Ajker Patrika

প্রশ্নে ধর্মীয় উসকানি: তৈরিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৩ নভেম্বর ২০২২, ১৯: ২০
প্রশ্নে ধর্মীয় উসকানি: তৈরিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ধর্মীয় উসকানির অভিযোগে প্রশ্ন প্রণয়নকারী ঝিনাইদহের মহেশপুরের ডা. সাইফুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক প্রশান্ত কুমার পালসহ পাঁচ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আজ রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্তা আক্তারের আদালতে এই মামলা দায়ের করা হয়।

কার একটি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী শিমু আহম্মেদের পক্ষে তার চাচা নিজাম উদ্দিন এই মামলা দায়ের করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। তবে, পরে আদেশ দেবেন বলে জানিয়েছেন। 

মামলার অন্য আসামিরা হলেন-নড়াইলের সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ তাজউদ্দীন শাওন, সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মো. শফিকুর রহমান, মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের সহকারী অধ্যাপক শ্যামল কুমার ঘোষ ও কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা আদর্শ কলেজের সহকারী অধ্যাপক অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম। তারা সবাই প্রশ্নপত্র পরিশোধনের (মডারেশন) দায়িত্বে ছিলেন।

বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট আল মামুন রাসেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, আদালতে মামলা হয়েছে তবে এখনো আদেশ হয়নি। 

তিনি আরও বলেন, চলমান এইচএসসি বাংলা প্রথমপত্রের প্রশ্নপত্রে ধর্মীয় অবমাননাকর ও সাম্প্রদায়িক উসকানি দেওয়ায় দণ্ডবিধি ১৫৩ (ক) ও ২৯৫ (ক) ধারায় আদালতে মামলা করা হয়েছে। 

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত পরীক্ষার প্রশ্নটি সংযোজন করে বলা হয়, ‘নেপাল ও গোপাল দুই ভাই। জমি নিয়ে বিরোধ তাদের দীর্ঘদিন। অনেক সালিস-বিচার করেও কেউ তাদের বিরোধ মেটাতে পারেনি। কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। এখন জমির ভাগ-বণ্টন নিয়ে মামলা চলছে আদালতে। ছোট ভাই নেপাল বড় ভাইকে শায়েস্তা করতে আব্দুল নামে এক মুসলমানের কাছে ভিটের জমির এক অংশ বিক্রি করে। আব্দুল সেখানে বাড়ি বানিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। কোরবানির ঈদে সে নেপালের বাড়ির সামনে গরু কোরবানি দেয়। এই ঘটনায় নেপালের মন ভেঙে যায়। কিছুদিন পর কাউকে কিছু না বলে জমি-জায়গা ফেলে সপরিবারে ভারতে চলে যায় সে।’ 

আসামিরা এ ধরনের প্রশ্ন করার মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম ও মুসলিমদের সরাসরি হেয় প্রতিপন্ন করেন। এমন প্রশ্নের মাধ্যমে প্রশ্নকারী ও প্রশ্ন পরিশোধকরা শিক্ষার্থীদের মাঝে ও সমাজে মুসলিমদের সম্মানহানি করেন। এসব তথ্য সমাজে অস্থিতিশীলতা তৈরি করে বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত