Ajker Patrika

ঢাকার এলিফ্যান্ট রোডে খায়রুল হত্যায় একজনের আমৃত্যু কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ১৭: ৫০
ঢাকার এলিফ্যান্ট রোডে খায়রুল হত্যায় একজনের আমৃত্যু কারাদণ্ড

রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে ট্রপিক্যাল সেন্টার ফোরডি ডেভেলপমেন্ট অফিসের পিয়ন খায়রুল ইসলাম বাবুকে হত্যার দায়ে একজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এই রায় দেন। যাঁকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে, তিনি হলেন রাজিবুল হক ওরফে মুন্না।

কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাঁকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করা হয়। রায় ঘোষণা শেষে আসামিকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী সোহানুর রহমান সোহান রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ২০১১ সালের ১১ মে বাবুকে হত্যার ঘটনায় বড় বোন আমেনা বেগম নিউমার্কেট থানায় অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে ডিবি পুলিশ মামলার রহস্য উদ্‌ঘাটন করে।

জানা যায়, নিউমার্কেট থানাধীন এলিফ্যান্ট রোডের ট্রপিক্যাল সেন্টারে ফোরডি ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজি লিমিটেডে পিয়ন হিসেবে কাজ করতেন খায়রুল। একই ভবনে মুন্না ব্রাউন ফিল্ডে কাজ করতেন। ব্রাউন ফিল্ডে কক্ষ সংস্কারের কারণে সাময়িকভাবে ফোরডি ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজি লিমিটেডে ব্রাউন ফিল্ডের কাজ চলার সময় তাঁদের পরিচয়। মুন্নার বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে ছিল। তাঁকে চাকরিচ্যুত করা হয়। 

২০১১ সালের ১০ মে মুন্না অফিসে আসেন। বাবুকে দেখেও কথা না বলে চলে যান। পরদিন আবার আসেন। তাঁদের কথা হয়। এরই মাঝে অফিসের ড্রয়ার থেকে টাকা চুরির চেষ্টা করেন মুন্না। তা দেখে চিৎকার করেন বাবু। তখন মুন্না ইলেকট্রিক তার পেঁচিয়ে তাঁকে শ্বাস রোধ করেন। পরে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন।

২০১২ সালের ১৫ নভেম্বর মামলাটি তদন্ত করে মুন্নাকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখি করেন ডিবি (দক্ষিণ) পুলিশের পরিদর্শক নুরুল আমিন।

২০১৩ সালের ৩০ এপ্রিল মুন্নার বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন আদালত। মামলাটির বিচার চলাকালে আদালত সাতজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত