Ajker Patrika

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে সিন্ডিকেটপ্রথা বাতিলের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২১ মে ২০২২, ২২: ২১
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে সিন্ডিকেটপ্রথা বাতিলের দাবি

মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানোর ক্ষেত্রে সিন্ডিকেটপ্রথা বাতিলের দাবি জানিয়েছে জনশক্তি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বায়রা সিন্ডিকেটবিরোধী মহাজোট। আজ শনিবার সকালে রাজধানীর বনানীর শেরাটন হোটেলে মালয়েশিয়ায় বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির জন্য শ্রমবাজার উন্মুক্তকরণ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ দাবি জানানো হয়। 

গোলটেবিলে বক্তারা অভিযোগ করেন, সিন্ডিকেট জটিলতার কারণে প্রায় পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়া ঠিক করা হয়নি। প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটি কোনো এজেন্সি ঠিক করে না দিলে কাউকে পাঠাতে পারছে না বাংলাদেশ। 

তিন বছর বন্ধ থাকার পর গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর খোলা হয় মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। তবে ঘোষণার প্রায় পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো কর্মী যাওয়ার প্রক্রিয়া নির্ধারণ হয়নি। 

বায়রার সাবেক সভাপতি আবুল বাসার মনে করেন, হাতে গোনা কয়েকটি এজেন্সিকে নিয়ে গড়ে ওঠা সিন্ডিকেটই কর্মী পাঠানোর কাজ পেতে যাচ্ছে, তাই বাড়ছে জটিলতা। 

প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সভাপতি ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন, অন্যায়ভাবে কাউকে পাঠাবে না বাংলাদেশ। তাই স্বচ্ছতার ভিত্তিতে কোনো এজেন্সি ঠিক না করে দিলে শ্রমিক পাঠানো যাবে না। 

ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, ‘আজকে সমঝোতা স্বাক্ষর হয়েছে প্রায় পাঁচ মাস। মালয়েশিয়ার রাজনৈতিক ব্যবস্থার মধ্যেই অনেক প্রেশার আছে। আমি জানি মালয়েশিয়ার সবাই কিন্তু সিন্ডিকেটের পক্ষে না। সুতরাং দুই পক্ষকেই বলব বসেন, বসে একটু বের করুন লুপ হোল কোথায় আছে, মালয়েশিয়ায় নাকি বাংলাদেশে?’ 

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘বায়রা নিজেদের সংগঠিত করতে পারেনি। সে জন্য এখানে সব সময় কিছু না কিছু হচ্ছে। আমি বলব আপনারা ঐক্যবদ্ধ হন।’ 

আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, ‘মালয়েশিয়াতে তাদের প্ল্যান্টেশন, রাবার ফ্যাক্টরি, ইন্ডাস্ট্রিগুলোতে মালামাল পড়ে আছে। সেগুলো নষ্ট হচ্ছে। তারা শ্রমিক পাচ্ছে না। হয়তো তাদেরও লোক নেওয়ার ক্ষেত্রে বড় একটি চাপ থাকতে পারে। তাদেরও বড় সমস্যা জনশক্তি। তবে মালয়েশিয়াতে লোক পাঠানোর ক্ষেত্রে আমরা কোনো সিন্ডিকেট চাই না।’ 

বায়রা মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী হায়দার চৌধুরীর সভাপতিত্বে গোলটেবিল বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ, বায়রার সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নূর আলী, সাবেক মহাসচিব রিয়াজুল ইসলাম, শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশ) সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত প্রমুখ। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত