জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম
আচমকা সংবাদ সম্মেলন। কিন্তু কেন? একেবারে নিশ্চিত করে কেউ কিছু তখন বলতে পারছিলেন না। তবে অনুমান করেছেন একেকজন একেকভাবে। কেউ মনে করেছেন, হয়তো অধিনায়ক থেকে সরে দাঁড়াবেন। কিন্তু কেউ ভাবেননি, একেবারে ক্রিকেট থেকেই বিদায় নেবেন তামিম ইকবাল। সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দিলেন মন খারাপের কথা। ওই সময় হোটেলের বাইরে ঝরছিল বৃষ্টি। সংবাদ সম্মেলনে তামিমের চোখেও বৃষ্টি।
চোখ মুছতে মুছতে হোটেল থেকে বেরিয়ে পড়েন তামিম ইকবাল। মুখে কোনো রাগ না থাকলেও, অনেক কথা যেন তিনি বলে দিচ্ছিলেন শব্দহীনভাবে। এখানেও তিনি কাঁদলেন। তবে একা নয়, এবার ভক্তরাও কাঁদলেন। তামিমই মূলত তাঁদের কাঁদালেন। পুরো আবেগঘন পরিবেশ তখন। সবারই মন খারাপ। আকাশের মনও কি ভালো ছিল? আকাশ থেকেও বৃষ্টি ঝরছিল। ঠিক যেন তামিমের জন্য চোখের জল ফেলা!
হোটেল থেকে বেরিয়ে দ্রুত কালো রঙের গাড়িতে উঠে পড়েন তামিম। ভক্ত টাইগার শোয়েব আলীসহ কয়েকজন গাড়ির সামনে গিয়ে দাঁড়ান। কথা বলতে চাইলেন। কিন্তু অভিমানী তামিম গাড়ির গ্লাস আর খুললেন না। তামিমকে বহন করা গাড়ি চলে যাওয়ার সময় শোয়েব আলী মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। দুই হাতে মাটি চাপড়িয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘প্লিজ ফিরে আসো তামিম।’
এর কিছুক্ষণ আগে কোতোয়ালি এলাকার একটি আবাসিক হোটেলে তামিম ইকবাল আচমকা সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে ঘোষণা দেন, ২২ গজের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁকে আর দেখা যাবে না।
গতকাল বুধবার ছিল তাঁর শেষ ম্যাচ। এই ঘোষণা মানতে পারেননি তামিম ইকবালের ভক্তরা। হোটেলের সামনে জড়ো হয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবির) প্রতি ক্ষোভ জানান তাঁরা।
শোয়েব আলী কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘যে লোকটা বিশ্বকাপ পর্যন্ত দলকে গোছাই আনছে। নদী পাড়ি দিয়ে, সাগর পাড়ি দিয়ে যে লোকটা দাঁড়িয়েছে। সেই তিনি বিশ্বকাপে থাকবেন না। মেনে নিতে পারি না ভাই।’ এ সময় শোয়েব বুক চাপড়ে বলেন, ‘মানি না, মানব না। তামিম ভাইয়ের এটি ভুল সিদ্ধান্ত। অভিমানী সিদ্ধান্ত।’
এশিয়া কাপে হাতে ইনজুরি পেয়েও দলের প্রয়োজনে ব্যান্ডেজ মোড়ানো এক হাতে ব্যাট করেছিলেন তামিম ইকবাল। ২০১৮ সালে ওই ঘটনার সময় আবিদ রায়হান সরকারি মুসলিম হাইস্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ত। সে দৃশ্য দাগ কেটেছিল বর্তমানে দশম শ্রেণির এই ছাত্রের। হঠাৎ করেই তামিম ইকবালের অবসর অন্যদের মতো সেও মেনে নিতে পারছে না। কাজীর দেউড়ির আউটার স্টেডিয়ামে প্র্যাকটিস করছিল এই খুদে ক্রিকেটার। তামিমের অনুপ্রেরণায় তার ক্রিকেটে আসা। সে অভিমান করে বলে, ‘খেলাও আর দেখব না। প্রিয় ক্রিকেটার নেই, খেলা দেখে কী হবে।’
তামিম ইকবালের সংবাদ সম্মেলন মোবাইল ফোনে সরাসরি দেখছিলেন সিএনজি অটোরিকশাচালক মজিদ মিয়া। যখনই তামিম ইকবাল অবসরের ঘোষণা দিলেন, মন খারাপ তাঁর। তামিম ইকবালের কান্না দেখে চট্টগ্রামের ভাষায় তিনি বলেন, ‘হলিজা পুরি জারগই তামিম। নিজেও হাঁনের, অন্যরেও হাঁনার। আরা তামিম ইকবালের এই সিদ্ধান্ত না মানি না।’
আরও পড়ুন:
আচমকা সংবাদ সম্মেলন। কিন্তু কেন? একেবারে নিশ্চিত করে কেউ কিছু তখন বলতে পারছিলেন না। তবে অনুমান করেছেন একেকজন একেকভাবে। কেউ মনে করেছেন, হয়তো অধিনায়ক থেকে সরে দাঁড়াবেন। কিন্তু কেউ ভাবেননি, একেবারে ক্রিকেট থেকেই বিদায় নেবেন তামিম ইকবাল। সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দিলেন মন খারাপের কথা। ওই সময় হোটেলের বাইরে ঝরছিল বৃষ্টি। সংবাদ সম্মেলনে তামিমের চোখেও বৃষ্টি।
চোখ মুছতে মুছতে হোটেল থেকে বেরিয়ে পড়েন তামিম ইকবাল। মুখে কোনো রাগ না থাকলেও, অনেক কথা যেন তিনি বলে দিচ্ছিলেন শব্দহীনভাবে। এখানেও তিনি কাঁদলেন। তবে একা নয়, এবার ভক্তরাও কাঁদলেন। তামিমই মূলত তাঁদের কাঁদালেন। পুরো আবেগঘন পরিবেশ তখন। সবারই মন খারাপ। আকাশের মনও কি ভালো ছিল? আকাশ থেকেও বৃষ্টি ঝরছিল। ঠিক যেন তামিমের জন্য চোখের জল ফেলা!
হোটেল থেকে বেরিয়ে দ্রুত কালো রঙের গাড়িতে উঠে পড়েন তামিম। ভক্ত টাইগার শোয়েব আলীসহ কয়েকজন গাড়ির সামনে গিয়ে দাঁড়ান। কথা বলতে চাইলেন। কিন্তু অভিমানী তামিম গাড়ির গ্লাস আর খুললেন না। তামিমকে বহন করা গাড়ি চলে যাওয়ার সময় শোয়েব আলী মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। দুই হাতে মাটি চাপড়িয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘প্লিজ ফিরে আসো তামিম।’
এর কিছুক্ষণ আগে কোতোয়ালি এলাকার একটি আবাসিক হোটেলে তামিম ইকবাল আচমকা সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে ঘোষণা দেন, ২২ গজের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁকে আর দেখা যাবে না।
গতকাল বুধবার ছিল তাঁর শেষ ম্যাচ। এই ঘোষণা মানতে পারেননি তামিম ইকবালের ভক্তরা। হোটেলের সামনে জড়ো হয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবির) প্রতি ক্ষোভ জানান তাঁরা।
শোয়েব আলী কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘যে লোকটা বিশ্বকাপ পর্যন্ত দলকে গোছাই আনছে। নদী পাড়ি দিয়ে, সাগর পাড়ি দিয়ে যে লোকটা দাঁড়িয়েছে। সেই তিনি বিশ্বকাপে থাকবেন না। মেনে নিতে পারি না ভাই।’ এ সময় শোয়েব বুক চাপড়ে বলেন, ‘মানি না, মানব না। তামিম ভাইয়ের এটি ভুল সিদ্ধান্ত। অভিমানী সিদ্ধান্ত।’
এশিয়া কাপে হাতে ইনজুরি পেয়েও দলের প্রয়োজনে ব্যান্ডেজ মোড়ানো এক হাতে ব্যাট করেছিলেন তামিম ইকবাল। ২০১৮ সালে ওই ঘটনার সময় আবিদ রায়হান সরকারি মুসলিম হাইস্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ত। সে দৃশ্য দাগ কেটেছিল বর্তমানে দশম শ্রেণির এই ছাত্রের। হঠাৎ করেই তামিম ইকবালের অবসর অন্যদের মতো সেও মেনে নিতে পারছে না। কাজীর দেউড়ির আউটার স্টেডিয়ামে প্র্যাকটিস করছিল এই খুদে ক্রিকেটার। তামিমের অনুপ্রেরণায় তার ক্রিকেটে আসা। সে অভিমান করে বলে, ‘খেলাও আর দেখব না। প্রিয় ক্রিকেটার নেই, খেলা দেখে কী হবে।’
তামিম ইকবালের সংবাদ সম্মেলন মোবাইল ফোনে সরাসরি দেখছিলেন সিএনজি অটোরিকশাচালক মজিদ মিয়া। যখনই তামিম ইকবাল অবসরের ঘোষণা দিলেন, মন খারাপ তাঁর। তামিম ইকবালের কান্না দেখে চট্টগ্রামের ভাষায় তিনি বলেন, ‘হলিজা পুরি জারগই তামিম। নিজেও হাঁনের, অন্যরেও হাঁনার। আরা তামিম ইকবালের এই সিদ্ধান্ত না মানি না।’
আরও পড়ুন:
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন বিএনপি নেতা। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যায় বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার করার অভিযোগে গাজীপুর আদালতে এ মামলা করেছেন তিনি।
১২ আগস্ট ২০২৫লক্ষ্মীপুরে রামগতিতে নৌকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ফারুক হোসেন (৪০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন দুজন। এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন আরও দুজন। আজ মঙ্গলবার ভোরে জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারুক হোসেন মারা যান।
১২ আগস্ট ২০২৫দুই বছর আগে ফেনী পৌরসভার সুমাইয়া হোসেন আনিকা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সিং ও গ্রাফিক ডিজাইনের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। এরপর বিভিন্ন অনলাইন প্রতিষ্ঠানে চাকরির চেষ্টা করেও সফল হননি। এখন স্বামীর অনলাইন ব্যবসা দেখাশোনা করছেন। আনিকা বলেন, ‘প্রশিক্ষণ পেয়েছি, কিন্তু কাজের সুযোগ খুবই কম।’ আনিকার
১২ আগস্ট ২০২৫চট্টগ্রাম বন্দরে আন্দোলন দমাতে টাকা দাবির ভিডিও ভাইরালের পর এবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম নগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিনকে কেন্দ্র থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তাঁর লিখিত ব্যাখা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দলকে জানানো কথা বলা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫