কুমিল্লা প্রতিনিধি
কুমিল্লা নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল ও তাঁর সহযোগী হরিপদ সাহা হত্যার এক মাস আট দিন পার হলেও হত্যার মূল কারণ ও পরিকল্পনাকারীদের শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। এ হত্যার মূল পরিকল্পনাকারীরা পার পেয়ে যাবে, তাঁদের শনাক্ত নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। এমন অভিযোগ নিহতদের পরিবারের সদস্যদের। মূল পরিকল্পনাকারীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য প্রায় বিক্ষোভ মিছিল মানববন্ধন করছে এলাকাবাসী। তবে পুলিশ বলছে অল্প সময়ে মামলা অনেক দূর এগিয়েছে।
এ হত্যা মামলায় সবশেষ ১৭ ডিসেম্বর খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া মামলার চার আসামির পাঁচ দিনের রিমান্ড হয়েছিল। রিমান্ডে তাঁরা অর্থ জোগান দাতাদের নাম বলেছিল। সে নাম গুলো যাচাই-বাছাই করছে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, কাউন্সিলর সোহেলসহ জোড়া খুনের মামলার ৬ নম্বর আসামি আশিকুর রহমান রকি, ৭ নম্বর আসামি মো. আলম, ৯ নম্বর আসামি মো. মাসুম ও ৮ নম্বর আসামি মো. জিসান মিয়ার পাঁচ দিনের রিমান্ড কিলিং মিশনে ব্যবহৃত অস্ত্র সংগ্রহের তথ্য ও অর্থ জোগানদাতাদের নাম বলেছে।
এর আগের রিমান্ডে মো. এমরান হোসেন ওরফে রিশাত (২৩) কিলিং মিশনে ব্যবহৃত অস্ত্র সংগ্রহের তথ্য দিয়েছে। কিলিং মিশনে অংশ নেওয়াসহ হিট স্কোয়াডে থাকা অন্যান্যদের নাম প্রকাশ করেছে। এ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি নগরীর তেলিকোনার আনোয়ার হোসেনের ছেলে আশিকুর রহমান রকি, ১৬ নম্বর ওয়ার্ড সুজানগর বউ বাজার এলাকার জানু মিয়ার ছেলে মো. আলম, সংরাইশ বেকারির গলির মনজিল মিয়ার ছেলে মাসুম, সুজানগর পূর্ব পাড়ার নূর আলীর ছেলে জিসান মিয়ার কাছ থেকে পুলিশ রিমান্ডে অনেক তথ্য দিয়েছে।
মামলার বাদী নিহতদের কাউন্সিলর সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ রোমন বলেন, হত্যার পর পর পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতা ও তাঁদের পদক্ষেপে আমরা খুশি তবে এখনো হত্যার মূল পরিকল্পনাকারীরা শনাক্ত না হওয়া আমরা হতাশায় রয়েছি। মূল পরিকল্পনাকারীদের সহসাই শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।
১৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন ভূঁইয়া বলেন, স্বাধীনতার পর এ ওয়ার্ডে এত উন্নয়ন কেউ করেননি। তাই তার জনপ্রিয়তায় বারবার কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁকে সরিয়ে এ স্থান দখল করতে একটি চক্র এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়। তাঁদের খুঁজে বের করার দাবি জানাচ্ছি।
১৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হানিফ মিয়া বলেন, মাদকসেবীদের কাছে এত অত্যাধুনিক অস্ত্র কে কিনে দিয়েছেন। এ অস্ত্র কিনতে কে অর্থ জোগান দিয়েছে তাঁদের খুঁজে বের করতে হবে। তাঁরা এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে। এই গডফাদাররা এ ওয়ার্ডে কাউন্সিলরসহ আরও তিনজনকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল।
সহযোগীসহ কাউন্সিলর হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মঞ্জুর কাদের ভূইয়া বলেন, এ মামলাটি খুব অল্প সময়ে অনেক দূর এগিয়েছে। সপ্তাহখানিকের মধ্যে সব আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে। অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। আদালতে জবানবন্দি করা হয়েছে। আসামিদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অধিকতর যাচাই-বাছাই চলছে। বিশেষজ্ঞ দ্বারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। এসব শেষ হলে হত্যার মূল কারণ বের হয়ে আসবে ও পরিকল্পনাকারীদের বের করা হবে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সত্যজিৎ বড়ুয়া বলেন, কাউন্সিলরসহ জোড়া খুনের মামলাটির তদন্ত অনেকটা এগিয়েছে। অনেক তথ্য পাওয়া গেছে। আরও তদন্ত চলছে।
কাউন্সিলরসহ জোড়া খুনের ঘটনায় দায়ের করা মামলার এজাহারনামীয় প্রধান আসামি শাহ আলম ২ ডিসেম্বর গভীর রাতে এবং এর আগে ৩০ নভেম্বর গভীর রাতে ৩ নম্বর আসামি সাব্বির হোসেন ও ৫ নম্বর আসামি সাজন পুলিশের সঙ্গে পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন।
উল্লেখ্য, ২২ নভেম্বর বিকেলে নগরীর পাথুরিয়াপাড়া এলাকায় কাউন্সিলরের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে অবস্থানকালে কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল ও তাঁর সহযোগী হরিপদ সাহাকে গুলি করে হত্যা করে মুখোশ পরিহিত সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই সৈয়দ মো. রুমন বাদী হয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৮ থেকে ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
কুমিল্লা নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল ও তাঁর সহযোগী হরিপদ সাহা হত্যার এক মাস আট দিন পার হলেও হত্যার মূল কারণ ও পরিকল্পনাকারীদের শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। এ হত্যার মূল পরিকল্পনাকারীরা পার পেয়ে যাবে, তাঁদের শনাক্ত নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। এমন অভিযোগ নিহতদের পরিবারের সদস্যদের। মূল পরিকল্পনাকারীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য প্রায় বিক্ষোভ মিছিল মানববন্ধন করছে এলাকাবাসী। তবে পুলিশ বলছে অল্প সময়ে মামলা অনেক দূর এগিয়েছে।
এ হত্যা মামলায় সবশেষ ১৭ ডিসেম্বর খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া মামলার চার আসামির পাঁচ দিনের রিমান্ড হয়েছিল। রিমান্ডে তাঁরা অর্থ জোগান দাতাদের নাম বলেছিল। সে নাম গুলো যাচাই-বাছাই করছে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, কাউন্সিলর সোহেলসহ জোড়া খুনের মামলার ৬ নম্বর আসামি আশিকুর রহমান রকি, ৭ নম্বর আসামি মো. আলম, ৯ নম্বর আসামি মো. মাসুম ও ৮ নম্বর আসামি মো. জিসান মিয়ার পাঁচ দিনের রিমান্ড কিলিং মিশনে ব্যবহৃত অস্ত্র সংগ্রহের তথ্য ও অর্থ জোগানদাতাদের নাম বলেছে।
এর আগের রিমান্ডে মো. এমরান হোসেন ওরফে রিশাত (২৩) কিলিং মিশনে ব্যবহৃত অস্ত্র সংগ্রহের তথ্য দিয়েছে। কিলিং মিশনে অংশ নেওয়াসহ হিট স্কোয়াডে থাকা অন্যান্যদের নাম প্রকাশ করেছে। এ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি নগরীর তেলিকোনার আনোয়ার হোসেনের ছেলে আশিকুর রহমান রকি, ১৬ নম্বর ওয়ার্ড সুজানগর বউ বাজার এলাকার জানু মিয়ার ছেলে মো. আলম, সংরাইশ বেকারির গলির মনজিল মিয়ার ছেলে মাসুম, সুজানগর পূর্ব পাড়ার নূর আলীর ছেলে জিসান মিয়ার কাছ থেকে পুলিশ রিমান্ডে অনেক তথ্য দিয়েছে।
মামলার বাদী নিহতদের কাউন্সিলর সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ রোমন বলেন, হত্যার পর পর পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতা ও তাঁদের পদক্ষেপে আমরা খুশি তবে এখনো হত্যার মূল পরিকল্পনাকারীরা শনাক্ত না হওয়া আমরা হতাশায় রয়েছি। মূল পরিকল্পনাকারীদের সহসাই শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।
১৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন ভূঁইয়া বলেন, স্বাধীনতার পর এ ওয়ার্ডে এত উন্নয়ন কেউ করেননি। তাই তার জনপ্রিয়তায় বারবার কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁকে সরিয়ে এ স্থান দখল করতে একটি চক্র এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়। তাঁদের খুঁজে বের করার দাবি জানাচ্ছি।
১৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হানিফ মিয়া বলেন, মাদকসেবীদের কাছে এত অত্যাধুনিক অস্ত্র কে কিনে দিয়েছেন। এ অস্ত্র কিনতে কে অর্থ জোগান দিয়েছে তাঁদের খুঁজে বের করতে হবে। তাঁরা এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে। এই গডফাদাররা এ ওয়ার্ডে কাউন্সিলরসহ আরও তিনজনকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল।
সহযোগীসহ কাউন্সিলর হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মঞ্জুর কাদের ভূইয়া বলেন, এ মামলাটি খুব অল্প সময়ে অনেক দূর এগিয়েছে। সপ্তাহখানিকের মধ্যে সব আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে। অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। আদালতে জবানবন্দি করা হয়েছে। আসামিদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অধিকতর যাচাই-বাছাই চলছে। বিশেষজ্ঞ দ্বারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। এসব শেষ হলে হত্যার মূল কারণ বের হয়ে আসবে ও পরিকল্পনাকারীদের বের করা হবে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সত্যজিৎ বড়ুয়া বলেন, কাউন্সিলরসহ জোড়া খুনের মামলাটির তদন্ত অনেকটা এগিয়েছে। অনেক তথ্য পাওয়া গেছে। আরও তদন্ত চলছে।
কাউন্সিলরসহ জোড়া খুনের ঘটনায় দায়ের করা মামলার এজাহারনামীয় প্রধান আসামি শাহ আলম ২ ডিসেম্বর গভীর রাতে এবং এর আগে ৩০ নভেম্বর গভীর রাতে ৩ নম্বর আসামি সাব্বির হোসেন ও ৫ নম্বর আসামি সাজন পুলিশের সঙ্গে পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন।
উল্লেখ্য, ২২ নভেম্বর বিকেলে নগরীর পাথুরিয়াপাড়া এলাকায় কাউন্সিলরের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে অবস্থানকালে কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল ও তাঁর সহযোগী হরিপদ সাহাকে গুলি করে হত্যা করে মুখোশ পরিহিত সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই সৈয়দ মো. রুমন বাদী হয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৮ থেকে ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন বিএনপি নেতা। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যায় বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার করার অভিযোগে গাজীপুর আদালতে এ মামলা করেছেন তিনি।
১২ আগস্ট ২০২৫লক্ষ্মীপুরে রামগতিতে নৌকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ফারুক হোসেন (৪০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন দুজন। এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন আরও দুজন। আজ মঙ্গলবার ভোরে জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারুক হোসেন মারা যান।
১২ আগস্ট ২০২৫দুই বছর আগে ফেনী পৌরসভার সুমাইয়া হোসেন আনিকা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সিং ও গ্রাফিক ডিজাইনের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। এরপর বিভিন্ন অনলাইন প্রতিষ্ঠানে চাকরির চেষ্টা করেও সফল হননি। এখন স্বামীর অনলাইন ব্যবসা দেখাশোনা করছেন। আনিকা বলেন, ‘প্রশিক্ষণ পেয়েছি, কিন্তু কাজের সুযোগ খুবই কম।’ আনিকার
১২ আগস্ট ২০২৫চট্টগ্রাম বন্দরে আন্দোলন দমাতে টাকা দাবির ভিডিও ভাইরালের পর এবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম নগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিনকে কেন্দ্র থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তাঁর লিখিত ব্যাখা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দলকে জানানো কথা বলা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫