হিমেল চাকমা ও সুমন্ত চাকমা, রাঙামাটি থেকে
প্রায় আড়াই হাজার ফুট উঁচু পাহাড়ে অবস্থিত রাঙামাটি সদরের বালুখালী ইউনিয়নে লক্ষণ্যাপাড়া। এত দিন পাড়ায় মানুষের পানির একমাত্র উৎস ছিল বৃষ্টি, নয়তো দূর পাহাড়ে পানির খোঁজে বের হতে হতো।
ইউএনডিপির একটি প্রকল্পের মাধ্যমে এবার তাঁদের ঘরের উঠানে পানি পৌঁছে দিচ্ছে জেলা পরিষদ। মাত্র ২ লাখ টাকা ব্যয়ে আড়াই হাজার ফুট উঁচু পাহাড়ে অনর্গল পানি তুলে দিচ্ছে। এতে খুশি লক্ষণ্যাপাড়ার বাসিন্দারা।
পাড়াবাসী জানান, আগে বৃষ্টি না হলে দূর পাহাড়ে পানির খোঁজে বের হতে হতো। পাহাড়ি পথ বেয়ে পানি আনতেন নারীরা। এতে এক ঘণ্টা বা তারও বেশি সময় লাগত। তবে শুষ্ক মৌসুমে এ কষ্ট তিন-চার গুণ বেড়ে যেত। বালুখালি ইউপি চেয়ারম্যান বিজয়গিরি চাকমা বলেন, প্রকল্পটি হওয়ায় লক্ষণ্যাপাড়া শত বছরের পানির কষ্ট দূর করেছে। এ ধরনের আরও অনেক এলাকা রয়েছে। সরকার চাইলে সব এলাকায় এটি বাস্তবায়ন করতে পারে।
লক্ষণ্যাপাড়ায় গিয়ে দেখা যায়, পাড়ার পাশে উঁচু পাহাড়ে বসানো হয়েছে ৮টি সৌর প্যানেল। নিচে একটি ঘরের ভেতরে রাখা হয়েছে ৮টি ব্যাটারি ও একটি আইপিএস। সেখান থেকে পাহাড়ের নিচে ঝিরিতে একটি বৈদ্যুতিক সংযোগ গেছে। সেখানে বসানো ২ হর্স পাওয়ারের পানির মোটর বসানো হয়েছে। সংযোগ দেওয়া হলে দীর্ঘ নল বেয়ে পানি চলে আসছে পাড়ায়।
পার্বত্য চট্টগ্রাম জলবায়ু সহনশীল প্রকল্পের আওতায় জেলায় ৪টি উপজেলায় ৮টি প্রকল্পের মাধ্যমে ৪৮টি পাড়ার মানুষ এ সুবিধা পাচ্ছে। তবে পাহাড়ে হাজারো গ্রাম আছে সারা বছর পানির কষ্ট লেগে থাকছে। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামে অনেক প্রাকৃতিক পানির উৎস নষ্ট হয়ে গেছে। সরকারি সহযোগিতা থাকলে ভালো থাকা উৎস কাজে লাগিয়ে পাহাড়ে মানুষের শত বছরের পানির কষ্ট লাঘব করা সম্ভব হবে।
প্রকল্পের জেলা সমন্বয় কর্মকর্তা পলাশ খীসা বলেন, ড্যানিডার সহযোগিতা জেলা পরিষদ এ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করছে। এ প্রকল্পটি চলতি বছর সেপ্টেম্বরে শেষ হবে। দাতা সংস্থা চাইলে এটি বাড়তেও পারে। কারণ প্রকল্পটি খুব জনমুখী একটি প্রকল্প হিসেবে সুনাম অর্জন করেছে।
পাড়ার কার্বারি গিয়ানানন্দ চাকমান (৫০) বলেন, জেলা পরিষদ খুব ভালো একটি কাজ করেছে। এটা রক্ষণাবেক্ষণ ও দীর্ঘদিন স্থায়িত্বের জন্য আমরা কাজ করছি।
গ্রামের গীতা চাকমা (২৮) বলেন, ‘ছোটকাল থেকে পানির কষ্ট পাচ্ছি আমরা। শুষ্ক মৌসুমে জুম থেকে ফিরে পানির অভাবে গোসল ছাড়া থাকতে হতো। ছড়ায় পানি কমে যেত। পানি আনতে দুই-আড়াই ঘণ্টা পাহাড়ি পথ হেঁটে যেতে হতো। এখন সে কষ্ট দূর হয়েছে।’
গ্রামের রংগলা চাকমা (৬০) বলেন, ‘সারা জীবন পাহাড়ের নিচে থেকে পানি তুলতে জীবন গেল। বর্ষায় পানি আনতে গিয়ে পা পিছলে গিয়ে অনেকে আহত হয়েছে। আমিও আহত হয়েছি। সে আঘাত নিয়ে এখনো ভুগছি। বুড়ো বয়সে এভাবে পানি পাব ভাবিনি।’
প্রায় আড়াই হাজার ফুট উঁচু পাহাড়ে অবস্থিত রাঙামাটি সদরের বালুখালী ইউনিয়নে লক্ষণ্যাপাড়া। এত দিন পাড়ায় মানুষের পানির একমাত্র উৎস ছিল বৃষ্টি, নয়তো দূর পাহাড়ে পানির খোঁজে বের হতে হতো।
ইউএনডিপির একটি প্রকল্পের মাধ্যমে এবার তাঁদের ঘরের উঠানে পানি পৌঁছে দিচ্ছে জেলা পরিষদ। মাত্র ২ লাখ টাকা ব্যয়ে আড়াই হাজার ফুট উঁচু পাহাড়ে অনর্গল পানি তুলে দিচ্ছে। এতে খুশি লক্ষণ্যাপাড়ার বাসিন্দারা।
পাড়াবাসী জানান, আগে বৃষ্টি না হলে দূর পাহাড়ে পানির খোঁজে বের হতে হতো। পাহাড়ি পথ বেয়ে পানি আনতেন নারীরা। এতে এক ঘণ্টা বা তারও বেশি সময় লাগত। তবে শুষ্ক মৌসুমে এ কষ্ট তিন-চার গুণ বেড়ে যেত। বালুখালি ইউপি চেয়ারম্যান বিজয়গিরি চাকমা বলেন, প্রকল্পটি হওয়ায় লক্ষণ্যাপাড়া শত বছরের পানির কষ্ট দূর করেছে। এ ধরনের আরও অনেক এলাকা রয়েছে। সরকার চাইলে সব এলাকায় এটি বাস্তবায়ন করতে পারে।
লক্ষণ্যাপাড়ায় গিয়ে দেখা যায়, পাড়ার পাশে উঁচু পাহাড়ে বসানো হয়েছে ৮টি সৌর প্যানেল। নিচে একটি ঘরের ভেতরে রাখা হয়েছে ৮টি ব্যাটারি ও একটি আইপিএস। সেখান থেকে পাহাড়ের নিচে ঝিরিতে একটি বৈদ্যুতিক সংযোগ গেছে। সেখানে বসানো ২ হর্স পাওয়ারের পানির মোটর বসানো হয়েছে। সংযোগ দেওয়া হলে দীর্ঘ নল বেয়ে পানি চলে আসছে পাড়ায়।
পার্বত্য চট্টগ্রাম জলবায়ু সহনশীল প্রকল্পের আওতায় জেলায় ৪টি উপজেলায় ৮টি প্রকল্পের মাধ্যমে ৪৮টি পাড়ার মানুষ এ সুবিধা পাচ্ছে। তবে পাহাড়ে হাজারো গ্রাম আছে সারা বছর পানির কষ্ট লেগে থাকছে। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামে অনেক প্রাকৃতিক পানির উৎস নষ্ট হয়ে গেছে। সরকারি সহযোগিতা থাকলে ভালো থাকা উৎস কাজে লাগিয়ে পাহাড়ে মানুষের শত বছরের পানির কষ্ট লাঘব করা সম্ভব হবে।
প্রকল্পের জেলা সমন্বয় কর্মকর্তা পলাশ খীসা বলেন, ড্যানিডার সহযোগিতা জেলা পরিষদ এ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করছে। এ প্রকল্পটি চলতি বছর সেপ্টেম্বরে শেষ হবে। দাতা সংস্থা চাইলে এটি বাড়তেও পারে। কারণ প্রকল্পটি খুব জনমুখী একটি প্রকল্প হিসেবে সুনাম অর্জন করেছে।
পাড়ার কার্বারি গিয়ানানন্দ চাকমান (৫০) বলেন, জেলা পরিষদ খুব ভালো একটি কাজ করেছে। এটা রক্ষণাবেক্ষণ ও দীর্ঘদিন স্থায়িত্বের জন্য আমরা কাজ করছি।
গ্রামের গীতা চাকমা (২৮) বলেন, ‘ছোটকাল থেকে পানির কষ্ট পাচ্ছি আমরা। শুষ্ক মৌসুমে জুম থেকে ফিরে পানির অভাবে গোসল ছাড়া থাকতে হতো। ছড়ায় পানি কমে যেত। পানি আনতে দুই-আড়াই ঘণ্টা পাহাড়ি পথ হেঁটে যেতে হতো। এখন সে কষ্ট দূর হয়েছে।’
গ্রামের রংগলা চাকমা (৬০) বলেন, ‘সারা জীবন পাহাড়ের নিচে থেকে পানি তুলতে জীবন গেল। বর্ষায় পানি আনতে গিয়ে পা পিছলে গিয়ে অনেকে আহত হয়েছে। আমিও আহত হয়েছি। সে আঘাত নিয়ে এখনো ভুগছি। বুড়ো বয়সে এভাবে পানি পাব ভাবিনি।’
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন বিএনপি নেতা। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যায় বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার করার অভিযোগে গাজীপুর আদালতে এ মামলা করেছেন তিনি।
১২ আগস্ট ২০২৫লক্ষ্মীপুরে রামগতিতে নৌকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ফারুক হোসেন (৪০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন দুজন। এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন আরও দুজন। আজ মঙ্গলবার ভোরে জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারুক হোসেন মারা যান।
১২ আগস্ট ২০২৫দুই বছর আগে ফেনী পৌরসভার সুমাইয়া হোসেন আনিকা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সিং ও গ্রাফিক ডিজাইনের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। এরপর বিভিন্ন অনলাইন প্রতিষ্ঠানে চাকরির চেষ্টা করেও সফল হননি। এখন স্বামীর অনলাইন ব্যবসা দেখাশোনা করছেন। আনিকা বলেন, ‘প্রশিক্ষণ পেয়েছি, কিন্তু কাজের সুযোগ খুবই কম।’ আনিকার
১২ আগস্ট ২০২৫চট্টগ্রাম বন্দরে আন্দোলন দমাতে টাকা দাবির ভিডিও ভাইরালের পর এবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম নগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিনকে কেন্দ্র থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তাঁর লিখিত ব্যাখা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দলকে জানানো কথা বলা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫