জাবি প্রতিনিধি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ নিয়ে দুটি প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করেছে শাখা ছাত্রলীগের দুটি গ্রুপ। দুই পক্ষেরই প্রধান দাবি, নিয়োগ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ‘বিএনপি-জামায়াত তোষণের নীতি’ ছাড়তে হবে। আলাদাভাবে কর্মসূচি দিলেও ছাত্রলীগ সভাপতির দাবি, তাঁদের মধ্যে কোনো ‘গ্রুপিং’ নেই।
আজ বুধবার সকাল ৯টায় ছাত্রলীগের একাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস অবরোধ করে একটি গ্রুপ। বেলা ১২টা পর্যন্ত তারা এই অবরোধ চালায়। তাদের দাবি, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক সালাহউদ্দিন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। তাঁর অপসারণ নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডের সুপারিশ বাতিল করতে হবে।
এই অবরোধে নেতৃত্বে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ রফিক জব্বার হল থেকে শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাজ্জাদ হোসেন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হল থেকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আর-রাফি চৌধুরী, মীর মশাররফ হোসেন হল থেকে সহসভাপতি প্রীতম আরিফ, শহীদ সালাম-বরকত হল থেকে সহসভাপতি রাতুল রায় ধ্রুব এবং আল বেরুনী হল থেকে সহসভাপতি এনামুর রহমান এনাম।
অন্যদিকে দুপুর ১টায় সভাপতি ও সম্পাদকের নেতৃত্বে নতুন প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করে শাখা ছাত্রলীগের আরেকটি অংশ। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আকতারুজ্জামান সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনের নেতৃত্বে এ অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এই পক্ষের প্রধান দাবি, সামগ্রিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ ও পদায়নে বিএনপি জামায়াত তোষণ নীতি ছাড়তে হবে। এ জন্য ইতিহাস বিভাগের নিয়োগ বোর্ড বাতিলসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক পদে বিএনপি ও জামাতপন্থীদের নিয়োগ সুপারিশ বন্ধ করতে হবে।
পরে দুপর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম, উপউপাচার্য অধ্যাপক শেখ মনজুরুল হক, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশেদা আখতার, প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসানসহ অন্য শিক্ষকেরা অবরোধস্থলে আসেন। তাঁরা আন্দোলনরত ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস অবরোধের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি এনামুর রহমান বলেন, ‘স্বাধীনতাবিরোধী কোনো শক্তি যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদে না থাকতে পারে সে জন্য আমরা পরীক্ষানিয়ন্ত্রক অফিস ঘেরাও করেছি। আমরা জনতে পেরেছি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসের পরিচালক বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের একাধিক বিবৃতিতে তার নাম উল্লেখ আছে। আমরা চাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বিরোধী কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদে না থাকুক। আমরা তার অপসারনের দাবি জানাই।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সমর্থন রয়েছে কিনা জানতে চাইলে সকলের পক্ষে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আর-রাফি চৌধুরী বলেন, ‘শীর্ষ নেতৃত্বকে আমরা একাধিকবার জানিয়েছি। তারা বলেছে, দ্রুত একটা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু ধীরে ধীরে তারা এ বিষয় নিয়ে আর কর্ণপাত করেনি। তাই এমন একটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির একজনকে নিয়োগ করার প্রতিবাদে আমরা প্রত্যেক নেতাকর্মী নিজেদের নৈতিক অবস্থান থেকে এখানে দাঁড়িয়েছি এবং অবরোধ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছি। সেই সঙ্গে আমরা আলাদাভাবে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রাখছি। আমরা আলাদা একটি গ্রুপ উপাচর্যের সঙ্গে আলাদাভাবে আলোচনা করব।’
এদিকে বুধবারের মধ্যে দাবি না মানলে আগামীকাল থেকে পুনরায় তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন উপস্থিত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এরপর বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সাধারণ শিক্ষার্থীরদের ভোগান্তি ও বিভিন্ন বিভাগের পরীক্ষা চলমান থাকায় তালা খুলে দেন তাঁরা।
দুই পক্ষের দুটি অবরোধ এবং প্রকাশ্যে দলাদলির বিষয়টি অস্বীকার করে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান সোহেল বলেন, ‘আমাদের মধ্যে কোনো গ্রুপিং নেই। আমরা আমাদের কর্মসূচি পর্যায়ক্রমে পালন করছি।’
সার্বিক বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম বলেন, ‘আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিএনপি জামাত সংশ্লিষ্টতার বিষয়গুলো খতিয়ে দেখব। সত্যতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে প্রায় এক ঘন্টা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করেন উপাচার্য। তবে কোনো সুরাহা না হওয়ায় বেলা আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের কাউন্সিল কক্ষে ফের আলোচনায় বসেন তাঁরা। আরেকটি গ্রুপের সঙ্গে সন্ধ্যার পর আলোচনায় হবে বলে জানান গেছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ নিয়ে দুটি প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করেছে শাখা ছাত্রলীগের দুটি গ্রুপ। দুই পক্ষেরই প্রধান দাবি, নিয়োগ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ‘বিএনপি-জামায়াত তোষণের নীতি’ ছাড়তে হবে। আলাদাভাবে কর্মসূচি দিলেও ছাত্রলীগ সভাপতির দাবি, তাঁদের মধ্যে কোনো ‘গ্রুপিং’ নেই।
আজ বুধবার সকাল ৯টায় ছাত্রলীগের একাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস অবরোধ করে একটি গ্রুপ। বেলা ১২টা পর্যন্ত তারা এই অবরোধ চালায়। তাদের দাবি, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক সালাহউদ্দিন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। তাঁর অপসারণ নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডের সুপারিশ বাতিল করতে হবে।
এই অবরোধে নেতৃত্বে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ রফিক জব্বার হল থেকে শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাজ্জাদ হোসেন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হল থেকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আর-রাফি চৌধুরী, মীর মশাররফ হোসেন হল থেকে সহসভাপতি প্রীতম আরিফ, শহীদ সালাম-বরকত হল থেকে সহসভাপতি রাতুল রায় ধ্রুব এবং আল বেরুনী হল থেকে সহসভাপতি এনামুর রহমান এনাম।
অন্যদিকে দুপুর ১টায় সভাপতি ও সম্পাদকের নেতৃত্বে নতুন প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করে শাখা ছাত্রলীগের আরেকটি অংশ। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আকতারুজ্জামান সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনের নেতৃত্বে এ অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এই পক্ষের প্রধান দাবি, সামগ্রিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ ও পদায়নে বিএনপি জামায়াত তোষণ নীতি ছাড়তে হবে। এ জন্য ইতিহাস বিভাগের নিয়োগ বোর্ড বাতিলসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক পদে বিএনপি ও জামাতপন্থীদের নিয়োগ সুপারিশ বন্ধ করতে হবে।
পরে দুপর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম, উপউপাচার্য অধ্যাপক শেখ মনজুরুল হক, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশেদা আখতার, প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসানসহ অন্য শিক্ষকেরা অবরোধস্থলে আসেন। তাঁরা আন্দোলনরত ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস অবরোধের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি এনামুর রহমান বলেন, ‘স্বাধীনতাবিরোধী কোনো শক্তি যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদে না থাকতে পারে সে জন্য আমরা পরীক্ষানিয়ন্ত্রক অফিস ঘেরাও করেছি। আমরা জনতে পেরেছি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসের পরিচালক বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের একাধিক বিবৃতিতে তার নাম উল্লেখ আছে। আমরা চাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বিরোধী কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদে না থাকুক। আমরা তার অপসারনের দাবি জানাই।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সমর্থন রয়েছে কিনা জানতে চাইলে সকলের পক্ষে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আর-রাফি চৌধুরী বলেন, ‘শীর্ষ নেতৃত্বকে আমরা একাধিকবার জানিয়েছি। তারা বলেছে, দ্রুত একটা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু ধীরে ধীরে তারা এ বিষয় নিয়ে আর কর্ণপাত করেনি। তাই এমন একটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির একজনকে নিয়োগ করার প্রতিবাদে আমরা প্রত্যেক নেতাকর্মী নিজেদের নৈতিক অবস্থান থেকে এখানে দাঁড়িয়েছি এবং অবরোধ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছি। সেই সঙ্গে আমরা আলাদাভাবে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রাখছি। আমরা আলাদা একটি গ্রুপ উপাচর্যের সঙ্গে আলাদাভাবে আলোচনা করব।’
এদিকে বুধবারের মধ্যে দাবি না মানলে আগামীকাল থেকে পুনরায় তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন উপস্থিত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এরপর বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সাধারণ শিক্ষার্থীরদের ভোগান্তি ও বিভিন্ন বিভাগের পরীক্ষা চলমান থাকায় তালা খুলে দেন তাঁরা।
দুই পক্ষের দুটি অবরোধ এবং প্রকাশ্যে দলাদলির বিষয়টি অস্বীকার করে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান সোহেল বলেন, ‘আমাদের মধ্যে কোনো গ্রুপিং নেই। আমরা আমাদের কর্মসূচি পর্যায়ক্রমে পালন করছি।’
সার্বিক বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম বলেন, ‘আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিএনপি জামাত সংশ্লিষ্টতার বিষয়গুলো খতিয়ে দেখব। সত্যতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে প্রায় এক ঘন্টা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করেন উপাচার্য। তবে কোনো সুরাহা না হওয়ায় বেলা আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের কাউন্সিল কক্ষে ফের আলোচনায় বসেন তাঁরা। আরেকটি গ্রুপের সঙ্গে সন্ধ্যার পর আলোচনায় হবে বলে জানান গেছে।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন বিএনপি নেতা। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যায় বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার করার অভিযোগে গাজীপুর আদালতে এ মামলা করেছেন তিনি।
১২ আগস্ট ২০২৫লক্ষ্মীপুরে রামগতিতে নৌকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ফারুক হোসেন (৪০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন দুজন। এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন আরও দুজন। আজ মঙ্গলবার ভোরে জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারুক হোসেন মারা যান।
১২ আগস্ট ২০২৫দুই বছর আগে ফেনী পৌরসভার সুমাইয়া হোসেন আনিকা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সিং ও গ্রাফিক ডিজাইনের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। এরপর বিভিন্ন অনলাইন প্রতিষ্ঠানে চাকরির চেষ্টা করেও সফল হননি। এখন স্বামীর অনলাইন ব্যবসা দেখাশোনা করছেন। আনিকা বলেন, ‘প্রশিক্ষণ পেয়েছি, কিন্তু কাজের সুযোগ খুবই কম।’ আনিকার
১২ আগস্ট ২০২৫চট্টগ্রাম বন্দরে আন্দোলন দমাতে টাকা দাবির ভিডিও ভাইরালের পর এবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম নগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিনকে কেন্দ্র থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তাঁর লিখিত ব্যাখা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দলকে জানানো কথা বলা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫