Ajker Patrika

বাসায় ডেকে নগ্ন ভিডিও ধারণ করে চাঁদা দাবি, গ্রেপ্তার ৮ 

সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি
বাসায় ডেকে নগ্ন ভিডিও ধারণ করে চাঁদা দাবি, গ্রেপ্তার ৮ 

সাভারের আশুলিয়ায় প্রেমের ফাঁদে ফেলে বাসায় ডেকে নগ্ন ভিডিও ধারণ ও চাঁদা আদায় চক্রের আট সদস্যকে গ্রেপ্তার করে থানায় হস্তান্তর করেছে র‍্যাব। আজ রোববার দুপুরে তাঁদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে এদিন ভোরে আশুলিয়ার উত্তর গাজিরচটের বুড়িবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় ও ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়। 

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন—মূল হোতা আশুলিয়ার উত্তর গাজিরচটের বুড়িবাজার এলাকার মৃত আমজাদের মেয়ে অঞ্জনা ভূঁইয়া (৪৫), বাগেরহাট জেলার চিলমারী থানার আরুয়াবনি গ্রামের ইলিয়াছ সরদারের ছেলে নজরুল ইসলাম (২৮), জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ থানার মৌলভীরচর গ্রামের আব্দুল ওয়াদুদের ছেলে মতিউর রহমান (২৮), গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ থানার শ্রীপুর ছাতানাবাড়ী গ্রামের মো. আমিনের ছেলে নাজমুল হুদা (১৫), চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানার আটরশি বালুটুমি গ্রামের সিরাজুল ইসলামের মেয়ে হাছনারা (২৪), গাজীপুর জেলার জয়দেব থানার লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে সাব্বির মিয়া (১৯), মাদারীপুর জেলার কালকিনি থানার এনায়েতনগর গ্রামের ফোরকান সরদারের মেয়ে মো. জান্নাত (২২), ও তার বোন মোছা. জামিলা ওরফে নুসরাত (১৮)। 

র‍্যাবের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এ চক্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত পলাতক রয়েছেন, তানিয়া আক্তার, মাসুদ রানা, মেঘলা আক্তার, সাথী বেগম, আকাশ, জাহাঙ্গীর, সুচী বেগম, বৃষ্টিসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫-৬ জন। 

বাসায় ডেকে নগ্ন ভিডিও ধারণ ও চাঁদা আদায়ের অভিযোগে গ্রেপ্তার। ছবি: আজকের পত্রিকামামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মো. শাহপরান নামের এক চাকরিজীবী সঙ্গে আসামি হাছনারার ফেসবুকে পরিচয় ও পরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে গতকাল শনিবার বিকেলে দেখা করার কথা বলে হাছনারা বাসায় ডেকে নেয় ভুক্তভোগীকে। সেখানে অন্যান্য আসামিরা তাঁকে মারধর করে কাছে থাকা ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে নগ্ন অবস্থায় ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ভুক্তভোগীকে ব্যাপক মারধর করেন আসামিরা। পরে ভুক্তভোগী কৌশলে র‍্যাব কন্ট্রোল রুমে জানালে ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে আসামিদের গ্রেপ্তার করে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়। পরে শাহ পরান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে আসামিদের সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। 

র‍্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা জানায়, তারা পলাতক আসামিদের যোগসাজশে বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব বা প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করে কৌশলে বাসায় ডেকে নেয়। পরে একইভাবে তাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করেন। তারা একটি সংঘবদ্ধ চক্র তৈরি করে দীর্ঘদিন ধরে এ ধরনের অপরাধ করে আসছিল। 

আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জিয়াউল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের রোববার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান রয়েছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত