Ajker Patrika

মির্জা আব্বাসের অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলার রায় ৩০ নভেম্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মির্জা আব্বাসের অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলার রায় ৩০ নভেম্বর

সম্পদের তথ্য গোপন ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আগামী ৩০ নভেম্বর। আজ বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমাম এই তারিখ ঘোষণা করেন।

আজ মির্জা আব্বাসের পক্ষে অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম ও শাহিনুর রহমান যুক্তি তর্ক শুনানি করেন। তাঁরা এই মামলায় মির্জা আব্বাসের বেকসুর খালাস দাবি করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে দুর্নীতির দমন কমিশনের বিশেষ পিপি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে মামলা প্রমাণিত হয়েছে দাবি করেন ও সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন।

দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর আজকের পত্রিকাকে জানান যুক্তি তর্ক শুনানি শেষে আদালত আগামী ৩০ নভেম্বর রায়ের তারিখ ধার্য করেছেন।

এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে মোট ২৪ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। অন্যদিকে মির্জা আব্বাসসহ পাঁচজন সাক্ষী মির্জা আব্বাসের পক্ষে সাক্ষ্য দেন। 

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপন করার অভিযোগে ২০০৭ সালে ১৬ আগস্ট মির্জা আব্বাস ও তাঁর স্ত্রী আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলাটি করে দুদক।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, মোট ৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকা অবৈধভাবে অর্জন করেন মির্জা আব্বাস। তিনি সম্পদের হিসাব বিবরণীতে ৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকার তথ্য গোপন করেন। এ অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক রমনা থানায় মামলা করে।

দুর্নীতি দমন কমিশন ২০০৮ সালের ১৪ মে মির্জা আব্বাস ও আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। একই বছরের ১৬ জুন দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত।

অভিযোগ গঠনকে চ্যালেঞ্জ করে দুজনই হাইকোর্টে মামলা বাতিলের আবেদন করেন। হাইকোর্ট আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ বাতিল করে তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন।

এদিকে মির্জা আব্বাস তার অংশটুকু বাতিল করার জন্য আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল দায়ের করেন। ২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর লিভ টু আপিল খারিজ হয়। মির্জা আব্বাস আবার রিভিউ আবেদন করেন। এ বছর ১৬ ফেব্রুয়ারি রিভিউ আবেদন খারিজ হয়। পরে মামলার কার্যক্রম চলতে থাকে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত