ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুর-৩ আসনের নির্বাচনী পরিবেশে নিয়ে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও এক স্বতন্ত্র প্রার্থী। দুজনেই বিরাজমান অস্থিরতার জন্য একে অপরকে দায়ী করেছেন।
আজ বুধবার ফরিদপুর প্রেসক্লাবে নৌকা প্রতীকের শামীম হকের পক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে জেলা আওয়ামী লীগ এবং একই সময়ে শহরের ঝিলটুলীতে নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল কাদের আজাদ ওরফে এ কে আজাদ।
সংবাদ সম্মেলনে উভয় পক্ষ থেকে ২৩টি সহিংস ঘটনার তথ্য উঠে এসেছে। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীর করা অভিযোগ তাঁদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল বলে দাবি করেছেন নৌকা প্রতীকের শামীম হক।
তিনি বলেন, ‘এ কে আজাদ ও তার সমর্থকেরা বিভিন্ন সময়ে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর অভ্যন্তরীণ দায়ভার আওয়ামী লীগ কর্মীদের ওপর চাপানো এবং নির্বাচন ভন্ডুলের অপচেষ্টা করছেন।’
শামীম হক বলেন, বিভিন্ন ইউনিয়নে নৌকার প্রচার-প্রচারণা ও পোস্টার লাগানোর সময় তাঁর কর্মীদের স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকেরা ভয়ভীতি প্রদর্শন ও মারধর করেন। এ ছাড়া মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ও গুজব ছড়ানোর মাধ্যমে এ কে আজাদ ও তাঁর সমর্থকেরা নির্বাচনী পরিবেশ বিনষ্ট করছে। নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে এসব গুজব-মিথ্যা প্রচারকারীদের প্রতি ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র অমিতাভ বোস বলেন, ২৩ ডিসেম্বর মামুদপুরে শওকতসহ তাঁর তিন ভাইকে, ২৫ ডিসেম্বর ঈশান গোপালপুরের বিষ্ণুপুরে কামরুল ও সেলিমকে মেরে রক্তাক্ত করেছে। ২৩ ডিসেম্বর রাতে বাইপাস সড়কে, ২৬ ডিসেম্বর খাবাসপুরে নৌকার প্রার্থীর পোস্টার ও ব্যানার ছেঁড়া হয়েছে।
অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদ দাবি করেন, ১৮ ডিসেম্বর থেকে তাঁর নেতা-কর্মীদের ওপর ৯ দিনে ১৯টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে নেতা-কর্মীদের মারধর, ক্যাম্প ভাঙচুর ও আগুন, প্রচারণায় বাধা, হুমকি-ধমকি দেওয়া হয়েছে। এসব ঘটনায় পাঁচটি মামলা ও ১৩টি জিডি হয়েছে কোতোয়ালি থানায়।
তিনি বলেন, ‘আমার মনোনয়নপত্র বৈধ ও প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে গত কয়েক দিনে ঈগল প্রতীকের কর্মী-সমর্থক, নির্বাচনী অফিসে ভাঙচুর ও হামলা করা হচ্ছে। এর মধ্যে ঈশান গোপালপুরে দুই দফা, গেরদা, মাহমুদপুর, কানাইপুরসহ বিভিন্ন স্থানে কর্মীদের ওপর হামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া পশ্চিম গঙ্গাবর্দী ও টেপাখোলায় ঈগলের ক্যাম্পে আগুন দেওয়া হয়েছে।’
এ কে আজাদ বলেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকদের হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ২০ জন কর্মী-সমর্থক আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে আব্দুর রহমান ঝনকের অবস্থা সংকটাপন্ন, সে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছে। কিন্তু প্রশাসনের অভিযোগ দেওয়ার পরে হামলার ঘটনা ঘটে যাচ্ছে, প্রশাসন নির্বিকার ভূমিকা পালন করছে।’
শামীম হকের এসব কর্মকাণ্ডে নেতৃত্ব দেওয়া ১৪ জনের নাম উল্লেখ করেন তিনি। তাঁরা হলেন জেলা শ্রমিক লীগে সভাপতি গোয়ালচামট এলাকার গোলাম মো. নাছির, আলিয়াবাদের তোফাজ্জেল হোসেন সম্রাট, চরকমলাপুরের মোবারক খলিফা। এ ছাড়া অস্ত্র ও মাদক মামলার আসামি ডিআইবি বটতলার হেলমেট বাহিনীর প্রধান তরিকুল ইসলাম নাসিম, শোভারামপুরের ফাহাব বিন ওয়াজেদ ফাইন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম জনি, হাত কাটা আক্তার, শাহীন মোল্যা, এজাজ খান, শওকত হোসেন ওরফে সাকো, শোয়ানুর রহমান শোহাগ, রাকিবুর রহমান রাকিব, ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম মজনু ও ডিক্রিরচরের আনোয়ার হোসেন আবু ফকির।
দিন দিন নির্বাচনের পরিবেশ ভয়াবহ হচ্ছে উল্লেখ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদ আরও বলেন, ‘জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে ওনার (শামীম হক) দুইটা দায়িত্ব। যার মধ্যে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরে আনার তাঁর কাজ। উনি তো আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি নষ্ট করে বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন। ইসির নির্দেশনায় প্রার্থিতা বাতিলের যত নিয়ম রয়েছে, উনি সবগুলো করেছেন। বিষয়গুলো তুলে ধরে তাঁর প্রার্থিতা বাতিলের জন্য আমি ইসিতে আবেদন করব।’
ফরিদপুর-৩ আসনের নির্বাচনী পরিবেশে নিয়ে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও এক স্বতন্ত্র প্রার্থী। দুজনেই বিরাজমান অস্থিরতার জন্য একে অপরকে দায়ী করেছেন।
আজ বুধবার ফরিদপুর প্রেসক্লাবে নৌকা প্রতীকের শামীম হকের পক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে জেলা আওয়ামী লীগ এবং একই সময়ে শহরের ঝিলটুলীতে নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল কাদের আজাদ ওরফে এ কে আজাদ।
সংবাদ সম্মেলনে উভয় পক্ষ থেকে ২৩টি সহিংস ঘটনার তথ্য উঠে এসেছে। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীর করা অভিযোগ তাঁদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল বলে দাবি করেছেন নৌকা প্রতীকের শামীম হক।
তিনি বলেন, ‘এ কে আজাদ ও তার সমর্থকেরা বিভিন্ন সময়ে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর অভ্যন্তরীণ দায়ভার আওয়ামী লীগ কর্মীদের ওপর চাপানো এবং নির্বাচন ভন্ডুলের অপচেষ্টা করছেন।’
শামীম হক বলেন, বিভিন্ন ইউনিয়নে নৌকার প্রচার-প্রচারণা ও পোস্টার লাগানোর সময় তাঁর কর্মীদের স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকেরা ভয়ভীতি প্রদর্শন ও মারধর করেন। এ ছাড়া মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ও গুজব ছড়ানোর মাধ্যমে এ কে আজাদ ও তাঁর সমর্থকেরা নির্বাচনী পরিবেশ বিনষ্ট করছে। নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে এসব গুজব-মিথ্যা প্রচারকারীদের প্রতি ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র অমিতাভ বোস বলেন, ২৩ ডিসেম্বর মামুদপুরে শওকতসহ তাঁর তিন ভাইকে, ২৫ ডিসেম্বর ঈশান গোপালপুরের বিষ্ণুপুরে কামরুল ও সেলিমকে মেরে রক্তাক্ত করেছে। ২৩ ডিসেম্বর রাতে বাইপাস সড়কে, ২৬ ডিসেম্বর খাবাসপুরে নৌকার প্রার্থীর পোস্টার ও ব্যানার ছেঁড়া হয়েছে।
অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদ দাবি করেন, ১৮ ডিসেম্বর থেকে তাঁর নেতা-কর্মীদের ওপর ৯ দিনে ১৯টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে নেতা-কর্মীদের মারধর, ক্যাম্প ভাঙচুর ও আগুন, প্রচারণায় বাধা, হুমকি-ধমকি দেওয়া হয়েছে। এসব ঘটনায় পাঁচটি মামলা ও ১৩টি জিডি হয়েছে কোতোয়ালি থানায়।
তিনি বলেন, ‘আমার মনোনয়নপত্র বৈধ ও প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে গত কয়েক দিনে ঈগল প্রতীকের কর্মী-সমর্থক, নির্বাচনী অফিসে ভাঙচুর ও হামলা করা হচ্ছে। এর মধ্যে ঈশান গোপালপুরে দুই দফা, গেরদা, মাহমুদপুর, কানাইপুরসহ বিভিন্ন স্থানে কর্মীদের ওপর হামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া পশ্চিম গঙ্গাবর্দী ও টেপাখোলায় ঈগলের ক্যাম্পে আগুন দেওয়া হয়েছে।’
এ কে আজাদ বলেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকদের হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ২০ জন কর্মী-সমর্থক আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে আব্দুর রহমান ঝনকের অবস্থা সংকটাপন্ন, সে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছে। কিন্তু প্রশাসনের অভিযোগ দেওয়ার পরে হামলার ঘটনা ঘটে যাচ্ছে, প্রশাসন নির্বিকার ভূমিকা পালন করছে।’
শামীম হকের এসব কর্মকাণ্ডে নেতৃত্ব দেওয়া ১৪ জনের নাম উল্লেখ করেন তিনি। তাঁরা হলেন জেলা শ্রমিক লীগে সভাপতি গোয়ালচামট এলাকার গোলাম মো. নাছির, আলিয়াবাদের তোফাজ্জেল হোসেন সম্রাট, চরকমলাপুরের মোবারক খলিফা। এ ছাড়া অস্ত্র ও মাদক মামলার আসামি ডিআইবি বটতলার হেলমেট বাহিনীর প্রধান তরিকুল ইসলাম নাসিম, শোভারামপুরের ফাহাব বিন ওয়াজেদ ফাইন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম জনি, হাত কাটা আক্তার, শাহীন মোল্যা, এজাজ খান, শওকত হোসেন ওরফে সাকো, শোয়ানুর রহমান শোহাগ, রাকিবুর রহমান রাকিব, ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম মজনু ও ডিক্রিরচরের আনোয়ার হোসেন আবু ফকির।
দিন দিন নির্বাচনের পরিবেশ ভয়াবহ হচ্ছে উল্লেখ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদ আরও বলেন, ‘জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে ওনার (শামীম হক) দুইটা দায়িত্ব। যার মধ্যে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরে আনার তাঁর কাজ। উনি তো আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি নষ্ট করে বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন। ইসির নির্দেশনায় প্রার্থিতা বাতিলের যত নিয়ম রয়েছে, উনি সবগুলো করেছেন। বিষয়গুলো তুলে ধরে তাঁর প্রার্থিতা বাতিলের জন্য আমি ইসিতে আবেদন করব।’
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন বিএনপি নেতা। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যায় বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার করার অভিযোগে গাজীপুর আদালতে এ মামলা করেছেন তিনি।
১২ আগস্ট ২০২৫লক্ষ্মীপুরে রামগতিতে নৌকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ফারুক হোসেন (৪০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন দুজন। এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন আরও দুজন। আজ মঙ্গলবার ভোরে জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারুক হোসেন মারা যান।
১২ আগস্ট ২০২৫দুই বছর আগে ফেনী পৌরসভার সুমাইয়া হোসেন আনিকা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সিং ও গ্রাফিক ডিজাইনের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। এরপর বিভিন্ন অনলাইন প্রতিষ্ঠানে চাকরির চেষ্টা করেও সফল হননি। এখন স্বামীর অনলাইন ব্যবসা দেখাশোনা করছেন। আনিকা বলেন, ‘প্রশিক্ষণ পেয়েছি, কিন্তু কাজের সুযোগ খুবই কম।’ আনিকার
১২ আগস্ট ২০২৫চট্টগ্রাম বন্দরে আন্দোলন দমাতে টাকা দাবির ভিডিও ভাইরালের পর এবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম নগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিনকে কেন্দ্র থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তাঁর লিখিত ব্যাখা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দলকে জানানো কথা বলা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫