নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা: কয়েকদিন আগেই মশা নিয়ন্ত্রণে নিজেকে সফল দাবি করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস। তবে তাঁর এ দাবির বাস্তবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে অনেকেই। দিনে-রাতে মশার উৎপাতে অতিষ্ঠ নগরবাসী। মেয়রের সফলতা দাবি করা সত্ত্বেও কমছে না মশার উপদ্রব। কবে পরিত্রাণ মিলবে তাও জানা নেই। এ বিষয়ে ডিএসসিসি'র ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে নগরবাসী।
গত ১৯ মে মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার এক বছর পূর্তি উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে মশা নিয়ন্ত্রণে নিজেকে সফল বলে দাবি করেন ডিএসসিসি মেয়র। তিনি বলেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর গত বছর কেউ ডেঙ্গুতে মারা যায়নি। মশা নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে তিনি অত্যন্ত কঠোরতা অবলম্বন করছেন। ডিএসসিসি’র কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে মশা নিধনের ওষুধ মজুত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
সরেজমিন পরিদর্শন ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে মেয়রের এ দাবির সঙ্গে বাস্তবতার মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি। ডেমরা এলাকার বাসিন্দা ফল ব্যবসায়ী আনিস মিয়া বলেন, এই এলাকায় মশার উপদ্রব এতটাই বেশি যে, শরীরে মশারোধী ওষুধ লাগিয়ে থাকতে হয়। মশার কয়েলেও কোন কাজ হয় না। এলাকায় নির্মাণকাজ বেশি হচ্ছে। একই সঙ্গে ডোবা নালা অনেক বেশি। এ জন্য মশাও প্রচুর পরিমাণে বংশ বিস্তার করে। কিন্তু সেই তুলনায় সিটি করপোরেশনের মশা নিধন কর্মীদের তৎপরতা চোখে পড়ে না। তাদেরকে মাঝে মাঝে দেখা যায়। তাও দায়সারাভাবে ওষুধ ছিটিয়ে চলে যায়।
খিলগাঁও ঝিলপাড়ের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম জানান, তাঁর এলাকায় মশা নিয়ন্ত্রণ হয় নাই। মনে হয় আর হবেও না। মাঝে মাঝে সিটি করপোরেশনের লোকজন ফগার মেশিন নিয়ে আসেন। ধোঁয়ায় চারদিক আচ্ছন্ন হয়ে যায়। ধোঁয়া কমে গেলেই সেই আগের মতই অবস্থা। মশা যেমন ছিল, ঠিক তেমনই থাকে। ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার না করে শুধু ফগিং করা হয়। এ কারণে মশার উপদ্রব কমছে না বলে তাঁর মত।
সিপাহীবাগ এলাকার বাসিন্দা চাল ব্যবসায়ী সিরাজও বললেন একই কথা। তাঁর এলাকাতেও মশার অত্যাচারে টেকা দায়। তবে মশা নিধনের কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না বলে তাঁর অভিযোগ। মাঝে মাঝে মশার ওষুধ ছিটানো হলেও তা কাজে আসে বলে মনে হয় তাঁর।
সিটি করপোরেশন মশা নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ব্যবস্থাপনা করছে না। যেকারণে এ কাজে সফলতা আসছে না জানিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মশা নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ব্যবস্থাপনা দরকার। পরিবেশ, বায়োলজিক্যাল, কেমিক্যাল ও জনগণের সম্পৃক্ততার মাধ্যমে মশা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। মশা নিয়ন্ত্রণের জন্য পরিবেশগত দিকটি আগে ঠিক রাখতে হবে। ডোবা-নালার বর্জ্য সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে। তাহলে মশার বংশ বিস্তার কমবে।'
এই অধ্যাপক আরো বলেন, 'জৈবিকভাবেও মশার নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এর জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রাণী ব্যবহার করা যেতে পারে, যারা মশার লার্ভা খেয়ে ফেলে। এরপর কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে। সর্বোপরি জনসম্পৃক্ততা থাকতে হবে। নইলে সিটি করপোরেশন একদিকে সবকিছু পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখবে অন্যদিকে জনগণ আবার সেটা নোংরা করবে। মশার লার্ভা এবং প্রাপ্ত বয়স্ক মশা দমনে আলাদা আলাদাভাবে ওষুধ ছিটাতে হয়। কিন্তু ঢালাওভাবে ওষুধ ছিটালে সেটি কার্যকর হয় না। সিটি করপোরেশন শুধুমাত্র কেমিক্যাল বা কীটনাশক ব্যবহারের মাধ্যমে মশা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। এ জন্য মশা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয় না ৷ আর প্রকৃতিগত ভাবে এক বছর পরপর ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি হয়। এ জন্য গত বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ কম ছিল।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী এ বছরের শুরু থেকে আজ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত সারা দেশে ডেঙ্গু রোগীর মোট সংখ্যা ৭১ জন। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ঢাকার ভিতর ২ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত কোন মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। তবে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে এখনো ভর্তি রয়েছেন ৫ জন ডেঙ্গু রোগী। বাকিরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
এদিকে মশা নিধনে ওষুধ প্রয়োগের ক্ষেত্রে পুরোনো পদ্ধতি থেকে সরে এসেছে ডিএসসিসি। সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ বলেন, আগে এডিস ও কিউলেক্স মশা নিবারণে একই ওষুধ প্রয়োগ করা হতো। এখন কিউলেক্স ও এডিসের জন্য আলাদা আলাদা ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে মশা নিধনে আগের চেয়ে সফলতা আসছে।’
ঢাকা: কয়েকদিন আগেই মশা নিয়ন্ত্রণে নিজেকে সফল দাবি করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস। তবে তাঁর এ দাবির বাস্তবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে অনেকেই। দিনে-রাতে মশার উৎপাতে অতিষ্ঠ নগরবাসী। মেয়রের সফলতা দাবি করা সত্ত্বেও কমছে না মশার উপদ্রব। কবে পরিত্রাণ মিলবে তাও জানা নেই। এ বিষয়ে ডিএসসিসি'র ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে নগরবাসী।
গত ১৯ মে মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার এক বছর পূর্তি উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে মশা নিয়ন্ত্রণে নিজেকে সফল বলে দাবি করেন ডিএসসিসি মেয়র। তিনি বলেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর গত বছর কেউ ডেঙ্গুতে মারা যায়নি। মশা নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে তিনি অত্যন্ত কঠোরতা অবলম্বন করছেন। ডিএসসিসি’র কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে মশা নিধনের ওষুধ মজুত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
সরেজমিন পরিদর্শন ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে মেয়রের এ দাবির সঙ্গে বাস্তবতার মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি। ডেমরা এলাকার বাসিন্দা ফল ব্যবসায়ী আনিস মিয়া বলেন, এই এলাকায় মশার উপদ্রব এতটাই বেশি যে, শরীরে মশারোধী ওষুধ লাগিয়ে থাকতে হয়। মশার কয়েলেও কোন কাজ হয় না। এলাকায় নির্মাণকাজ বেশি হচ্ছে। একই সঙ্গে ডোবা নালা অনেক বেশি। এ জন্য মশাও প্রচুর পরিমাণে বংশ বিস্তার করে। কিন্তু সেই তুলনায় সিটি করপোরেশনের মশা নিধন কর্মীদের তৎপরতা চোখে পড়ে না। তাদেরকে মাঝে মাঝে দেখা যায়। তাও দায়সারাভাবে ওষুধ ছিটিয়ে চলে যায়।
খিলগাঁও ঝিলপাড়ের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম জানান, তাঁর এলাকায় মশা নিয়ন্ত্রণ হয় নাই। মনে হয় আর হবেও না। মাঝে মাঝে সিটি করপোরেশনের লোকজন ফগার মেশিন নিয়ে আসেন। ধোঁয়ায় চারদিক আচ্ছন্ন হয়ে যায়। ধোঁয়া কমে গেলেই সেই আগের মতই অবস্থা। মশা যেমন ছিল, ঠিক তেমনই থাকে। ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার না করে শুধু ফগিং করা হয়। এ কারণে মশার উপদ্রব কমছে না বলে তাঁর মত।
সিপাহীবাগ এলাকার বাসিন্দা চাল ব্যবসায়ী সিরাজও বললেন একই কথা। তাঁর এলাকাতেও মশার অত্যাচারে টেকা দায়। তবে মশা নিধনের কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না বলে তাঁর অভিযোগ। মাঝে মাঝে মশার ওষুধ ছিটানো হলেও তা কাজে আসে বলে মনে হয় তাঁর।
সিটি করপোরেশন মশা নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ব্যবস্থাপনা করছে না। যেকারণে এ কাজে সফলতা আসছে না জানিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মশা নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ব্যবস্থাপনা দরকার। পরিবেশ, বায়োলজিক্যাল, কেমিক্যাল ও জনগণের সম্পৃক্ততার মাধ্যমে মশা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। মশা নিয়ন্ত্রণের জন্য পরিবেশগত দিকটি আগে ঠিক রাখতে হবে। ডোবা-নালার বর্জ্য সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে। তাহলে মশার বংশ বিস্তার কমবে।'
এই অধ্যাপক আরো বলেন, 'জৈবিকভাবেও মশার নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এর জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রাণী ব্যবহার করা যেতে পারে, যারা মশার লার্ভা খেয়ে ফেলে। এরপর কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে। সর্বোপরি জনসম্পৃক্ততা থাকতে হবে। নইলে সিটি করপোরেশন একদিকে সবকিছু পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখবে অন্যদিকে জনগণ আবার সেটা নোংরা করবে। মশার লার্ভা এবং প্রাপ্ত বয়স্ক মশা দমনে আলাদা আলাদাভাবে ওষুধ ছিটাতে হয়। কিন্তু ঢালাওভাবে ওষুধ ছিটালে সেটি কার্যকর হয় না। সিটি করপোরেশন শুধুমাত্র কেমিক্যাল বা কীটনাশক ব্যবহারের মাধ্যমে মশা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। এ জন্য মশা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয় না ৷ আর প্রকৃতিগত ভাবে এক বছর পরপর ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি হয়। এ জন্য গত বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ কম ছিল।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী এ বছরের শুরু থেকে আজ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত সারা দেশে ডেঙ্গু রোগীর মোট সংখ্যা ৭১ জন। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ঢাকার ভিতর ২ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত কোন মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। তবে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে এখনো ভর্তি রয়েছেন ৫ জন ডেঙ্গু রোগী। বাকিরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
এদিকে মশা নিধনে ওষুধ প্রয়োগের ক্ষেত্রে পুরোনো পদ্ধতি থেকে সরে এসেছে ডিএসসিসি। সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ বলেন, আগে এডিস ও কিউলেক্স মশা নিবারণে একই ওষুধ প্রয়োগ করা হতো। এখন কিউলেক্স ও এডিসের জন্য আলাদা আলাদা ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে মশা নিধনে আগের চেয়ে সফলতা আসছে।’
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন বিএনপি নেতা। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যায় বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার করার অভিযোগে গাজীপুর আদালতে এ মামলা করেছেন তিনি।
১২ আগস্ট ২০২৫লক্ষ্মীপুরে রামগতিতে নৌকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ফারুক হোসেন (৪০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন দুজন। এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন আরও দুজন। আজ মঙ্গলবার ভোরে জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারুক হোসেন মারা যান।
১২ আগস্ট ২০২৫দুই বছর আগে ফেনী পৌরসভার সুমাইয়া হোসেন আনিকা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সিং ও গ্রাফিক ডিজাইনের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। এরপর বিভিন্ন অনলাইন প্রতিষ্ঠানে চাকরির চেষ্টা করেও সফল হননি। এখন স্বামীর অনলাইন ব্যবসা দেখাশোনা করছেন। আনিকা বলেন, ‘প্রশিক্ষণ পেয়েছি, কিন্তু কাজের সুযোগ খুবই কম।’ আনিকার
১২ আগস্ট ২০২৫চট্টগ্রাম বন্দরে আন্দোলন দমাতে টাকা দাবির ভিডিও ভাইরালের পর এবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম নগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিনকে কেন্দ্র থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তাঁর লিখিত ব্যাখা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দলকে জানানো কথা বলা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫