Ajker Patrika

পুলিশের স্বর্ণ লুটের বর্ণনা দিলেন গোপাল

প্রতিনিধি, ফেনী
পুলিশের স্বর্ণ লুটের  বর্ণনা দিলেন গোপাল

গত রোববার বিকেল সোয়া ৫টা। ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছিলাম। পথে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফতেহপুরে একটি সিগন্যালে গাড়ি থামানোর সংকেত দেয় ডিবি পুলিশের একটি দল। গাড়ি থামানোর পরপরই তিনজন পুলিশ সদস্য গাড়ির ভেতর ঢুকে মাথায় পিস্তল ঠেকান। আরেকজন গাড়ির চালক শওকতকে চড়-থাপ্পড় দেন। আমাদের সঙ্গে ২০ পিস স্বর্ণের বার ছিল, যার মূল্য প্রায় সোয়া এক কোটি টাকা। কাগজপত্রও দেখাই তাঁদের। কিন্তু তাঁরা স্বর্ণের বারগুলো ছিনিয়ে নেন। সেই সঙ্গে হুমকি দেন, যতই বৈধ কাগজপত্র থাকুক এ ব্যাপারে মুখ খুললে ৫০০-৭০০ পিস ইয়াবা দিয়ে চালান করে দেবেন অথবা ক্রসফায়ার। এরপর ফ্লাইওভারের রেলগেটসংলগ্ন নির্জন স্থানে নিয়ে আমাদের আটকে রেখে তিন ঘণ্টা শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করেন তাঁরা। একপর্যায়ে আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি। এ সময় জীবন বাঁচাতে হলে এক কোটি টাকা দাবি করেন তাঁরা। পরে চোখ বেঁধে কোথায় যেন নিয়ে যান।

অনেকক্ষণ পর চোখ খুলে দিলে দেখতে পাই, এলাকাটি চট্টগ্রামের বারইয়ারহাট। অবশেষে সেখানেই তাঁরা আমাদের ছেড়ে দেন। সেই সঙ্গে হুমকি দিয়ে বলেন, ‘সোজা বাড়ি চলে যাও, এখানে যা হয়েছে ভুলে যাও। কোথাও মুখ খুললে আবার ধরে নিয়ে আসব।’ আজকের পত্রিকাকে এভাবেই রুদ্ধশ্বাস ওই সময়ের বর্ণনা দিচ্ছিলেন চট্টগ্রামের স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল কান্তি দাস।

এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার ফেনী সদর মডেল থানায় মামলা করেন ওই ব্যবসায়ী। এরপরই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় ডিবির ওই ছয় কর্মকর্তাকে ওই দিন রাতে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁদের কাছ থেকে ১৫টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে ওই পুলিশ সদস্যরা স্বর্ণের বার লুটের ঘটনা স্বীকার করেন এবং লুণ্ঠিত ২০টি বারের মধ্যে ১৫টি উদ্ধার হয় ডিবির ওসি সাইফুল ইসলামের বাসা থেকে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত