Ajker Patrika

হাসিবের জন্য আর টাকা তুলতে হবে না

চবি প্রতিনিধি
আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২১, ১৮: ৪২
হাসিবের জন্য আর টাকা তুলতে হবে না

হাসিবের চিকিৎসা নিয়ে আর আলোচনা হবে না। ভারতের ভিসার জন্য অফিস থেকে অফিসে দৌড়াদৌড়ি করবে না তাঁর পরিবার। সহপাঠীরাও আর দল বেঁধে চিকিৎসার জন্য টাকা তুলবে না। হাসিবের আর চিকিৎসার দরকার নেই। 

হাসিব চলে গেছেন চিরতরে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে হাসিব শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। আজ শুক্রবার সকালে তাঁর গ্রামের বাড়িতে জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। 

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) মেধাবী শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল ফারুক প্রায় পাঁচ মাস ধরে লিভার সিরোসিসে ভুগছিলেন। বন্ধুমহলে হাসিব নামে পরিচিত তিনি। 

হাসিব বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তাঁর বাড়ি পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালি উপজেলায়। গত জুলাইয়ের ২ তারিখে তাঁর লিভার সিরোসিস ধরা পড়ে। প্রথম দিকে নারায়ণগঞ্জ পপুলার হাসপাতাল ও পরে ঢাকার ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে উন্নত চিকিৎসার জন্য কিছুদিনের মধ্যে ভারতে যাওয়ার কথা ছিল। 

তাঁর সহপাঠীরা বলেন, হাসিবের বাবা সামান্য বেতনে একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। প্রথম দিকে তাঁর পরিবারের পক্ষে চিকিৎসার ব্যয় বহন করা সম্ভব হচ্ছিল না। পরে সহপাঠীরা দল বেঁধে বিভিন্ন জায়গায় টাকা তুলে পরিবারের কাছে পাঠিয়েছেন। 

হাসিবের বন্ধু শামছুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তার পরিবারের আর্থিক অবস্থা খুব খারাপ। আমরা ক্যাম্পাসে অর্থ সংগ্রহ করি। আমরা তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা অনেক চেষ্টা করেছি তাকে বাঁচানোর জন্য। সে খুব ভালো ছেলে ছিল, সবার সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলত। মৃত্যুর খবরটা শুনে আমরা ব্যথিত।’ 

হাসিবের আরেক বন্ধু ইয়াসির আরাফাত বলেন, ‘নভেম্বরের ১০ তারিখ চিকিৎসার জন্য ভারতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কাগজপত্র প্রসেসিংয়ের জটিলতায় যেতে পারেনি। কিছুদিনের মধ্যে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখন আর তাঁকে যেতে হবে না!’ 

আরবি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. শাযাআত উল্লাহ ফারুকী বলেন, ‘হাসিব সপ্তাখানেক ধরে বেশি অসুস্থ ছিল। গতকাল রাত ২টার দিকে পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালি উপজেলায় ইন্তেকাল করেছেন। সবাই তাঁর জন্য দোয়া করবেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত