দুদকের মামলায় বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে ৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ

নোটিশ পেয়ে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) সম্পদের বিবরণী জমা না দেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে আরও তিনজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। 

আজ সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এ সাক্ষ্য দেন তিনজন। সাক্ষীরা হলেন দুদকের পরিচালক ঋত্বিক সাহা, উচ্চমান সহকারী এ জেড এম হাছানুজ্জামান ও কনস্টেবল আসাদুজ্জামান।

আসলাম চৌধুরীকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। তাঁর পক্ষে আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ সাক্ষীদের জেরা করেন। জেরা সমাপ্ত হওয়ার পর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেন আগামী ৪ মার্চ পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী রেজাউল করিম রেজা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে গত বছর ১৭ আগস্ট মামলার অভিযোগকারী দুদকের উপপরিচালক মো. নাসির উদ্দিনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়।

গত বছর ৮ জুন আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এই মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু হয়।
২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর দুদকের উপপরিচালক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন।

২০১৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর দুদকের উপপরিচালক মো. নাসির উদ্দিন বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে ঢাকার সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার দক্ষিণ ভাটিয়ারির বাসিন্দা আসলাম চৌধুরী ও তার স্ত্রী জমিলা নাজনীন মাওলার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের বাইরে কয়েক শ’ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তদন্ত শুরু করে দুদক।

২০১৯ সালের ১৩ মে দুর্নীতি দমন কমিশনের তৎকালীন উপপরিচালক ঋত্বিক সাহা চট্টগ্রাম কারাগার কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে একটি নোটিশ জারি করে কারাবন্দি আসলাম চৌধুরীকে ৭ দিনের মধ্যে তার সম্পদের বিবরণী জমা দিতে বলে। এরপর ওই বছরের ২৩ জুন আসলাম চৌধুরীকে নোটিশ দেয় চট্টগ্রাম কারাগার কর্তৃপক্ষ।

ওই বছরের ১ জুলাই আসলাম চৌধুরী সম্পদের হিসাব দুদকে জমা দিতে ৩ মাস সময় চেয়েছিলেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুদক তাকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য মোট ৩৬ দিন সময় দেয়। 

আসলাম চৌধুরী ২০১৯ সালের ১৯ আগস্ট আবার এই বিষয়ে আরও ৩ মাস সময় চেয়ে আরেকটি আবেদন জমা দেন।

• দুদকের মামলায় বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীর বিচার শুরু

তবে ওই বছরের ১৫ অক্টোবর দুদক কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আসলাম চৌধুরীকে জানায়, আর কোনো সময় বাড়ানো হবে না এবং বেশ কয়েকবার সময় বাড়ানো সত্ত্বেও তিনি নির্ধারিত সময়ে সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা না দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।