১০৮ কোটি টাকা সন্দেহজনক লেনদেন, ফজলে করিমের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

চট্টগ্রামে বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে ১০৮ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন এবং অবৈধভাবে প্রায় ৬ কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তিনি চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য।

আজ রোববার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১-এ মামলাটি করা হয়। দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মো. নিজাম উদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১-এর উপপরিচালক সুবেল আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘মামলায় সাবেক এই এমপির বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা এবং মানি লন্ডারিং আইন, ২০১২ এর ৪ (২) ও ৪ (৩) ধারা ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫ (২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

অভিযোগে বলা হয়, ফজলে করিম চৌধুরী ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৫ কোটি ৯৪ লাখ ৯২ হাজার ৭৭২ টাকা সম্পদ অর্জন এবং ১২টি ব্যাক হিসাবে ১০৮ কোটি ৬৪ লাখ ৮৫ হাজার ৭৯০ টাকা সন্দেহজনক লেনদেনের মাধ্যমে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

এর আগে ৮ জুলাই দুদকের প্রধান কার্যালয় মামলা করার অনুমোদন দেয়।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, দুদক অনুসন্ধান চালিয়ে সাবেক এমপি ফজলে করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে ২৪ কোটি ৮ লাখ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য পায়। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া তাঁর ১২টি ব্যাংক হিসাবে ৫৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকা জমা ও ৫৪ কোটি ২৫ লাখ ৭২ হাজার ৭১৮ টাকার অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য রয়েছে।

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ভারতে পালানোর পথে গত ১২ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্তের আবদুল্লাহপুর এলাকা থেকে ফজলে করিম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। তাঁকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যাসহ একাধিক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। এ ছাড়া গত ১৬ ফেব্রুয়ারি তাঁকে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার দেখান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

ফজলে করিম চৌধুরী ১৬ বছর আওয়ামী লীগ সরকারের এমপি ছিলেন। এর আগে তিনি ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন।