চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি মাত্র কয়েক দিন। ইতিমধ্যে জমে উঠছে কুমিল্লা-১১ আসনের নির্বাচনী প্রচারণা। তবে আলোচনায় রয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মুজিবুল হক মুজিব এবং তাঁরই একসময়ের শিষ্য চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার দুবারের সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান (স্বতন্ত্র)। প্রতীক পাওয়ার পরই গুরু-শিষ্য দুজনেই জোরেশোরে নেমে পড়েছেন প্রচারণায়। বলাই চলে, তাঁদের লড়াইটা বেশ হাড্ডা-হাড্ডি হতে চলেছে।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নিয়ে গঠিত কুমিল্লা-১১ আসন। গুরুত্বপূর্ণ এই আসন টানা দুই মেয়াদে ছিল আওয়ামী লীগের দখলে। মুজিবুল হক মুজিব কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য। এবারও তিনি আসবেন, নাকি নতুন কেউ এই কান্ডারি হবেন, তা নিয়ে দ্বিধায় রয়েছেন সাধারণ ভোটাররা। এ আসনে মনোনয়ন বৈধ হওয়া আরও পাঁচ প্রার্থী—জাতীয় পার্টির মোস্তফা কামাল, ইসলামী ঐক্যজোটের মুফতি খোরশেদ আলম, গণফোরামের আবদুর রহমান জাহাঙ্গীর, বিএনএফের জসিম উদ্দিন ও স্বতন্ত্র মো. নিজাম উদ্দিন।
মুজিবুল হক মুজিব ১৯৮৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত অষ্টমবার আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। ১৯৯৬ সালে প্রথম নির্বাচনে জয়লাভ করেন। নির্বাচিত হয়ে তিনি জাতীয় সংসদের হুইপ মনোনীত হন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তিনি আবারও নির্বাচিত হয়ে জাতীয় সংসদের হুইপ হয়েছেন। ২০১২ সালে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হন তিনি। ২০১৮ সালের মন্ত্রী সভাতেও তিনি একই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। মুজিবুল হককে বলা হয় রাজনীতির গুরু। শুধু চৌদ্দগ্রাম নয়, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলায় বর্তমানে যাঁরা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে রয়েছেন, তাঁদের অধিকাংশই তাঁর শিষ্য।
মুজিবুল হক গতকাল সোমবার বিকেলে চৌদ্দগ্রাম পৌর এলাকায় নির্বাচনীয় সভার মাধ্যমে তাঁর প্রচারণা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। আর মিজানুর রহমান ফুলকপি প্রতীক নিয়ে সন্ধ্যায় কাশিনগর ইউনিয়নে গণসংযোগের মাধ্যমে নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করেন। সন্ধ্যায় দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে নির্বাচনের দায়িত্বে নিয়োজিত থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তমালিকা পালের নেতৃত্বে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
গতকাল বিকেলে নির্বাচনী জনসভায় গুরু মুজিবুল হক নাম উচ্চারণ না করেই মিজানুর রহমানের উদ্দেশে করে বলেন, ‘যারা এই আসনে আমার বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছে, তারা আমার সঙ্গে বেয়াদবি করছে। তারা হয়তো জানে না ওস্তাদ কী করতে পারে। আমি আমার সাগরেদকে সবকিছু শেখালেও শেষ পন্থা শিখাই নাই। তাদের এ বেয়াদবির জবাব আগামী ৭ জানুয়ারি চৌদ্দগ্রামের ভোটাররা ব্যালটের মাধ্যমে দেবে।’
মুজিবুল হকের বক্তব্যে মিজানুর রহমান পাল্টা জবাব দেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নির্বাচন একটি গণতান্ত্রিক অধিকার। যে কেউ বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারে। এ ছাড়াও নির্বাচনকে অর্থবহ ও উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি করতে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বতন্ত্রদের নির্বাচনে দাঁড়াতে নির্দেশ দিয়েছেন। এতে আমি বেয়াদবির কিছুই দেখছি না।’
এদিকে গুরু-শিষ্যের লড়াইয়ের দিকে তাকিয়ে আছে চৌদ্দগ্রামের মানুষ। কথা হয়, জানে আলম তরুণ এক ভোটারের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমি ২০১৮ সালে ভোটার হয়েছি। প্রথম ভোটার হয়ে ভোট দিতে পারি নাই। প্রধানমন্ত্রী ও নির্বাচন কমিশনারের ঘোষণা অনুযায়ী আশা করি এবার কেন্দ্রে গিয়ে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারব।’
গুরু-শিষ্যের লড়াই সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘একসময় মেয়র মিজানুর রহমান মুজিবুল হকের কর্মী ছিলেন। আজকে তাঁরা একে অপরের প্রতিপক্ষ হয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আশা করি একটি উৎসবমুখর নির্বাচন এই আসনে অনুষ্ঠিত হবে।’
সাঈদুর রহমান নামে আরেক তরুণ বলেন, চৌদ্দগ্রামে একটি জমজমাট নির্বাচন হবে। কারণ, নির্বাচনে রয়েছেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও রাজনীতিতে গুরুখ্যাত মুজিবুল হক। তাঁর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাঁরই শিষ্য মিজানুর রহমান।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি মাত্র কয়েক দিন। ইতিমধ্যে জমে উঠছে কুমিল্লা-১১ আসনের নির্বাচনী প্রচারণা। তবে আলোচনায় রয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মুজিবুল হক মুজিব এবং তাঁরই একসময়ের শিষ্য চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার দুবারের সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান (স্বতন্ত্র)। প্রতীক পাওয়ার পরই গুরু-শিষ্য দুজনেই জোরেশোরে নেমে পড়েছেন প্রচারণায়। বলাই চলে, তাঁদের লড়াইটা বেশ হাড্ডা-হাড্ডি হতে চলেছে।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নিয়ে গঠিত কুমিল্লা-১১ আসন। গুরুত্বপূর্ণ এই আসন টানা দুই মেয়াদে ছিল আওয়ামী লীগের দখলে। মুজিবুল হক মুজিব কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য। এবারও তিনি আসবেন, নাকি নতুন কেউ এই কান্ডারি হবেন, তা নিয়ে দ্বিধায় রয়েছেন সাধারণ ভোটাররা। এ আসনে মনোনয়ন বৈধ হওয়া আরও পাঁচ প্রার্থী—জাতীয় পার্টির মোস্তফা কামাল, ইসলামী ঐক্যজোটের মুফতি খোরশেদ আলম, গণফোরামের আবদুর রহমান জাহাঙ্গীর, বিএনএফের জসিম উদ্দিন ও স্বতন্ত্র মো. নিজাম উদ্দিন।
মুজিবুল হক মুজিব ১৯৮৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত অষ্টমবার আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। ১৯৯৬ সালে প্রথম নির্বাচনে জয়লাভ করেন। নির্বাচিত হয়ে তিনি জাতীয় সংসদের হুইপ মনোনীত হন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তিনি আবারও নির্বাচিত হয়ে জাতীয় সংসদের হুইপ হয়েছেন। ২০১২ সালে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হন তিনি। ২০১৮ সালের মন্ত্রী সভাতেও তিনি একই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। মুজিবুল হককে বলা হয় রাজনীতির গুরু। শুধু চৌদ্দগ্রাম নয়, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলায় বর্তমানে যাঁরা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে রয়েছেন, তাঁদের অধিকাংশই তাঁর শিষ্য।
মুজিবুল হক গতকাল সোমবার বিকেলে চৌদ্দগ্রাম পৌর এলাকায় নির্বাচনীয় সভার মাধ্যমে তাঁর প্রচারণা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। আর মিজানুর রহমান ফুলকপি প্রতীক নিয়ে সন্ধ্যায় কাশিনগর ইউনিয়নে গণসংযোগের মাধ্যমে নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করেন। সন্ধ্যায় দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে নির্বাচনের দায়িত্বে নিয়োজিত থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তমালিকা পালের নেতৃত্বে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
গতকাল বিকেলে নির্বাচনী জনসভায় গুরু মুজিবুল হক নাম উচ্চারণ না করেই মিজানুর রহমানের উদ্দেশে করে বলেন, ‘যারা এই আসনে আমার বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছে, তারা আমার সঙ্গে বেয়াদবি করছে। তারা হয়তো জানে না ওস্তাদ কী করতে পারে। আমি আমার সাগরেদকে সবকিছু শেখালেও শেষ পন্থা শিখাই নাই। তাদের এ বেয়াদবির জবাব আগামী ৭ জানুয়ারি চৌদ্দগ্রামের ভোটাররা ব্যালটের মাধ্যমে দেবে।’
মুজিবুল হকের বক্তব্যে মিজানুর রহমান পাল্টা জবাব দেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নির্বাচন একটি গণতান্ত্রিক অধিকার। যে কেউ বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারে। এ ছাড়াও নির্বাচনকে অর্থবহ ও উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি করতে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বতন্ত্রদের নির্বাচনে দাঁড়াতে নির্দেশ দিয়েছেন। এতে আমি বেয়াদবির কিছুই দেখছি না।’
এদিকে গুরু-শিষ্যের লড়াইয়ের দিকে তাকিয়ে আছে চৌদ্দগ্রামের মানুষ। কথা হয়, জানে আলম তরুণ এক ভোটারের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমি ২০১৮ সালে ভোটার হয়েছি। প্রথম ভোটার হয়ে ভোট দিতে পারি নাই। প্রধানমন্ত্রী ও নির্বাচন কমিশনারের ঘোষণা অনুযায়ী আশা করি এবার কেন্দ্রে গিয়ে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারব।’
গুরু-শিষ্যের লড়াই সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘একসময় মেয়র মিজানুর রহমান মুজিবুল হকের কর্মী ছিলেন। আজকে তাঁরা একে অপরের প্রতিপক্ষ হয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আশা করি একটি উৎসবমুখর নির্বাচন এই আসনে অনুষ্ঠিত হবে।’
সাঈদুর রহমান নামে আরেক তরুণ বলেন, চৌদ্দগ্রামে একটি জমজমাট নির্বাচন হবে। কারণ, নির্বাচনে রয়েছেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও রাজনীতিতে গুরুখ্যাত মুজিবুল হক। তাঁর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাঁরই শিষ্য মিজানুর রহমান।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন বিএনপি নেতা। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যায় বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার করার অভিযোগে গাজীপুর আদালতে এ মামলা করেছেন তিনি।
২৪ দিন আগেলক্ষ্মীপুরে রামগতিতে নৌকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ফারুক হোসেন (৪০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন দুজন। এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন আরও দুজন। আজ মঙ্গলবার ভোরে জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারুক হোসেন মারা যান।
২৪ দিন আগেদুই বছর আগে ফেনী পৌরসভার সুমাইয়া হোসেন আনিকা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সিং ও গ্রাফিক ডিজাইনের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। এরপর বিভিন্ন অনলাইন প্রতিষ্ঠানে চাকরির চেষ্টা করেও সফল হননি। এখন স্বামীর অনলাইন ব্যবসা দেখাশোনা করছেন। আনিকা বলেন, ‘প্রশিক্ষণ পেয়েছি, কিন্তু কাজের সুযোগ খুবই কম।’ আনিকার
২৪ দিন আগেচট্টগ্রাম বন্দরে আন্দোলন দমাতে টাকা দাবির ভিডিও ভাইরালের পর এবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম নগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিনকে কেন্দ্র থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তাঁর লিখিত ব্যাখা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দলকে জানানো কথা বলা হয়েছে।
২৪ দিন আগে