নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর বাংলামোটর এলাকায় দিবাকালীন (সকাল ৬টা থেকে রাত ৯ টা) সবচেয়ে বেশি শব্দ থাকে। এই সময়ে এই এলাকায় শব্দের মাত্রা ১০৩ দশমিক ৮ ডেসিবেল। অন্যদিকে রাত্রিকালীন (রাত ৯টা থেকে সকাল ৬ টা) সময়ে শব্দের মাত্রা সবচেয়ে বেশি লালবাগে, যার মাত্রা ১০১ দশমিক ৫ ডেসিবেল।
আজ সোমবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন আন্দোলন (পরিজা) আয়োজিত ‘ঢাকা মহানগরীতে শব্দদূষণের বর্তমান চিত্র ও করণীয়’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন সংগঠনের সভাপতি ও পরিবেশ অধিদপ্তরের সাবেক অতিরিক্ত পরিচালক প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান।
তিনি জানান, গত দুই মাসে ঢাকা মহানগরীর ৪৫টি এলাকায় দিবা ও রাত্রিকালীন শব্দের মাত্রা পরিমাপ করা হয়েছে। জরিপকৃত এলাকাগুলোকে নীরব, আবাসিক, মিশ্র ও বাণিজ্যিক এলাকায় ভাগ করে নেওয়া হয়েছে।
জরিপের ফলাফল তুলে ধরে পরিবেশ অধিদপ্তরের সাবেক অতিরিক্ত পরিচালক বলেন, নীরব এলাকায় দিবাকালীন শব্দের মাত্রা সবচেয়ে বেশি সচিবালয় এলাকায়, যা ১০১ দশমিক ৭ ডেসিবেল এবং রাত্রিকালীন শব্দের মাত্রা সবচেয়ে বেশি ধানমন্ডি ল্যাবএইড এলাকায়, যা ১০১ দশমিক ৫ ডেসিবেল। মিশ্র এলাকায় দিবাকালীন শব্দের মাত্রা সবচেয়ে বেশি বাংলামোটর যা ১০৩ দশমিক ৮ ডেসিবেল এবং রাত্রিকালীন শব্দের মাত্রা সবচেয়ে বেশি লালবাগ সেকশনে, যা ১০১ দশমিক ৫ ডেসিবেল।
তিনি আরও জানান, এ ছাড়া রাজধানীতে নীরব এলাকায় দিবাকালীন শব্দের মাত্রা ৮৪ দশমিক ৫ থেকে ১০১ দশমিক ৭ ডেসিবেল এবং রাত্রিকালীন ৯৬ দশমিক ৪ থেকে ১০১ দশমিক ৫ ডেসিবেল। আবাসিক এলাকায় দিবাকালীন ৮২ দশমিক ০ থেকে ৯১ দশমিক ০ ডেসিবেল এবং রাত্রিকালীন ৮৩ দশমিক ০ থেকে ৯১ দশমিক ৬ ডেসিবেল থাকে।
মিশ্র এলাকায় দিবাকালীন ৯১ দশমিক ০ থেকে ১০১ দশমিক ৫ ডেসিবেল এবং রাত্রিকালীন ৮৯ দশমিক ০ থেকে ১০৩ দশমিক ৮ ডেসিবেল। বাণিজ্যিক এলাকায় দিবাকালীন শব্দের মাত্রা ৯২ দশমিক ০ থেকে ৯৭ দশমিক ০ ডেসিবেল এবং রাত্রিকালীন ৯১ দশমিক ০ থেকে ৯৯ দশমিক ০ ডেসিবেল পর্যন্ত হয়েছে।
প্রকৌশলী আবদুস সোবহান জানান, বাসের ভেতর ৮০ দশমিক ৪ থেকে ৮৩ দশমিক ৯ ডেসিবেল। বাংলামোটরে শব্দের মাত্রা ১০৩ দশমিক ৮ ডেসিবেল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় শব্দের মাত্রা ৮৬ দশমিক ০০ থেকে ৯৪ দশমিক ০০ ডেসিবেল। সচিবালয় এলাকায় শব্দের মাত্রা ৯৬ দশমিক ০০ থেকে ১০১ দশমিক ৭ ডেসিবেল।
সভায় জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও ডাকসুর সাবেক জিএস ডা. মোশতাক হোসেন বলেন, ‘শব্দ সরাসরি স্বাস্থ্যকে আঘাত করছে। এটা আমাদের বোধশক্তি নষ্ট করে দিচ্ছে। শব্দের ডেসিবেল মাত্রা যদি অনেক বেশি হয়, তাহলে শুধু শ্রবণের ক্ষতি না, উচ্চ রক্তচাপ থেকে শুরু করে হৃদ্রোগের ঝুঁকি পর্যন্ত তৈরি হতে পারে। মানুষ বা যে কোনো প্রাণী যখন ক্রমাগত স্ট্রেসে থাকে তখন তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।’
রাজধানী ঢাকা বর্তমানে বাসযোগ্য অযোগ্য নগরে পরিণত হয়েছে জানিয়ে নগর গবেষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘এই নগর কেন এতটা বসবাস অযোগ্য আমার বোধগম্য হয় না। মিরপুরে রাত ২-৩টা পর্যন্ত ট্রাক থেকে অবকাঠামো নির্মাণসামগ্রী রাস্তায় প্রচণ্ড শব্দে ফেলা হয়। যে কোনো সংকটের কথা বললেই শোনা যায়, সরকারের জনবলের ঘাটতি।’
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ উজ্জলের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন—সংগঠনের সহসভাপতি ক্যামেলিয়া চৌধুরী, আমির হাসান প্রমুখ।
রাজধানীর বাংলামোটর এলাকায় দিবাকালীন (সকাল ৬টা থেকে রাত ৯ টা) সবচেয়ে বেশি শব্দ থাকে। এই সময়ে এই এলাকায় শব্দের মাত্রা ১০৩ দশমিক ৮ ডেসিবেল। অন্যদিকে রাত্রিকালীন (রাত ৯টা থেকে সকাল ৬ টা) সময়ে শব্দের মাত্রা সবচেয়ে বেশি লালবাগে, যার মাত্রা ১০১ দশমিক ৫ ডেসিবেল।
আজ সোমবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন আন্দোলন (পরিজা) আয়োজিত ‘ঢাকা মহানগরীতে শব্দদূষণের বর্তমান চিত্র ও করণীয়’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন সংগঠনের সভাপতি ও পরিবেশ অধিদপ্তরের সাবেক অতিরিক্ত পরিচালক প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান।
তিনি জানান, গত দুই মাসে ঢাকা মহানগরীর ৪৫টি এলাকায় দিবা ও রাত্রিকালীন শব্দের মাত্রা পরিমাপ করা হয়েছে। জরিপকৃত এলাকাগুলোকে নীরব, আবাসিক, মিশ্র ও বাণিজ্যিক এলাকায় ভাগ করে নেওয়া হয়েছে।
জরিপের ফলাফল তুলে ধরে পরিবেশ অধিদপ্তরের সাবেক অতিরিক্ত পরিচালক বলেন, নীরব এলাকায় দিবাকালীন শব্দের মাত্রা সবচেয়ে বেশি সচিবালয় এলাকায়, যা ১০১ দশমিক ৭ ডেসিবেল এবং রাত্রিকালীন শব্দের মাত্রা সবচেয়ে বেশি ধানমন্ডি ল্যাবএইড এলাকায়, যা ১০১ দশমিক ৫ ডেসিবেল। মিশ্র এলাকায় দিবাকালীন শব্দের মাত্রা সবচেয়ে বেশি বাংলামোটর যা ১০৩ দশমিক ৮ ডেসিবেল এবং রাত্রিকালীন শব্দের মাত্রা সবচেয়ে বেশি লালবাগ সেকশনে, যা ১০১ দশমিক ৫ ডেসিবেল।
তিনি আরও জানান, এ ছাড়া রাজধানীতে নীরব এলাকায় দিবাকালীন শব্দের মাত্রা ৮৪ দশমিক ৫ থেকে ১০১ দশমিক ৭ ডেসিবেল এবং রাত্রিকালীন ৯৬ দশমিক ৪ থেকে ১০১ দশমিক ৫ ডেসিবেল। আবাসিক এলাকায় দিবাকালীন ৮২ দশমিক ০ থেকে ৯১ দশমিক ০ ডেসিবেল এবং রাত্রিকালীন ৮৩ দশমিক ০ থেকে ৯১ দশমিক ৬ ডেসিবেল থাকে।
মিশ্র এলাকায় দিবাকালীন ৯১ দশমিক ০ থেকে ১০১ দশমিক ৫ ডেসিবেল এবং রাত্রিকালীন ৮৯ দশমিক ০ থেকে ১০৩ দশমিক ৮ ডেসিবেল। বাণিজ্যিক এলাকায় দিবাকালীন শব্দের মাত্রা ৯২ দশমিক ০ থেকে ৯৭ দশমিক ০ ডেসিবেল এবং রাত্রিকালীন ৯১ দশমিক ০ থেকে ৯৯ দশমিক ০ ডেসিবেল পর্যন্ত হয়েছে।
প্রকৌশলী আবদুস সোবহান জানান, বাসের ভেতর ৮০ দশমিক ৪ থেকে ৮৩ দশমিক ৯ ডেসিবেল। বাংলামোটরে শব্দের মাত্রা ১০৩ দশমিক ৮ ডেসিবেল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় শব্দের মাত্রা ৮৬ দশমিক ০০ থেকে ৯৪ দশমিক ০০ ডেসিবেল। সচিবালয় এলাকায় শব্দের মাত্রা ৯৬ দশমিক ০০ থেকে ১০১ দশমিক ৭ ডেসিবেল।
সভায় জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও ডাকসুর সাবেক জিএস ডা. মোশতাক হোসেন বলেন, ‘শব্দ সরাসরি স্বাস্থ্যকে আঘাত করছে। এটা আমাদের বোধশক্তি নষ্ট করে দিচ্ছে। শব্দের ডেসিবেল মাত্রা যদি অনেক বেশি হয়, তাহলে শুধু শ্রবণের ক্ষতি না, উচ্চ রক্তচাপ থেকে শুরু করে হৃদ্রোগের ঝুঁকি পর্যন্ত তৈরি হতে পারে। মানুষ বা যে কোনো প্রাণী যখন ক্রমাগত স্ট্রেসে থাকে তখন তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।’
রাজধানী ঢাকা বর্তমানে বাসযোগ্য অযোগ্য নগরে পরিণত হয়েছে জানিয়ে নগর গবেষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘এই নগর কেন এতটা বসবাস অযোগ্য আমার বোধগম্য হয় না। মিরপুরে রাত ২-৩টা পর্যন্ত ট্রাক থেকে অবকাঠামো নির্মাণসামগ্রী রাস্তায় প্রচণ্ড শব্দে ফেলা হয়। যে কোনো সংকটের কথা বললেই শোনা যায়, সরকারের জনবলের ঘাটতি।’
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ উজ্জলের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন—সংগঠনের সহসভাপতি ক্যামেলিয়া চৌধুরী, আমির হাসান প্রমুখ।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন বিএনপি নেতা। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যায় বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার করার অভিযোগে গাজীপুর আদালতে এ মামলা করেছেন তিনি।
২৪ দিন আগেলক্ষ্মীপুরে রামগতিতে নৌকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ফারুক হোসেন (৪০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন দুজন। এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন আরও দুজন। আজ মঙ্গলবার ভোরে জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারুক হোসেন মারা যান।
২৪ দিন আগেদুই বছর আগে ফেনী পৌরসভার সুমাইয়া হোসেন আনিকা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সিং ও গ্রাফিক ডিজাইনের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। এরপর বিভিন্ন অনলাইন প্রতিষ্ঠানে চাকরির চেষ্টা করেও সফল হননি। এখন স্বামীর অনলাইন ব্যবসা দেখাশোনা করছেন। আনিকা বলেন, ‘প্রশিক্ষণ পেয়েছি, কিন্তু কাজের সুযোগ খুবই কম।’ আনিকার
২৪ দিন আগেচট্টগ্রাম বন্দরে আন্দোলন দমাতে টাকা দাবির ভিডিও ভাইরালের পর এবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম নগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিনকে কেন্দ্র থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তাঁর লিখিত ব্যাখা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দলকে জানানো কথা বলা হয়েছে।
২৪ দিন আগে