নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনায় স্বামীর মৃত্যুসনদের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরছেন সম্রাট হোসেনের (৩৫) স্ত্রী এলমা আক্তার রিয়া। ঘটনার দিন রাতে হাসপাতাল থেকে সম্রাটের লাশ ছিনিয়ে নিয়ে যান তাঁর স্বজনেরা। রোববার (১২ মার্চ) সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেলে মৃত্যুসনদের জন্য যান তাঁর স্ত্রী।
এ সময় এলমা আক্তার জানান, সম্রাটের বাবা মৃত আশরাফ উদ্দিন গামা। বংশাল ২৫ নম্বর মালিটোলা নিজেদের বাড়ি তাঁদের। পাশেই ২৭ নম্বর বাড়ি এলমাদের। দুই সন্তানের জনক সম্রাট। ছেলে সারাফ (৫) ও ৪ মাসের মেয়ে সারা। সিদ্দিকবাজারে আনিকা এজেন্সি নামে চাচাতো ভাই মোমিন উদ্দিন সুমেনের দোকানটিতে ৮ বছর ধরে কাজ করতেন সম্রাট। বেতন পেতেন ২০ হাজার টাকা।
এলমা আক্তার রিয়া বলেন, ঘটনার দিন সকালে বাসা থেকে কাজে যান সম্রাট। বিকেলে তাঁদেরই এক আত্মীয় এলমাকে ফোন দিয়ে জানান, সিদ্দিকবাজারে এসি বিস্ফোরণ হয়েছে। অনেক মানুষ মারা গেছে, আহত হয়েছে। খবর শুনে তিনি দৌড়ে সম্রাটের দোকানে ছুটে যান।
এলমা বলেন, ‘সিদ্দিকবাজারে ওনাকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। যখন শুনলাম সবাইকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে; তখন সেখানে গেলাম। ঢাকা মেডিকেলের প্রতিটা রুমে খুঁজেছি। চার থেকে সাড়ে চার ঘণ্টা খোঁজার পর জরুরি বিভাগের ৪ নম্বর রুমে সম্রাটকে দেখতে পাই। ওর অবস্থা তখন খুব খারাপ ছিল। ডাক্তাররা বলছিলেন ইসিজি করে দেখতে হবে। এরপর ৩ নম্বর রুমে ইসিজি করেন। কিন্তু আমাকে আর ওর সাথে কেউ থাকতে দেয়নি। আমাকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়।’
রাত সাড়ে ১০টার দিকে সম্রাটের মরদেহ বাসায় নিয়ে যান স্বজনেরা। ভোরে আজিমপুর কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়। ওই রাতে হাসপাতাল থেকে লাশ কীভাবে বাসায় নেওয়া হয়েছে তার তিনি কিছুই জানেন না। শুনেছেন, সম্রাটের বন্ধুরাই হাসপাতাল থেকে জোর লাশ নিয়ে গিয়েছিল।
মৃত্যুসনদের জন্য এখন নিজে বিভিন্ন দপ্তরে ঘোরার কারণ জানতে চাইলে এলমা বলেন, ‘আমার দুইটা সন্তান। ওদের দাদা-দাদি কেউ নাই। বাড়িটিও সম্রাটের চাচা আর বাবার নামে। বাচ্চাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তার কারণেই এখন দৌড়ঝাঁপ করছি। কেউ আমার সাথে নাই। সম্রাটের পরিবারেরও কেউ নাই যে আমাকে সাহায্য করবে। আমি এখন অসহায়। ঘটনার পর দিন থেকেই জেলা প্রশাসনের কার্যালয়, হাসপাতালে একাধিকবার ঘুরছি। কেউ কোনো সুরাহা দিচ্ছেন না।’
এই দুর্ঘটনায় সম্রাটের চাচাতো ভাই মোমিন উদ্দিন সুমনও মারা গেছেন। আনিকা এজেন্সির মালিক মোমিনের লাশ ঘটনার পরদিন বিকেলে ভবনের আন্ডারগ্রাউন্ড থেকে উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, ‘ফোনে আমি বিষয়টি শুনেছি। এ বিষয়ে তাদের হাসপাতালের পরিচালকের সঙ্গে কথা বলতে বলেছি।’
গত মঙ্গলবারের (৭ মার্চ) ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৩ জন। তবে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের মৃতের তালিকায় সম্রাটের নাম নেই।
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনায় স্বামীর মৃত্যুসনদের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরছেন সম্রাট হোসেনের (৩৫) স্ত্রী এলমা আক্তার রিয়া। ঘটনার দিন রাতে হাসপাতাল থেকে সম্রাটের লাশ ছিনিয়ে নিয়ে যান তাঁর স্বজনেরা। রোববার (১২ মার্চ) সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেলে মৃত্যুসনদের জন্য যান তাঁর স্ত্রী।
এ সময় এলমা আক্তার জানান, সম্রাটের বাবা মৃত আশরাফ উদ্দিন গামা। বংশাল ২৫ নম্বর মালিটোলা নিজেদের বাড়ি তাঁদের। পাশেই ২৭ নম্বর বাড়ি এলমাদের। দুই সন্তানের জনক সম্রাট। ছেলে সারাফ (৫) ও ৪ মাসের মেয়ে সারা। সিদ্দিকবাজারে আনিকা এজেন্সি নামে চাচাতো ভাই মোমিন উদ্দিন সুমেনের দোকানটিতে ৮ বছর ধরে কাজ করতেন সম্রাট। বেতন পেতেন ২০ হাজার টাকা।
এলমা আক্তার রিয়া বলেন, ঘটনার দিন সকালে বাসা থেকে কাজে যান সম্রাট। বিকেলে তাঁদেরই এক আত্মীয় এলমাকে ফোন দিয়ে জানান, সিদ্দিকবাজারে এসি বিস্ফোরণ হয়েছে। অনেক মানুষ মারা গেছে, আহত হয়েছে। খবর শুনে তিনি দৌড়ে সম্রাটের দোকানে ছুটে যান।
এলমা বলেন, ‘সিদ্দিকবাজারে ওনাকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। যখন শুনলাম সবাইকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে; তখন সেখানে গেলাম। ঢাকা মেডিকেলের প্রতিটা রুমে খুঁজেছি। চার থেকে সাড়ে চার ঘণ্টা খোঁজার পর জরুরি বিভাগের ৪ নম্বর রুমে সম্রাটকে দেখতে পাই। ওর অবস্থা তখন খুব খারাপ ছিল। ডাক্তাররা বলছিলেন ইসিজি করে দেখতে হবে। এরপর ৩ নম্বর রুমে ইসিজি করেন। কিন্তু আমাকে আর ওর সাথে কেউ থাকতে দেয়নি। আমাকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়।’
রাত সাড়ে ১০টার দিকে সম্রাটের মরদেহ বাসায় নিয়ে যান স্বজনেরা। ভোরে আজিমপুর কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়। ওই রাতে হাসপাতাল থেকে লাশ কীভাবে বাসায় নেওয়া হয়েছে তার তিনি কিছুই জানেন না। শুনেছেন, সম্রাটের বন্ধুরাই হাসপাতাল থেকে জোর লাশ নিয়ে গিয়েছিল।
মৃত্যুসনদের জন্য এখন নিজে বিভিন্ন দপ্তরে ঘোরার কারণ জানতে চাইলে এলমা বলেন, ‘আমার দুইটা সন্তান। ওদের দাদা-দাদি কেউ নাই। বাড়িটিও সম্রাটের চাচা আর বাবার নামে। বাচ্চাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তার কারণেই এখন দৌড়ঝাঁপ করছি। কেউ আমার সাথে নাই। সম্রাটের পরিবারেরও কেউ নাই যে আমাকে সাহায্য করবে। আমি এখন অসহায়। ঘটনার পর দিন থেকেই জেলা প্রশাসনের কার্যালয়, হাসপাতালে একাধিকবার ঘুরছি। কেউ কোনো সুরাহা দিচ্ছেন না।’
এই দুর্ঘটনায় সম্রাটের চাচাতো ভাই মোমিন উদ্দিন সুমনও মারা গেছেন। আনিকা এজেন্সির মালিক মোমিনের লাশ ঘটনার পরদিন বিকেলে ভবনের আন্ডারগ্রাউন্ড থেকে উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, ‘ফোনে আমি বিষয়টি শুনেছি। এ বিষয়ে তাদের হাসপাতালের পরিচালকের সঙ্গে কথা বলতে বলেছি।’
গত মঙ্গলবারের (৭ মার্চ) ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৩ জন। তবে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের মৃতের তালিকায় সম্রাটের নাম নেই।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন বিএনপি নেতা। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যায় বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার করার অভিযোগে গাজীপুর আদালতে এ মামলা করেছেন তিনি।
১৮ দিন আগেলক্ষ্মীপুরে রামগতিতে নৌকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ফারুক হোসেন (৪০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন দুজন। এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন আরও দুজন। আজ মঙ্গলবার ভোরে জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারুক হোসেন মারা যান।
১৮ দিন আগেদুই বছর আগে ফেনী পৌরসভার সুমাইয়া হোসেন আনিকা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সিং ও গ্রাফিক ডিজাইনের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। এরপর বিভিন্ন অনলাইন প্রতিষ্ঠানে চাকরির চেষ্টা করেও সফল হননি। এখন স্বামীর অনলাইন ব্যবসা দেখাশোনা করছেন। আনিকা বলেন, ‘প্রশিক্ষণ পেয়েছি, কিন্তু কাজের সুযোগ খুবই কম।’ আনিকার
১৮ দিন আগেচট্টগ্রাম বন্দরে আন্দোলন দমাতে টাকা দাবির ভিডিও ভাইরালের পর এবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম নগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিনকে কেন্দ্র থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তাঁর লিখিত ব্যাখা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দলকে জানানো কথা বলা হয়েছে।
১৮ দিন আগে