নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার ঢাকা উদ্যান থেকে আম কিনে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে এক শিশুকে অপহরণ করে বিক্রির ঘটনা ঘটেছে। অনলাইনে বিজ্ঞাপন দিয়ে অপহৃত ওই শিশুকে ২ লাখ টাকার বিনিময়ে গোপালগঞ্জে বিক্রি করা হয়। এ ঘটনায় অপহৃত শিশুর ক্রেতাসহ অপহরণকারী চক্রের মূল হোতা পীযূষ দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
আজ শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারের র্যাব মিডিয়া সেন্টারে র্যাব-২-এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন খান এ তথ্য জানান।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন—অপহরণকারী পীযূষ কান্তি পাল (২৯), সহযোগী ও স্ত্রী রিদ্ধিতা পাল (২৫), শিশু বিক্রির মধ্যস্থতাকারী সুজন সুতার (৩২), শিশুর ক্রেতা পল্লব কান্তি বিশ্বাস (৫২) ও তাঁর স্ত্রী বেবি সরকার (৪৬)।
র্যাব-২-এর অধিনায়ক আনোয়ার হোসেন জানান, গত ২৬ এপ্রিল দুপুরে মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান এলাকায় বাসার সামনে বড় বোন হুমায়রার (৮) সঙ্গে খেলছিল অপহৃত শিশু মো. সিদ্দিকসহ (৩) আরও সাত-আটটি শিশু-কিশোর।
এ সময় অজ্ঞাত এক ব্যক্তি সবাইকে চকলেট খাওয়ায়। একটু পরে হুমায়রাকে বাসায় পাঠিয়ে দিয়ে ছোট ভাই সিদ্দিককে আম কিনে দেওয়ার কথা বলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। দিন শেষে তাদের মা বাসায় এলে হুমায়রা বিষয়টি মাকে জানায়। এরপর অনেক খোঁজাখুঁজি করেও ছেলের সন্ধান না পেয়ে মোহাম্মদপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
পরে অপহৃত শিশুটির বাবা দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিশ।
পরে শিশুটির বাবার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার তদন্ত শুরু করে র্যাব-২। তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে জানতে পারে যে অপহরণকারী ব্যক্তি সাভারের বাসিন্দা পীযূষ কান্তি পাল ও তাঁর সহযোগী স্ত্রী রিদ্ধিতা পাল। এই দম্পতি শিশুটিকে বিক্রির উদ্দেশ্যে একটি অনলাইন গ্রুপে পোস্ট দেয়। এরপর তাঁরা সুজন সুতারের (৩২) মাধ্যমে পল্লব কান্তি বিশ্বাস ও তাঁর স্ত্রী বেবী সরকার (৪৬) দম্পতির কাছে ২ লাখ টাকার বিনিময়ে শিশুটিকে বিক্রি করে দেন।
শিশু কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত সুজন সুতারকে ঢাকার শাহবাগ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল বৃহস্পতিবার অপহৃত শিশুকে গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলার তাড়াসি গ্রাম থেকে উদ্ধার করা হয়।
আনোয়ার হোসেন আরও জানান, অপহরণকারী চক্রটির মূল হোতা পীযূষ কান্তি পাল পঞ্চগড় জেলার সদর থানার রমেন্দ্র চন্দ পালের ছেলে। তিনি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ পড়াকালীন পার্টটাইম জব হিসেবে বিউটি পারলার/স্পা সেন্টারে কাজ করতেন। পীযূষ কান্তি পাল স্পা সেন্টারে কাজ করার সময় রিদ্ধিতা পালের সঙ্গে পরিচয় হয়। পরে তাঁরা ২০২০ সালে বিয়ে করেন। মূলত স্পা সেন্টারে কাজ করার সময় থেকে তিনি মানব পাচারের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। ২০২২ সালের মে মাসে মানব পাচারের অভিযোগে বনানী থানায় তাঁর বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। এই মামলায় কিছুদিন জেল খেটে জামিনে বের হন।
যেভাবে শিশুটি বিক্রি হয়
সাভার থেকে ঢাকা উদ্যান এলাকায় এসে শিশু সিদ্দিককে অপহরণ করে নিয়ে যায়। অপহরণের পর নিজেদের সন্তানের ছবি ব্যবহার করে একটি অনলাইন গ্রুপে পোস্ট দেয়। রিদ্ধিতা পাল লেখেন, স্বামী পরিত্যক্তা কাজের মহিলার একটি বাচ্চাকে ২ লাখ টাকার বিনিময়ে দত্তক দেওয়া হবে। এরপর সুজন সুতারের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গত ২১ এপ্রিল কথা হয়। এই সময়ে রিদ্ধিতা পাল নিজের ছেলের ছবি সুজন সুতারের কাছে পাঠিয়ে বলেন, ‘এই ছেলেকে দত্তক দেওয়া হবে, আপনাদের পছন্দ হয় কি না বলেন।’ ছবি দেখে সুজন সুতার শিশুটিকে পছন্দ করেন এবং তাকে টাকার বিনিময়ে দত্তক নেবেন বলে জানান। পরে রাজধানীর আগারগাঁও এলাকায় রিদ্ধিতা পাল নিজেকে অর্পণা দাস ও আসামি পীযূষ কান্তি পাল নিজেকে বিজন বিহারি পাল পরিচয় দিয়ে তাঁর বাসার কাজের মহিলার শিশু হিসেবে অপহৃত সিদ্দিককে একটি স্ট্যাম্প তৈরি করে হাতবদল করেন। এ সময় প্রমাণস্বরূপ টিকা কার্ড, জন্মসনদ এবং আইডি কার্ডের ফটোকপি দেওয়া হয়।
অপহৃত শিশু বিক্রিতে সহায়তাকারী সুজন সুতার র্যাবকে জানিয়েছেন, তাঁর নিকটাত্মীয় পল্লব কান্তি বিশ্বাস ও স্ত্রীর বড় বোন বেবি সরকারের একটি সন্তান প্রয়োজন হওয়ায় পীযূষ কান্তি পাল ও তাঁর স্ত্রী রিদ্ধিতা পালের কাছ থেকে ২ লাখ টাকার বিনিময়ে মো. সিদ্দিককে কিনে নেন। এরপর গত ২৬ এপ্রিল রাতে পল্লব কান্তি বিশ্বাস ও বেবি সরকারকে নিজ বাড়ি গোপালগঞ্জে গিয়ে দিয়ে আসেন।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার ঢাকা উদ্যান থেকে আম কিনে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে এক শিশুকে অপহরণ করে বিক্রির ঘটনা ঘটেছে। অনলাইনে বিজ্ঞাপন দিয়ে অপহৃত ওই শিশুকে ২ লাখ টাকার বিনিময়ে গোপালগঞ্জে বিক্রি করা হয়। এ ঘটনায় অপহৃত শিশুর ক্রেতাসহ অপহরণকারী চক্রের মূল হোতা পীযূষ দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
আজ শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারের র্যাব মিডিয়া সেন্টারে র্যাব-২-এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন খান এ তথ্য জানান।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন—অপহরণকারী পীযূষ কান্তি পাল (২৯), সহযোগী ও স্ত্রী রিদ্ধিতা পাল (২৫), শিশু বিক্রির মধ্যস্থতাকারী সুজন সুতার (৩২), শিশুর ক্রেতা পল্লব কান্তি বিশ্বাস (৫২) ও তাঁর স্ত্রী বেবি সরকার (৪৬)।
র্যাব-২-এর অধিনায়ক আনোয়ার হোসেন জানান, গত ২৬ এপ্রিল দুপুরে মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান এলাকায় বাসার সামনে বড় বোন হুমায়রার (৮) সঙ্গে খেলছিল অপহৃত শিশু মো. সিদ্দিকসহ (৩) আরও সাত-আটটি শিশু-কিশোর।
এ সময় অজ্ঞাত এক ব্যক্তি সবাইকে চকলেট খাওয়ায়। একটু পরে হুমায়রাকে বাসায় পাঠিয়ে দিয়ে ছোট ভাই সিদ্দিককে আম কিনে দেওয়ার কথা বলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। দিন শেষে তাদের মা বাসায় এলে হুমায়রা বিষয়টি মাকে জানায়। এরপর অনেক খোঁজাখুঁজি করেও ছেলের সন্ধান না পেয়ে মোহাম্মদপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
পরে অপহৃত শিশুটির বাবা দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিশ।
পরে শিশুটির বাবার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার তদন্ত শুরু করে র্যাব-২। তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে জানতে পারে যে অপহরণকারী ব্যক্তি সাভারের বাসিন্দা পীযূষ কান্তি পাল ও তাঁর সহযোগী স্ত্রী রিদ্ধিতা পাল। এই দম্পতি শিশুটিকে বিক্রির উদ্দেশ্যে একটি অনলাইন গ্রুপে পোস্ট দেয়। এরপর তাঁরা সুজন সুতারের (৩২) মাধ্যমে পল্লব কান্তি বিশ্বাস ও তাঁর স্ত্রী বেবী সরকার (৪৬) দম্পতির কাছে ২ লাখ টাকার বিনিময়ে শিশুটিকে বিক্রি করে দেন।
শিশু কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত সুজন সুতারকে ঢাকার শাহবাগ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল বৃহস্পতিবার অপহৃত শিশুকে গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলার তাড়াসি গ্রাম থেকে উদ্ধার করা হয়।
আনোয়ার হোসেন আরও জানান, অপহরণকারী চক্রটির মূল হোতা পীযূষ কান্তি পাল পঞ্চগড় জেলার সদর থানার রমেন্দ্র চন্দ পালের ছেলে। তিনি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ পড়াকালীন পার্টটাইম জব হিসেবে বিউটি পারলার/স্পা সেন্টারে কাজ করতেন। পীযূষ কান্তি পাল স্পা সেন্টারে কাজ করার সময় রিদ্ধিতা পালের সঙ্গে পরিচয় হয়। পরে তাঁরা ২০২০ সালে বিয়ে করেন। মূলত স্পা সেন্টারে কাজ করার সময় থেকে তিনি মানব পাচারের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। ২০২২ সালের মে মাসে মানব পাচারের অভিযোগে বনানী থানায় তাঁর বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। এই মামলায় কিছুদিন জেল খেটে জামিনে বের হন।
যেভাবে শিশুটি বিক্রি হয়
সাভার থেকে ঢাকা উদ্যান এলাকায় এসে শিশু সিদ্দিককে অপহরণ করে নিয়ে যায়। অপহরণের পর নিজেদের সন্তানের ছবি ব্যবহার করে একটি অনলাইন গ্রুপে পোস্ট দেয়। রিদ্ধিতা পাল লেখেন, স্বামী পরিত্যক্তা কাজের মহিলার একটি বাচ্চাকে ২ লাখ টাকার বিনিময়ে দত্তক দেওয়া হবে। এরপর সুজন সুতারের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গত ২১ এপ্রিল কথা হয়। এই সময়ে রিদ্ধিতা পাল নিজের ছেলের ছবি সুজন সুতারের কাছে পাঠিয়ে বলেন, ‘এই ছেলেকে দত্তক দেওয়া হবে, আপনাদের পছন্দ হয় কি না বলেন।’ ছবি দেখে সুজন সুতার শিশুটিকে পছন্দ করেন এবং তাকে টাকার বিনিময়ে দত্তক নেবেন বলে জানান। পরে রাজধানীর আগারগাঁও এলাকায় রিদ্ধিতা পাল নিজেকে অর্পণা দাস ও আসামি পীযূষ কান্তি পাল নিজেকে বিজন বিহারি পাল পরিচয় দিয়ে তাঁর বাসার কাজের মহিলার শিশু হিসেবে অপহৃত সিদ্দিককে একটি স্ট্যাম্প তৈরি করে হাতবদল করেন। এ সময় প্রমাণস্বরূপ টিকা কার্ড, জন্মসনদ এবং আইডি কার্ডের ফটোকপি দেওয়া হয়।
অপহৃত শিশু বিক্রিতে সহায়তাকারী সুজন সুতার র্যাবকে জানিয়েছেন, তাঁর নিকটাত্মীয় পল্লব কান্তি বিশ্বাস ও স্ত্রীর বড় বোন বেবি সরকারের একটি সন্তান প্রয়োজন হওয়ায় পীযূষ কান্তি পাল ও তাঁর স্ত্রী রিদ্ধিতা পালের কাছ থেকে ২ লাখ টাকার বিনিময়ে মো. সিদ্দিককে কিনে নেন। এরপর গত ২৬ এপ্রিল রাতে পল্লব কান্তি বিশ্বাস ও বেবি সরকারকে নিজ বাড়ি গোপালগঞ্জে গিয়ে দিয়ে আসেন।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন বিএনপি নেতা। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যায় বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার করার অভিযোগে গাজীপুর আদালতে এ মামলা করেছেন তিনি।
১২ আগস্ট ২০২৫লক্ষ্মীপুরে রামগতিতে নৌকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ফারুক হোসেন (৪০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন দুজন। এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন আরও দুজন। আজ মঙ্গলবার ভোরে জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারুক হোসেন মারা যান।
১২ আগস্ট ২০২৫দুই বছর আগে ফেনী পৌরসভার সুমাইয়া হোসেন আনিকা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সিং ও গ্রাফিক ডিজাইনের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। এরপর বিভিন্ন অনলাইন প্রতিষ্ঠানে চাকরির চেষ্টা করেও সফল হননি। এখন স্বামীর অনলাইন ব্যবসা দেখাশোনা করছেন। আনিকা বলেন, ‘প্রশিক্ষণ পেয়েছি, কিন্তু কাজের সুযোগ খুবই কম।’ আনিকার
১২ আগস্ট ২০২৫চট্টগ্রাম বন্দরে আন্দোলন দমাতে টাকা দাবির ভিডিও ভাইরালের পর এবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম নগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিনকে কেন্দ্র থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তাঁর লিখিত ব্যাখা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দলকে জানানো কথা বলা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫