নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ নামে বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতদের মরদেহ বুঝে নিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে অপেক্ষা করছেন স্বজনেরা। আজ শুক্রবার সকাল থেকে পুলিশ নিহতদের স্বজনদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে তা যাচাই-বাছাই করে মরদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ সালমান ফারসী মরদেহ হস্তান্তর প্রক্রিয়া তদারক করছেন। তিন বলেন, ‘নিহতদের স্বজনেরা এসেছেন, কাগজপত্র যাচাই-বাছাই চলছে। যাচাই-বাছাই শেষে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।’
আজ শুক্রবার ভোর থেকেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ও মর্গের সামনে শতাধিক মানুষকে উৎকণ্ঠা নিয়ে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। ভেতরে সারি সারি মরদেহ আর বাইরে স্বজনদের অপেক্ষা। অপেক্ষমাণ স্বজনদের মধ্যে কেউ কেউ ফুপিয়ে কেঁদে উঠছেন। কেউ বিলাপ করছেন।
মরদেহ হস্তান্তর ও তথ্য সংগ্রহের জন্য ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের পাশেই অস্থায়ী তথ্য ও সেবাকেন্দ্র খোলা হয়েছে। সেখানে স্বজনেরা যাঁরা মরদেহ শনাক্ত করেছেন, তাঁদের কাছ থেকে নিহতের নাম-পরিচয় লিখে রাখছে পুলিশ। এরপর রক্তের সম্পর্ক রয়েছে এমন স্বজনের জাতীয় পরিচয়পত্র জমা নিচ্ছেন।
নিহতদের বেশির ভাগই খালি চোখে শনাক্ত করতে পারছেন স্বজনেরা। পুলিশের ধারণা, মরদেহ হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষ করতে বেশি সময় লাগবে না।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামের সাততলা ভবনটিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, বেশ কয়েকজন নারী ও শিশুসহ ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের একাধিক সদস্য আছে। তারা সবাই ভবনটিতে থাকা রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়েছিল।
গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনটি সাততলা। এর নিচ থেকে ওপর পর্যন্ত পুরোটাই বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে নিচতলায় একাধিক কাপড়ের দোকান ও বিভিন্ন ইলেকট্রনিকস পণ্যের যন্ত্রাংশ বিক্রি হয়। দ্বিতীয় তলা থেকে শুরু করে ওপরের দিকে কাচ্চি ভাই, কেএফসি, পিজ্জা ইনসহ বেশ কয়েকটি রেস্তোরাঁ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, নিচতলা থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা গেছে, রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন লাগে। নিচতলায় লাগা আগুন দ্রুত ওপরের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ভবনে আটকে পড়ে অনেক মানুষ। আতঙ্কিত লোকজন ওপরের দিকে উঠে যায়। ভবনে থাকা বিভিন্ন দোকান ও রেস্তোরাঁর কর্মী এবং সেখানে যাওয়া মানুষ আগুনের মুখে আটকা পড়ে।
ধারণা করা হচ্ছে, আটকে পড়াদের অনেকে রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছিল। তারাই মূলত সেখানে আটকা পড়ে। এই অবস্থায় ভবনের তৃতীয় ও সপ্তম তলায় আটকে পড়ারা উদ্ধারের আকুতি জানাতে থাকে। তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। ফায়ার সার্ভিসের টার্ন টেবল লেডার (টিটিএল) ব্যবহার করে আটকে পড়াদের নামিয়ে আনার কাজ শুরু করে। ফায়ারের ১২টি ইউনিট কাজ করে ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর ১২টার দিকে ভবনের সামনে অবস্থান করতে দেখা যায় ফায়ার সার্ভিসের বিশেষায়িত গাড়ি ‘রেফ্রিজারেটেড স্টোরেজ ট্রাক’। এটি মূলত মরদেহ বহনের গাড়ি। এই গাড়িতে করে মরদেহ নেওয়া হয় হাসপাতালে।
আরও পড়ুন—
রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ নামে বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতদের মরদেহ বুঝে নিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে অপেক্ষা করছেন স্বজনেরা। আজ শুক্রবার সকাল থেকে পুলিশ নিহতদের স্বজনদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে তা যাচাই-বাছাই করে মরদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ সালমান ফারসী মরদেহ হস্তান্তর প্রক্রিয়া তদারক করছেন। তিন বলেন, ‘নিহতদের স্বজনেরা এসেছেন, কাগজপত্র যাচাই-বাছাই চলছে। যাচাই-বাছাই শেষে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।’
আজ শুক্রবার ভোর থেকেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ও মর্গের সামনে শতাধিক মানুষকে উৎকণ্ঠা নিয়ে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। ভেতরে সারি সারি মরদেহ আর বাইরে স্বজনদের অপেক্ষা। অপেক্ষমাণ স্বজনদের মধ্যে কেউ কেউ ফুপিয়ে কেঁদে উঠছেন। কেউ বিলাপ করছেন।
মরদেহ হস্তান্তর ও তথ্য সংগ্রহের জন্য ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের পাশেই অস্থায়ী তথ্য ও সেবাকেন্দ্র খোলা হয়েছে। সেখানে স্বজনেরা যাঁরা মরদেহ শনাক্ত করেছেন, তাঁদের কাছ থেকে নিহতের নাম-পরিচয় লিখে রাখছে পুলিশ। এরপর রক্তের সম্পর্ক রয়েছে এমন স্বজনের জাতীয় পরিচয়পত্র জমা নিচ্ছেন।
নিহতদের বেশির ভাগই খালি চোখে শনাক্ত করতে পারছেন স্বজনেরা। পুলিশের ধারণা, মরদেহ হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষ করতে বেশি সময় লাগবে না।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামের সাততলা ভবনটিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, বেশ কয়েকজন নারী ও শিশুসহ ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের একাধিক সদস্য আছে। তারা সবাই ভবনটিতে থাকা রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়েছিল।
গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনটি সাততলা। এর নিচ থেকে ওপর পর্যন্ত পুরোটাই বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে নিচতলায় একাধিক কাপড়ের দোকান ও বিভিন্ন ইলেকট্রনিকস পণ্যের যন্ত্রাংশ বিক্রি হয়। দ্বিতীয় তলা থেকে শুরু করে ওপরের দিকে কাচ্চি ভাই, কেএফসি, পিজ্জা ইনসহ বেশ কয়েকটি রেস্তোরাঁ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, নিচতলা থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা গেছে, রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন লাগে। নিচতলায় লাগা আগুন দ্রুত ওপরের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ভবনে আটকে পড়ে অনেক মানুষ। আতঙ্কিত লোকজন ওপরের দিকে উঠে যায়। ভবনে থাকা বিভিন্ন দোকান ও রেস্তোরাঁর কর্মী এবং সেখানে যাওয়া মানুষ আগুনের মুখে আটকা পড়ে।
ধারণা করা হচ্ছে, আটকে পড়াদের অনেকে রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছিল। তারাই মূলত সেখানে আটকা পড়ে। এই অবস্থায় ভবনের তৃতীয় ও সপ্তম তলায় আটকে পড়ারা উদ্ধারের আকুতি জানাতে থাকে। তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। ফায়ার সার্ভিসের টার্ন টেবল লেডার (টিটিএল) ব্যবহার করে আটকে পড়াদের নামিয়ে আনার কাজ শুরু করে। ফায়ারের ১২টি ইউনিট কাজ করে ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর ১২টার দিকে ভবনের সামনে অবস্থান করতে দেখা যায় ফায়ার সার্ভিসের বিশেষায়িত গাড়ি ‘রেফ্রিজারেটেড স্টোরেজ ট্রাক’। এটি মূলত মরদেহ বহনের গাড়ি। এই গাড়িতে করে মরদেহ নেওয়া হয় হাসপাতালে।
আরও পড়ুন—
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন বিএনপি নেতা। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যায় বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার করার অভিযোগে গাজীপুর আদালতে এ মামলা করেছেন তিনি।
২২ দিন আগেলক্ষ্মীপুরে রামগতিতে নৌকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ফারুক হোসেন (৪০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন দুজন। এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন আরও দুজন। আজ মঙ্গলবার ভোরে জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারুক হোসেন মারা যান।
২২ দিন আগেদুই বছর আগে ফেনী পৌরসভার সুমাইয়া হোসেন আনিকা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সিং ও গ্রাফিক ডিজাইনের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। এরপর বিভিন্ন অনলাইন প্রতিষ্ঠানে চাকরির চেষ্টা করেও সফল হননি। এখন স্বামীর অনলাইন ব্যবসা দেখাশোনা করছেন। আনিকা বলেন, ‘প্রশিক্ষণ পেয়েছি, কিন্তু কাজের সুযোগ খুবই কম।’ আনিকার
২২ দিন আগেচট্টগ্রাম বন্দরে আন্দোলন দমাতে টাকা দাবির ভিডিও ভাইরালের পর এবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম নগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিনকে কেন্দ্র থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তাঁর লিখিত ব্যাখা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দলকে জানানো কথা বলা হয়েছে।
২২ দিন আগে