নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বেইলি রোডের গ্রিন কোজি ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের দায় রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের যে পরিমাণ হয়রানি করা হচ্ছে, তা কোনো সভ্য দেশে হতে পারে না। তারা হায়েনাদের মতো ঝাঁপিয়ে পড়েছে। এই দুর্নীতিবাজ অফিসাররা কেন এত দিন ঘুমিয়ে ছিল?’
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরের আল-রাজী কমপ্লেক্সে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি।
রেস্তোরাঁ শিল্পকে নিরাপদ করতে হলে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সরকারের একার পক্ষে এটা সম্ভব নয়। সরকারের অথরিটিগুলো যাবে, ম্যানেজ হয়ে ফিরে আসবে। অথবা এমন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে, আমরা লাইসেন্সই পাব না। লাইসেন্স না পেলে আমরা আন্ডার টেবিল তাদের ম্যানেজ করার চেষ্টা করব। সেটাই এত দিন হয়ে আসছে। এত বছর ধরে এতগুলো দিনের পর দিন চলছে, প্রশাসন কেন ঘুমিয়ে ছিল?’
রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান বলেন, ‘আমরা প্রতিটি মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তরে ৫০০-এর বেশি চিঠি দিয়েছি। কিন্তু সেগুলোর কোনো রেসপন্স পাইনি। তার মানে, সরকারও উদাসীন ছিল।’
এ সময় বিশেষজ্ঞদের নিয়ে টাস্কফোর্স গঠনের দাবি জানান তিনি। তিনি টাস্কফোর্সের শর্ত পূরণ করতে পারলেই শুধু রেস্তোরাঁর অনুমোদন দেওয়ার আহ্বান জানান।
সরকার ও সংশ্লিষ্টদের উদাসীনতার দায় মালিকপক্ষের ওপর চাপানো হচ্ছে অভিযোগ করে ইমরান হাসান বলেন, ‘রেস্তোরাঁর মালিকদের ওপর চরম জুলুম হচ্ছে। সারা ঢাকা শহরে তাণ্ডব চলবে। আমরা সিলিন্ডার বানিয়েছি। বলছে, সিলিন্ডারের লাইসেন্স লাগবে। এতজনকে গ্রেপ্তার করেছে, কিন্তু পুলিশ বলছে তারা মামলা দেয়নি। কিন্তু তাদের তো জামিন হলো না।’
গ্রিন কোজি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রেস্তোরাঁর মালিক, ভবনের মালিকসহ সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষেরও দায় রয়েছে উল্লেখ করে ইমরান হাসান বলেন, ‘এই অবস্থা এখানে এক দিনে গড়ে ওঠেনি। সেই চুমুক রেস্তোরাঁয় চার-পাঁচ দিন আগেও একটা ছোট দুর্ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু ভবন বা রেস্তোরাঁর মালিক সেটা কাউকে জানাননি। এইটা অবহেলাজনিত দুর্ঘটনা, এটা আমি স্বীকার করি।’
কিছু পুঁজিপতির কাছে সমস্ত ব্যবসা চলে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আজকে সমস্ত ব্যবসা কিছু করপোরেটের হাতে। বেকারি ব্যবসা চার-পাঁচ জনের হাতে চলে গেছে। তাদের নজর এখন আঠারো কোটির মার্কেট। কয়েকজন ব্যবসায়ীর হাতে চ্যানেল আছে, মিডিয়া আছে। তারা তাদের মতো আইন করে, তাদের মতো বাস্তবায়ন করে।’
ইমরান হাসান বলেন, ‘বহুজাতিক কোম্পানির হাতে ব্যবসা তুলে দেওয়ার জন্যই এখন প্রচেষ্টা চলছে। ফ্রোজেন ফুডের মাধ্যমে ২০-২৫ দিনের বাসী খাবার মানুষকে খাওয়ানোর জন্য তারা চেষ্টা চালাচ্ছে। সব সেক্টরেই ত্রুটি-বিচ্যুতি আছে। কিন্তু বন্ধ করে দেওয়া সমাধান নয়। এখন অভিযান লোক দেখানো। যাদের দায়িত্ব এসব দেখভাল করার, তাদের ব্যর্থতা ঢাকার জন্যই এখন অভিযান চালানো হচ্ছে। এত দিন তারা কোথায় ছিলেন?’
তিনি বলেন, ‘আমাদের সব ধরনের লাইসেন্স আছে। বিল্ডিংয়ের সমস্যা হলে যে বিল্ডিং মালিক আমাদের ভাড়া দিল, তাদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয় নাই? কোনো অবৈধ রেস্তোরাঁ নাই। ট্রেড, ট্যাক্স, ফায়ার, টিআইএনসহ ১২ ধরনের লাইসেন্স আছে।’
রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব বলেন, ‘সমস্যা হচ্ছে, আমাদের মতো ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের এখানে বাঁচতে দেওয়া হবে না। বেকারির মতো রেস্তোরাঁ শিল্পও কিছুদিনের মধ্যেই শিল্পপতিদের কাছে চলে যাবে। এটা নিয়ে একটা গভীর ষড়যন্ত্র চলছে।’
হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ইমরান হাসান বলেন, ‘হাইকোর্ট কি দেখতে পাচ্ছেন না, আমাদের ওপর জুলুম হচ্ছে? আমি মনে করি, বিচারহীনতার সমাজ এটা। আজকে আমরা নিরীহ বলে মোবাইল কোর্ট, মামলা সব আমাদের ওপরে। যারা দায়িত্বে অবহেলা করল, তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেন তো!’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মো. আন্দালিব, সাংগঠনিক সম্পাদক তৌফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
বেইলি রোডের গ্রিন কোজি ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের দায় রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের যে পরিমাণ হয়রানি করা হচ্ছে, তা কোনো সভ্য দেশে হতে পারে না। তারা হায়েনাদের মতো ঝাঁপিয়ে পড়েছে। এই দুর্নীতিবাজ অফিসাররা কেন এত দিন ঘুমিয়ে ছিল?’
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরের আল-রাজী কমপ্লেক্সে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি।
রেস্তোরাঁ শিল্পকে নিরাপদ করতে হলে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সরকারের একার পক্ষে এটা সম্ভব নয়। সরকারের অথরিটিগুলো যাবে, ম্যানেজ হয়ে ফিরে আসবে। অথবা এমন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে, আমরা লাইসেন্সই পাব না। লাইসেন্স না পেলে আমরা আন্ডার টেবিল তাদের ম্যানেজ করার চেষ্টা করব। সেটাই এত দিন হয়ে আসছে। এত বছর ধরে এতগুলো দিনের পর দিন চলছে, প্রশাসন কেন ঘুমিয়ে ছিল?’
রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান বলেন, ‘আমরা প্রতিটি মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তরে ৫০০-এর বেশি চিঠি দিয়েছি। কিন্তু সেগুলোর কোনো রেসপন্স পাইনি। তার মানে, সরকারও উদাসীন ছিল।’
এ সময় বিশেষজ্ঞদের নিয়ে টাস্কফোর্স গঠনের দাবি জানান তিনি। তিনি টাস্কফোর্সের শর্ত পূরণ করতে পারলেই শুধু রেস্তোরাঁর অনুমোদন দেওয়ার আহ্বান জানান।
সরকার ও সংশ্লিষ্টদের উদাসীনতার দায় মালিকপক্ষের ওপর চাপানো হচ্ছে অভিযোগ করে ইমরান হাসান বলেন, ‘রেস্তোরাঁর মালিকদের ওপর চরম জুলুম হচ্ছে। সারা ঢাকা শহরে তাণ্ডব চলবে। আমরা সিলিন্ডার বানিয়েছি। বলছে, সিলিন্ডারের লাইসেন্স লাগবে। এতজনকে গ্রেপ্তার করেছে, কিন্তু পুলিশ বলছে তারা মামলা দেয়নি। কিন্তু তাদের তো জামিন হলো না।’
গ্রিন কোজি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রেস্তোরাঁর মালিক, ভবনের মালিকসহ সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষেরও দায় রয়েছে উল্লেখ করে ইমরান হাসান বলেন, ‘এই অবস্থা এখানে এক দিনে গড়ে ওঠেনি। সেই চুমুক রেস্তোরাঁয় চার-পাঁচ দিন আগেও একটা ছোট দুর্ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু ভবন বা রেস্তোরাঁর মালিক সেটা কাউকে জানাননি। এইটা অবহেলাজনিত দুর্ঘটনা, এটা আমি স্বীকার করি।’
কিছু পুঁজিপতির কাছে সমস্ত ব্যবসা চলে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আজকে সমস্ত ব্যবসা কিছু করপোরেটের হাতে। বেকারি ব্যবসা চার-পাঁচ জনের হাতে চলে গেছে। তাদের নজর এখন আঠারো কোটির মার্কেট। কয়েকজন ব্যবসায়ীর হাতে চ্যানেল আছে, মিডিয়া আছে। তারা তাদের মতো আইন করে, তাদের মতো বাস্তবায়ন করে।’
ইমরান হাসান বলেন, ‘বহুজাতিক কোম্পানির হাতে ব্যবসা তুলে দেওয়ার জন্যই এখন প্রচেষ্টা চলছে। ফ্রোজেন ফুডের মাধ্যমে ২০-২৫ দিনের বাসী খাবার মানুষকে খাওয়ানোর জন্য তারা চেষ্টা চালাচ্ছে। সব সেক্টরেই ত্রুটি-বিচ্যুতি আছে। কিন্তু বন্ধ করে দেওয়া সমাধান নয়। এখন অভিযান লোক দেখানো। যাদের দায়িত্ব এসব দেখভাল করার, তাদের ব্যর্থতা ঢাকার জন্যই এখন অভিযান চালানো হচ্ছে। এত দিন তারা কোথায় ছিলেন?’
তিনি বলেন, ‘আমাদের সব ধরনের লাইসেন্স আছে। বিল্ডিংয়ের সমস্যা হলে যে বিল্ডিং মালিক আমাদের ভাড়া দিল, তাদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয় নাই? কোনো অবৈধ রেস্তোরাঁ নাই। ট্রেড, ট্যাক্স, ফায়ার, টিআইএনসহ ১২ ধরনের লাইসেন্স আছে।’
রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব বলেন, ‘সমস্যা হচ্ছে, আমাদের মতো ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের এখানে বাঁচতে দেওয়া হবে না। বেকারির মতো রেস্তোরাঁ শিল্পও কিছুদিনের মধ্যেই শিল্পপতিদের কাছে চলে যাবে। এটা নিয়ে একটা গভীর ষড়যন্ত্র চলছে।’
হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ইমরান হাসান বলেন, ‘হাইকোর্ট কি দেখতে পাচ্ছেন না, আমাদের ওপর জুলুম হচ্ছে? আমি মনে করি, বিচারহীনতার সমাজ এটা। আজকে আমরা নিরীহ বলে মোবাইল কোর্ট, মামলা সব আমাদের ওপরে। যারা দায়িত্বে অবহেলা করল, তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেন তো!’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মো. আন্দালিব, সাংগঠনিক সম্পাদক তৌফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন বিএনপি নেতা। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যায় বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার করার অভিযোগে গাজীপুর আদালতে এ মামলা করেছেন তিনি।
১২ আগস্ট ২০২৫লক্ষ্মীপুরে রামগতিতে নৌকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ফারুক হোসেন (৪০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন দুজন। এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন আরও দুজন। আজ মঙ্গলবার ভোরে জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারুক হোসেন মারা যান।
১২ আগস্ট ২০২৫দুই বছর আগে ফেনী পৌরসভার সুমাইয়া হোসেন আনিকা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সিং ও গ্রাফিক ডিজাইনের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। এরপর বিভিন্ন অনলাইন প্রতিষ্ঠানে চাকরির চেষ্টা করেও সফল হননি। এখন স্বামীর অনলাইন ব্যবসা দেখাশোনা করছেন। আনিকা বলেন, ‘প্রশিক্ষণ পেয়েছি, কিন্তু কাজের সুযোগ খুবই কম।’ আনিকার
১২ আগস্ট ২০২৫চট্টগ্রাম বন্দরে আন্দোলন দমাতে টাকা দাবির ভিডিও ভাইরালের পর এবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম নগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিনকে কেন্দ্র থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তাঁর লিখিত ব্যাখা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দলকে জানানো কথা বলা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫