রিফাত মেহেদী, সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি
ডাক্তার না হয়েও দেখছেন রোগী, দিচ্ছেন টেস্ট, এমনকি আলট্রাসনোগ্রাফির মতো জটিল রোগ নির্ণয় পরীক্ষাও করছেন। সাভারের এক হাসপাতালে একজন মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট করছেন সবকিছু। শুধু তাই নয় রোগ নির্ণয় পরীক্ষার রিপোর্টও দিচ্ছেন তিনি। এসব কাজে তিনি ব্যবহার করছেন বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন নম্বর সংবলিত এক ডাক্তারের নাম। ভুয়া পরিচয়ে রোগীদের ঠকানোর ও ভোক্তা অধিকার ক্ষুণ্ন করার মতো অপরাধ দিনের পর দিন তারা করে চলছেন।
গত ১৭ অক্টোবর রাতে সাভারের আশুলিয়ায় নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের পাশে পলাশবাড়িতে অবস্থিত মমতাজ উদ্দিন জেনারেল হাসপাতালে অনিয়মের এমন চিত্র চোখে পড়ে।
ঘটনার রাতে জনৈক কামরুজ্জামান পেট ব্যথা নিয়ে যান ওই হাসপাতালে। চিকিৎসক সেজে তাঁকে প্রেসক্রিপশন দেন আম্মার খান। এমনকি আলট্রাসনোগ্রাফি করেন। টেস্ট রিপোর্ট এবং প্রেসক্রিপশনে চিকিৎসকের নামের মিল না থাকায় সন্দেহ হয় ওই রোগীর। রিপোর্ট অনুযায়ী প্রেসক্রিপশনে ওষুধ-পথ্য লিখে দেবেন তিনি। আগের ডা. আমমার খানের প্রেসক্রিপশনে ফেরত নিয়ে নতুন প্রেসক্রিপশন দিলেন আমমার খান ওরফে পাপ্পু। রিপোর্টের মতো সেখানেও চিকিৎসকের নাম লেখা ডা. শামসুল আরেফিন। আছে বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন নম্বরও।
কামরুজ্জামানের সন্দেহ হলে বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মীদের জানান তিনি। গণমাধ্যমকর্মীরা হাসপাতালে গিয়ে সেই কথিত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি নিজেকে ডা. শামছুল আরেফিন বলে দাবি করেন। বিএমডিসির রেজিস্ট্রেশন নম্বর তার বলে জানান। বিএমডিসির ওয়েবসাইটে সার্চ করে পাওয়া শামছুল আরেফিনের ছবির সঙ্গে ডা. আমমার খানের চেহারার মিল নেই।
ভুক্তভোগী রোগী কামরুজ্জামান বলেন, একই ব্যক্তি দুই নামে প্রেসক্রিপশন দিলে সন্দেহ হয়। পরে গণমাধ্যমকর্মীদের জানাই। পরে জানতে পারি তিনি কোনো ডিগ্রিধারী চিকিৎসক নন। ডাক্তার না হয়ে রোগী দেখা তো রোগীদের সঙ্গে বিশাল প্রতারণা। আমরা কীভাবে বুঝব কে ডাক্তার কে ডাক্তার না! এমন প্রতারকদের কঠোর শাস্তি হওয়া দরকার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, গত ৬ মাস আগে আমার স্ত্রীর বাচ্চা ডেলিভারি হয় এই হাসপাতালে। দিনের বেলায় ডাক্তার থাকলেও রাত ৮টার পর তিন রাতে কোনো ডাক্তার ছিল না। আমাদের সাথে ওই দিন আরও এক রোগী হাসপাতালে ভর্তি ছিল। হাসপাতালে নার্স ও অল্প, দুই বা একজন থাকে।
অভিযুক্ত পাপ্পু বলেন, ডাক্তার শামসুল আরেফিনের সিল স্বাক্ষর ব্যবহার করা আমার ভুল হয়েছে। কিন্তু আমাকে রোগী দেখতে ও আলট্রা করার নির্দেশনা দিয়েছে হাসপাতালের ম্যানেজার সাদেকুল। তিনি স্বীকার করেন যে তিনি শামছুল আরেফিন নন। তিনি কমিউনিটি হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট। হাসপাতালটিতে রাতে কোনো চিকিৎসক না থাকায় ডাক্তার পরিচয়ে দায়িত্ব পালন করেন ও রোগী দেখেন তিনি।
পরদিন সকালে এ বিষয়ে হাসপাতালের ম্যানেজার সাদেকুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে জানি না। আম্মার খানকে কর্তৃপক্ষ শাস্তি দেবেন। রাতে হাসপাতালে কোনো চিকিৎসক না থাকার বিষয়টি জিজ্ঞেস করাতে তিনি বলেন, রোগী তেমন নেই। এ ছাড়া হাসপাতালের আয়ও কম। তাই রাতের ডিউটিতে ডাক্তার রাখা সম্ভব হচ্ছে না।’
এ বিষয়ে হাসপাতালে ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবেল হোসেন বলেন, বিষয়টি জানার পর পরই আমমার খানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তিনি প্রতিবেদনটি না করার অনুরোধও করেন।
এ দিকে শেষ খবর পাওয়া অবধি এখনো বহাল তবিয়তে কাজ করছেন অভিযুক্ত সেই আম্মার খান ওরফে পাপ্পু। হাসপাতালের বিরুদ্ধেও এখনো কোনো আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার খোঁজ মেলেনি।
বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশনধারী যে ডাক্তারের নাম ও সিরিয়াল নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে তিনি হলেন ডা. শামছুল আরেফিন। তিনি বলেন, ‘আমি এখন খুলনায় আছি। অনেক বছর আগে আমি মমতাজ হাসপাতালে ডিউটি ডাক্তার হিসেবে কর্মরত ছিলাম। আমার সময়ে ওই পাপ্পু ওয়ার্ড বয় হিসেবে কাজ করত। আমার নাম এখনো তারা ব্যবহার করছেন আমি তা জানি না। এভাবে যদি ভুয়া নাম ব্যবহার করা হয়ে থাকে আমি সিভিল সার্জনসহ স্থানীয় প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।’
সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সায়েমুল হুদা আজকের পত্রিকাকে বলেন, নামের আগে ডা. পদবি ব্যবহার করার অনুমতি না থাকলেও এই মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিগ্রিধারী তা ব্যবহার করছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে হাসপাতালের ম্যানেজারকে সকল কাগজপত্র নিয়ে দেখা করতে বলেছি। দ্রুতই তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এমন দোষ প্রমাণিত হলে অবশ্যই শাস্তির আওতায় আসবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ডাক্তার না হয়েও দেখছেন রোগী, দিচ্ছেন টেস্ট, এমনকি আলট্রাসনোগ্রাফির মতো জটিল রোগ নির্ণয় পরীক্ষাও করছেন। সাভারের এক হাসপাতালে একজন মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট করছেন সবকিছু। শুধু তাই নয় রোগ নির্ণয় পরীক্ষার রিপোর্টও দিচ্ছেন তিনি। এসব কাজে তিনি ব্যবহার করছেন বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন নম্বর সংবলিত এক ডাক্তারের নাম। ভুয়া পরিচয়ে রোগীদের ঠকানোর ও ভোক্তা অধিকার ক্ষুণ্ন করার মতো অপরাধ দিনের পর দিন তারা করে চলছেন।
গত ১৭ অক্টোবর রাতে সাভারের আশুলিয়ায় নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের পাশে পলাশবাড়িতে অবস্থিত মমতাজ উদ্দিন জেনারেল হাসপাতালে অনিয়মের এমন চিত্র চোখে পড়ে।
ঘটনার রাতে জনৈক কামরুজ্জামান পেট ব্যথা নিয়ে যান ওই হাসপাতালে। চিকিৎসক সেজে তাঁকে প্রেসক্রিপশন দেন আম্মার খান। এমনকি আলট্রাসনোগ্রাফি করেন। টেস্ট রিপোর্ট এবং প্রেসক্রিপশনে চিকিৎসকের নামের মিল না থাকায় সন্দেহ হয় ওই রোগীর। রিপোর্ট অনুযায়ী প্রেসক্রিপশনে ওষুধ-পথ্য লিখে দেবেন তিনি। আগের ডা. আমমার খানের প্রেসক্রিপশনে ফেরত নিয়ে নতুন প্রেসক্রিপশন দিলেন আমমার খান ওরফে পাপ্পু। রিপোর্টের মতো সেখানেও চিকিৎসকের নাম লেখা ডা. শামসুল আরেফিন। আছে বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন নম্বরও।
কামরুজ্জামানের সন্দেহ হলে বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মীদের জানান তিনি। গণমাধ্যমকর্মীরা হাসপাতালে গিয়ে সেই কথিত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি নিজেকে ডা. শামছুল আরেফিন বলে দাবি করেন। বিএমডিসির রেজিস্ট্রেশন নম্বর তার বলে জানান। বিএমডিসির ওয়েবসাইটে সার্চ করে পাওয়া শামছুল আরেফিনের ছবির সঙ্গে ডা. আমমার খানের চেহারার মিল নেই।
ভুক্তভোগী রোগী কামরুজ্জামান বলেন, একই ব্যক্তি দুই নামে প্রেসক্রিপশন দিলে সন্দেহ হয়। পরে গণমাধ্যমকর্মীদের জানাই। পরে জানতে পারি তিনি কোনো ডিগ্রিধারী চিকিৎসক নন। ডাক্তার না হয়ে রোগী দেখা তো রোগীদের সঙ্গে বিশাল প্রতারণা। আমরা কীভাবে বুঝব কে ডাক্তার কে ডাক্তার না! এমন প্রতারকদের কঠোর শাস্তি হওয়া দরকার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, গত ৬ মাস আগে আমার স্ত্রীর বাচ্চা ডেলিভারি হয় এই হাসপাতালে। দিনের বেলায় ডাক্তার থাকলেও রাত ৮টার পর তিন রাতে কোনো ডাক্তার ছিল না। আমাদের সাথে ওই দিন আরও এক রোগী হাসপাতালে ভর্তি ছিল। হাসপাতালে নার্স ও অল্প, দুই বা একজন থাকে।
অভিযুক্ত পাপ্পু বলেন, ডাক্তার শামসুল আরেফিনের সিল স্বাক্ষর ব্যবহার করা আমার ভুল হয়েছে। কিন্তু আমাকে রোগী দেখতে ও আলট্রা করার নির্দেশনা দিয়েছে হাসপাতালের ম্যানেজার সাদেকুল। তিনি স্বীকার করেন যে তিনি শামছুল আরেফিন নন। তিনি কমিউনিটি হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট। হাসপাতালটিতে রাতে কোনো চিকিৎসক না থাকায় ডাক্তার পরিচয়ে দায়িত্ব পালন করেন ও রোগী দেখেন তিনি।
পরদিন সকালে এ বিষয়ে হাসপাতালের ম্যানেজার সাদেকুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে জানি না। আম্মার খানকে কর্তৃপক্ষ শাস্তি দেবেন। রাতে হাসপাতালে কোনো চিকিৎসক না থাকার বিষয়টি জিজ্ঞেস করাতে তিনি বলেন, রোগী তেমন নেই। এ ছাড়া হাসপাতালের আয়ও কম। তাই রাতের ডিউটিতে ডাক্তার রাখা সম্ভব হচ্ছে না।’
এ বিষয়ে হাসপাতালে ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবেল হোসেন বলেন, বিষয়টি জানার পর পরই আমমার খানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তিনি প্রতিবেদনটি না করার অনুরোধও করেন।
এ দিকে শেষ খবর পাওয়া অবধি এখনো বহাল তবিয়তে কাজ করছেন অভিযুক্ত সেই আম্মার খান ওরফে পাপ্পু। হাসপাতালের বিরুদ্ধেও এখনো কোনো আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার খোঁজ মেলেনি।
বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশনধারী যে ডাক্তারের নাম ও সিরিয়াল নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে তিনি হলেন ডা. শামছুল আরেফিন। তিনি বলেন, ‘আমি এখন খুলনায় আছি। অনেক বছর আগে আমি মমতাজ হাসপাতালে ডিউটি ডাক্তার হিসেবে কর্মরত ছিলাম। আমার সময়ে ওই পাপ্পু ওয়ার্ড বয় হিসেবে কাজ করত। আমার নাম এখনো তারা ব্যবহার করছেন আমি তা জানি না। এভাবে যদি ভুয়া নাম ব্যবহার করা হয়ে থাকে আমি সিভিল সার্জনসহ স্থানীয় প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।’
সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সায়েমুল হুদা আজকের পত্রিকাকে বলেন, নামের আগে ডা. পদবি ব্যবহার করার অনুমতি না থাকলেও এই মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিগ্রিধারী তা ব্যবহার করছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে হাসপাতালের ম্যানেজারকে সকল কাগজপত্র নিয়ে দেখা করতে বলেছি। দ্রুতই তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এমন দোষ প্রমাণিত হলে অবশ্যই শাস্তির আওতায় আসবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন বিএনপি নেতা। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যায় বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার করার অভিযোগে গাজীপুর আদালতে এ মামলা করেছেন তিনি।
১২ আগস্ট ২০২৫লক্ষ্মীপুরে রামগতিতে নৌকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ফারুক হোসেন (৪০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন দুজন। এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন আরও দুজন। আজ মঙ্গলবার ভোরে জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারুক হোসেন মারা যান।
১২ আগস্ট ২০২৫দুই বছর আগে ফেনী পৌরসভার সুমাইয়া হোসেন আনিকা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সিং ও গ্রাফিক ডিজাইনের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। এরপর বিভিন্ন অনলাইন প্রতিষ্ঠানে চাকরির চেষ্টা করেও সফল হননি। এখন স্বামীর অনলাইন ব্যবসা দেখাশোনা করছেন। আনিকা বলেন, ‘প্রশিক্ষণ পেয়েছি, কিন্তু কাজের সুযোগ খুবই কম।’ আনিকার
১২ আগস্ট ২০২৫চট্টগ্রাম বন্দরে আন্দোলন দমাতে টাকা দাবির ভিডিও ভাইরালের পর এবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম নগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিনকে কেন্দ্র থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তাঁর লিখিত ব্যাখা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দলকে জানানো কথা বলা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫