নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর গুলশানের নিকেতন এলাকায় স্বামীর অফিসে ‘কাচের বোতল ভেঙে পেটে ঢুকিয়ে আত্মহত্যার’ ঘটনার তিন দিনেও মামলা হয়নি। তবে এ ঘটনায় নিহত মাহিমা খানম মুলানের (২০) স্বামী জুবায়ের হোসেন ও তাঁর এক নারী সহকর্মীকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
গত শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) রাত নয়টার দিকে নিকেতনে স্বামীর অফিসে গিয়ে তাঁকে না পেয়ে কাচের বোতল ভেঙে নিজের পেটে ঢুকিয়ে দেন মুলান। পরে খবর পেতে স্বামী জুবায়ের আহত অবস্থায় মুলানকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মুলানের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, স্বামীকে নিয়ে রাজধানীর উত্তরার পূর্বাচল রোডে বাবা-মায়ের সঙ্গেই থাকতেন মুলান। গত মে মাসে প্রেম করে বিয়ে করেন তাঁরা। মুন্সিগঞ্জের একটি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন মুলান। তিনি গৃহিণী ছিলেন। কয়েক মাস ধরে স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্য চলছিল। মুলানের গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায়। বাবা মো. মোজাফফল হোসেন। দুই বোনের মধ্যে মুলান বড়।
নিহতের স্বামী জুবায়ের নিকেতনের ডোপ প্রোডাকশনস হাউস নামের একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের সহকারী পরিচালক। স্বামী জুবায়েরের দাবি, তিন দিন আগেও ‘২১টি ঘুমের ট্যাবলেট’ খেয়েছিলেন মাহিমা, ‘ব্লেড দিয়ে নিজের হাতও’ কেটেছিলেন। তখন তাঁকে ঢাকা মেডিকেল থেকে চিকিৎসা করিয়ে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
সন্তান হারালেও মেয়ের জামাইয়ের প্রতি কোনো অভিযোগ নেই জানিয়ে নিহত মুলানের মা সুলতানা আক্তার মিম বলেন, ‘মেয়ের বিষয় নিয়ে বলার মতো কিছু হয়নি। আমরা কোনো মামলা করব না। আমি আমার মেয়ে হারিয়েছি, তাকে তো আর পাব না। মামলা করে কী হবে। আমার মেয়ের বিয়ে দিয়েছি। তারা আমার কাছে থাকত। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য হয়। এর বাইরে আর কিছু নেই। আমার মেয়ের জামাই (জুবায়ের) অনেক ভালো। তার প্রতি আমাদের কোনো অভিযোগ নেই। যা হওয়ার হয়েছে, এটা নিয়ে আর কথা বলতে চাই না।’
মামলা নয় বরং মেয়ের জামাইয়ের জামিনের চেষ্টা করছেন জানিয়ে সুলতানা আক্তার বলেন, ‘আমি তো মামলা করিনি। কিন্তু পুলিশ তাকে জেলে পাঠিয়েছে। আমি নিজেই আজ জুবায়েরের জামিনের জন্য গিয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ আর উকিলরা উল্টাপাল্টা লিখে রেখেছে। তাই জামিন হয়নি। আমরা জামিনের চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
মেয়েকে ডিভোর্স দেওয়ার বিষয়টি সঠিক কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা ছিল না। উকিলের মাধ্যমে লেখা আরজিতে এই তথ্যটা জেনেছি। উকিলেরা উল্টাপাল্টা লিখেছেন। এ বিষয়ে আমি আর কিছু বলতে চাই না।’
নিহতের মা যখন এই প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলছিলেন, তখন মুলানের বাবা ও ছোট বোন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলা ও তথ্য দেওয়ায় বাধা দিচ্ছিলেন। একপর্যায়ে মোবাইলের সংযোগ কেটে দেন সুলতানা আক্তার।
মুলান নিহতের ঘটনাটি তদন্ত করছেন গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহিন মোল্লা। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিকেতনে একটি অফিসে তরুণী নিহতের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা হলেন নিহতের স্বামী জুবায়ের ও তাঁর এক নারী সহকর্মী। এখন পর্যন্ত নিহতের পরিবার মামলা করেনি। তাদের বলা হয়েছে থানায় আসতে, কিন্তু তারা আসেনি।’
মামলা না হলেও দুজনকে গ্রেপ্তারের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত মামলা না হলেও দুজনকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্যই তাদের গ্রেপ্তার করা। আর এটা আত্মহত্যা, নাকি অন্য কিছু, সে বিষয়ে এখনই কিছু বলতে চাই না। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে বিস্তারিত বলা যাবে।’
রাজধানীর গুলশানের নিকেতন এলাকায় স্বামীর অফিসে ‘কাচের বোতল ভেঙে পেটে ঢুকিয়ে আত্মহত্যার’ ঘটনার তিন দিনেও মামলা হয়নি। তবে এ ঘটনায় নিহত মাহিমা খানম মুলানের (২০) স্বামী জুবায়ের হোসেন ও তাঁর এক নারী সহকর্মীকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
গত শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) রাত নয়টার দিকে নিকেতনে স্বামীর অফিসে গিয়ে তাঁকে না পেয়ে কাচের বোতল ভেঙে নিজের পেটে ঢুকিয়ে দেন মুলান। পরে খবর পেতে স্বামী জুবায়ের আহত অবস্থায় মুলানকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মুলানের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, স্বামীকে নিয়ে রাজধানীর উত্তরার পূর্বাচল রোডে বাবা-মায়ের সঙ্গেই থাকতেন মুলান। গত মে মাসে প্রেম করে বিয়ে করেন তাঁরা। মুন্সিগঞ্জের একটি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন মুলান। তিনি গৃহিণী ছিলেন। কয়েক মাস ধরে স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্য চলছিল। মুলানের গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায়। বাবা মো. মোজাফফল হোসেন। দুই বোনের মধ্যে মুলান বড়।
নিহতের স্বামী জুবায়ের নিকেতনের ডোপ প্রোডাকশনস হাউস নামের একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের সহকারী পরিচালক। স্বামী জুবায়েরের দাবি, তিন দিন আগেও ‘২১টি ঘুমের ট্যাবলেট’ খেয়েছিলেন মাহিমা, ‘ব্লেড দিয়ে নিজের হাতও’ কেটেছিলেন। তখন তাঁকে ঢাকা মেডিকেল থেকে চিকিৎসা করিয়ে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
সন্তান হারালেও মেয়ের জামাইয়ের প্রতি কোনো অভিযোগ নেই জানিয়ে নিহত মুলানের মা সুলতানা আক্তার মিম বলেন, ‘মেয়ের বিষয় নিয়ে বলার মতো কিছু হয়নি। আমরা কোনো মামলা করব না। আমি আমার মেয়ে হারিয়েছি, তাকে তো আর পাব না। মামলা করে কী হবে। আমার মেয়ের বিয়ে দিয়েছি। তারা আমার কাছে থাকত। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য হয়। এর বাইরে আর কিছু নেই। আমার মেয়ের জামাই (জুবায়ের) অনেক ভালো। তার প্রতি আমাদের কোনো অভিযোগ নেই। যা হওয়ার হয়েছে, এটা নিয়ে আর কথা বলতে চাই না।’
মামলা নয় বরং মেয়ের জামাইয়ের জামিনের চেষ্টা করছেন জানিয়ে সুলতানা আক্তার বলেন, ‘আমি তো মামলা করিনি। কিন্তু পুলিশ তাকে জেলে পাঠিয়েছে। আমি নিজেই আজ জুবায়েরের জামিনের জন্য গিয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ আর উকিলরা উল্টাপাল্টা লিখে রেখেছে। তাই জামিন হয়নি। আমরা জামিনের চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
মেয়েকে ডিভোর্স দেওয়ার বিষয়টি সঠিক কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা ছিল না। উকিলের মাধ্যমে লেখা আরজিতে এই তথ্যটা জেনেছি। উকিলেরা উল্টাপাল্টা লিখেছেন। এ বিষয়ে আমি আর কিছু বলতে চাই না।’
নিহতের মা যখন এই প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলছিলেন, তখন মুলানের বাবা ও ছোট বোন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলা ও তথ্য দেওয়ায় বাধা দিচ্ছিলেন। একপর্যায়ে মোবাইলের সংযোগ কেটে দেন সুলতানা আক্তার।
মুলান নিহতের ঘটনাটি তদন্ত করছেন গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহিন মোল্লা। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিকেতনে একটি অফিসে তরুণী নিহতের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা হলেন নিহতের স্বামী জুবায়ের ও তাঁর এক নারী সহকর্মী। এখন পর্যন্ত নিহতের পরিবার মামলা করেনি। তাদের বলা হয়েছে থানায় আসতে, কিন্তু তারা আসেনি।’
মামলা না হলেও দুজনকে গ্রেপ্তারের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত মামলা না হলেও দুজনকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্যই তাদের গ্রেপ্তার করা। আর এটা আত্মহত্যা, নাকি অন্য কিছু, সে বিষয়ে এখনই কিছু বলতে চাই না। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে বিস্তারিত বলা যাবে।’
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন বিএনপি নেতা। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যায় বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার করার অভিযোগে গাজীপুর আদালতে এ মামলা করেছেন তিনি।
২১ দিন আগেলক্ষ্মীপুরে রামগতিতে নৌকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ফারুক হোসেন (৪০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন দুজন। এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন আরও দুজন। আজ মঙ্গলবার ভোরে জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারুক হোসেন মারা যান।
২১ দিন আগেদুই বছর আগে ফেনী পৌরসভার সুমাইয়া হোসেন আনিকা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সিং ও গ্রাফিক ডিজাইনের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। এরপর বিভিন্ন অনলাইন প্রতিষ্ঠানে চাকরির চেষ্টা করেও সফল হননি। এখন স্বামীর অনলাইন ব্যবসা দেখাশোনা করছেন। আনিকা বলেন, ‘প্রশিক্ষণ পেয়েছি, কিন্তু কাজের সুযোগ খুবই কম।’ আনিকার
২১ দিন আগেচট্টগ্রাম বন্দরে আন্দোলন দমাতে টাকা দাবির ভিডিও ভাইরালের পর এবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম নগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিনকে কেন্দ্র থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তাঁর লিখিত ব্যাখা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দলকে জানানো কথা বলা হয়েছে।
২১ দিন আগে