নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
শেখ হাসিনা সরকার পতনের তিন দিন পর আজ বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় শপথ নিচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তবে এই তিন দিনে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে যে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে, সেটি দূর করা প্রধান কাজ বলে মন্তব্য করেছেন প্রস্তাবিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ও শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ইউনূস বলেন, ‘আপনারা আমার ওপর আস্থা রেখে আমাকে আহ্বান জানিয়েছেন। ছাত্ররা আমাকে আহ্বান দিয়েছে। সেটাতে আমি সাড়া দিয়েছি। দেশবাসীর কাছে আমার আবেদন আপনারা যদি আমার ওপর বিশ্বাস রাখেন, তাহলে নিশ্চিত করেন যে এ দেশে কোনো জায়গায় কারও ওপর হামলা হবে না। এটা আমাদের প্রথম দায়িত্ব। এটা যদি আমি করতে না পারি, আমার কথা যদি না শোনেন তাহলে এখানে আমার প্রয়োজন নাই। আমাকে বিদায় দেন।’
আজ বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ২টার দিকে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমি আমার কাজে থাকি, সেখানেই আমি ব্যস্ত থাকি। যদি আমাকে প্রয়োজন মনে করেন, আমাকে প্রয়োজন মনে করলে দেখাতে হবে যে আমার কথা আপনারা শোনেন। আমার কথা না শুনলে আমার কোনো প্রয়োজন নাই। আমার প্রথম কথা হল বিশৃঙ্খলা থেকে দেশকে রক্ষা করেন। আপনারা সহিংসতা থেকে দেশকে রক্ষা করেন। আমাদের ছাত্ররা আমাদের যে পথ দেখায় সেই পথে এগিয়ে যেতে পারি।’
এ সময় তরুণদের সৃজনশীলতা প্রকাশ করার আহ্বান জানান ড. ইউনূস। বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, অন্য দুই বাহিনীর প্রধান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কেরা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। এরপর তিনি বিমানবন্দরে অপেক্ষমাণ গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের কথা বলতে গিয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে কেঁদে ফেলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আবেগতাড়িত হয়ে তিনি বলেন, ‘আজকে আবু সাঈদের কথা মনে পড়ছে আমাদের। যে আবু সাঈদের ছবি বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের মনে গেঁথে আছে। এটা কেউ ভুলতে পারবে না! কী অবিশ্বাস্য একটা সাহসী যুবক! বন্দুকের সামনে দাঁড়িয়ে আছে! তারপর থেকে কোনো যুবক আর হার মানে নাই, গুলির সামনে এগিয়ে গেছে। বলেছে—যত গুলি মারতে পারো মারো, আমরা আছি। যার কারণে সারা বাংলাদেশে এই আন্দোলন ছড়িয়ে গেছে। যার কারণে বাংলাদেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীনতা অর্জন করল।’
নতুন সরকারের কী ধরনের দায়িত্ব রয়েছে, তা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব হলো তারা (শিক্ষার্থী) যেটা অর্জন করে নিয়ে এসেছে, এখন তাদেরকে দিয়ে এটাকে করিয়ে দেওয়া। সমস্ত কাঠামোগুলো পরিষ্কার করে দেওয়া। সরকার বলে একটা জিনিস আছে, কিন্তু মানুষের কোনো আস্থা নেই। মানুষ মনে করে সরকার একটা দমন–পীড়নের একটা যন্ত্র। যেখানে সুযোগ পায় সেখানে কষ্ট দেওয়া সকল স্তরে। এটি হলো সরকার। এটা সরকার হতে পারে না।’
সরকারকে দেখে মানুষ বুক ফুলিয়ে উঠবে যে আমাদের সাহায্য করবে, রক্ষা করবে। যে সরকার হবে সে সরকার মানুষকে রক্ষা করবে, মানুষের আস্থাভাজন হবে।
আইনশৃঙ্খলার ব্যাঘাত হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মানুষ মানুষকে আক্রমণ করছে। ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিচ্ছে। ধন–সম্পদ জ্বালিয়ে নষ্ট করছে। চুরি হচ্ছে, নিয়ে যাচ্ছে। অফিস–আদালত আক্রমণ করছে। সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ করছে। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, আহমদিয়া সবার ওপর আক্রমণ চলছে। এগুলো ষড়যন্ত্রের অংশ। এগুলো আমাদের বিষয় না।
‘আমাদের কাজ হলো এগুলো রক্ষা করা। সবাইকে রক্ষা করা। প্রতিটি মানুষকে, প্রতিটি মানুষ আমাদের ভাই-বোন, তাদের রক্ষা করা। শান্তি–শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা। বিশৃঙ্খলা, সহিংসতা এগুলো হলো অগ্রগতির বড় শত্রু। আইনশৃঙ্খলা আমাদের প্রথম কাজ। এটা ফিরিয়ে না আনা পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নিতে পারব না।’
শেখ হাসিনা সরকার পতনের তিন দিন পর আজ বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় শপথ নিচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তবে এই তিন দিনে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে যে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে, সেটি দূর করা প্রধান কাজ বলে মন্তব্য করেছেন প্রস্তাবিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ও শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ইউনূস বলেন, ‘আপনারা আমার ওপর আস্থা রেখে আমাকে আহ্বান জানিয়েছেন। ছাত্ররা আমাকে আহ্বান দিয়েছে। সেটাতে আমি সাড়া দিয়েছি। দেশবাসীর কাছে আমার আবেদন আপনারা যদি আমার ওপর বিশ্বাস রাখেন, তাহলে নিশ্চিত করেন যে এ দেশে কোনো জায়গায় কারও ওপর হামলা হবে না। এটা আমাদের প্রথম দায়িত্ব। এটা যদি আমি করতে না পারি, আমার কথা যদি না শোনেন তাহলে এখানে আমার প্রয়োজন নাই। আমাকে বিদায় দেন।’
আজ বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ২টার দিকে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমি আমার কাজে থাকি, সেখানেই আমি ব্যস্ত থাকি। যদি আমাকে প্রয়োজন মনে করেন, আমাকে প্রয়োজন মনে করলে দেখাতে হবে যে আমার কথা আপনারা শোনেন। আমার কথা না শুনলে আমার কোনো প্রয়োজন নাই। আমার প্রথম কথা হল বিশৃঙ্খলা থেকে দেশকে রক্ষা করেন। আপনারা সহিংসতা থেকে দেশকে রক্ষা করেন। আমাদের ছাত্ররা আমাদের যে পথ দেখায় সেই পথে এগিয়ে যেতে পারি।’
এ সময় তরুণদের সৃজনশীলতা প্রকাশ করার আহ্বান জানান ড. ইউনূস। বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, অন্য দুই বাহিনীর প্রধান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কেরা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। এরপর তিনি বিমানবন্দরে অপেক্ষমাণ গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের কথা বলতে গিয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে কেঁদে ফেলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আবেগতাড়িত হয়ে তিনি বলেন, ‘আজকে আবু সাঈদের কথা মনে পড়ছে আমাদের। যে আবু সাঈদের ছবি বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের মনে গেঁথে আছে। এটা কেউ ভুলতে পারবে না! কী অবিশ্বাস্য একটা সাহসী যুবক! বন্দুকের সামনে দাঁড়িয়ে আছে! তারপর থেকে কোনো যুবক আর হার মানে নাই, গুলির সামনে এগিয়ে গেছে। বলেছে—যত গুলি মারতে পারো মারো, আমরা আছি। যার কারণে সারা বাংলাদেশে এই আন্দোলন ছড়িয়ে গেছে। যার কারণে বাংলাদেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীনতা অর্জন করল।’
নতুন সরকারের কী ধরনের দায়িত্ব রয়েছে, তা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব হলো তারা (শিক্ষার্থী) যেটা অর্জন করে নিয়ে এসেছে, এখন তাদেরকে দিয়ে এটাকে করিয়ে দেওয়া। সমস্ত কাঠামোগুলো পরিষ্কার করে দেওয়া। সরকার বলে একটা জিনিস আছে, কিন্তু মানুষের কোনো আস্থা নেই। মানুষ মনে করে সরকার একটা দমন–পীড়নের একটা যন্ত্র। যেখানে সুযোগ পায় সেখানে কষ্ট দেওয়া সকল স্তরে। এটি হলো সরকার। এটা সরকার হতে পারে না।’
সরকারকে দেখে মানুষ বুক ফুলিয়ে উঠবে যে আমাদের সাহায্য করবে, রক্ষা করবে। যে সরকার হবে সে সরকার মানুষকে রক্ষা করবে, মানুষের আস্থাভাজন হবে।
আইনশৃঙ্খলার ব্যাঘাত হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মানুষ মানুষকে আক্রমণ করছে। ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিচ্ছে। ধন–সম্পদ জ্বালিয়ে নষ্ট করছে। চুরি হচ্ছে, নিয়ে যাচ্ছে। অফিস–আদালত আক্রমণ করছে। সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ করছে। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, আহমদিয়া সবার ওপর আক্রমণ চলছে। এগুলো ষড়যন্ত্রের অংশ। এগুলো আমাদের বিষয় না।
‘আমাদের কাজ হলো এগুলো রক্ষা করা। সবাইকে রক্ষা করা। প্রতিটি মানুষকে, প্রতিটি মানুষ আমাদের ভাই-বোন, তাদের রক্ষা করা। শান্তি–শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা। বিশৃঙ্খলা, সহিংসতা এগুলো হলো অগ্রগতির বড় শত্রু। আইনশৃঙ্খলা আমাদের প্রথম কাজ। এটা ফিরিয়ে না আনা পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নিতে পারব না।’
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন বিএনপি নেতা। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যায় বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার করার অভিযোগে গাজীপুর আদালতে এ মামলা করেছেন তিনি।
২৪ দিন আগেলক্ষ্মীপুরে রামগতিতে নৌকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ফারুক হোসেন (৪০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন দুজন। এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন আরও দুজন। আজ মঙ্গলবার ভোরে জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারুক হোসেন মারা যান।
২৪ দিন আগেদুই বছর আগে ফেনী পৌরসভার সুমাইয়া হোসেন আনিকা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সিং ও গ্রাফিক ডিজাইনের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। এরপর বিভিন্ন অনলাইন প্রতিষ্ঠানে চাকরির চেষ্টা করেও সফল হননি। এখন স্বামীর অনলাইন ব্যবসা দেখাশোনা করছেন। আনিকা বলেন, ‘প্রশিক্ষণ পেয়েছি, কিন্তু কাজের সুযোগ খুবই কম।’ আনিকার
২৪ দিন আগেচট্টগ্রাম বন্দরে আন্দোলন দমাতে টাকা দাবির ভিডিও ভাইরালের পর এবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম নগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিনকে কেন্দ্র থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তাঁর লিখিত ব্যাখা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দলকে জানানো কথা বলা হয়েছে।
২৪ দিন আগে