নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
হাওর ও সিলেট অঞ্চলের নদীবেষ্টিত এলাকায় বাঁধ ও অন্যান্য প্রকল্প হাওর ও নদীর স্বাভাবিক প্রবাহে বাধা তৈরি করছে। এ জন্য এ ধরনের প্রকল্প আরও পরিকল্পিতভাবে বাস্তবায়ন করে নদীর গতিপথ ও প্লাবনকে স্বাভাবিক নিয়মে চলতে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)।
আজ মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান বাপার সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা হাওরের প্রতিটি উপজেলায় আবহাওয়ার দৈনিক উপাত্ত সংগ্রহের উদ্যোগ নেওয়া জরুরি বলে দাবি করেন। তাঁরা বলেন, হাওরের প্রতিটি নদী, খাল, জলাশয়ের গভীরতায় পরিবর্তনের ধরন নির্ধারণকল্পে কয়েক বছর অন্তর ভূমিরূপ, ভূমি ব্যবহার ও উচ্চতার জরিপ চালানো জরুরি। পরিবর্তিত ভূমি ব্যবহার, নগরায়ণ ও পলি স্তরায়ণের ফলে হাওরের বেশির ভাগ নদ-নদীর ধারণক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে। তাই বন্যার প্রকোপ কমাতে হলে নদ-নদীসমূহের পানি বহনক্ষমতাও আনুপাতিক হারে নিয়মিত বৃদ্ধির উদ্যোগ নিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্ট নেটওয়ার্কের (বেন) বৈশ্বিক সমন্বয়ক ড. মো. খালেকুজ্জামান বলেন, ভারত একতরফাভাবে পানি ধরে রাখবে, ছেড়ে দেবে—এটা মানা যায় না। তিস্তা নিয়ে কোনো চুক্তি হয়নি, গঙ্গা নিয়ে চুক্তি চার বছর পর শেষ হবে, সেটা নিয়েও কোনো আলোচনা নেই। মেঘনা নদী নিয়ে ভারতের সঙ্গে যৌথ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে এখনই সরকারকে চাপ দেওয়া দরকার।
খালেকুজ্জামান বলেন, আকস্মিক বন্যা মূলত তিনটি কারণে হয়েছে। এর মধ্যে বৈশ্বিক কারণগুলো হলো—জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অতিবৃষ্টি এবং বৃষ্টিপাতের ধরনে পরিবর্তন, জেট তরঙ্গের গতি পরিবর্তন এবং ধীরগতি, সমুদ্রপৃষ্ঠ সমতলে উঠে আসার কারণে নদী নিষ্কাশনে শ্লথগতি। আন্তদেশীয় কারণ হলো—উজানের দেশ ভারত কর্তৃক একতরফাভাবে মেঘনা অববাহিকার আন্তদেশীয় ছোট-বড় ৪৬টি নদ-নদীর পানি ব্যবহার করে পানি-বিদ্যুৎকেন্দ্র ও সেচ প্রকল্প স্থাপন, উজানে বনাঞ্চল ধ্বংস এবং কয়লা ও অন্যান্য খনিজ দ্রব্য উত্তোলনের মাধ্যমে ভূমিরূপের ব্যাপক পরিবর্তন সাধন, যার ফলে অধিক পলিতে ভাটির নদীবক্ষ ভরাট হয়ে যাওয়া এবং ধারণক্ষমতা হ্রাস।
অভ্যন্তরীণ কারণগুলো হলো—পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনায় বেষ্টনী পদ্ধতির ব্যবহার, ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ, নদী দখল, যত্রতত্র বালু উত্তোলন, ভূমিরূপ ব্যবহারে পরিবর্তন সাধন, নদী ব্যবস্থাপনায় অদক্ষতা ও অনিয়ম।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, প্লাবনভূমি ধ্বংস করে উন্নয়ন বন্ধ করা উচিত। নদীর সঙ্গে প্লাবনকে বিচ্ছিন্ন রাখার ধারণাটি পশ্চিমাদের কাছ থেকে এসেছে। আমাদের দেশের নদীর ধরন, ঋতু সব মিলিয়ে এই ধারণা কার্যকর নয়।
হাওর ও সিলেট অঞ্চলের নদীবেষ্টিত এলাকায় বাঁধ ও অন্যান্য প্রকল্প হাওর ও নদীর স্বাভাবিক প্রবাহে বাধা তৈরি করছে। এ জন্য এ ধরনের প্রকল্প আরও পরিকল্পিতভাবে বাস্তবায়ন করে নদীর গতিপথ ও প্লাবনকে স্বাভাবিক নিয়মে চলতে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)।
আজ মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান বাপার সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা হাওরের প্রতিটি উপজেলায় আবহাওয়ার দৈনিক উপাত্ত সংগ্রহের উদ্যোগ নেওয়া জরুরি বলে দাবি করেন। তাঁরা বলেন, হাওরের প্রতিটি নদী, খাল, জলাশয়ের গভীরতায় পরিবর্তনের ধরন নির্ধারণকল্পে কয়েক বছর অন্তর ভূমিরূপ, ভূমি ব্যবহার ও উচ্চতার জরিপ চালানো জরুরি। পরিবর্তিত ভূমি ব্যবহার, নগরায়ণ ও পলি স্তরায়ণের ফলে হাওরের বেশির ভাগ নদ-নদীর ধারণক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে। তাই বন্যার প্রকোপ কমাতে হলে নদ-নদীসমূহের পানি বহনক্ষমতাও আনুপাতিক হারে নিয়মিত বৃদ্ধির উদ্যোগ নিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্ট নেটওয়ার্কের (বেন) বৈশ্বিক সমন্বয়ক ড. মো. খালেকুজ্জামান বলেন, ভারত একতরফাভাবে পানি ধরে রাখবে, ছেড়ে দেবে—এটা মানা যায় না। তিস্তা নিয়ে কোনো চুক্তি হয়নি, গঙ্গা নিয়ে চুক্তি চার বছর পর শেষ হবে, সেটা নিয়েও কোনো আলোচনা নেই। মেঘনা নদী নিয়ে ভারতের সঙ্গে যৌথ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে এখনই সরকারকে চাপ দেওয়া দরকার।
খালেকুজ্জামান বলেন, আকস্মিক বন্যা মূলত তিনটি কারণে হয়েছে। এর মধ্যে বৈশ্বিক কারণগুলো হলো—জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অতিবৃষ্টি এবং বৃষ্টিপাতের ধরনে পরিবর্তন, জেট তরঙ্গের গতি পরিবর্তন এবং ধীরগতি, সমুদ্রপৃষ্ঠ সমতলে উঠে আসার কারণে নদী নিষ্কাশনে শ্লথগতি। আন্তদেশীয় কারণ হলো—উজানের দেশ ভারত কর্তৃক একতরফাভাবে মেঘনা অববাহিকার আন্তদেশীয় ছোট-বড় ৪৬টি নদ-নদীর পানি ব্যবহার করে পানি-বিদ্যুৎকেন্দ্র ও সেচ প্রকল্প স্থাপন, উজানে বনাঞ্চল ধ্বংস এবং কয়লা ও অন্যান্য খনিজ দ্রব্য উত্তোলনের মাধ্যমে ভূমিরূপের ব্যাপক পরিবর্তন সাধন, যার ফলে অধিক পলিতে ভাটির নদীবক্ষ ভরাট হয়ে যাওয়া এবং ধারণক্ষমতা হ্রাস।
অভ্যন্তরীণ কারণগুলো হলো—পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনায় বেষ্টনী পদ্ধতির ব্যবহার, ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ, নদী দখল, যত্রতত্র বালু উত্তোলন, ভূমিরূপ ব্যবহারে পরিবর্তন সাধন, নদী ব্যবস্থাপনায় অদক্ষতা ও অনিয়ম।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, প্লাবনভূমি ধ্বংস করে উন্নয়ন বন্ধ করা উচিত। নদীর সঙ্গে প্লাবনকে বিচ্ছিন্ন রাখার ধারণাটি পশ্চিমাদের কাছ থেকে এসেছে। আমাদের দেশের নদীর ধরন, ঋতু সব মিলিয়ে এই ধারণা কার্যকর নয়।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন বিএনপি নেতা। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যায় বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার করার অভিযোগে গাজীপুর আদালতে এ মামলা করেছেন তিনি।
১২ আগস্ট ২০২৫লক্ষ্মীপুরে রামগতিতে নৌকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ফারুক হোসেন (৪০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন দুজন। এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন আরও দুজন। আজ মঙ্গলবার ভোরে জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারুক হোসেন মারা যান।
১২ আগস্ট ২০২৫দুই বছর আগে ফেনী পৌরসভার সুমাইয়া হোসেন আনিকা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সিং ও গ্রাফিক ডিজাইনের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। এরপর বিভিন্ন অনলাইন প্রতিষ্ঠানে চাকরির চেষ্টা করেও সফল হননি। এখন স্বামীর অনলাইন ব্যবসা দেখাশোনা করছেন। আনিকা বলেন, ‘প্রশিক্ষণ পেয়েছি, কিন্তু কাজের সুযোগ খুবই কম।’ আনিকার
১২ আগস্ট ২০২৫চট্টগ্রাম বন্দরে আন্দোলন দমাতে টাকা দাবির ভিডিও ভাইরালের পর এবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম নগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিনকে কেন্দ্র থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তাঁর লিখিত ব্যাখা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দলকে জানানো কথা বলা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫