Ajker Patrika

ডাস্টবিনে পাওয়া শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
ডাস্টবিনে পাওয়া শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে

চট্টগ্রামে ডাস্টবিন থেকে উদ্ধার করা বস্তাবন্দী লাশটি সাত বছরের এক শিশুর। তার নাম নাসরিন ওরফে সুখী। তাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মীর হোসেন (৩৭) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে এ তথ্য জানা যায়। 

এর আগে সোমবার রাতে নগরীর ফলমন্ডির সামনে ডাস্টবিন থেকে বস্তাবন্দী শিশুটির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। 

নিহত ওই শিশু নগরীর বাকলিয়া বৌ বাজার এলাকায় মোছাম্মৎ বিলকিস বেগমের মেয়ে। বিলকিস রাস্তায় বোতল কুড়িয়ে তা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। 

অপরদিকে অভিযুক্ত যুবকের বাড়ি কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানার রামচন্দ্রপুর গ্রামে ও নগরীর বাকলিয়া বৌ বাজার এলাকার বাসিন্দা। মীর হোসেনও রাস্তা থেকে বিভিন্ন ভাঙারি মালামাল খুঁজে বিক্রি করেন। 

পুলিশ জানায়, গত রোববার রাতে বিলকিস বেগম নগরীর আন্দরকিল্লা এলাকায় কাগজ কুড়ানোর সময় সঙ্গে করে মেয়ে নাসরিনকে নিয়ে আসে। ওই দিন রাত সাড়ে ১২টায় শিশুটিকে আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের সামনে বসিয়ে তিনি পাশে একটি মসজিদের পাশে যান। আধঘণ্টা পর ফিরে তিনি মেয়েকে ওই জায়গায় দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। 

গতকাল সোমবার রাতে কোতোয়াল ফলমন্ডি এলাকায় এক শিশুর লাশ পাওয়া গেছে-এমন খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁর মেয়ের লাশ শনাক্ত করেন। এর পরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে। 

গ্রেপ্তার যুবক জানায়, সে রাতে বিভিন্ন জায়গা থেকে ভাঙারি সংগ্রহ করে। ঘটনার দিন আন্দরকিল্লা এলাকায় শিশু নাসরিনের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। এ সময় আসামি শিশুটির সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলে। পরে সে শিশুটিকে চিপস ও চকলেট কিনে দিয়ে টাইগারপাস এলাকায় বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে। একপর্যায়ে একটি রিকশায় চড়ে শিশুটিকে টাইগারপাস এলাকার একটি পাহাড়ের নিচে নিয়ে যায়। সেখানে শিশুটিকে মুখ চেপে ধরে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। পরে শিশুটির লাশ পাটের বস্তাবন্দী করে একটি ভ্যানগাড়িতে করে ফলমন্ডি এলাকার ডাস্টবিনে ফেলে আসে। 

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) মোস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, আজ (মঙ্গলবার) ভোরে লোমহর্ষক এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত মীর হোসেনকে বাকলিয়া বৌ বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তিনি শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যার কথা স্বীকার করেছে। এ সময় তাঁর দেখানো মতে ঘটনায় ব্যবহৃত একটি ভ্যানগাড়ি, পাটের বস্তা ও একটি টুকরি জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় শিশুটির মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত