নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সরকার পতনের আন্দোলনে শতাধিক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক সংবাদ সম্মেলনে মজুরি আন্দোলনে শ্রমিক হতাহতের ঘটনা অনুসন্ধানে গঠিত গণতদন্ত কমিটির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক আনু মুহম্মদ।
সরকার পতনের আন্দোলনে কতজন শ্রমিক নিহত হয়েছেন, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এই আন্দোলনে নিহত-আহত শ্রমিকদের সংখ্যা বের করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। তবে আনুমানিক শতাধিক শ্রমিক নিহত হয়েছেন।’
সংবাদ সম্মেলনে মজুরি আন্দোলনে নিহত শ্রমিকদের তথ্য তুলে ধরে তদন্ত কমিটি। তারা জানায়, ২০২৩ সালের অক্টোবর ও নভেম্বরে মজুরি আন্দোলনে চারজন শ্রমিক নিহত হন। তদন্ত কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, নিহত চারজনের মধ্যে তিনজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এর মধ্যে একজনকে ঘুমন্ত অবস্থায় গুলি করে মারা হয়েছে। ১২ হাজার শ্রমিকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৮৮ জনকে। কিন্তু শ্রমিক হত্যার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা করা হয়নি।
ঘুমন্ত অবস্থায় যে শ্রমিককে গুলি করা হয়েছে, তাঁকে পুলিশ নাকি অন্য কেউ গুলি করেছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে আনু মুহাম্মদ বলেন, ঘুমন্ত অবস্থায় যে শ্রমিক মারা গেছেন, তিনি কারখানায় আগুনে পুড়ে মারা গেছেন।
এ সময় সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে পাল্টা প্রশ্ন করা হয় ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলছেন, গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, কিন্তু আপনি বলছেন আগুনে পুড়ে মারা গেছে; কোনটা সঠিক—এ বিষয়ে ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ‘ঘুমন্ত অবস্থায় আগুনে পুড়ে যে শ্রমিক মারা গেছেন, তাঁর শরীরে ছররা গুলি পাওয়া গেছে।’
সংবাদ সম্মেলনে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘আমাদের তদন্ত কমিটি গঠন করা নিয়ে প্রশাসন প্রশ্ন তুলেছে। সুতরাং, প্রশাসনও এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল। বিজিএমইএ থেকে কোনো তথ্য আমরা পাইনি। শিল্প পুলিশ শ্রমিকদের দমন-পীড়নে কাজ করেছে। শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।’
সংবাদ সম্মেলনে শিল্প পুলিশ বিলুপ্ত করাসহ ৯ দফা সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে—শ্রমিক হত্যার যথাযথ তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা, অবিলম্বে শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ দিয়ে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা, প্রচলিত আইন ভঙ্গ করে কোনো পুলিশ যদি কাউকে খুন কিংবা জখম করে তাহলে ব্যক্তি পুলিশের সঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কেও তার দায়বদ্ধ করা, শিল্প পুলিশ যেন মালিকপক্ষের লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে ভূমিকা পালন করতে না পারে—সে জন্য এই বাহিনী বিলুপ্ত করা, মজুরি নির্ধারণ ও নির্দিষ্ট মেয়াদে তার পুনর্বিন্যাস করার গ্রহণযোগ্য প্রাতিষ্ঠানিক প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা, মজুরি বকেয়া রাখা, জালিয়াতি, প্রতারণা বন্ধ করা।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি জহিরুল ইসলাম, গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরামের সভাপতি মোশরেফা মিশু প্রমুখ।
সরকার পতনের আন্দোলনে শতাধিক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক সংবাদ সম্মেলনে মজুরি আন্দোলনে শ্রমিক হতাহতের ঘটনা অনুসন্ধানে গঠিত গণতদন্ত কমিটির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক আনু মুহম্মদ।
সরকার পতনের আন্দোলনে কতজন শ্রমিক নিহত হয়েছেন, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এই আন্দোলনে নিহত-আহত শ্রমিকদের সংখ্যা বের করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। তবে আনুমানিক শতাধিক শ্রমিক নিহত হয়েছেন।’
সংবাদ সম্মেলনে মজুরি আন্দোলনে নিহত শ্রমিকদের তথ্য তুলে ধরে তদন্ত কমিটি। তারা জানায়, ২০২৩ সালের অক্টোবর ও নভেম্বরে মজুরি আন্দোলনে চারজন শ্রমিক নিহত হন। তদন্ত কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, নিহত চারজনের মধ্যে তিনজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এর মধ্যে একজনকে ঘুমন্ত অবস্থায় গুলি করে মারা হয়েছে। ১২ হাজার শ্রমিকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৮৮ জনকে। কিন্তু শ্রমিক হত্যার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা করা হয়নি।
ঘুমন্ত অবস্থায় যে শ্রমিককে গুলি করা হয়েছে, তাঁকে পুলিশ নাকি অন্য কেউ গুলি করেছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে আনু মুহাম্মদ বলেন, ঘুমন্ত অবস্থায় যে শ্রমিক মারা গেছেন, তিনি কারখানায় আগুনে পুড়ে মারা গেছেন।
এ সময় সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে পাল্টা প্রশ্ন করা হয় ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলছেন, গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, কিন্তু আপনি বলছেন আগুনে পুড়ে মারা গেছে; কোনটা সঠিক—এ বিষয়ে ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ‘ঘুমন্ত অবস্থায় আগুনে পুড়ে যে শ্রমিক মারা গেছেন, তাঁর শরীরে ছররা গুলি পাওয়া গেছে।’
সংবাদ সম্মেলনে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘আমাদের তদন্ত কমিটি গঠন করা নিয়ে প্রশাসন প্রশ্ন তুলেছে। সুতরাং, প্রশাসনও এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল। বিজিএমইএ থেকে কোনো তথ্য আমরা পাইনি। শিল্প পুলিশ শ্রমিকদের দমন-পীড়নে কাজ করেছে। শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।’
সংবাদ সম্মেলনে শিল্প পুলিশ বিলুপ্ত করাসহ ৯ দফা সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে—শ্রমিক হত্যার যথাযথ তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা, অবিলম্বে শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ দিয়ে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা, প্রচলিত আইন ভঙ্গ করে কোনো পুলিশ যদি কাউকে খুন কিংবা জখম করে তাহলে ব্যক্তি পুলিশের সঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কেও তার দায়বদ্ধ করা, শিল্প পুলিশ যেন মালিকপক্ষের লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে ভূমিকা পালন করতে না পারে—সে জন্য এই বাহিনী বিলুপ্ত করা, মজুরি নির্ধারণ ও নির্দিষ্ট মেয়াদে তার পুনর্বিন্যাস করার গ্রহণযোগ্য প্রাতিষ্ঠানিক প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা, মজুরি বকেয়া রাখা, জালিয়াতি, প্রতারণা বন্ধ করা।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি জহিরুল ইসলাম, গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরামের সভাপতি মোশরেফা মিশু প্রমুখ।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন বিএনপি নেতা। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যায় বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার করার অভিযোগে গাজীপুর আদালতে এ মামলা করেছেন তিনি।
১২ আগস্ট ২০২৫লক্ষ্মীপুরে রামগতিতে নৌকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ফারুক হোসেন (৪০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন দুজন। এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন আরও দুজন। আজ মঙ্গলবার ভোরে জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারুক হোসেন মারা যান।
১২ আগস্ট ২০২৫দুই বছর আগে ফেনী পৌরসভার সুমাইয়া হোসেন আনিকা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সিং ও গ্রাফিক ডিজাইনের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। এরপর বিভিন্ন অনলাইন প্রতিষ্ঠানে চাকরির চেষ্টা করেও সফল হননি। এখন স্বামীর অনলাইন ব্যবসা দেখাশোনা করছেন। আনিকা বলেন, ‘প্রশিক্ষণ পেয়েছি, কিন্তু কাজের সুযোগ খুবই কম।’ আনিকার
১২ আগস্ট ২০২৫চট্টগ্রাম বন্দরে আন্দোলন দমাতে টাকা দাবির ভিডিও ভাইরালের পর এবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম নগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিনকে কেন্দ্র থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তাঁর লিখিত ব্যাখা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দলকে জানানো কথা বলা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫