Ajker Patrika

বঙ্গবন্ধু সব সময় মেহনতি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন: জবি উপাচার্য

জবি প্রতিনিধি
বঙ্গবন্ধু সব সময় মেহনতি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন: জবি উপাচার্য

বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ পর্যালোচনা করলে দেখা যায় তিনি কখনো কারও সঙ্গে কটু কথা বলেননি কারও সঙ্গে গন্ডগোল করেননি। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ অনেকেই মুখে বড় বড় কথা বলেন কিন্তু বাস্তবে তাদের কার্যক্রমে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ছিটেফোঁটাও দৃশ্যমান হয় না। অনেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বিরোধী কাজেও যুক্ত থাকছেন। 

আজ বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধুর ১০২ তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। 

আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যে অবিসংবাদিত নেতা তাতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। বঙ্গবন্ধু শিক্ষকদের যে শুধু সম্মানের আসনে তুলে ধরেছেন তাই নয় বরং চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারীর ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য ছাত্রত্বও হারিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ পর্যালোচনা করলে দেখা যায় তিনি কখনো কারও সঙ্গে কটু কথা বলেননি। সংগঠন করেছেন নেতৃত্ব দিয়েছেন কখনো চাঁদাবাজি করেননি। তিনি সব সময় মেহনতি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং মানুষের জন্য কাজ করেছেন। এটাই বঙ্গবন্ধু।’ 

উপাচার্য বলেন, ‘এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে আমার নিজের কোন এজেন্ডা নেই আমার একটাই এজেন্ডা সেটি হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়ন। আমাদের সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টাই পারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়ন সাধন করতে।’ 

আলোচনা সভায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. কামালউদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘শুধু মুখেই না অন্তরেও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন করতে হবে এবং সেগুলো বাস্তব জীবনে প্রতিটি ক্ষেত্রে দৃশ্যমান করতে হবে।’ 

জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন বলেন, ‘অনেক শিক্ষক মুখে মুখেই শুধু বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কথা বলেন। কিন্তু বাস্তবে তাদের কার্যক্রমে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করেন না। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বিরোধী কাজ করে অনেক শিক্ষক পত্রিকার হেডলাইনও হয়েছেন।’ 

এ সময় শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে উপাচার্যের কাছে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আরও উচ্চতর গবেষণার জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু চেয়ার ও বঙ্গবন্ধু রিসার্চ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার দাবি জানানো হয়। 

আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. একে এম লুৎফর রহমান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অনুষদের ডিন, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন। 

এর আগে সকাল ১০টায় জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে শ্রদ্ধা জানান উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক। পরবর্তীতে একে একে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, নীল দল, হল প্রভোস্ট, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি, মাইম সোসাইটি এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা কর্মচারী সমিতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে। এর পর বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে কোরআনখানি ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত