নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিএনপিসহ অন্যান্য দলগুলোর হরতাল ঘোষণার পরেও ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি আজ রোববার বাস চালানোর কথা জানিয়ে গতকালই বিবৃতি দিয়েছিল। তবে ঘোষণা দেওয়ার পরও সড়কে বাসের সংখ্যা কম থাকা প্রসঙ্গে যাত্রী না থাকাকে দায়ী করেছে মালিক সমিতি।
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর পরিবাগে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সম্মেলন কক্ষে হরতাল পরিস্থিতিতে গণপরিবহনে অগ্নিসংযোগসহ সার্বিক বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ।
তিনি বলেন, ‘আমাদের নির্দেশ ছিল স্বাভাবিকভাবে গাড়ি চলাচল করার জন্য। গতকালকে স্বাভাবিকভাবে গাড়ি চলাচল করেছে। যেহেতু মতিঝিল গুলিস্তান এলাকা সমাবেশ ছিল তাই এই এলাকায় গাড়ি আসতে পারেনি। আমাদের আজকের কথা ছিল, এই ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে আমরা একমত না, আমরা গাড়ি চালাব।’
এনায়েত উল্যাহ বলেন, ‘সে জন্য মালিকেরা সকাল থেকে গাড়ি বের করেছে। যাত্রী না থাকার ফলে গাড়ির সংখ্যা কম ছিল। দূরপাল্লার গাড়িও বের হয়েছে, শহরের গাড়িও বের হয়েছিল। কিছু গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে, ড্রাইভার হত্যা করা হয়েছে। ফলে একটুতো ভয় কাজ করে। শুধু আজকে না বিএনপির সব সময় এই ধরনের কাজ করে আসছে। আমরা ভবিষ্যতেও এ ধরনের কর্মসূচিতে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখব ইনশা আল্লাহ।’
২০১৩-১৪ সালে সড়কে ৫ হাজার গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘৯৩-তে শ্রমিক হত্যা করা হয়েছে। তখনো কিন্তু আমরা রাস্তা সচল রেখেছি। গতকালকে আপনারা যে প্রশ্ন করেছেন সে প্রসঙ্গে বলেছি যে, সাধারণত বিএনপি এ রকম কর্মসূচি দিলে নাশকতা করে। নাশকতার ভয় কেউ কেউ গাড়ি না চালাতে পারে।’
দুই দিনে মোট ১১টি বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে জানিয়ে এনায়েত উল্যাহ বলেন, ‘২৮ তারিখে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সামনে বসুমতী পরিবহনের একটি বাস, মৌচাক ফ্লাইওভারের সামনে বলাকা এক্সপ্রেসের একটি বাস, হেমায়েতপুরে মৌমিতা পরিবহনের একটি বাস, কোনাবাড়ীতে আজমেরী পরিবহনের একটি বাস এবং কালশী মোড়ে ট্রাস্ট পরিবহনের একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করা হয়।’
২৯ তারিখে স্টাফ কোয়ার্টারের সামনে অছিম পরিবহনের একটি বাস, মোহাম্মদপুর তিন রাস্তার মোড়ে স্বাধীন পরিবহনের একটি বাস, জিপিও মোড়ে শিকড় পরিবহনের একটি বাস, তাঁতীবাজার মোড়ে বিহঙ্গ পরিবহনের একটি বাস, মোহাম্মদপুর টাউন হলের সামনে পরিস্থান পরিবহনের একটি বাস এবং জিরানী বাজার এলাকায় সাভার পরিবহনের একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন সভাপতি শাজাহান খান বলেন, ‘এত দিন বিএনপি মহাসমাবেশ এবং তারা যেসব কার্যক্রম পরিচালনা করেছে সেখানে আমরা কিন্তু কোনো পক্ষ নিইনি। আমরা পরিবহন সেক্টরকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে পরিচালনা করার জন্য আমরা সব সময় কাজ করেছি। ২০১৩-১৪ সালে যখন তারা সন্ত্রাস করল তখন আমরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করেছি এবং গাড়ি চালু রেখেছিলাম। এই গাড়ি চালু রাখার মধ্য দিয়ে তখন বাংলাদেশে একটা শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। আমরা আশা করেছিলাম এই ঘটনার আর কোনো পুনরাবৃত্তি ঘটবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘পর্দার আড়ালের থাবা আরেকবার উন্মোচিত হলো। তারা আরেকবার গাড়ি পুড়িয়ে মানুষ পুড়িয়ে প্রমাণ করল তাঁদের চরিত্রের আর কোনো পরিবর্তন হয়নি। আমরা এর আগেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দাবি করেছিলাম একটা বিশেষ ট্রাইব্যুনাল পরে এই ঘটনাগুলোর বিচার করেন। তাহলে এই ধরনের ঘটনা আর কখনো ঘটবে না। কিন্তু সে যদি না করার জন্য তারা আজকে এই সুযোগটা আবার পেল। এই ঘটনায় আমরা নিশ্চুপ বসে থাকতে পারি না। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য মালিকদের গাড়ি পুড়িয়ে এবং শ্রমিকদের পুড়িয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি তৈরি করবেন এটা কোনো দিন হতে পারে না এবং আমরা সেটা হতে দেব না।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন—বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির দপ্তর সম্পাদক সামদানী খন্দকার প্রমুখ।
বিএনপিসহ অন্যান্য দলগুলোর হরতাল ঘোষণার পরেও ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি আজ রোববার বাস চালানোর কথা জানিয়ে গতকালই বিবৃতি দিয়েছিল। তবে ঘোষণা দেওয়ার পরও সড়কে বাসের সংখ্যা কম থাকা প্রসঙ্গে যাত্রী না থাকাকে দায়ী করেছে মালিক সমিতি।
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর পরিবাগে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সম্মেলন কক্ষে হরতাল পরিস্থিতিতে গণপরিবহনে অগ্নিসংযোগসহ সার্বিক বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ।
তিনি বলেন, ‘আমাদের নির্দেশ ছিল স্বাভাবিকভাবে গাড়ি চলাচল করার জন্য। গতকালকে স্বাভাবিকভাবে গাড়ি চলাচল করেছে। যেহেতু মতিঝিল গুলিস্তান এলাকা সমাবেশ ছিল তাই এই এলাকায় গাড়ি আসতে পারেনি। আমাদের আজকের কথা ছিল, এই ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে আমরা একমত না, আমরা গাড়ি চালাব।’
এনায়েত উল্যাহ বলেন, ‘সে জন্য মালিকেরা সকাল থেকে গাড়ি বের করেছে। যাত্রী না থাকার ফলে গাড়ির সংখ্যা কম ছিল। দূরপাল্লার গাড়িও বের হয়েছে, শহরের গাড়িও বের হয়েছিল। কিছু গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে, ড্রাইভার হত্যা করা হয়েছে। ফলে একটুতো ভয় কাজ করে। শুধু আজকে না বিএনপির সব সময় এই ধরনের কাজ করে আসছে। আমরা ভবিষ্যতেও এ ধরনের কর্মসূচিতে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখব ইনশা আল্লাহ।’
২০১৩-১৪ সালে সড়কে ৫ হাজার গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘৯৩-তে শ্রমিক হত্যা করা হয়েছে। তখনো কিন্তু আমরা রাস্তা সচল রেখেছি। গতকালকে আপনারা যে প্রশ্ন করেছেন সে প্রসঙ্গে বলেছি যে, সাধারণত বিএনপি এ রকম কর্মসূচি দিলে নাশকতা করে। নাশকতার ভয় কেউ কেউ গাড়ি না চালাতে পারে।’
দুই দিনে মোট ১১টি বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে জানিয়ে এনায়েত উল্যাহ বলেন, ‘২৮ তারিখে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সামনে বসুমতী পরিবহনের একটি বাস, মৌচাক ফ্লাইওভারের সামনে বলাকা এক্সপ্রেসের একটি বাস, হেমায়েতপুরে মৌমিতা পরিবহনের একটি বাস, কোনাবাড়ীতে আজমেরী পরিবহনের একটি বাস এবং কালশী মোড়ে ট্রাস্ট পরিবহনের একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করা হয়।’
২৯ তারিখে স্টাফ কোয়ার্টারের সামনে অছিম পরিবহনের একটি বাস, মোহাম্মদপুর তিন রাস্তার মোড়ে স্বাধীন পরিবহনের একটি বাস, জিপিও মোড়ে শিকড় পরিবহনের একটি বাস, তাঁতীবাজার মোড়ে বিহঙ্গ পরিবহনের একটি বাস, মোহাম্মদপুর টাউন হলের সামনে পরিস্থান পরিবহনের একটি বাস এবং জিরানী বাজার এলাকায় সাভার পরিবহনের একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন সভাপতি শাজাহান খান বলেন, ‘এত দিন বিএনপি মহাসমাবেশ এবং তারা যেসব কার্যক্রম পরিচালনা করেছে সেখানে আমরা কিন্তু কোনো পক্ষ নিইনি। আমরা পরিবহন সেক্টরকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে পরিচালনা করার জন্য আমরা সব সময় কাজ করেছি। ২০১৩-১৪ সালে যখন তারা সন্ত্রাস করল তখন আমরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করেছি এবং গাড়ি চালু রেখেছিলাম। এই গাড়ি চালু রাখার মধ্য দিয়ে তখন বাংলাদেশে একটা শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। আমরা আশা করেছিলাম এই ঘটনার আর কোনো পুনরাবৃত্তি ঘটবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘পর্দার আড়ালের থাবা আরেকবার উন্মোচিত হলো। তারা আরেকবার গাড়ি পুড়িয়ে মানুষ পুড়িয়ে প্রমাণ করল তাঁদের চরিত্রের আর কোনো পরিবর্তন হয়নি। আমরা এর আগেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দাবি করেছিলাম একটা বিশেষ ট্রাইব্যুনাল পরে এই ঘটনাগুলোর বিচার করেন। তাহলে এই ধরনের ঘটনা আর কখনো ঘটবে না। কিন্তু সে যদি না করার জন্য তারা আজকে এই সুযোগটা আবার পেল। এই ঘটনায় আমরা নিশ্চুপ বসে থাকতে পারি না। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য মালিকদের গাড়ি পুড়িয়ে এবং শ্রমিকদের পুড়িয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি তৈরি করবেন এটা কোনো দিন হতে পারে না এবং আমরা সেটা হতে দেব না।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন—বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির দপ্তর সম্পাদক সামদানী খন্দকার প্রমুখ।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন বিএনপি নেতা। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যায় বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার করার অভিযোগে গাজীপুর আদালতে এ মামলা করেছেন তিনি।
১২ আগস্ট ২০২৫লক্ষ্মীপুরে রামগতিতে নৌকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ফারুক হোসেন (৪০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন দুজন। এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন আরও দুজন। আজ মঙ্গলবার ভোরে জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারুক হোসেন মারা যান।
১২ আগস্ট ২০২৫দুই বছর আগে ফেনী পৌরসভার সুমাইয়া হোসেন আনিকা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সিং ও গ্রাফিক ডিজাইনের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। এরপর বিভিন্ন অনলাইন প্রতিষ্ঠানে চাকরির চেষ্টা করেও সফল হননি। এখন স্বামীর অনলাইন ব্যবসা দেখাশোনা করছেন। আনিকা বলেন, ‘প্রশিক্ষণ পেয়েছি, কিন্তু কাজের সুযোগ খুবই কম।’ আনিকার
১২ আগস্ট ২০২৫চট্টগ্রাম বন্দরে আন্দোলন দমাতে টাকা দাবির ভিডিও ভাইরালের পর এবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম নগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিনকে কেন্দ্র থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তাঁর লিখিত ব্যাখা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দলকে জানানো কথা বলা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫