চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
খালের পাড়ে গাছ-বাঁশের খুঁটি ও পলিথিনের চালের বাড়িতে কালাবাসি জলদাশ (৮১) ও বাসন্তী দাশ (৭০) দম্পতির বসবাস। এক বছর আগে ছোট ছেলে রাজকুমার জলদাশ ধারদেনা ও ঋণ নিয়ে ঘরটি নির্মাণ করেন। ঘূর্ণিঝড় হামুনের ঝোড়ো বাতাসে ঘরটি বিধ্বস্ত হয়েছে। হাঁড়িপাতিল, আসবার পত্রসহ বেশির ভাগ জিনিসপত্র খালের জোয়ারে ভেসে গেছে।
কক্সবাজারের চকরিয়ার খোজাখালী জলদাশ পাড়ায় কুতুবখালী খালের পাড়ে এ দম্পতির বাড়ি।
কালাবাসির জীবনের বেশির ভাগ সময় কেটেছে গ্রামের জলদাশ পাড়ার পৈতৃক বাড়িতে। তার পাঁচ ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে সবার ছোট রাজকুমার মিস্ত্রির কাজ করতেন, কাজ হারিয়ে এখন বাড়িতে থাকেন। মাঝেমধ্যে বাড়ির পাশে খালে মাছ ধরেন। যা আয় হয়, তা দিয়ে কোনো রকমে চলেন।
সরেজমিন দেখা গেছে, কৈয়ারবিল খোজাখালী জলদাশপাড়ায় কুতুবখালী খালের পাড়ে বিধ্বস্ত বাড়িটি। গাছ-বাঁশের খুঁটি ও পলিথিন চালের ঘরটি মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। বাসন্তী দাশ বাড়ির ঘূর্ণিঝড় হামুনের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হওয়া জিনিসপত্র খুঁজছেন।
বাসন্তী দাশ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ছোট ছেলে রাজকুমার আমাদের জন্য গত বছর বৈশাখের আগে ধারদেনা ও ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে দেড় লাখ টাকা খরচে করে খালের পাড়ে ঘরটি নির্মাণ করেন। গ্রামীণ ব্যাংক থেকে ৩০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিল। তাও এখন পরিশোধ করতে পারিনি। অনেক কষ্টের তৈরি ঘরে আমাদের নিয়ে রাজকুমার, তাঁর স্ত্রী ও এক নাতি বসবাস করছি। আবার ঘর আর করতে পারব কী না জানি না। ঘূর্ণিঝড় হামুন আমাদের শেষ করে পথে বসিয়েছে। তিন দিন ধরে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছি।’
বাসন্তী দাশ শাড়ির আঁচলে চোখ মুছে আবারও বলতে শুরু করেন, ‘আমার অন্য সন্তানদের আর্থিক অবস্থা ভালো না। তাঁরা দিনমজুর করে সংসার চালাচ্ছে। এখন আমাদের ঘর তুলতে কীভাবে সহযোগিতা করবে। ছোট ছেলে রাজকুমার মিস্ত্রির কাজ করতেন, কাজ হারিয়ে এখন বাড়িতে থাকেন। মাঝেমধ্যে বাড়ির পাশে খালে মাছ ধরেন। তা দিয়ে কোনো রকমে চলি।’
তিনি বলেন, ‘তিন দিন ধরে চুলায় আগুন জ্বলেনি। ঘর ভেঙে মাটির সঙ্গে মিশে যাওয়ার পর মুখে একমুঠো দানা তোলেনি। বাড়ির সব হাঁড়িপাতিল, আসবার পত্রসহ বেশির ভাগ জিনিসপত্র খালের জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে। বৃদ্ধ স্বামী ও সন্তানের পরিবার নিয়ে মাথা গোঁজার ঠাঁই কোথায় পাব ভেসে পাচ্ছি না।’
স্থানীয় সমাজসেবক মশিউর রহমান রিপন ও আসাদুজ্জামান বাপ্পী বলেন, ‘খালের পাড়ে কালাবাসি দাশ ও বাসন্তীর এক ছেলের পরিবার থাকেন। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় হামুনের ঝোড়ো বাতাসে তাঁদের বাড়িটি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। আমরা এলাকাবাসী পরিবারটির পাশে দাঁড়াব।’
এ বিষয়ে চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাহাত উজ জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। বেশি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে বরাদ্দ আসলে সহযোগিতা করা হবে।’
খালের পাড়ে গাছ-বাঁশের খুঁটি ও পলিথিনের চালের বাড়িতে কালাবাসি জলদাশ (৮১) ও বাসন্তী দাশ (৭০) দম্পতির বসবাস। এক বছর আগে ছোট ছেলে রাজকুমার জলদাশ ধারদেনা ও ঋণ নিয়ে ঘরটি নির্মাণ করেন। ঘূর্ণিঝড় হামুনের ঝোড়ো বাতাসে ঘরটি বিধ্বস্ত হয়েছে। হাঁড়িপাতিল, আসবার পত্রসহ বেশির ভাগ জিনিসপত্র খালের জোয়ারে ভেসে গেছে।
কক্সবাজারের চকরিয়ার খোজাখালী জলদাশ পাড়ায় কুতুবখালী খালের পাড়ে এ দম্পতির বাড়ি।
কালাবাসির জীবনের বেশির ভাগ সময় কেটেছে গ্রামের জলদাশ পাড়ার পৈতৃক বাড়িতে। তার পাঁচ ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে সবার ছোট রাজকুমার মিস্ত্রির কাজ করতেন, কাজ হারিয়ে এখন বাড়িতে থাকেন। মাঝেমধ্যে বাড়ির পাশে খালে মাছ ধরেন। যা আয় হয়, তা দিয়ে কোনো রকমে চলেন।
সরেজমিন দেখা গেছে, কৈয়ারবিল খোজাখালী জলদাশপাড়ায় কুতুবখালী খালের পাড়ে বিধ্বস্ত বাড়িটি। গাছ-বাঁশের খুঁটি ও পলিথিন চালের ঘরটি মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। বাসন্তী দাশ বাড়ির ঘূর্ণিঝড় হামুনের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হওয়া জিনিসপত্র খুঁজছেন।
বাসন্তী দাশ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ছোট ছেলে রাজকুমার আমাদের জন্য গত বছর বৈশাখের আগে ধারদেনা ও ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে দেড় লাখ টাকা খরচে করে খালের পাড়ে ঘরটি নির্মাণ করেন। গ্রামীণ ব্যাংক থেকে ৩০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিল। তাও এখন পরিশোধ করতে পারিনি। অনেক কষ্টের তৈরি ঘরে আমাদের নিয়ে রাজকুমার, তাঁর স্ত্রী ও এক নাতি বসবাস করছি। আবার ঘর আর করতে পারব কী না জানি না। ঘূর্ণিঝড় হামুন আমাদের শেষ করে পথে বসিয়েছে। তিন দিন ধরে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছি।’
বাসন্তী দাশ শাড়ির আঁচলে চোখ মুছে আবারও বলতে শুরু করেন, ‘আমার অন্য সন্তানদের আর্থিক অবস্থা ভালো না। তাঁরা দিনমজুর করে সংসার চালাচ্ছে। এখন আমাদের ঘর তুলতে কীভাবে সহযোগিতা করবে। ছোট ছেলে রাজকুমার মিস্ত্রির কাজ করতেন, কাজ হারিয়ে এখন বাড়িতে থাকেন। মাঝেমধ্যে বাড়ির পাশে খালে মাছ ধরেন। তা দিয়ে কোনো রকমে চলি।’
তিনি বলেন, ‘তিন দিন ধরে চুলায় আগুন জ্বলেনি। ঘর ভেঙে মাটির সঙ্গে মিশে যাওয়ার পর মুখে একমুঠো দানা তোলেনি। বাড়ির সব হাঁড়িপাতিল, আসবার পত্রসহ বেশির ভাগ জিনিসপত্র খালের জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে। বৃদ্ধ স্বামী ও সন্তানের পরিবার নিয়ে মাথা গোঁজার ঠাঁই কোথায় পাব ভেসে পাচ্ছি না।’
স্থানীয় সমাজসেবক মশিউর রহমান রিপন ও আসাদুজ্জামান বাপ্পী বলেন, ‘খালের পাড়ে কালাবাসি দাশ ও বাসন্তীর এক ছেলের পরিবার থাকেন। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় হামুনের ঝোড়ো বাতাসে তাঁদের বাড়িটি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। আমরা এলাকাবাসী পরিবারটির পাশে দাঁড়াব।’
এ বিষয়ে চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাহাত উজ জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। বেশি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে বরাদ্দ আসলে সহযোগিতা করা হবে।’
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন বিএনপি নেতা। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যায় বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার করার অভিযোগে গাজীপুর আদালতে এ মামলা করেছেন তিনি।
২৪ দিন আগেলক্ষ্মীপুরে রামগতিতে নৌকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ফারুক হোসেন (৪০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন দুজন। এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন আরও দুজন। আজ মঙ্গলবার ভোরে জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারুক হোসেন মারা যান।
২৪ দিন আগেদুই বছর আগে ফেনী পৌরসভার সুমাইয়া হোসেন আনিকা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সিং ও গ্রাফিক ডিজাইনের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। এরপর বিভিন্ন অনলাইন প্রতিষ্ঠানে চাকরির চেষ্টা করেও সফল হননি। এখন স্বামীর অনলাইন ব্যবসা দেখাশোনা করছেন। আনিকা বলেন, ‘প্রশিক্ষণ পেয়েছি, কিন্তু কাজের সুযোগ খুবই কম।’ আনিকার
২৪ দিন আগেচট্টগ্রাম বন্দরে আন্দোলন দমাতে টাকা দাবির ভিডিও ভাইরালের পর এবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম নগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিনকে কেন্দ্র থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তাঁর লিখিত ব্যাখা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দলকে জানানো কথা বলা হয়েছে।
২৪ দিন আগে