কোথায় থেকে আসলে? তখন তিনি বলতে থাকেন, ‘কে বলছে আমি মারা গেছি? আমি ঢাকায় ঘুরতে গেছিলাম। শরীর খারাপ থাকায় কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি।’ উল্টো রোকসানাই ভাই এবায়দুল হক ও সাধারণ মানুষকে প্রশ্ন করছেন, ‘আমাকে ভেবে তোমরা কোন মহিলাকে দাফন করেছ, কী তার পরিচয়?’
রোকসানা আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি চট্টগ্রাম ভাইয়ের বাসা থেকে কাউকে কিছু না বলে ঢাকায় চলে যাই। সেখানে গিয়ে একটি চাকরি পেয়েছি। যেহেতু বাড়ি থেকে কোনো কাপড় নিয়ে যাইনি, তাই কাপড় নিয়ে যাওয়ার জন্য বাড়িতে ফিরে আসি। ২৬ জুন বাড়িতে এসে দরজা নক করলে আত্মীয়স্বজনেরা আমাকে দেখে হতবাক হয়েছেন। তখন আমি জানতে পারি, আমি নাকি মারা গেছি এবং আমার লাশও দাফন করা হয়ে গেছে। আমি তো জীবিত, ফিরে আসলাম।’
রোকসানার ভাই এবায়দুল হক বলেন, ‘খালাতো ভাই-বোনের কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে ছবিতে কিছুটা মিল থাকার কারণে বোনের লাশ মনে করে পুলিশের কাছ থেকে লাশটি এনে দাফন করা হয়েছে। বুধবার বিকেলে রোকসানা বাড়ি ফিরলে ফেনী মডেল থানায় জানানো হয়েছে।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু মুসা বলেন, ‘লোক মারফত বিষয়টি শুনেছি। তবে কার লাশ দাফন করা হয়েছে সেটিই এখন দেখার বিষয়।’
ফেনী শহর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক প্রতুল দাস শনিবার সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উদ্ধার করা লাশটি বিকৃত ছিল। এবায়দুল হক ও তাঁর স্বজনেরা ছবি দেখে লাশটি রোকসানার বলে শনাক্ত করে আমার কাছ থেকে নিয়ে যায়। এখন যেহেতু তাদের বোন সশরীরে বাড়িতে উপস্থিত হয়েছে, তাই আমরা বিষয়টি নতুন করে তদন্ত করব।’
চট্টগ্রামে ভাইয়ের বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলেন রোকসানা আক্তার। ১ জুন বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন। ১৭ জুন স্বজনেরা খবর পান ফেনীতে এক নারীর লাশ পাওয়া গেছে। লাশটি রোকসানার বলে শনাক্তের পর পুলিশ হস্তান্তর করলে ১৮ জুন পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এর আট দিন পর রোকসানা বাড়িতে হাজির হন।
ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুনবতী ইউনিয়নের রাজবল্লভপুর গ্রামে।
তাহলে দাফন করা নারীটি কে? ফিরে আসা তরুণীকে এক নজর দেখতে উৎসুক মানুষ তাঁর বাড়িতে ভিড় করছেন। রোকসানা আক্তার (৩০) ওই গ্রামের মৃত তাজুল ইসলামের মেয়ে।
আজ শনিবার বিকেলে সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, মে মাসের শেষ দিকে রোকসানা আক্তার চৌদ্দগ্রামে নিজ বাড়ি থেকে ছোট ভাই সালাহ উদ্দিনের চট্টগ্রামের ষোলশহরের বাসায় বেড়াতে যান। ১ জুন ভোরে কাউকে না জানিয়ে রোকসানা বেরিয়ে যান। এরপর সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় থানায় কোনো নিখোঁজ ডায়েরিও করা হয়নি।
১৭ জুন ঈদুল আজহার দিন বিকেলে ফেনী শহরে ভাড়া বাসায় অবস্থানরত খালাতো বোন হাজেরা আক্তার ও খালাতো ভাই শাহজাহান খবর পান, ফেনী শহরের জিয়া মহিলা কলেজের সামনে ড্রেনে নারীর লাশ পড়ে আছে। তাঁরা সেখানে গিয়ে রোকসানা আক্তারের চেহারার সঙ্গে মিল দেখে ভাই এবায়দুল হককে খবর পাঠান। এরই মধ্যে ফেনী শহর পুলিশ ফাঁড়ি লাশটির সুরতহাল শেষে মর্গে পাঠায়।
রাতেই এবায়দুল হক জিয়া মহিলা কলেজের ড্রেন এলাকায় পৌঁছে আশপাশের মানুষকে বোনের ছবি দেখিয়ে লাশটি একই রকম কি না জিজ্ঞেস করলে সবাই ছবির সঙ্গে মিল রয়েছে বলে জানান। পরে এবায়দুল হক আত্মীয়স্বজনসহ ফেনী শহর পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে লাশ উদ্ধারকারী উপপরিদর্শক প্রতুল দাসকে রোকসানার ছবি দেখান।
তাঁরা লাশটি রোকসানার বলে শনাক্ত করেন। পরদিন ময়নাতদন্ত শেষে পুলিশ এবায়দুল হকের কাছে লাশ হস্তান্তর করে। ওই দিন বাদ আসর গুণবতী ইউনিয়নের রাজবল্লভপুর মধ্যমপাড়ায় সামিশকরা দীঘির দক্ষিণপাড়ে তাঁর লাশ দাফন করা হয়।
লাশ দাফনের আট দিন পর ২৬ জুন (বুধবার) বিকেলে রোকসানা বাড়িতে হাজির হন।
তাৎক্ষণিক ঘটনাটি জানাজানি হলে বাড়ির উঠানে আশপাশের উৎসুক মানুষ তাঁকে একনজর দেখতে ভিড় জমায়। এ সময় নারী-পুরুষ তাঁকে জিজ্ঞেস করে, রোকসানা তোমাকে দাফন করলাম, তুমি কোথায় থেকে আসলে? তখন তিনি বলতে থাকেন, ‘কে বলছে আমি মারা গেছি? আমি ঢাকায় ঘুরতে গেছিলাম। শরীর খারাপ থাকায় কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি।’ উল্টো রোকসানাই ভাই এবায়দুল হক ও সাধারণ মানুষকে প্রশ্ন করছেন, ‘আমাকে ভেবে তোমরা কোন মহিলাকে দাফন করেছ, কী তার পরিচয়?’
রোকসানা আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি চট্টগ্রাম ভাইয়ের বাসা থেকে কাউকে কিছু না বলে ঢাকায় চলে যাই। সেখানে গিয়ে একটি চাকরি পেয়েছি। যেহেতু বাড়ি থেকে কোনো কাপড় নিয়ে যাইনি, তাই কাপড় নিয়ে যাওয়ার জন্য বাড়িতে ফিরে আসি। ২৬ জুন বাড়িতে এসে দরজা নক করলে আত্মীয়স্বজনেরা আমাকে দেখে হতবাক হয়েছেন। তখন আমি জানতে পারি, আমি নাকি মারা গেছি এবং আমার লাশও দাফন করা হয়ে গেছে। আমি তো জীবিত, ফিরে আসলাম।’
রোকসানার ভাই এবায়দুল হক বলেন, ‘খালাতো ভাই-বোনের কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে ছবিতে কিছুটা মিল থাকার কারণে বোনের লাশ মনে করে পুলিশের কাছ থেকে লাশটি এনে দাফন করা হয়েছে। বুধবার বিকেলে রোকসানা বাড়ি ফিরলে ফেনী মডেল থানায় জানানো হয়েছে।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু মুসা বলেন, ‘লোক মারফত বিষয়টি শুনেছি। তবে কার লাশ দাফন করা হয়েছে সেটিই এখন দেখার বিষয়।’
ফেনী শহর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক প্রতুল দাস শনিবার সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উদ্ধার করা লাশটি বিকৃত ছিল। এবায়দুল হক ও তাঁর স্বজনেরা ছবি দেখে লাশটি রোকসানার বলে শনাক্ত করে আমার কাছ থেকে নিয়ে যায়। এখন যেহেতু তাদের বোন সশরীরে বাড়িতে উপস্থিত হয়েছে, তাই আমরা বিষয়টি নতুন করে তদন্ত করব।’
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন বিএনপি নেতা। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যায় বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার করার অভিযোগে গাজীপুর আদালতে এ মামলা করেছেন তিনি।
২০ দিন আগেলক্ষ্মীপুরে রামগতিতে নৌকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ফারুক হোসেন (৪০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন দুজন। এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন আরও দুজন। আজ মঙ্গলবার ভোরে জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারুক হোসেন মারা যান।
২০ দিন আগেদুই বছর আগে ফেনী পৌরসভার সুমাইয়া হোসেন আনিকা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সিং ও গ্রাফিক ডিজাইনের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। এরপর বিভিন্ন অনলাইন প্রতিষ্ঠানে চাকরির চেষ্টা করেও সফল হননি। এখন স্বামীর অনলাইন ব্যবসা দেখাশোনা করছেন। আনিকা বলেন, ‘প্রশিক্ষণ পেয়েছি, কিন্তু কাজের সুযোগ খুবই কম।’ আনিকার
২০ দিন আগেচট্টগ্রাম বন্দরে আন্দোলন দমাতে টাকা দাবির ভিডিও ভাইরালের পর এবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম নগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিনকে কেন্দ্র থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তাঁর লিখিত ব্যাখা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দলকে জানানো কথা বলা হয়েছে।
২০ দিন আগে