Ajker Patrika

রাজধানীতে সাংবাদিক লাঞ্ছনার ঘটনায় এসআই প্রত্যাহার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২৩: ৫৮
রাজধানীতে সাংবাদিক লাঞ্ছনার ঘটনায় এসআই প্রত্যাহার

রাজধানীর ধানমন্ডি কলেজ ও সিটি কলেজ শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিপেটা করেছে পুলিশ। এ সময় বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়। এ সময় পুলিশের লাঠিপেটা ও আটকের দৃশ্য ধারণ করায় দুই সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করেন পুলিশ সদস্যরা। এ ঘটনায় দায়িত্বরত উপপরিদর্শক (এসআই) আজিজুল হককে ধানমন্ডি থানা থেকে প্রত্যাহার করেছে ডিএমপি। 

ভুক্তভোগী সাংবাদিকেরা হলেন বেসরকারি টিভি চ্যানেল আইয়ের বিশেষ প্রতিনিধি ইনামুল কবীর রুপম এবং একটি নিউজ পোর্টালের অপরাধবিষয়ক প্রতিবেদক খলিলুর রহমান। 

আজ রোববার বেলা দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম হোসেন। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের আটক করতে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করায় এসআই আজিজুল হককে ধানমন্ডি থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। 

ঘটনার বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী আরেক সাংবাদিক লতিফ রানা জানান, সোমবার দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সংবাদ সম্মেলন শেষে বের হন গণমাধ্যমকর্মীরা। ওই সময় পুলিশ কয়েকজন ছাত্রকে ধরে মারধর করে গাড়িতে তুলছিল। খলিলুর রহমান ঘটনার ভিডিও ও ছবি ধারণ করার চেষ্টা করেন। এতে পেছন থেকে এক পুলিশ সদস্য তাঁর গলার আইডি কার্ড ও মোবাইল কেড়ে নেন। তিনি নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিলেও সেই পুলিশ সদস্য কোনো কথা না শুনে তাঁকে গাড়িতে তোলেন। খলিলকে গাড়িতে তোলার সময় পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন চ্যানেল আইয়ের বিশেষ প্রতিনিধি ইনামুল হক রুপম। এ সময় তিনি পুলিশকে বাধা দেন। পরে খলিলকে ধরে নিয়ে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে তোপের মুখে পড়েন পুলিশ সদস্যরা। পরে অবস্থা বেগতিক দেখে দ্রুত সেখান থেকে গাড়ি নিয়ে সটকে পড়েন তাঁরা। 

লতিফ আরও বলেন, খলিলকে মারধর করে গাড়িতে তোলার সময় চ্যানেল আইয়ের ক্যামেরাপারসন সেই ভিডিও ধারণ করার জন্য এগিয়ে গেলে তাঁকেও বাধা দেওয়া হয়। 

ভুক্তভোগী খলিলুর রহমান জানান, সিটি কলেজ ও ধানমন্ডি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে গন্ডগোলের সূত্র ধরে পুলিশ কিছু ছাত্রকে মারধর করে গাড়িতে তুলছিল। ছাত্রদের মারধর করে গাড়িতে তোলার দৃশ্য দেখে তিনি ছবি ও ভিডিও ধারণ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু কয়েকজন পুলিশ সদস্য তাঁকে বাধা দেন এবং মারধর করেন। এরপর তাঁরা আইডি কার্ড ও মোবাইল কেড়ে নেন।

এদিকে দুই সাংবাদিক লাঞ্ছিতের ঘটনায় দোষীদের শাস্তি দাবি করে বিবৃতি দিয়েছে ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব)।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত