চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালকে দালালমুক্ত করতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, উপজেলা প্রশাসন ও সদর থানা একত্রে তদারকি করছে। হাসপাতাল চত্বরে বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের হাসপাতালে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞাও দেওয়া হয়েছে। তবে এরই মধ্যে এসব উদ্যোগকে ফাঁকি দিয়েই চলছে অনিয়ম।
মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার (আয়ুর্বেদিক) ডা. হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে কর্তব্যরত অবস্থায় প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী পাঠানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই রোগীকে হাসপাতাল থেকে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নেওয়ার সময় স্থানীয় লোকজনের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়ে ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্রতিনিধি। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন ঘটনাস্থলে আসেন। পরে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আর কখনো হাসপাতাল থেকে রোগী নিয়ে না যাবেন না এই শর্তে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে মুক্তি দেওয়া হয়।
ভুক্তভোগীরা জানান, মঙ্গলবার সকালে চুয়াডাঙ্গার শ্যাকড়াতলা মোড় থেকে নিজের অসুস্থ মেয়ে শামসুন্নাহারকে চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের বহির্বিভাগের টিকিট নিয়ে ডা. হুমায়ুন কবিরের কক্ষে যান। পরে ডা. হুমায়ুন কবির রোগী শামসুন্নাহারের রোগ নির্ণয়ের জন্য তাঁর প্রেসক্রিপশনে তিনটি পরীক্ষা লিখেন ও পরীক্ষাগুলো করানোর জন্য রোগীকে গ্রিন লাইফ মেডিকেল সেন্টারে যেতে বলেন। ডা. হুমায়ুন কবিরের কক্ষের সিরিয়াল সহায়তাকারী ও গ্রিন লাইফ মেডিকেল সেন্টারের প্রতিনিধি এক কিশোর হাসপাতাল থেকে তাঁদের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যাচ্ছিল। হাসপাতালের প্রধান ফটক দিয়ে রোগী নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন গ্রিন লাইফ মেডিকেল সেন্টারের প্রতিনিধিসহ ওই দুজনকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেন।
ভুক্তভোগী শামসুন্নাহারের মা আদরী খাতুন বলেন, ‘আমরা সাধারণ মানুষ অসুস্থ হলে হাসপাতালে আসি, কিন্তু হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিষয়ে আমরা কিছু বুঝি না। ডাক্তার আমাদের যা বলেছে আমরা তাই করেছি।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আতাউর রহমান বলেন, ‘আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ডা. হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে অভিযোগটি সম্পর্কে জানতে পেরেছি। তিনি একজন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক, তিনি রোগীদের এত পরীক্ষা লিখতে পারেন না। যদি চিকিৎসার প্রয়োজনে পরীক্ষা-নিরীক্ষা দেন তবে সে পরীক্ষা হাসপাতালেই সম্ভব। হাসপাতাল থেকে দালালের মাধ্যমে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী পাঠানো অপরাধ। যদি তাঁর বিরুদ্ধে এ ধরনের কোনো কর্মকাণ্ডের প্রমাণ পাওয়া যায়, তবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি ডা. মার্টিন হীরক চৌধুরী বলেন, ‘একজন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক আয়ুর্বেদিক বিষয়ে লেখাপড়া করেন এবং সে অনুযায়ী চিকিৎসা প্রদান করেন। একজন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসককে আলট্রাসনোগ্রাম বা ইসিজির বিষয়ে পড়ানো হয় না। সুতরাং এ জাতীয় পরীক্ষা লেখাও একজন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকের বৈধ নয়।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. এ এস এম ফাতেহ আকরাম বলেন, ‘হাসপাতালে দালালদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দালালদের সঙ্গে যদি কোনো চিকিৎসকের জড়িত থাকার বিষয়ে অভিযোগ ও প্রমাণ পাওয়া যায়, তবে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
তবে ডা. হুমায়ুন কবির এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালকে দালালমুক্ত করতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, উপজেলা প্রশাসন ও সদর থানা একত্রে তদারকি করছে। হাসপাতাল চত্বরে বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের হাসপাতালে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞাও দেওয়া হয়েছে। তবে এরই মধ্যে এসব উদ্যোগকে ফাঁকি দিয়েই চলছে অনিয়ম।
মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার (আয়ুর্বেদিক) ডা. হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে কর্তব্যরত অবস্থায় প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী পাঠানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই রোগীকে হাসপাতাল থেকে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নেওয়ার সময় স্থানীয় লোকজনের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়ে ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্রতিনিধি। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন ঘটনাস্থলে আসেন। পরে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আর কখনো হাসপাতাল থেকে রোগী নিয়ে না যাবেন না এই শর্তে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে মুক্তি দেওয়া হয়।
ভুক্তভোগীরা জানান, মঙ্গলবার সকালে চুয়াডাঙ্গার শ্যাকড়াতলা মোড় থেকে নিজের অসুস্থ মেয়ে শামসুন্নাহারকে চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের বহির্বিভাগের টিকিট নিয়ে ডা. হুমায়ুন কবিরের কক্ষে যান। পরে ডা. হুমায়ুন কবির রোগী শামসুন্নাহারের রোগ নির্ণয়ের জন্য তাঁর প্রেসক্রিপশনে তিনটি পরীক্ষা লিখেন ও পরীক্ষাগুলো করানোর জন্য রোগীকে গ্রিন লাইফ মেডিকেল সেন্টারে যেতে বলেন। ডা. হুমায়ুন কবিরের কক্ষের সিরিয়াল সহায়তাকারী ও গ্রিন লাইফ মেডিকেল সেন্টারের প্রতিনিধি এক কিশোর হাসপাতাল থেকে তাঁদের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যাচ্ছিল। হাসপাতালের প্রধান ফটক দিয়ে রোগী নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন গ্রিন লাইফ মেডিকেল সেন্টারের প্রতিনিধিসহ ওই দুজনকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেন।
ভুক্তভোগী শামসুন্নাহারের মা আদরী খাতুন বলেন, ‘আমরা সাধারণ মানুষ অসুস্থ হলে হাসপাতালে আসি, কিন্তু হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিষয়ে আমরা কিছু বুঝি না। ডাক্তার আমাদের যা বলেছে আমরা তাই করেছি।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আতাউর রহমান বলেন, ‘আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ডা. হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে অভিযোগটি সম্পর্কে জানতে পেরেছি। তিনি একজন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক, তিনি রোগীদের এত পরীক্ষা লিখতে পারেন না। যদি চিকিৎসার প্রয়োজনে পরীক্ষা-নিরীক্ষা দেন তবে সে পরীক্ষা হাসপাতালেই সম্ভব। হাসপাতাল থেকে দালালের মাধ্যমে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী পাঠানো অপরাধ। যদি তাঁর বিরুদ্ধে এ ধরনের কোনো কর্মকাণ্ডের প্রমাণ পাওয়া যায়, তবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি ডা. মার্টিন হীরক চৌধুরী বলেন, ‘একজন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক আয়ুর্বেদিক বিষয়ে লেখাপড়া করেন এবং সে অনুযায়ী চিকিৎসা প্রদান করেন। একজন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসককে আলট্রাসনোগ্রাম বা ইসিজির বিষয়ে পড়ানো হয় না। সুতরাং এ জাতীয় পরীক্ষা লেখাও একজন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকের বৈধ নয়।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. এ এস এম ফাতেহ আকরাম বলেন, ‘হাসপাতালে দালালদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দালালদের সঙ্গে যদি কোনো চিকিৎসকের জড়িত থাকার বিষয়ে অভিযোগ ও প্রমাণ পাওয়া যায়, তবে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
তবে ডা. হুমায়ুন কবির এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন বিএনপি নেতা। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যায় বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার করার অভিযোগে গাজীপুর আদালতে এ মামলা করেছেন তিনি।
১২ আগস্ট ২০২৫লক্ষ্মীপুরে রামগতিতে নৌকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ফারুক হোসেন (৪০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন দুজন। এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন আরও দুজন। আজ মঙ্গলবার ভোরে জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারুক হোসেন মারা যান।
১২ আগস্ট ২০২৫দুই বছর আগে ফেনী পৌরসভার সুমাইয়া হোসেন আনিকা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সিং ও গ্রাফিক ডিজাইনের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। এরপর বিভিন্ন অনলাইন প্রতিষ্ঠানে চাকরির চেষ্টা করেও সফল হননি। এখন স্বামীর অনলাইন ব্যবসা দেখাশোনা করছেন। আনিকা বলেন, ‘প্রশিক্ষণ পেয়েছি, কিন্তু কাজের সুযোগ খুবই কম।’ আনিকার
১২ আগস্ট ২০২৫চট্টগ্রাম বন্দরে আন্দোলন দমাতে টাকা দাবির ভিডিও ভাইরালের পর এবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম নগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিনকে কেন্দ্র থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তাঁর লিখিত ব্যাখা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দলকে জানানো কথা বলা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫