হিমেল চাকমা, রাঙামাটি
পাহাড়ে বসবাসরত ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে জনসংখ্যায় সবচেয়ে কম লুসাই জনগোষ্ঠী। ১৯৯১ সালের জরিপ মতে, এদের জনসংখ্যা ১ হাজার ৯৮ জন। তবে লুসাইরা বলছেন, এই সংখ্যা বর্তমানে আরও কমে গেছে। খ্রিষ্টান ধর্ম অনুসারী লুসাইরা অনেক বছর আগে হারিয়ে ফেলেছেন তাদের ভাষা, সংস্কৃতি। কিন্তু এসব সংরক্ষণে নেই কোনো সরকারি–বেসরকারি উদ্যোগ।
এই জনগোষ্ঠী থেকে হাতে গোনা কয়েকজন উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়েছেন। এদের অধিকাংশ বান্দরবানের। তিন পার্বত্য (রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি) জেলায় তাঁদের কোথাও সমষ্টিগত গ্রাম নেই। সাধারণ পাংখোয়াদের সঙ্গে বসবাস করছেন।
বান্দরবান জেলা সদর, রুমা, রাঙামাটির কাপ্তাইয়ের চন্দ্রঘোনা, সাজেক, বরকলের ঠেগায় কয়েক পরিবার লুসাইয়ের বসবাস আছে।
এ জনগোষ্ঠী থেকে তিনজন বিসিএস ক্যাডার হয়েছিলেন। এই তিনজন থেকে দুজন মারা গেছেন। একজন চাকরি থেকে অবসরে গেছেন। তিনি হলেন বান্দরবান সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ থানাজামা লুসাই।
থানাজামা লুসাই বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের ছেলেমেয়ে স্নাতক–স্নাতকোত্তর মিলে হবে ৮ থেকে ১২ জন। সময় চলে গেছে, কিন্তু আমাদের জনসংখ্যা বাড়েনি বরং কমেছে। ১৯৭৩ সালে শিক্ষকতায় প্রবেশ করি। ২০০৪ সালে অবসর নিই।’
থানাজামা লুসাই আরও বলেন, ‘লুসাইদের সমৃদ্ধ ইতিহাস থাকলেও আমরা চলে গেলে হয়তো আর লুসাই খুঁজে পাওয়া যাবে না পাহাড়ে। আমাদের অস্তিত্ব সংকটের মুখে। ভাষা, সংস্কৃতি হারিয়ে গেছে। তিন পার্বত্য জেলায় আমাদের কোনো জনপ্রতিনিধি নেই। দু-একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আছেন।’
এই সাবেক কলেজ শিক্ষিকা আরও বলেন, সরকারি তালিকায় লুসাইদের নাম আছে। বান্দরবান জেলা পরিষদে বমরা লুসাইদের প্রতিনিধিত্ব করে। রাঙামাটিতে করে পাংখোয়ারা। লুসাইদের প্রতিনিধি দিলে ক্ষতি হতো? প্রতিনিয়ত নীরবে নিভৃতে হারিয়ে যাচ্ছে লুসাইরা। অস্তিত্ব ধরে রাখতে হলে লুসাইদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য রাষ্ট্রকে ভাবতে হবে। লুসাইদের জন্য কোটার ব্যবস্থা রাখতে হবে।
আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করা এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমি বর্তমানে রাঙামাটিতে থাকি। কথা বলার জন্য বা বেড়ানোর জন্য কোনো লুসাই পরিবারকে খুঁজে পাই না। এখানে নেই। আমাদের মা-বাবারা লুসাই ভাষা একটু একটু পারে। আমরা পারি না। ছেলেমেয়েরা বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছে। এতে করে আমাদের ভাষা, সংস্কৃতি, ধর্ম, বর্ণ হারিয়ে যাচ্ছে। আমাদের কথা বলার জন্য কোথাও কোনো প্রতিনিধি তো নেই।’
চাকমা সার্কেল চিফ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় বলেন, `লুসাইদের সঠিক জনসংখ্যা কত তা জরিপ করা দরকার। এদের বঞ্চিত রেখে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের চিন্তা করতে পারি না। এদের জন্য রাষ্ট্রের বিশেষভাবে ভাবা উচিত।'
পাহাড়ে বসবাসরত ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে জনসংখ্যায় সবচেয়ে কম লুসাই জনগোষ্ঠী। ১৯৯১ সালের জরিপ মতে, এদের জনসংখ্যা ১ হাজার ৯৮ জন। তবে লুসাইরা বলছেন, এই সংখ্যা বর্তমানে আরও কমে গেছে। খ্রিষ্টান ধর্ম অনুসারী লুসাইরা অনেক বছর আগে হারিয়ে ফেলেছেন তাদের ভাষা, সংস্কৃতি। কিন্তু এসব সংরক্ষণে নেই কোনো সরকারি–বেসরকারি উদ্যোগ।
এই জনগোষ্ঠী থেকে হাতে গোনা কয়েকজন উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়েছেন। এদের অধিকাংশ বান্দরবানের। তিন পার্বত্য (রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি) জেলায় তাঁদের কোথাও সমষ্টিগত গ্রাম নেই। সাধারণ পাংখোয়াদের সঙ্গে বসবাস করছেন।
বান্দরবান জেলা সদর, রুমা, রাঙামাটির কাপ্তাইয়ের চন্দ্রঘোনা, সাজেক, বরকলের ঠেগায় কয়েক পরিবার লুসাইয়ের বসবাস আছে।
এ জনগোষ্ঠী থেকে তিনজন বিসিএস ক্যাডার হয়েছিলেন। এই তিনজন থেকে দুজন মারা গেছেন। একজন চাকরি থেকে অবসরে গেছেন। তিনি হলেন বান্দরবান সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ থানাজামা লুসাই।
থানাজামা লুসাই বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের ছেলেমেয়ে স্নাতক–স্নাতকোত্তর মিলে হবে ৮ থেকে ১২ জন। সময় চলে গেছে, কিন্তু আমাদের জনসংখ্যা বাড়েনি বরং কমেছে। ১৯৭৩ সালে শিক্ষকতায় প্রবেশ করি। ২০০৪ সালে অবসর নিই।’
থানাজামা লুসাই আরও বলেন, ‘লুসাইদের সমৃদ্ধ ইতিহাস থাকলেও আমরা চলে গেলে হয়তো আর লুসাই খুঁজে পাওয়া যাবে না পাহাড়ে। আমাদের অস্তিত্ব সংকটের মুখে। ভাষা, সংস্কৃতি হারিয়ে গেছে। তিন পার্বত্য জেলায় আমাদের কোনো জনপ্রতিনিধি নেই। দু-একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আছেন।’
এই সাবেক কলেজ শিক্ষিকা আরও বলেন, সরকারি তালিকায় লুসাইদের নাম আছে। বান্দরবান জেলা পরিষদে বমরা লুসাইদের প্রতিনিধিত্ব করে। রাঙামাটিতে করে পাংখোয়ারা। লুসাইদের প্রতিনিধি দিলে ক্ষতি হতো? প্রতিনিয়ত নীরবে নিভৃতে হারিয়ে যাচ্ছে লুসাইরা। অস্তিত্ব ধরে রাখতে হলে লুসাইদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য রাষ্ট্রকে ভাবতে হবে। লুসাইদের জন্য কোটার ব্যবস্থা রাখতে হবে।
আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করা এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমি বর্তমানে রাঙামাটিতে থাকি। কথা বলার জন্য বা বেড়ানোর জন্য কোনো লুসাই পরিবারকে খুঁজে পাই না। এখানে নেই। আমাদের মা-বাবারা লুসাই ভাষা একটু একটু পারে। আমরা পারি না। ছেলেমেয়েরা বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছে। এতে করে আমাদের ভাষা, সংস্কৃতি, ধর্ম, বর্ণ হারিয়ে যাচ্ছে। আমাদের কথা বলার জন্য কোথাও কোনো প্রতিনিধি তো নেই।’
চাকমা সার্কেল চিফ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় বলেন, `লুসাইদের সঠিক জনসংখ্যা কত তা জরিপ করা দরকার। এদের বঞ্চিত রেখে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের চিন্তা করতে পারি না। এদের জন্য রাষ্ট্রের বিশেষভাবে ভাবা উচিত।'
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন বিএনপি নেতা। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যায় বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার করার অভিযোগে গাজীপুর আদালতে এ মামলা করেছেন তিনি।
১২ আগস্ট ২০২৫লক্ষ্মীপুরে রামগতিতে নৌকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ফারুক হোসেন (৪০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন দুজন। এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন আরও দুজন। আজ মঙ্গলবার ভোরে জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারুক হোসেন মারা যান।
১২ আগস্ট ২০২৫দুই বছর আগে ফেনী পৌরসভার সুমাইয়া হোসেন আনিকা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সিং ও গ্রাফিক ডিজাইনের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। এরপর বিভিন্ন অনলাইন প্রতিষ্ঠানে চাকরির চেষ্টা করেও সফল হননি। এখন স্বামীর অনলাইন ব্যবসা দেখাশোনা করছেন। আনিকা বলেন, ‘প্রশিক্ষণ পেয়েছি, কিন্তু কাজের সুযোগ খুবই কম।’ আনিকার
১২ আগস্ট ২০২৫চট্টগ্রাম বন্দরে আন্দোলন দমাতে টাকা দাবির ভিডিও ভাইরালের পর এবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম নগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিনকে কেন্দ্র থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তাঁর লিখিত ব্যাখা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দলকে জানানো কথা বলা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫