Ajker Patrika

'লকডাউন' নিশ্চিতে ডিএনসিসির বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত, জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : ০৫ এপ্রিল ২০২১, ২১: ০০
'লকডাউন' নিশ্চিতে ডিএনসিসির বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত, জরিমানা

করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আজ সোমবার থেকে সারা দেশে সরকার কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। মুখে মুখে লকডাউন বলা হলেও এই বিধিনিষেধ মেনে চলায় মানুষকে তেমন তৎপর দেখা যায়নি। কিছু কিছু স্থানে এমন পদক্ষেপের বিরুদ্ধে বিক্ষোভও হয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) বিভিন্ন স্থানে আজ সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। করা হয় জরিমানা।

মহাখালী অঞ্চলের আঞ্চলিক নিবার্হী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল বাকীর নেতৃত্বে গুলশান-১, ২ ও মহাখালী কাঁচাবাজার এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। এ সময় করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সরকার ঘোষিত নির্দেশনা বাস্তবায়নে উপস্থিত সবাইকে সচেতন করা হয়।

কারওয়ান বাজার অঞ্চলের আঞ্চলিক নিবার্হী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদ হোসেনের নেতৃত্বে কারওয়ান বাজারের প্রধান সড়ক থেকে সব অবৈধ ভাসমান দোকান অপসারণ করা হয়। এ সময় দুটি হোটেলের ভেতরে লোকজনকে খাবার পরিবেশনের অপরাধে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সঠিকভাবে মাস্ক ব্যবহার না করার অপরাধে ১৮ জনকে ১ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া একটি হার্ডওয়্যারের দোকান খোলা রাখায় ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ফুটপাতে মালামাল রাখার জন্য দুজনকে দেড় হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া রাস্তায় রাখা পেঁয়াজ জব্দ করে নিলামে তা ৪ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করা হয়।

মিরপুর-১০ অঞ্চলের আঞ্চলিক নিবার্হী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সালেহা বিনতে সিরাজের নেতৃত্বে মিরপুর এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। এ সময় সংক্রমক ব্যাধি (প্রতিরোধ, প্রতিকার ও নির্মুল) আইন ২০১৮–এর ২৫ (১) ধারায় নির্দেশনা অমান্য করার অপরাধে ১৫টি মামলায় মোট ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদের নেতৃত্বে নিকুঞ্জ এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। এ সময় তিনটি মামলায় ১৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

একইভাবে হরিরামপুর অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরিনের নেতৃত্বে উত্তরা সেক্টর ১১, ১২, ১৩ ও ১৪–এর সোনারগাঁও জনপদ অ্যাভিনিউ, শাহ মখদুম অ্যাভিনিউ, গাউসুল আজম অ্যাভিনিউসহ বিভিন্ন সড়কে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। এ সময় মাইকিং করে জনগণকে মাস্ক পরা এবং প্রয়োজন ছাড়া বের না হওয়ার জন্য সচেতন করা হয়। পাশাপাশি ডিএনসিসির পক্ষ থেকে ৫০টি মাস্ক বিতরণ করা হয়। অভিযান চলাকালে ফুটপাত অবৈধভাবে দখল করে মালামাল রাখায় একটি দোকানকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ঢাকার দক্ষিনখানে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বির আহমেদের নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত হাজী ক্যাম্প এলাকায় সাতটি মামলায় মোট ১০ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন।

এ ছাড়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পার্সিয়া সুলতানার নেতৃত্বে অঞ্চল ১০–এর ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায়, উত্তরখান অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবেদ আলীর নেতৃত্বে উত্তরখানে, সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে ভাটারা অঞ্চলের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে এবং নিরীক্ষা কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাসির উদ্দিন মাহমুদের নেতৃত্বে মিরপুরের ইব্রাহিমপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। প্রতিটি এলাকায় জনসচেতনতা কার্যক্রমের পাশাপাশি আইন ভাঙা ও সরকারি নির্দেশনা অমান্যের দায়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়।

এ বিষয়ে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সোমবার ১০ থেকে ১১টি টিম কাজ করেছে। যেখানে আইন মানা হয়নি, আমাদের কর্মকর্তারা সেখানে জরিমানা করেছেন। বাকি দিনগুলোতেও আমাদের ভ্রাম্যমাণ আদালত চালু থাকবে। উত্তর সিটির কোথাও জোরপূর্বক দোকানপাট খোলার চেষ্টা করা হয়নি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত