রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি
মালয়েশিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন মো. সুমন মিয়া (৪০) নামে এক বাংলাদেশি শ্রমিক। তিনি মালয়েশিয়ার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাঁর অবস্থা এখন আশঙ্কাজনক।
আজ সোমবার দুপুরে আহতের বাড়ি উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর নগর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে চলছে স্বজনদের আহাজারি ও কান্নাকাটি।
এ সময় আহতের স্বজন ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রবাসী মো. সুমন মিয়া বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর নগর গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে। তিনি পরিবার ও নিজের ভাগ্য বদলাতে ২০১৫ সালে কলিং ভিসায় (শ্রমিক চাহিদার ভিত্তিতে সরকারি ভিসা) মালয়েশিয়ায় যান। গত ১ জানুয়ারি মালয়েশিয়ায় মোটরসাইকেলযোগে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হন। পরে তাঁকে স্থানীয় ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা হাসপাতালে ভর্তি করেন।
তিনি এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। হাসপাতালের বকেয়া পরিশোধ এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন অনেক টাকা। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাঁকে দ্রুত দেশে ফেরত পাঠানোর জন্যও সুপারিশ করেছেন চিকিৎসকেরা। দরিদ্র পরিবারের পক্ষ থেকে এই বিল পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি সুমন মিয়ার কিছু হলে পরিবারটি পথে বসে যাবে।
যেই প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স দেশের অর্থনীতির চাকা ঘোরে, সেই এক রেমিট্যান্স যোদ্ধা বিনা চিকিৎসায় প্রবাসে মারা যাবে—এমনটি জানিয়ে এ সময় আক্ষেপ প্রকাশ করেন প্রতিবেশীরা।
আহতের স্ত্রী আশামণি বলেন, ‘আমার স্বামী জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দিন পার করছেন। গত ১লা জানুয়ারি মালয়েশিয়ায় কাজে যাওয়ার সময় সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন। পরে ওখানকার পুলিশ উদ্ধার করে হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করান। তিনি এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। তিনি সেখানে বৈধ শ্রমিকও নন। স্বামীকে আবার দেখার ভাগ্য আছে কি না জানি না। পরিচিতদের মাধ্যমে খোঁজখবর নেওয়ার চেষ্টা করছি।’
আর্তকণ্ঠে আশামণি আরও বলেন, ‘স্বজনদের কাছ থেকে ধার-কর্জ করে বাংলাদেশ থেকে বেশ কিছু টাকা পাঠিয়েছি। টাকা ছাড়া ওখানকার হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়া সম্ভব না। স্বামীকে বাঁচাতে দেশ ও বিদেশের বিত্তবান দানশীল মানুষের আর্থিক সহায়তা কামনা করছি। মুমূর্ষু অসহায় স্বামীর চিকিৎসা ও দেশে ফেরত আনার জন্য প্রধানমন্ত্রী, প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়সহ আমরা সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।’
সাহায্য করতে চাইলে আশামণি তাঁর নিজের বিকাশ নম্বরে টাকা পাঠানোর জন্য অনুরোধ করেছেন। তাঁর বিকাশ নম্বরটি হলো—০১৭৬৮৯৬০৮৫৩ (পার্সোনাল)।
আহতের ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘বাবা মারা গেলে এতিম হয়ে যাব। আর বাবা ডাকতে পারব না। বাবাকে বাঁচাতে সবার কাছে একটু সহযোগিতা কামনা করছি।’
আহতের শ্বশুর কবি আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘জামাইয়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে পরিবারের নাওয়া-খাওয়া বন্ধ। বাংলাদেশ থেকে বেশ কিছু টাকা পাঠিয়েছি, কিন্তু তা যথেষ্ট নয়। এমতাবস্থায় সকল হৃদয়বান প্রবাসীদের কাছে সহযোগিতার হাত বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করছি।’
মালয়েশিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন মো. সুমন মিয়া (৪০) নামে এক বাংলাদেশি শ্রমিক। তিনি মালয়েশিয়ার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাঁর অবস্থা এখন আশঙ্কাজনক।
আজ সোমবার দুপুরে আহতের বাড়ি উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর নগর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে চলছে স্বজনদের আহাজারি ও কান্নাকাটি।
এ সময় আহতের স্বজন ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রবাসী মো. সুমন মিয়া বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর নগর গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে। তিনি পরিবার ও নিজের ভাগ্য বদলাতে ২০১৫ সালে কলিং ভিসায় (শ্রমিক চাহিদার ভিত্তিতে সরকারি ভিসা) মালয়েশিয়ায় যান। গত ১ জানুয়ারি মালয়েশিয়ায় মোটরসাইকেলযোগে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হন। পরে তাঁকে স্থানীয় ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা হাসপাতালে ভর্তি করেন।
তিনি এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। হাসপাতালের বকেয়া পরিশোধ এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন অনেক টাকা। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাঁকে দ্রুত দেশে ফেরত পাঠানোর জন্যও সুপারিশ করেছেন চিকিৎসকেরা। দরিদ্র পরিবারের পক্ষ থেকে এই বিল পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি সুমন মিয়ার কিছু হলে পরিবারটি পথে বসে যাবে।
যেই প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স দেশের অর্থনীতির চাকা ঘোরে, সেই এক রেমিট্যান্স যোদ্ধা বিনা চিকিৎসায় প্রবাসে মারা যাবে—এমনটি জানিয়ে এ সময় আক্ষেপ প্রকাশ করেন প্রতিবেশীরা।
আহতের স্ত্রী আশামণি বলেন, ‘আমার স্বামী জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দিন পার করছেন। গত ১লা জানুয়ারি মালয়েশিয়ায় কাজে যাওয়ার সময় সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন। পরে ওখানকার পুলিশ উদ্ধার করে হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করান। তিনি এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। তিনি সেখানে বৈধ শ্রমিকও নন। স্বামীকে আবার দেখার ভাগ্য আছে কি না জানি না। পরিচিতদের মাধ্যমে খোঁজখবর নেওয়ার চেষ্টা করছি।’
আর্তকণ্ঠে আশামণি আরও বলেন, ‘স্বজনদের কাছ থেকে ধার-কর্জ করে বাংলাদেশ থেকে বেশ কিছু টাকা পাঠিয়েছি। টাকা ছাড়া ওখানকার হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়া সম্ভব না। স্বামীকে বাঁচাতে দেশ ও বিদেশের বিত্তবান দানশীল মানুষের আর্থিক সহায়তা কামনা করছি। মুমূর্ষু অসহায় স্বামীর চিকিৎসা ও দেশে ফেরত আনার জন্য প্রধানমন্ত্রী, প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়সহ আমরা সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।’
সাহায্য করতে চাইলে আশামণি তাঁর নিজের বিকাশ নম্বরে টাকা পাঠানোর জন্য অনুরোধ করেছেন। তাঁর বিকাশ নম্বরটি হলো—০১৭৬৮৯৬০৮৫৩ (পার্সোনাল)।
আহতের ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘বাবা মারা গেলে এতিম হয়ে যাব। আর বাবা ডাকতে পারব না। বাবাকে বাঁচাতে সবার কাছে একটু সহযোগিতা কামনা করছি।’
আহতের শ্বশুর কবি আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘জামাইয়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে পরিবারের নাওয়া-খাওয়া বন্ধ। বাংলাদেশ থেকে বেশ কিছু টাকা পাঠিয়েছি, কিন্তু তা যথেষ্ট নয়। এমতাবস্থায় সকল হৃদয়বান প্রবাসীদের কাছে সহযোগিতার হাত বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করছি।’
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন বিএনপি নেতা। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যায় বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার করার অভিযোগে গাজীপুর আদালতে এ মামলা করেছেন তিনি।
১২ আগস্ট ২০২৫লক্ষ্মীপুরে রামগতিতে নৌকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ফারুক হোসেন (৪০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন দুজন। এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন আরও দুজন। আজ মঙ্গলবার ভোরে জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারুক হোসেন মারা যান।
১২ আগস্ট ২০২৫দুই বছর আগে ফেনী পৌরসভার সুমাইয়া হোসেন আনিকা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সিং ও গ্রাফিক ডিজাইনের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। এরপর বিভিন্ন অনলাইন প্রতিষ্ঠানে চাকরির চেষ্টা করেও সফল হননি। এখন স্বামীর অনলাইন ব্যবসা দেখাশোনা করছেন। আনিকা বলেন, ‘প্রশিক্ষণ পেয়েছি, কিন্তু কাজের সুযোগ খুবই কম।’ আনিকার
১২ আগস্ট ২০২৫চট্টগ্রাম বন্দরে আন্দোলন দমাতে টাকা দাবির ভিডিও ভাইরালের পর এবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম নগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিনকে কেন্দ্র থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তাঁর লিখিত ব্যাখা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দলকে জানানো কথা বলা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫