Ajker Patrika

মিটফোর্ড হাসপাতালের ক্যাশিয়ারকে গ্রেপ্তার করেছে দুদক

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২২, ১৯: ২৫
মিটফোর্ড হাসপাতালের ক্যাশিয়ারকে গ্রেপ্তার করেছে দুদক

আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগের মামলায় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যাশিয়ার আব্দুছ ছাত্তার মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ মঙ্গলবার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

দুপুরে বিষয়টি দুদকের জনসংযোগ দপ্তর নিশ্চিত করলেও পরে সংস্থাটির সচিব মাহবুব হোসেন এ নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলেন।

দুদক সচিব বলেন, চলতি বছরের জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা ও বিভিন্ন পরীক্ষার জন্য আদায়কৃত সরকারি রাজস্ব (ইউজার ফি) বাবদ ২ কোটি ৫৪ লাখ ৪৩ হাজার ৪৪১ সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান না করে আত্মসাতের অভিযোগ ছিল আব্দুছ ছাত্তার মিয়ার বিরুদ্ধে।

মাহবুব হোসেন আরও জানান, অভিযোগটি অনুসন্ধান করে আত্মসাতের বিষয়টি সত্য বলে প্রমাণ পান দুদক কর্মকর্তা। পরে আব্দুছ ছাত্তার মিয়ার বিরুদ্ধে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে সোমবার মামলা দায়ের করেন। আর গতকাল দুপুরে তাকে গ্রেপ্তার করে দুদকের অনুসন্ধান দল। 

মাহবুব হোসেন বলেন, আসামি আব্দুছ ছাত্তার মিয়াকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ সময় হাসপাতালের কেনাকাটায় অনিয়মের অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন দুদক।

এর আগে হিসাব মেলাতে না পারায় কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থার মুখে পড়েন ক্যাশিয়ার ছাত্তার। সে সময়ে প্রায় আড়াই কোটি টাকার গরমিল দেখা দিলে অভিযোগ ওঠে ছাত্তারের বিরুদ্ধে।

দুদকের মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আব্দুছ ছাত্তার মিয়া ক্যাশিয়ার পদে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালে কর্মরত। তিনি হাসপাতালের রোগীদের চিকিৎসা সেবা ও বিভিন্ন পরীক্ষার সরকারি রাজস্ব (ইউজার ফি) বাবদ আদায়কৃত অর্থ অগ্রণী ব্যাংকের মিটফোর্ড হাসপাতাল শাখায় জমা করতেন। পরবর্তীতে তিনি ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকের মিটফোর্ড শাখায় জমা দিতেন। আব্দুছ ছাত্তার দৈনিক আদায়কৃত ইউজার ফি’র নগদ অর্থ হাসপাতালের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক আলী ইমামের কাছ থেকে গ্রহণ করতেন। ওই হাসপাতালের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা জাহেদুর রহিমের হিসাব অনুযায়ী গত ১ জুলাই থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত আদায়কৃত ইউজার ফি’র পরিমাণ ৫ কোটি ১৩ লাখ ৮৮ হাজা ৬৮৮ টাকা। এর মধ্যে ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে জমাকৃত অর্থের পরিমাণ ২ কোটি ৩৪ লাখ ২ হাজার ৮৯৮ টাকা। রোগীদের বিভিন্ন পরীক্ষা না হওয়ায় ফেরত দেওয়া হয়েছে ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৬৯০ টাকা। গত ২৮ নভেম্বর ব্যাংকের বর্ণিত হিসাবে স্থিতি ছিল ২১ লাখ ৫৭ হাজার ৬৫৯ টাকা।

এভাবে মোট ২ কোটি ৫৯ লাখ ৪৫ হাজার ২৪৭ টাকা জমার হিসাব পাওয়া যায়। আসামি আব্দুছ ছাত্তার মিয়া অবশিষ্ট ২ কোটি ৫৪ লাখ ৪৩ হাজার ৪৪১ টাকা হাসপাতালের ব্যাংক হিসাব কিংবা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। গত ৩০ নভেম্বর তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে অপরাধের স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত