নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটের (আইসিইউ) ১০টি শয্যার বিপরীতে খালি আছে পাঁচটি। অথচ ওই হাসপাতালেই আইসিইউর অভাবে মৃত্যুর প্রহর গুনছেন পোশাককর্মী খালেদা (৩৫)। তিনি বর্তমানে ভর্তি আছেন ওই হাসপাতালের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ৪৬ নম্বর শয্যায়।
শুধু চমেকে নয়, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে খালি আছে চারটি আইসিইউর শয্যা। অথচ ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও খালেদার পরিবারকে জানিয়ে দিয়েছে, শয্যা খালি নেই। এখন চমেকে ছটফট করছেন খালেদা। আইসিইউ না জুটলে তাঁর বাঁচার সম্ভাবনা খুব কম বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
খালেদার পাশে আছেন তাঁর মা সৈয়দা বেগম এবং আত্মীয় মো. জালাল। তাঁদের বাড়ি মহেশখালীর শাপলাপুর এলাকায়। তাঁরা ছয় বোন, দুই ভাই। খালেদা নগরীর একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। অন্য নারী পোশাককর্মীদের সঙ্গে চান্দগাঁও বরিশাল বাজার এলাকায় একটি মেসে থাকেন।
জালাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাঁরা খুবই অসহায়। খালেদার বাবা নেই। বিয়ে হয়েছিল, তবে স্বামীর অত্যাচারে সংসার ছেড়েছেন। পরিবারের বোঝা হওয়ায় চট্টগ্রাম শহরে এসে পোশাক কারখানায় চাকরি করে নিজে চলেন ও মাকেও খরচ দেন।
গত সোমবার খালেদাকে ডায়রিয়াজনিত কারণে ভর্তি করা হয় চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকেরা চমেকে রেফার করেন। চমেকের চিকিৎসকেরা দেখে তাঁকে আইসিইউতে নেওয়ার জন্য বলেন। কিন্তু চমেকের আইসিইউ ইউনিট থেকে বলা হয়, শয্যা খালি নেই। পরে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে আইসিইউর জন্য যোগাযোগ করলে সেখান থেকেও শয্যা খালি নেই বলে জানিয়ে দেওয়া হয়।
খালেদার মা সৈয়দা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে আজকের পত্রিকাকে বলেন, `গরিব বলে আমার মেয়ে এভাবে আইসিইউর অভাবে মারা যাবে?'
এ বিষয়ে জানতে ফোনে যোগাযোগ করা হলে চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ুন কবির মিটিংয়ে আছেন বলে কল কেটে দেন। পরে কল করা হলে তিনি আর জবাব দেননি।
চট্টগ্রাম জেলার সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি আজকের পত্রিকাকে বলেন, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চমেকে ১০টি আইসিইউ বেডের বিপরীতে পাঁচটি ও চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ১৮টি বেডের বিপরীতে চারটি আইসিইউ বেড খালি আছে। এ ছাড়া বেসরকারি হাসপাতালে ১০৭টি আইসিইউ বেডের বিপরীতে ৬৫টি বেড খালি আছে। তাহলে খালেদা কেন শয্যা পাচ্ছেন না—এ প্রশ্ন করলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটের (আইসিইউ) ১০টি শয্যার বিপরীতে খালি আছে পাঁচটি। অথচ ওই হাসপাতালেই আইসিইউর অভাবে মৃত্যুর প্রহর গুনছেন পোশাককর্মী খালেদা (৩৫)। তিনি বর্তমানে ভর্তি আছেন ওই হাসপাতালের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ৪৬ নম্বর শয্যায়।
শুধু চমেকে নয়, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে খালি আছে চারটি আইসিইউর শয্যা। অথচ ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও খালেদার পরিবারকে জানিয়ে দিয়েছে, শয্যা খালি নেই। এখন চমেকে ছটফট করছেন খালেদা। আইসিইউ না জুটলে তাঁর বাঁচার সম্ভাবনা খুব কম বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
খালেদার পাশে আছেন তাঁর মা সৈয়দা বেগম এবং আত্মীয় মো. জালাল। তাঁদের বাড়ি মহেশখালীর শাপলাপুর এলাকায়। তাঁরা ছয় বোন, দুই ভাই। খালেদা নগরীর একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। অন্য নারী পোশাককর্মীদের সঙ্গে চান্দগাঁও বরিশাল বাজার এলাকায় একটি মেসে থাকেন।
জালাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাঁরা খুবই অসহায়। খালেদার বাবা নেই। বিয়ে হয়েছিল, তবে স্বামীর অত্যাচারে সংসার ছেড়েছেন। পরিবারের বোঝা হওয়ায় চট্টগ্রাম শহরে এসে পোশাক কারখানায় চাকরি করে নিজে চলেন ও মাকেও খরচ দেন।
গত সোমবার খালেদাকে ডায়রিয়াজনিত কারণে ভর্তি করা হয় চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকেরা চমেকে রেফার করেন। চমেকের চিকিৎসকেরা দেখে তাঁকে আইসিইউতে নেওয়ার জন্য বলেন। কিন্তু চমেকের আইসিইউ ইউনিট থেকে বলা হয়, শয্যা খালি নেই। পরে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে আইসিইউর জন্য যোগাযোগ করলে সেখান থেকেও শয্যা খালি নেই বলে জানিয়ে দেওয়া হয়।
খালেদার মা সৈয়দা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে আজকের পত্রিকাকে বলেন, `গরিব বলে আমার মেয়ে এভাবে আইসিইউর অভাবে মারা যাবে?'
এ বিষয়ে জানতে ফোনে যোগাযোগ করা হলে চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ুন কবির মিটিংয়ে আছেন বলে কল কেটে দেন। পরে কল করা হলে তিনি আর জবাব দেননি।
চট্টগ্রাম জেলার সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি আজকের পত্রিকাকে বলেন, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চমেকে ১০টি আইসিইউ বেডের বিপরীতে পাঁচটি ও চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ১৮টি বেডের বিপরীতে চারটি আইসিইউ বেড খালি আছে। এ ছাড়া বেসরকারি হাসপাতালে ১০৭টি আইসিইউ বেডের বিপরীতে ৬৫টি বেড খালি আছে। তাহলে খালেদা কেন শয্যা পাচ্ছেন না—এ প্রশ্ন করলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন বিএনপি নেতা। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যায় বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার করার অভিযোগে গাজীপুর আদালতে এ মামলা করেছেন তিনি।
১২ আগস্ট ২০২৫লক্ষ্মীপুরে রামগতিতে নৌকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ফারুক হোসেন (৪০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন দুজন। এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন আরও দুজন। আজ মঙ্গলবার ভোরে জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারুক হোসেন মারা যান।
১২ আগস্ট ২০২৫দুই বছর আগে ফেনী পৌরসভার সুমাইয়া হোসেন আনিকা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সিং ও গ্রাফিক ডিজাইনের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। এরপর বিভিন্ন অনলাইন প্রতিষ্ঠানে চাকরির চেষ্টা করেও সফল হননি। এখন স্বামীর অনলাইন ব্যবসা দেখাশোনা করছেন। আনিকা বলেন, ‘প্রশিক্ষণ পেয়েছি, কিন্তু কাজের সুযোগ খুবই কম।’ আনিকার
১২ আগস্ট ২০২৫চট্টগ্রাম বন্দরে আন্দোলন দমাতে টাকা দাবির ভিডিও ভাইরালের পর এবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম নগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিনকে কেন্দ্র থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তাঁর লিখিত ব্যাখা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দলকে জানানো কথা বলা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫