তাসনীম হাসান, চট্টগ্রাম
‘এখন দিন, না রাত’—পড়ন্ত বিকেলে ইমরুল কায়েসের এমন প্রশ্নে চোখ ভিজে ওঠে স্বজনদের। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় শরীরের অন্য অংশের সঙ্গে চোখেও আঘাত পেয়েছেন শিল্প পুলিশের এই কনস্টেবল। চোখের আলো হারানোর ভয় পেয়ে বসেছে তাঁর। ওপর বাংলার প্রখ্যাত কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর ‘ভয়’ কবিতার দুটি লাইন উদ্ধৃতি দিয়ে কায়েস যেন স্বজনদের কাছে প্রশ্ন করেই যাচ্ছিলেন, ‘যদি এ চোখের জ্যোতি নিভে যায়, তবে কী হবে, কী হবে!’ স্বজনেরা কী সান্ত্বনা দেবেন তাঁকে। তাঁরা নিজেরাই চোখের পানি ফেলছেন।
সেই রাতে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের সঙ্গে আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন ইমরুল। বিস্ফোরণে তিনি দুই পায়েই আঘাত পান। আঘাত পান চোখেও। ঝাপসা দেখছেন তিনি। তাঁকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ওয়ার্ডের আনা হয়। সেখানে ১৮ নম্বর শয্যায় চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। পায়ের অবস্থা এখন কিছুটা উন্নতির দিকে। কিন্তু চোখের আলো ক্রমেই যেন হারিয়ে যাচ্ছে ইমরুলের। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকার চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন চমেকের চক্ষু বিভাগের প্রধান অধ্যাপক তনুজা তানজিম।
তনুজা তানজিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ইমরুলের চোখের ভেতরে ছিঁড়ে গেছে। বেশ রক্তক্ষরণও হয়েছে। আমরা অস্ত্রোপচার করে চোখের যে জায়গায় ছিঁড়েছে, সেখানে সেলাই করে দিয়েছি। তবে ভেতরে কতটুকু চোট পেয়েছেন, সেটি বলা যাচ্ছে না।’ ঝাপসা অন্ধকারটা অসহ্য লাগছে নূর মোহাম্মদেরও। বিএম ডিপোতে সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত এই তরুণ বলছিলেন, ‘মনে হচ্ছে চোখের ওপর কেউ কাপড় বেঁধে দিয়েছে।’
শুধু ইমরুল ও নূর মোহাম্মদ নন, বিস্ফোরণে আহত হয়ে বর্তমানে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৬৩ জন রোগীই কোনো না কোনোভাবে চোখে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অন্তত ১০-১১ জনের অবস্থা খুবই গুরুতর। চোখের আলো নিভে যাওয়ার শঙ্কায় আছেন অনেকেই। তবে বেশির ভাগই ভালো চিকিৎসা পেলে সুস্থ হয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। সেদিন ডিপোতে থাকা হাইড্রোজেন পার-অক্সাইডের কারণে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। এই রাসায়নিকের কারণেই বিস্ফোরণে আহত অনেকে চোখে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। তাঁদের কারও কারও চোখ লাল হয়ে গেছে, কারও কারও ফুলে গেছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, রাসায়নিকের কারণে আঘাত পাওয়া রোগীদের তাৎক্ষণিকভাবে চোখে একটানা পানি দিতে হয়। শুরুতেই যাঁরা এটি করতে পেরেছেন, তাঁদের চোখ অনেকটাই ভালো আছে। কিন্তু যাঁরা করতে পারেননি, তাঁদেরটা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
চোখের সমস্যায় অন্তত ১০ জন থাকলেও সবাইকে এই মুহূর্তে ঢাকায় নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। কেননা তাঁদের মধ্যে পাঁচজনের শরীরের অন্যান্য অঙ্গও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে এখনই তাঁদের হাসপাতাল থেকে বের করা যাচ্ছে না।
রোগীদের পর্যবেক্ষণ করতে ঢাকা থেকে চমেক হাসপাতালে আসেন প্রখ্যাত চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক দীন মোহাম্মদ নুরুল হক। ন্যাশনাল আই কেয়ারের সাবেক এই মহাপরিচালক সব রোগীকে দেখার পর বলেন, ‘আহত রোগীদের মধ্যে চমেকে ভর্তি ৬৩ জন রোগীর সবাই চোখে কোনো না কোনোভাবে আঘাত পেয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ছয়জনের চোখের অবস্থা খুবই খারাপ। তাঁদের মধ্যে একজনের চোখের কর্নিয়া ফেটে গেছে। তাঁর দৃষ্টিশক্তি ফিরে আসার সম্ভাবনা ক্ষীণ। প্রয়োজনে তাঁকে দেশের বাইরে পাঠানো হবে। সমস্ত খরচ সরকার বহন করবে।’
‘এখন দিন, না রাত’—পড়ন্ত বিকেলে ইমরুল কায়েসের এমন প্রশ্নে চোখ ভিজে ওঠে স্বজনদের। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় শরীরের অন্য অংশের সঙ্গে চোখেও আঘাত পেয়েছেন শিল্প পুলিশের এই কনস্টেবল। চোখের আলো হারানোর ভয় পেয়ে বসেছে তাঁর। ওপর বাংলার প্রখ্যাত কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর ‘ভয়’ কবিতার দুটি লাইন উদ্ধৃতি দিয়ে কায়েস যেন স্বজনদের কাছে প্রশ্ন করেই যাচ্ছিলেন, ‘যদি এ চোখের জ্যোতি নিভে যায়, তবে কী হবে, কী হবে!’ স্বজনেরা কী সান্ত্বনা দেবেন তাঁকে। তাঁরা নিজেরাই চোখের পানি ফেলছেন।
সেই রাতে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের সঙ্গে আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন ইমরুল। বিস্ফোরণে তিনি দুই পায়েই আঘাত পান। আঘাত পান চোখেও। ঝাপসা দেখছেন তিনি। তাঁকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ওয়ার্ডের আনা হয়। সেখানে ১৮ নম্বর শয্যায় চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। পায়ের অবস্থা এখন কিছুটা উন্নতির দিকে। কিন্তু চোখের আলো ক্রমেই যেন হারিয়ে যাচ্ছে ইমরুলের। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকার চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন চমেকের চক্ষু বিভাগের প্রধান অধ্যাপক তনুজা তানজিম।
তনুজা তানজিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ইমরুলের চোখের ভেতরে ছিঁড়ে গেছে। বেশ রক্তক্ষরণও হয়েছে। আমরা অস্ত্রোপচার করে চোখের যে জায়গায় ছিঁড়েছে, সেখানে সেলাই করে দিয়েছি। তবে ভেতরে কতটুকু চোট পেয়েছেন, সেটি বলা যাচ্ছে না।’ ঝাপসা অন্ধকারটা অসহ্য লাগছে নূর মোহাম্মদেরও। বিএম ডিপোতে সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত এই তরুণ বলছিলেন, ‘মনে হচ্ছে চোখের ওপর কেউ কাপড় বেঁধে দিয়েছে।’
শুধু ইমরুল ও নূর মোহাম্মদ নন, বিস্ফোরণে আহত হয়ে বর্তমানে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৬৩ জন রোগীই কোনো না কোনোভাবে চোখে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অন্তত ১০-১১ জনের অবস্থা খুবই গুরুতর। চোখের আলো নিভে যাওয়ার শঙ্কায় আছেন অনেকেই। তবে বেশির ভাগই ভালো চিকিৎসা পেলে সুস্থ হয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। সেদিন ডিপোতে থাকা হাইড্রোজেন পার-অক্সাইডের কারণে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। এই রাসায়নিকের কারণেই বিস্ফোরণে আহত অনেকে চোখে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। তাঁদের কারও কারও চোখ লাল হয়ে গেছে, কারও কারও ফুলে গেছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, রাসায়নিকের কারণে আঘাত পাওয়া রোগীদের তাৎক্ষণিকভাবে চোখে একটানা পানি দিতে হয়। শুরুতেই যাঁরা এটি করতে পেরেছেন, তাঁদের চোখ অনেকটাই ভালো আছে। কিন্তু যাঁরা করতে পারেননি, তাঁদেরটা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
চোখের সমস্যায় অন্তত ১০ জন থাকলেও সবাইকে এই মুহূর্তে ঢাকায় নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। কেননা তাঁদের মধ্যে পাঁচজনের শরীরের অন্যান্য অঙ্গও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে এখনই তাঁদের হাসপাতাল থেকে বের করা যাচ্ছে না।
রোগীদের পর্যবেক্ষণ করতে ঢাকা থেকে চমেক হাসপাতালে আসেন প্রখ্যাত চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক দীন মোহাম্মদ নুরুল হক। ন্যাশনাল আই কেয়ারের সাবেক এই মহাপরিচালক সব রোগীকে দেখার পর বলেন, ‘আহত রোগীদের মধ্যে চমেকে ভর্তি ৬৩ জন রোগীর সবাই চোখে কোনো না কোনোভাবে আঘাত পেয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ছয়জনের চোখের অবস্থা খুবই খারাপ। তাঁদের মধ্যে একজনের চোখের কর্নিয়া ফেটে গেছে। তাঁর দৃষ্টিশক্তি ফিরে আসার সম্ভাবনা ক্ষীণ। প্রয়োজনে তাঁকে দেশের বাইরে পাঠানো হবে। সমস্ত খরচ সরকার বহন করবে।’
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন বিএনপি নেতা। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যায় বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার করার অভিযোগে গাজীপুর আদালতে এ মামলা করেছেন তিনি।
২২ দিন আগেলক্ষ্মীপুরে রামগতিতে নৌকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ফারুক হোসেন (৪০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন দুজন। এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন আরও দুজন। আজ মঙ্গলবার ভোরে জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারুক হোসেন মারা যান।
২২ দিন আগেদুই বছর আগে ফেনী পৌরসভার সুমাইয়া হোসেন আনিকা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সিং ও গ্রাফিক ডিজাইনের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। এরপর বিভিন্ন অনলাইন প্রতিষ্ঠানে চাকরির চেষ্টা করেও সফল হননি। এখন স্বামীর অনলাইন ব্যবসা দেখাশোনা করছেন। আনিকা বলেন, ‘প্রশিক্ষণ পেয়েছি, কিন্তু কাজের সুযোগ খুবই কম।’ আনিকার
২২ দিন আগেচট্টগ্রাম বন্দরে আন্দোলন দমাতে টাকা দাবির ভিডিও ভাইরালের পর এবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম নগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিনকে কেন্দ্র থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তাঁর লিখিত ব্যাখা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দলকে জানানো কথা বলা হয়েছে।
২২ দিন আগে