Ajker Patrika

চট্টগ্রামে উপজেলাগুলোয় বাড়ছে করোনার সংক্রমণ

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : ২৬ জুন ২০২১, ১৬: ০৭
চট্টগ্রামে উপজেলাগুলোয় বাড়ছে করোনার সংক্রমণ

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে উপজেলাগুলোয় এক সপ্তাহ ধরে সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী। যার প্রভাব পড়েছে বিভাগের শনাক্তের হারে। গতকাল শুক্রবার যেখানে মহানগরে শনাক্ত হয়েছে ১৬০, সেখানে উপজেলায় ১১৪ জন। এর আগের দিন বৃহস্পতিবার নগর থেকেও বেশি সংক্রমণ ছিল উপজেলায়। ওই দিন নগরে ১২৩ আর উপজেলায় শনাক্ত হয় ১২৪ জন।

আজ শনিবার অবশ্য উপজেলায় শনাক্তের হার কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৩৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২১৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ২১ শতাংশের একটু কম। এদিন মহানগরে শনাক্ত হয় ১৩৯ জন আর উপজেলায় ৭৭ জন। এ সময় মারা গেছে তিনজন।

গতকাল শুক্রবার ছিল ২৮ শতাংশের বেশি। কারণ ওই দিন উপজেলায় শনাক্ত বেশি ছিল। উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি শনাক্ত ফটিকছড়ি, রাউজান, সীতাকুণ্ড ও হাটহাজারী উপজেলায়। ১৮ জুন চট্টগ্রামে ২২২ জন শনাক্ত হয়। শুধু উপজেলায় শনাক্ত হয় ৮৮ জন। এর মধ্যে ফটিকছড়িতে ১৫, সীতাকুণ্ডে ১৬ আর হাটহাজারীতে ১৪ জন। 

১৯ জুন চট্টগ্রামে ১৫৭ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। যেখানে উপজেলায় শনাক্ত হয় ৬৬ জন। ওই দিন সবচেয়ে বেশি শনাক্ত হয় হাটহাজারী ও ফটিকছড়ি উপজেলায়। এ দুই উপজেলায় ১৬ জন করে রোগী শনাক্ত হয়। ২০ জুন চট্টগ্রামে মোট ১৩৬ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। এর মধ্যে নগরের ৬৭ আর উপজেলায় ৬৯ জন। উপজেলার মধ্যে ফটিকছড়িতে ৩০ ও সীতাকুণ্ডে ১৩ জন রোগী শনাক্ত হয়। ২১ জুন চট্টগ্রামে ১৯০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে নগরের ১২৮ ও উপজেলায় ৬২ জন। উপজেলার মধ্যে ফটিকছড়িতে ২১ ও হাটহাজারীতে ১৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাস মেলে। ২২ জুন চট্টগ্রামে মোট করোনা রোগী শনাক্ত হয় ২২৬ জন। এর মধ্যে নগরের ১৩১ আর উপজেলায় ৯৫ জন। এ দিনও ফটিকছড়ি, হাটহাজারী ও রাউজানে সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়। ২৩ জুন চট্টগ্রাম শহরে ১৪৫ আর উপজেলায় ৯১ জন রোগী শনাক্ত হয়। এখানেও হাটহাজারী, সীতাকুণ্ড ও রাউজানে রোগী শনাক্ত বেশি হয়। ২৪ জুন উপজেলাগুলোয় মোট শনাক্ত হয় ১২৪ জন। এর মধ্যে ফটিকছড়িতে শনাক্ত হয় ৩৪ জন। রাউজানে ২১ ও হাটহাজারীতে ২০ জন।

মাস্ক ও স্বাস্থ্যবিধি মানার অনীহা উপজেলায় করোনা সংক্রমণ বাড়ার কারণ বলে মনে করছেন সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি। তিনি বলেন, উপজেলার মানুষের মধ্যে খুব কম মানুষই মুখে মাস্ক পরেন। আগামী সোমবার থেকে কঠোর লকডাউনে কড়াকড়ি আরোপ করতে হবে উপজেলায়। পাশাপাশি মানুষের জীবন-জীবিকা ঠিক রাখতে হবে। 

চট্টগ্রামে গত বছরের ৩ এপ্রিল প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ৯ এপ্রিল করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম কোনো ব্যক্তি মারা যান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত