হোসাইন জিয়াদ, চট্টগ্রাম
বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ সমুদ্রসীমার ৩ ভাগের মাত্র ১ ভাগে ব্যাপক হারে ধরা হচ্ছে ছোটবড় সব মাছ। বেশি গভীরতার কারণে বাকি ২ ভাগে যাচ্ছে না মাছ ধরার কোনো ট্রলার। ফলে ৩ ধরনের চিংড়িসহ মোট ১১ জাতের মাছের মজুত ক্রমাগত হ্রাস অথবা নিঃশেষের পর্যায়ে। এই অবস্থা সামুদ্রিক ইকোসিস্টেমের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর বলে হুঁশিয়ার করে দিচ্ছেন গবেষকেরা।
দুইটি বিশেষায়িত জরিপ জাহাজের সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণ করে সাগরে মাছ ধরার এই উদ্বেগজনক চিত্র পাওয়া গেছে। সামুদ্রিক মৎস্য অধিদপ্তরের জরিপজাহাজ আরভি মীন সন্ধানী এবং নরওয়ের সর্বাধুনিক জরিপজাহাজ আরবি ড. ফ্রিডজফ নেন্সেন ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সাগরে এই জরিপ চালায়। সমুদ্রসীমার গভীরতার ভিত্তিতে ইনশোর, মিডশোর, অফশোর এবং ডিপ অফশোর এই চারটি অঞ্চলে ভাগ করে ১০ গ্রাউন্ডে জরিপকাজ চালানো হয়।
জরিপের তথ্যে দেখা যায়, ধ্বংসাত্মক আহরণ হচ্ছে লাক্ষা মাছ, বাগদা চিংড়ি, সাদা চিংড়ির মতো দামি মাছ। অতিরিক্ত আহরণ হচ্ছে বড় পোয়া মাছ। অধিক আহরণ হচ্ছে লইট্টা মাছ, কাঁটা মাছ, সার্ডিন, ফলি চান্দা, হরিণা চিংড়ি, সাদা পোয়া, রুপচাঁদা। এসব মাছের মজুতের পরিমাণ ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে, কোনো কোনটি নিঃশেষের পর্যায়ে। সঠিক পরিমাণে আহরণ হচ্ছে মরিচা, কলম্বো জাতের মাছ। তবে সমুদ্রে বড় ও দামি প্রজাতির মাছ ধরার প্রবণতা বেশি। এতে বড় মাছের মজুতের পরিমাণ হ্রাস পাচ্ছে, অনেক বেড়ে যাচ্ছে দ্রুত প্রজননশীল ছোট ছোট মাছের পরিমাণ। কারণ, বড় মাছ ছোট ছোট এসব মাছ খেয়ে জীবন ধারণ করে। এতে সমুদ্রের ইকোসিস্টেমও ধ্বংস হবে।
জরিপের তথ্য উদ্ধৃত করে চট্টগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারহানা লাভলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের সাগরে ৪৫৭ প্রজাতির মাছ আছে। সেখান থেকে বছরে প্রায় ৬৬ লাখ টন মাছ আহরণ সম্ভব। কিন্তু বছরে ধরা হচ্ছে ৬ থেকে ৭ লাখ টন। অর্থাৎ সম্ভাবনা থাকলেও প্রায় ৬০ লাখ টন মাছ আহরণ করা সম্ভব হচ্ছে না সক্ষমতার অভাবে।
সামুদ্রিক মৎস্য গবেষণার সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা বলছেন, স্বাদুপানির মাছ উৎপাদন বৃদ্ধিতে যেখানে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে দ্বিতীয়, সেখানে সামুদ্রিক মৎস্য আহরণে অবস্থান ২৭তম। গভীর সমুদ্রে মৎস্য আহরণ বাড়াতে প্রশিক্ষণ এবং মাছ ধরার কৌশলে পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। এ জন্য নতুন সরঞ্জাম, আধুনিক ট্রলার অত্যন্ত জরুরি। তা ছাড়া সমুদ্রে মাছ ধরার ট্রলারকে নজরদারিতে আনাও দরকার।
সরকারের সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্পের উপপরিচালক অধীর চন্দ্র দাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখন আমাদের সমুদ্র উপকূলের মাত্র ১০ মিটার গভীর অংশে ৬৭ হাজার নৌযান মাছ ধরছে, এগুলো সব ছোট ছোট নৌযান। তা ছাড়া অবৈধ জালও ব্যবহার করছে তারা। ফলে এ অংশের মাছের পরিমাণ দ্রুত কমে যাচ্ছে। অথচ ৭০ থেকে ৮০ মিটার গভীরে মাছ ধরে মাত্র ২০৭টি ট্রলার। আর গভীর সমুদ্র ১০০ থেকে ৩০০ মিটার গভীরে মাছ ধরার কোনো ট্রলারই নেই। এ অংশে টুনা মাছ ও সমজাতীয় মাছ আছে, যার বৈশ্বিক চাহিদাও ভালো।’
তবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিন সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমান চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার বিষয়টি নিয়ে খুবই সতর্কতার সঙ্গে এগোতে হবে। কারণ, এত গভীরে গিয়ে মাছ ধরে আবার ফিরে আসা অর্থনৈতিকভাবে কতটা লাভজনক, তা ভাবতে হবে। এ ক্ষেত্রে মাছের পরিমাণের ওপর ভিত্তি করেই সরকারকে ট্রলারের লাইসেন্স দিতে হবে। বেশি লাইসেন্স দিলে তারা কম গভীরতায় এসে মাছ ধরা শুরু করবে, এতে ফলাফল আসবে ভিন্ন।
জরিপে দেখা গেছে, সাগরের কম গভীরতার মধ্য মাত্র ৩৪ হাজার বর্গকিলোমিটারের মধ্যেই ছোটবড় সব ট্রলার মাছ ধরছে। বেশি গভীরতার ৮৪ হাজারে বর্গকিলোমিটার আয়তনের গভীর সমুদ্রে কোনো ট্রলার যাচ্ছে না মাছ ধরতে। ফলে সীমিত এলাকার মধ্যে বেশি ট্রলারের মাছ আহরণের ফলে প্রজননক্ষেত্রও নষ্ট হচ্ছে। ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে আইনি যুদ্ধে জেতার পর বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার আয়তন এখন ১ লাখ ১৮ হাজার ৮০০ বর্গকিলোমিটার, যা দেশের মূল ভূখণ্ডের প্রায় সমান।
সমুদ্রে টুনা ও সমজাতীয় পেলাজিক মাছ আহরণে পাইলট প্রকল্পের পরিচালক ড. মো. জুবায়দুল আলম বলেন, ‘বর্তমানে ৪৫৭ প্রজাতির মাছ সমুদ্রে আছে। আমাদের গভীর সমুদ্রে টুনা মাছের সাতটি প্রজাতি আছে। এ ছাড়া মারলিন, সোর্ড ফিশ, ইন্ডিয়ান ম্যাকারেল, স্প্যানিশ ম্যাকারেল ও জাপানিজ ম্যাকারেল আছে। এসব মাছ আমরা ধরতে পারছি না।’
বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ সমুদ্রসীমার ৩ ভাগের মাত্র ১ ভাগে ব্যাপক হারে ধরা হচ্ছে ছোটবড় সব মাছ। বেশি গভীরতার কারণে বাকি ২ ভাগে যাচ্ছে না মাছ ধরার কোনো ট্রলার। ফলে ৩ ধরনের চিংড়িসহ মোট ১১ জাতের মাছের মজুত ক্রমাগত হ্রাস অথবা নিঃশেষের পর্যায়ে। এই অবস্থা সামুদ্রিক ইকোসিস্টেমের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর বলে হুঁশিয়ার করে দিচ্ছেন গবেষকেরা।
দুইটি বিশেষায়িত জরিপ জাহাজের সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণ করে সাগরে মাছ ধরার এই উদ্বেগজনক চিত্র পাওয়া গেছে। সামুদ্রিক মৎস্য অধিদপ্তরের জরিপজাহাজ আরভি মীন সন্ধানী এবং নরওয়ের সর্বাধুনিক জরিপজাহাজ আরবি ড. ফ্রিডজফ নেন্সেন ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সাগরে এই জরিপ চালায়। সমুদ্রসীমার গভীরতার ভিত্তিতে ইনশোর, মিডশোর, অফশোর এবং ডিপ অফশোর এই চারটি অঞ্চলে ভাগ করে ১০ গ্রাউন্ডে জরিপকাজ চালানো হয়।
জরিপের তথ্যে দেখা যায়, ধ্বংসাত্মক আহরণ হচ্ছে লাক্ষা মাছ, বাগদা চিংড়ি, সাদা চিংড়ির মতো দামি মাছ। অতিরিক্ত আহরণ হচ্ছে বড় পোয়া মাছ। অধিক আহরণ হচ্ছে লইট্টা মাছ, কাঁটা মাছ, সার্ডিন, ফলি চান্দা, হরিণা চিংড়ি, সাদা পোয়া, রুপচাঁদা। এসব মাছের মজুতের পরিমাণ ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে, কোনো কোনটি নিঃশেষের পর্যায়ে। সঠিক পরিমাণে আহরণ হচ্ছে মরিচা, কলম্বো জাতের মাছ। তবে সমুদ্রে বড় ও দামি প্রজাতির মাছ ধরার প্রবণতা বেশি। এতে বড় মাছের মজুতের পরিমাণ হ্রাস পাচ্ছে, অনেক বেড়ে যাচ্ছে দ্রুত প্রজননশীল ছোট ছোট মাছের পরিমাণ। কারণ, বড় মাছ ছোট ছোট এসব মাছ খেয়ে জীবন ধারণ করে। এতে সমুদ্রের ইকোসিস্টেমও ধ্বংস হবে।
জরিপের তথ্য উদ্ধৃত করে চট্টগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারহানা লাভলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের সাগরে ৪৫৭ প্রজাতির মাছ আছে। সেখান থেকে বছরে প্রায় ৬৬ লাখ টন মাছ আহরণ সম্ভব। কিন্তু বছরে ধরা হচ্ছে ৬ থেকে ৭ লাখ টন। অর্থাৎ সম্ভাবনা থাকলেও প্রায় ৬০ লাখ টন মাছ আহরণ করা সম্ভব হচ্ছে না সক্ষমতার অভাবে।
সামুদ্রিক মৎস্য গবেষণার সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা বলছেন, স্বাদুপানির মাছ উৎপাদন বৃদ্ধিতে যেখানে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে দ্বিতীয়, সেখানে সামুদ্রিক মৎস্য আহরণে অবস্থান ২৭তম। গভীর সমুদ্রে মৎস্য আহরণ বাড়াতে প্রশিক্ষণ এবং মাছ ধরার কৌশলে পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। এ জন্য নতুন সরঞ্জাম, আধুনিক ট্রলার অত্যন্ত জরুরি। তা ছাড়া সমুদ্রে মাছ ধরার ট্রলারকে নজরদারিতে আনাও দরকার।
সরকারের সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্পের উপপরিচালক অধীর চন্দ্র দাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখন আমাদের সমুদ্র উপকূলের মাত্র ১০ মিটার গভীর অংশে ৬৭ হাজার নৌযান মাছ ধরছে, এগুলো সব ছোট ছোট নৌযান। তা ছাড়া অবৈধ জালও ব্যবহার করছে তারা। ফলে এ অংশের মাছের পরিমাণ দ্রুত কমে যাচ্ছে। অথচ ৭০ থেকে ৮০ মিটার গভীরে মাছ ধরে মাত্র ২০৭টি ট্রলার। আর গভীর সমুদ্র ১০০ থেকে ৩০০ মিটার গভীরে মাছ ধরার কোনো ট্রলারই নেই। এ অংশে টুনা মাছ ও সমজাতীয় মাছ আছে, যার বৈশ্বিক চাহিদাও ভালো।’
তবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিন সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমান চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার বিষয়টি নিয়ে খুবই সতর্কতার সঙ্গে এগোতে হবে। কারণ, এত গভীরে গিয়ে মাছ ধরে আবার ফিরে আসা অর্থনৈতিকভাবে কতটা লাভজনক, তা ভাবতে হবে। এ ক্ষেত্রে মাছের পরিমাণের ওপর ভিত্তি করেই সরকারকে ট্রলারের লাইসেন্স দিতে হবে। বেশি লাইসেন্স দিলে তারা কম গভীরতায় এসে মাছ ধরা শুরু করবে, এতে ফলাফল আসবে ভিন্ন।
জরিপে দেখা গেছে, সাগরের কম গভীরতার মধ্য মাত্র ৩৪ হাজার বর্গকিলোমিটারের মধ্যেই ছোটবড় সব ট্রলার মাছ ধরছে। বেশি গভীরতার ৮৪ হাজারে বর্গকিলোমিটার আয়তনের গভীর সমুদ্রে কোনো ট্রলার যাচ্ছে না মাছ ধরতে। ফলে সীমিত এলাকার মধ্যে বেশি ট্রলারের মাছ আহরণের ফলে প্রজননক্ষেত্রও নষ্ট হচ্ছে। ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে আইনি যুদ্ধে জেতার পর বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার আয়তন এখন ১ লাখ ১৮ হাজার ৮০০ বর্গকিলোমিটার, যা দেশের মূল ভূখণ্ডের প্রায় সমান।
সমুদ্রে টুনা ও সমজাতীয় পেলাজিক মাছ আহরণে পাইলট প্রকল্পের পরিচালক ড. মো. জুবায়দুল আলম বলেন, ‘বর্তমানে ৪৫৭ প্রজাতির মাছ সমুদ্রে আছে। আমাদের গভীর সমুদ্রে টুনা মাছের সাতটি প্রজাতি আছে। এ ছাড়া মারলিন, সোর্ড ফিশ, ইন্ডিয়ান ম্যাকারেল, স্প্যানিশ ম্যাকারেল ও জাপানিজ ম্যাকারেল আছে। এসব মাছ আমরা ধরতে পারছি না।’
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন বিএনপি নেতা। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যায় বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার করার অভিযোগে গাজীপুর আদালতে এ মামলা করেছেন তিনি।
১২ আগস্ট ২০২৫লক্ষ্মীপুরে রামগতিতে নৌকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ফারুক হোসেন (৪০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন দুজন। এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন আরও দুজন। আজ মঙ্গলবার ভোরে জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারুক হোসেন মারা যান।
১২ আগস্ট ২০২৫দুই বছর আগে ফেনী পৌরসভার সুমাইয়া হোসেন আনিকা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সিং ও গ্রাফিক ডিজাইনের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। এরপর বিভিন্ন অনলাইন প্রতিষ্ঠানে চাকরির চেষ্টা করেও সফল হননি। এখন স্বামীর অনলাইন ব্যবসা দেখাশোনা করছেন। আনিকা বলেন, ‘প্রশিক্ষণ পেয়েছি, কিন্তু কাজের সুযোগ খুবই কম।’ আনিকার
১২ আগস্ট ২০২৫চট্টগ্রাম বন্দরে আন্দোলন দমাতে টাকা দাবির ভিডিও ভাইরালের পর এবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম নগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিনকে কেন্দ্র থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তাঁর লিখিত ব্যাখা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দলকে জানানো কথা বলা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫