Ajker Patrika

শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ঘাটে ‘ঈদের’ আমেজ

প্রতিনিধি, মুন্সিগঞ্জ
শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ঘাটে ‘ঈদের’ আমেজ

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বিস্তার রোধে আগামীকাল বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে আট দিনের বিধিনিষেধ। শিল্পকারখানা বাদে এই আট দিন বন্ধ থাকবে সরকারি–বেসরকারি সব অফিস ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

বিধিনিষেধের এই সময়টা সরকার সবাইকে ঘরে থাকার নির্দেশনা দিলেও দুদিন আগে থেকেই ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছেন মানুষ। আজ মঙ্গলবারও শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ঘাটে দেখা গেছে মানুষের উপচে পড়া ভিড়।

ঘাট দিয়ে ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ। ফলে ঘাট এলাকায় যাত্রী ও যানবাহনের চাপে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা এই ঘাট দিয়ে ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ। ফলে ঘাট এলাকায় যাত্রী ও যানবাহনের চাপে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, ফেরিতে যাত্রীদের চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। যাত্রী ও  যানবাহনের চাপ নিযন্ত্রের বাইরে চলে গেছে। এমন চাপ শুধু ঈদেই দেখা যায়।

শিমুলিয়া ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সাফায়াত আহম্মেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, শিমুলিয়া ঘাট ও রাস্তায় কোথাও পা ফেলার জায়গা নেই। যাত্রী ও যানবাহনের এতোটাই চাপ যে ঘাট এখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। রোরো, ডাম্প, মিডিয়াম ও কে–টাইপসহ ১৪টি ফেরিতে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। মানুষের মধ্যে করোনা নিয়ে কোনো ভাবনা নেই। ফেরিতে গাদাগাদি করে উঠছে সবাই।

ঘাট দিয়ে ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ। ফলে ঘাট এলাকায় যাত্রী ও যানবাহনের চাপে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা শিমুলিয়া ফেরিঘাট সূত্রে জানা যায়, গতকাল সোমবার আট দিনের বিধিনিষেধ দেওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগে থেকেই শিমুলিয়া ঘাট হয়ে দক্ষিণাঞ্চলের দিকে যাত্রা করেছেন ২১ জেলার মানুষ। গত রোববার সকাল থেকেই ঘাটে চাপ বাড়তে থাকে। সোমবার চাপ আরও বাড়ে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে রীতিমতো যানবাহন ও মানুষের জটলা পেকে যায়। আজ মঙ্গলবার ঘাটে আর তিল ধারণের ঠাঁই নেই। ঘাট ও সড়কে নয় শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় আছে।

এদিকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী, স্পিডবোট বন্ধ থাকার কথা থাকলেও তা চলছে। স্বাভাবিক সময়ে ট্রলারে অল্প-স্বল্প যাত্রী পারাপার করা হলেও গতকাল সোমবার থেকে ট্রলার বোঝাই হয়ে পদ্মা নদী পারি দিচ্ছে মানুষ।

ঘাট দিয়ে ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ। ফলে ঘাট এলাকায় যাত্রী ও যানবাহনের চাপে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা শিমুলিয়া ফেরিঘাটের ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (টিআই) মো. হিলাল উদ্দিন বলেন, আজ সকাল থেকে চাপ বাড়তে শুরু করে। এমন চাপ ঈদের দু-একদিন আগে দেখতাম। লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ থাকায় ফেরিতে যাত্রীরা পারাপার হচ্ছেন। ঘাটে সাত শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় আছে। ঘাটে চাপ আরো বাড়তে পারে। গত রোববার দুই হাজারের বেশি যানবাহন পারাপার করা হয়েছে। আজকে এ সংখ্যা তিন হাজেরর বেশি ছাড়াবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত