Ajker Patrika

৩ দফা দাবিতে অধস্তন আদালতের কর্মচারীদের সংবাদ সম্মেলন

৩ দফা দাবিতে অধস্তন আদালতের কর্মচারীদের সংবাদ সম্মেলন

তিন দফা দাবিতে আজ শুক্রবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনটির সভাপতি মো. রেজোয়ান খন্দকার। এ সময় সাধারণ সম্পাদক মো. নাজিম উদ্দিনসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। 

তাঁদের উত্থাপিত দাবিগুলো হলো-দেশের অধস্তন আদালতের কর্মচারীদেরকে জুডিশিয়াল সার্ভিস বেতন স্কেলের আলোকে বেতন ভাতা প্রদান, ব্লক পদ সৃজন এবং পদোন্নতির সুযোগ রেখে অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রণয়ন। 

দাবি আদায়ে সংগঠনটি তিন মাসের আল্টিমেটাম দিয়েছে। দাবি আদায় না হলে সারা দেশে কঠোর কর্মসূচি পালনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। 

সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বিচার বিভাগের কর্মচারী হওয়া সত্ত্বেও বিচার বিভাগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আইন মন্ত্রণালয় কিংবা উচ্চ আদালতের কর্মচারীদের ন্যায় সুযোগ-সুবিধা প্রদান না করে আমাদের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মচারী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ২০০৯ সালে বর্তমান সরকার বিচারকদের জন্য বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস বেতন স্কেল নামে একটি স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রদান করেন। কিন্তু আমরা একই দপ্তরে বা আদালতে বিচার কার্যে বিচারকগণের সহায়ক কর্মচারী হিসেবে কর্ম সম্পাদন করা সত্ত্বেও আমাদের বেতন স্কেলের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। ফলে আমরা বিচার বিভাগের সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা হতে বঞ্চিত। এছাড়াও, বিচারকগণ স্বতন্ত্র বেতন কাঠামোর পাশাপাশি দেওয়ানি আদালতের অবকাশকালীন সময়ে (ডিসেম্বর মাস) ফৌজদারি আদালতে দায়িত্ব পালন করার জন্য এক মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ অবকাশকালীন ভাতা হিসাবে প্রাপ্ত হন এবং সম্মানিত বিচারকগণ প্রতি মাসেই বিচারিক ভাতা হিসাবে মূল বেতনের ৩০ শতাংশ প্রাপ্ত হন, চৌকি আদালতের বিচারকগণ চৌকি ভাতা প্রাপ্ত হন। কিন্তু বিচার বিভাগের সহায়ক কর্মচারীগণকে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস বেতন স্কেলের অন্তর্ভুক্ত না করায় আমরা এ সকল ভাতা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছি। 

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, আদালতের কর্মচারীরা বিচারিক কাজের অতি আবশ্যক সহায়ক কর্মচারী। বিচারাঙ্গনে মামলা বৃদ্ধির ফলে মাননীয় বিচারকগণ যেমন কাজের ভারে ভারাক্রান্ত, তেমনি কর্মচারীরাও দিন দিন অধিক কাজের চাপে ভারাক্রান্ত। আদালতের একজন সহায়ক কর্মচারী হিসেবে বিচার কাজে সহায়তা করাসহ আমানতদারীর মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব তার ওপর ন্যস্ত থাকে। এ কারণে আদালতের কর্মচারীগণ সমাজে বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত হন কিন্তু বেশির ভাগ কর্মচারীরা-ই আর্থিকভাবে মানবেতর জীবন যাপন করে থাকেন। অধস্তন আদালতের কর্মচারীদের কোনো উন্নতি নেই, পদোন্নতির যেটুকু ব্যবস্থা আছে, তার চেয়ে ব্লক পদের সংখ্যাই বেশি। আবার যাদের পদোন্নতির সুযোগ আছে তাদের দীর্ঘ ২০ থেকে ২২ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত