নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চলমান কঠোর বিধিনিষেধেও পর্যায়ক্রমে খুলে দেওয়া হয়েছে গার্মেন্টস শিল্প প্রতিষ্ঠান। এখনও বহাল আছে বিধিনিষেধ। কিন্তু নগরীতে যানবাহন ও মানুষের চলাচল বাড়ায় আগের অবস্থায় ফিরতে শুরু করেছে। সড়কে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে অনেক জায়গায় যানজট লেগে থাকছে। ফলে দিন যতই গড়াচ্ছে অকার্যকর হয়ে পড়ছে চলমান বিধিনিষেধ।
বুধবার চলমান বিধিনিষেধের ১৩ তম দিনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায় ব্যক্তিগত গাড়ি, পণ্যবাহী ট্রাক, সিএনজির, রিকশা, মোটরসাইকেল চাপ রয়েছে। একই সঙ্গে মানুষের চলাচল বেড়েছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, আজ ব্যাংক বন্ধ থাকলেও শিল্প প্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে। ফলে মানুষ বাইরে আসছে। খুলতে শুরু করেছে দোকানপাট। রাজধানীর জুড়ে কাঠের বিধিনিষেধ অনেকটাই ঢিলেঢালা ভাবে চলছে। রাজধানীর মোড়ে মোড়ে পুলিশের চেকপোস্টর নেই বললেই চলে। নেই কোনো তৎপরতা। বাইরে বের হওয়া মানুষ ও যানবাহন জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়ায় চলাচল করতে পারছেন। রাজধানীর সড়কে গণপরিবহন না চললে মাঝে মাঝে দু একটি বাস যাতায়াত করতে দেখা যাচ্ছে। সেসব বাসে লেখা বিদেশগামী যাত্রীদের আসা-যাওয়ার জন্য।
এদিকে অফিসগামী যাত্রীদের পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে। গণপরিবহন না থাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য। রিকশায় বাড়তি ভাড়া। সব গন্তব্যে যেতে চাই না রিকশা।
বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন জুলহাস হক। মগবাজার থেকে যাবেন মতিঝিল। রিকশার জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় তাঁকে। তাঁর সঙ্গে কথা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'সরকার ব্যাংক, শিল্প প্রতিষ্ঠান সবই খুলে দিয়েছে আর কি বাকি আছে খুলতে। তাহলে এই বিধিনিষেধ রেখে লাভটা কি। এখন সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য গণপরিবহন খুলে দেওয়া হোক। না হলে সব বন্ধ করে দেওয়া হোক। অফিস খুলে দিয়ে গণপরিবহন বন্ধ রেখে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি করার অধিকার কারও নেই।'
বাড্ডা বাসস্ট্যান্ডে নজরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, 'আমার ভাই অসুস্থ ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি আছে। তাকে দেখার জন্যই হাসপাতালে যাচ্ছি। গণপরিবহন না থাকায় বাড়তি ভাড়া দিয়ে রিকশা, মোটরসাইকেল, সিএনজিতে যেতে হচ্ছে। এই ভাবে যাতায়াতের জন্য অনেক টাকা খরচ হয়। চলাচলে বাড়তি খরচে এক শ্রেণির মানুষ চরম বিপদে পড়েছে।'
এদিকে বাইরে বের হওয়া মানুষের মধ্যে আগের চেয়ে সচেতনতা কমেছে। স্বাস্থ্যবিধি মানতেও অনীহা দেখা গেছে মানুষের মধ্যে। অনেকেই মাস্ক ছাড়া ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
মুদির দোকান চালান রিয়াজুল ইসলাম চলমান বিধিনিষেধ নিয়ে তিনি বলেন, 'লকডাউন কেবল কাগজে কলমে, বাইরে আসলে তো দেখা যায় সব চলছে। গণপরিবহন ছাড়া সবকিছুর স্বাভাবিক হয়ে গেছে। তাহলে এমন লকডাউন রেখে লাভ কি। এই লকডাউনে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে কর্মহীন হয়ে পড়েছে মানুষ।'
এদিকে রাজধানীতে যানজট সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে।
রামপুরা এলাকায় ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব থাকা কর্মকর্তা মো. মামুন হোসেন বলেন, ' শিল্প প্রতিষ্ঠান খোলার কারণেই রাজধানীর সড়কে গত কয়েকদিনে ধরেই যানবাহনের চাপ বেড়েছে। প্রতিটা সড়কে রিকশা বেশি চলার কারণে যানজট লাগছে। আমার চেষ্টা করছি যানজট যাতে না লাগে।'
এদিকে ঈদুল আজহার পরে গত ২৩ জুলাই থেকে কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়েছে। এই বিধিনিষেধ আগামী ৫ আগস্ট থাকার কথা থাকলেও তা আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানোর কথা জানিয়েছিল সরকার।
চলমান কঠোর বিধিনিষেধেও পর্যায়ক্রমে খুলে দেওয়া হয়েছে গার্মেন্টস শিল্প প্রতিষ্ঠান। এখনও বহাল আছে বিধিনিষেধ। কিন্তু নগরীতে যানবাহন ও মানুষের চলাচল বাড়ায় আগের অবস্থায় ফিরতে শুরু করেছে। সড়কে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে অনেক জায়গায় যানজট লেগে থাকছে। ফলে দিন যতই গড়াচ্ছে অকার্যকর হয়ে পড়ছে চলমান বিধিনিষেধ।
বুধবার চলমান বিধিনিষেধের ১৩ তম দিনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায় ব্যক্তিগত গাড়ি, পণ্যবাহী ট্রাক, সিএনজির, রিকশা, মোটরসাইকেল চাপ রয়েছে। একই সঙ্গে মানুষের চলাচল বেড়েছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, আজ ব্যাংক বন্ধ থাকলেও শিল্প প্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে। ফলে মানুষ বাইরে আসছে। খুলতে শুরু করেছে দোকানপাট। রাজধানীর জুড়ে কাঠের বিধিনিষেধ অনেকটাই ঢিলেঢালা ভাবে চলছে। রাজধানীর মোড়ে মোড়ে পুলিশের চেকপোস্টর নেই বললেই চলে। নেই কোনো তৎপরতা। বাইরে বের হওয়া মানুষ ও যানবাহন জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়ায় চলাচল করতে পারছেন। রাজধানীর সড়কে গণপরিবহন না চললে মাঝে মাঝে দু একটি বাস যাতায়াত করতে দেখা যাচ্ছে। সেসব বাসে লেখা বিদেশগামী যাত্রীদের আসা-যাওয়ার জন্য।
এদিকে অফিসগামী যাত্রীদের পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে। গণপরিবহন না থাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য। রিকশায় বাড়তি ভাড়া। সব গন্তব্যে যেতে চাই না রিকশা।
বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন জুলহাস হক। মগবাজার থেকে যাবেন মতিঝিল। রিকশার জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় তাঁকে। তাঁর সঙ্গে কথা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'সরকার ব্যাংক, শিল্প প্রতিষ্ঠান সবই খুলে দিয়েছে আর কি বাকি আছে খুলতে। তাহলে এই বিধিনিষেধ রেখে লাভটা কি। এখন সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য গণপরিবহন খুলে দেওয়া হোক। না হলে সব বন্ধ করে দেওয়া হোক। অফিস খুলে দিয়ে গণপরিবহন বন্ধ রেখে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি করার অধিকার কারও নেই।'
বাড্ডা বাসস্ট্যান্ডে নজরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, 'আমার ভাই অসুস্থ ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি আছে। তাকে দেখার জন্যই হাসপাতালে যাচ্ছি। গণপরিবহন না থাকায় বাড়তি ভাড়া দিয়ে রিকশা, মোটরসাইকেল, সিএনজিতে যেতে হচ্ছে। এই ভাবে যাতায়াতের জন্য অনেক টাকা খরচ হয়। চলাচলে বাড়তি খরচে এক শ্রেণির মানুষ চরম বিপদে পড়েছে।'
এদিকে বাইরে বের হওয়া মানুষের মধ্যে আগের চেয়ে সচেতনতা কমেছে। স্বাস্থ্যবিধি মানতেও অনীহা দেখা গেছে মানুষের মধ্যে। অনেকেই মাস্ক ছাড়া ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
মুদির দোকান চালান রিয়াজুল ইসলাম চলমান বিধিনিষেধ নিয়ে তিনি বলেন, 'লকডাউন কেবল কাগজে কলমে, বাইরে আসলে তো দেখা যায় সব চলছে। গণপরিবহন ছাড়া সবকিছুর স্বাভাবিক হয়ে গেছে। তাহলে এমন লকডাউন রেখে লাভ কি। এই লকডাউনে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে কর্মহীন হয়ে পড়েছে মানুষ।'
এদিকে রাজধানীতে যানজট সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে।
রামপুরা এলাকায় ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব থাকা কর্মকর্তা মো. মামুন হোসেন বলেন, ' শিল্প প্রতিষ্ঠান খোলার কারণেই রাজধানীর সড়কে গত কয়েকদিনে ধরেই যানবাহনের চাপ বেড়েছে। প্রতিটা সড়কে রিকশা বেশি চলার কারণে যানজট লাগছে। আমার চেষ্টা করছি যানজট যাতে না লাগে।'
এদিকে ঈদুল আজহার পরে গত ২৩ জুলাই থেকে কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়েছে। এই বিধিনিষেধ আগামী ৫ আগস্ট থাকার কথা থাকলেও তা আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানোর কথা জানিয়েছিল সরকার।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন বিএনপি নেতা। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যায় বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার করার অভিযোগে গাজীপুর আদালতে এ মামলা করেছেন তিনি।
২২ দিন আগেলক্ষ্মীপুরে রামগতিতে নৌকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ফারুক হোসেন (৪০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন দুজন। এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন আরও দুজন। আজ মঙ্গলবার ভোরে জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারুক হোসেন মারা যান।
২২ দিন আগেদুই বছর আগে ফেনী পৌরসভার সুমাইয়া হোসেন আনিকা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সিং ও গ্রাফিক ডিজাইনের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। এরপর বিভিন্ন অনলাইন প্রতিষ্ঠানে চাকরির চেষ্টা করেও সফল হননি। এখন স্বামীর অনলাইন ব্যবসা দেখাশোনা করছেন। আনিকা বলেন, ‘প্রশিক্ষণ পেয়েছি, কিন্তু কাজের সুযোগ খুবই কম।’ আনিকার
২২ দিন আগেচট্টগ্রাম বন্দরে আন্দোলন দমাতে টাকা দাবির ভিডিও ভাইরালের পর এবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম নগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিনকে কেন্দ্র থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তাঁর লিখিত ব্যাখা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দলকে জানানো কথা বলা হয়েছে।
২২ দিন আগে