নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
ফরিদপুরের সালথায় সন্তানদের পিটুনিতে আহত বাবা মারা গেছেন। আজ শনিবার সকালে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। সন্তানেরা সবার অগোচরে দ্রুত দাফন সম্পন্ন করতে চাইলেও পুলিশ গিয়ে মরদেহ থানায় নিয়ে যায় এবং স্ত্রীসহ ৪ জনকে আটক করে।
ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদপুরের সালথা উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের দক্ষিণ আটঘর গ্রামে। ওই ব্যক্তির নাম মো. খালেক সরদার (৫৫)। তিনি দক্ষিণ আটঘর গ্রামের মৃত মজিদ সরদারের ছেলে। স্ত্রীসহ তার তিন মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে।
স্থানীয়রা বলছে, বাবার সম্পত্তি ভাগ করে লিখে দিতে চাপ দেন সন্তানেরা। এতে রাজি না হওয়ায় বাবাকেই পিটিয়ে আহত করেন তারা। বিষয়টি গোপন রাখতে আহত বাবাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন হামলাকারী সন্তানেরা। পরে হাসপাতাল থেকে গাড়িতে করে বাবার মরদেহ বাড়িতে এনে গোপনে দাফনের প্রস্তুতি নেয়। তবে এ খবর পেয়ে যায় পুলিশ। পরে পুলিশ ওই বাড়িতে গিয়ে বাবার মরদেহসহ সন্তানদের আটক করে থানায় নিয়ে যান।
খালেক সরদারের ভাই মালেক সরদার বলেন, ‘খালেক স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে আমাদের একই দক্ষিণ আটঘর গ্রামে আলাদা বাড়ি করে থাকেন। গত ১৪ অক্টোবর ভোরে খালেকের স্ত্রী-সন্তানেরা এসে আমাদের বলে খালেক আঘাত পেয়ে স্ট্রোক করেছে তাকে হাসপাতালে নিতে হবে। পরে ওরাই তাকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করে। এরই মধ্যে জানতে পারি, জমিজমা ভাগাভাগি নিয়ে ১৩ অক্টোবর রাতে খালেকের ছেলে সাব্বির সরদার, মেয়ে রুমা বেগম, সাবানা বেগম ও তার স্বামী রেজাউল হোসেন তাঁকে কাঠের বাটাম দিয়ে পিটিয়ে দুই পা ভেঙে ঘরে শুইয়ে রেখেছিল। পরদিন সকালে তার অবস্থা খারাপ হওয়ায় আমাদের এসে খবর দিয়ে তারা খালেককে হাসপাতালে নিয়ে যায়।’
মালেক সরদার আরও বলেন, ‘ঘটনার পর আমরা হাসপাতালে গিয়ে দেখি তাঁর অবস্থা চরম খারাপ। শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত ও কোপের দাগ। মারা যাওয়ার পর আজ শনিবার সকালে তাঁর লাশ বাড়িতে এনে গোপনে দাফন করতে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল ওরা। খবর পেয়ে পুলিশ এসে খালেকের লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এ সময় খালেকের স্ত্রী আম্বিয়া বেগম, ছেলে সাব্বির সরদার, মেয়ে রুমা বেগম ও সাবানা বেগমকে আটক করে নিয়ে গেছে। তবে জামাই রেজাউল হোসেন পালিয়ে গেছে।’
আজ শনিবার বিকেলে খালেক সরদারের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় সুনসান নীরবতা। বাড়িতে কোনো লোকজন নেই। ঘরে তালা ঝুলছে। পরে প্রতিবেশী মমতাজ বেগম ও সেলিনা বেগম জানান, খালেকের বড় মেয়ে রুমার বিয়ে হয়নি। তিনি বাবার বাড়িতেই থাকেন। মেজো মেয়ে সাবানার বিয়ে হয়েছে রাজবাড়িতে। তবে তিনিও কয়েক মাস ধরে স্বামী রেজাউলকে নিয়ে বাবার বাড়িতে এসে থাকা শুরু করেছিলেন। আর ছেলে সাব্বির স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে একই বাড়িতে থাকতেন। বেশ কিছুদিন ধরে সম্পত্তি ভাগ করে দেওয়ার জন্য খালেককে চাপ দিয়ে আসছিলেন তার সন্তানেরা। এতে খালেক রাজি না হওয়ায় তাকে কাঠ দিয়ে পিটিয়ে ও দা দিয়ে কুপিয়ে আহত করে সন্তানেরা। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থা মারা যান তিনি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সাদিক বলেন, ‘জমিজমা ভাগাভাগি নিয়ে স্ত্রী-সন্তানেরা গত ১৪ অক্টোবর খালেক সরদারকে বেধড়ক মারপিট করে গোপনে একটি হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে গত মঙ্গলবার তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়। আজ শনিবার হাসপাতালে মারা যাওয়ার পর লাশ ছেলে মেয়েরা অ্যাম্বুলেন্সে বাড়ি নিয়ে আসলে খালেকের ভাইয়েরা আমাদের বিষয়টি জানায়। খবর পেয়ে আমরা মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছি। সেই সঙ্গে নিহতের স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে থানায় নিয়ে আসি। এ বিষয় অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ফরিদপুরের সালথায় সন্তানদের পিটুনিতে আহত বাবা মারা গেছেন। আজ শনিবার সকালে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। সন্তানেরা সবার অগোচরে দ্রুত দাফন সম্পন্ন করতে চাইলেও পুলিশ গিয়ে মরদেহ থানায় নিয়ে যায় এবং স্ত্রীসহ ৪ জনকে আটক করে।
ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদপুরের সালথা উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের দক্ষিণ আটঘর গ্রামে। ওই ব্যক্তির নাম মো. খালেক সরদার (৫৫)। তিনি দক্ষিণ আটঘর গ্রামের মৃত মজিদ সরদারের ছেলে। স্ত্রীসহ তার তিন মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে।
স্থানীয়রা বলছে, বাবার সম্পত্তি ভাগ করে লিখে দিতে চাপ দেন সন্তানেরা। এতে রাজি না হওয়ায় বাবাকেই পিটিয়ে আহত করেন তারা। বিষয়টি গোপন রাখতে আহত বাবাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন হামলাকারী সন্তানেরা। পরে হাসপাতাল থেকে গাড়িতে করে বাবার মরদেহ বাড়িতে এনে গোপনে দাফনের প্রস্তুতি নেয়। তবে এ খবর পেয়ে যায় পুলিশ। পরে পুলিশ ওই বাড়িতে গিয়ে বাবার মরদেহসহ সন্তানদের আটক করে থানায় নিয়ে যান।
খালেক সরদারের ভাই মালেক সরদার বলেন, ‘খালেক স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে আমাদের একই দক্ষিণ আটঘর গ্রামে আলাদা বাড়ি করে থাকেন। গত ১৪ অক্টোবর ভোরে খালেকের স্ত্রী-সন্তানেরা এসে আমাদের বলে খালেক আঘাত পেয়ে স্ট্রোক করেছে তাকে হাসপাতালে নিতে হবে। পরে ওরাই তাকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করে। এরই মধ্যে জানতে পারি, জমিজমা ভাগাভাগি নিয়ে ১৩ অক্টোবর রাতে খালেকের ছেলে সাব্বির সরদার, মেয়ে রুমা বেগম, সাবানা বেগম ও তার স্বামী রেজাউল হোসেন তাঁকে কাঠের বাটাম দিয়ে পিটিয়ে দুই পা ভেঙে ঘরে শুইয়ে রেখেছিল। পরদিন সকালে তার অবস্থা খারাপ হওয়ায় আমাদের এসে খবর দিয়ে তারা খালেককে হাসপাতালে নিয়ে যায়।’
মালেক সরদার আরও বলেন, ‘ঘটনার পর আমরা হাসপাতালে গিয়ে দেখি তাঁর অবস্থা চরম খারাপ। শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত ও কোপের দাগ। মারা যাওয়ার পর আজ শনিবার সকালে তাঁর লাশ বাড়িতে এনে গোপনে দাফন করতে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল ওরা। খবর পেয়ে পুলিশ এসে খালেকের লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এ সময় খালেকের স্ত্রী আম্বিয়া বেগম, ছেলে সাব্বির সরদার, মেয়ে রুমা বেগম ও সাবানা বেগমকে আটক করে নিয়ে গেছে। তবে জামাই রেজাউল হোসেন পালিয়ে গেছে।’
আজ শনিবার বিকেলে খালেক সরদারের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় সুনসান নীরবতা। বাড়িতে কোনো লোকজন নেই। ঘরে তালা ঝুলছে। পরে প্রতিবেশী মমতাজ বেগম ও সেলিনা বেগম জানান, খালেকের বড় মেয়ে রুমার বিয়ে হয়নি। তিনি বাবার বাড়িতেই থাকেন। মেজো মেয়ে সাবানার বিয়ে হয়েছে রাজবাড়িতে। তবে তিনিও কয়েক মাস ধরে স্বামী রেজাউলকে নিয়ে বাবার বাড়িতে এসে থাকা শুরু করেছিলেন। আর ছেলে সাব্বির স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে একই বাড়িতে থাকতেন। বেশ কিছুদিন ধরে সম্পত্তি ভাগ করে দেওয়ার জন্য খালেককে চাপ দিয়ে আসছিলেন তার সন্তানেরা। এতে খালেক রাজি না হওয়ায় তাকে কাঠ দিয়ে পিটিয়ে ও দা দিয়ে কুপিয়ে আহত করে সন্তানেরা। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থা মারা যান তিনি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সাদিক বলেন, ‘জমিজমা ভাগাভাগি নিয়ে স্ত্রী-সন্তানেরা গত ১৪ অক্টোবর খালেক সরদারকে বেধড়ক মারপিট করে গোপনে একটি হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে গত মঙ্গলবার তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়। আজ শনিবার হাসপাতালে মারা যাওয়ার পর লাশ ছেলে মেয়েরা অ্যাম্বুলেন্সে বাড়ি নিয়ে আসলে খালেকের ভাইয়েরা আমাদের বিষয়টি জানায়। খবর পেয়ে আমরা মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছি। সেই সঙ্গে নিহতের স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে থানায় নিয়ে আসি। এ বিষয় অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন বিএনপি নেতা। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যায় বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার করার অভিযোগে গাজীপুর আদালতে এ মামলা করেছেন তিনি।
১২ আগস্ট ২০২৫লক্ষ্মীপুরে রামগতিতে নৌকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ফারুক হোসেন (৪০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন দুজন। এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন আরও দুজন। আজ মঙ্গলবার ভোরে জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারুক হোসেন মারা যান।
১২ আগস্ট ২০২৫দুই বছর আগে ফেনী পৌরসভার সুমাইয়া হোসেন আনিকা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সিং ও গ্রাফিক ডিজাইনের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। এরপর বিভিন্ন অনলাইন প্রতিষ্ঠানে চাকরির চেষ্টা করেও সফল হননি। এখন স্বামীর অনলাইন ব্যবসা দেখাশোনা করছেন। আনিকা বলেন, ‘প্রশিক্ষণ পেয়েছি, কিন্তু কাজের সুযোগ খুবই কম।’ আনিকার
১২ আগস্ট ২০২৫চট্টগ্রাম বন্দরে আন্দোলন দমাতে টাকা দাবির ভিডিও ভাইরালের পর এবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম নগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিনকে কেন্দ্র থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তাঁর লিখিত ব্যাখা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দলকে জানানো কথা বলা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫