হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
মারা যাওয়ার এক বছর যেতে না যেতেই চট্টগ্রামে হাটহাজারী মাদ্রাসা নামে পরিচিত দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারি মাদ্রাসার নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি হাতছাড়া হয়ে গেছে মরহুম আল্লামা আহমদ শফির অনুসারীদের। একই সঙ্গে তার নিজ হাতে গড়া সংগঠন হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশেও তিনি উপেক্ষিত। এ কারণে তার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীর দিনে আজ শনিবার তার দল কিংবা মাদ্রাসার কোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠান হচ্ছে না, অন্য কোনোভাবেও স্মরণ করা হচ্ছে না তাকে।
গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান আল্লামা আহমদ শফি। মৃত্যুর একদিন আগে হেফাজতে ইসলামির ভিন্নমতাবলম্বীদের চাপে পড়ে হাটহাজারি মাদ্রাসার মহাপরিচালকের পদটিও ছাড়তে হয়েছিল তাকে। অথচ এর আগে টানা ৩৪ বছর দেশের হাটহাজারি মাদ্রাসার মুহাদ্দিস প্রধান তথা শীর্ষ কর্মকর্তার পদটি ছিল তার। এই মাদ্রাসার শিক্ষার্থীর সংখ্যার সংখ্যা ১২ হাজারেরও বেশি। আল্লামা শফি মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত কওমি মাদ্রাসাগুলোর নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন এবং বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা বোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের (বেফাক) সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন।
রাজনৈতিক বিশ্লষকরা মনে করেন, সারাদেশের কাওমী মাদ্রাসার হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে সঙ্গবদ্ধ করে ২০১০ সালে আত্মপ্রকাশ করে দেশের ধর্মভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামি বাংলাদেশ, যার কেন্দ্রে ছিল হাটহাজারি মাদ্রাসা আর মাওলানা শফির নেতৃত্বে। ২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকায় বৃহত্তম সমাবেশ ও রাজধানীর মতিঝিল চত্বরে লাগাতার অবস্থান করে ঢাকা তথা দেশ অচল করার চেষ্টাও হয়েছিল তার নেতৃত্বকে সামনে রেখে। পরবর্তীতে নানা ঘাত–প্রতিঘাতে দলে শফির ভিন্নমতাবলম্বীরা শক্তিশালি হয়ে ওঠে। বিশেষ করে মাওলানা শফির ছেলে আনাস মাদানির সঙ্গে গোপনে সরকারের যোগাযোগের বিষয়টি প্রকাশ্যে চলে আসার পর হেফাজতের অভ্যন্তরে দ্বিধাবিভক্তি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ছেলের নানা অনিয়ম আর দলে ও হাটহাজারি মাদ্রাসা পরিচালনার ক্ষেত্রে আনাসকে সমর্থনের কারণেও অনেক কট্টর অনুসারী মাওলানা শফির বিপক্ষে চলে যান ধীরে ধীরে। এ কারণে প্রথমে ছেলে এবং পরে বাবা মাওলানা শফিকে ছাড়তে হয় মাদ্রাসা ও দলের নিয়ন্ত্রণ।
হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশ বর্তমান কমিটির একাধিক নেতা বলেন, আল্লামা শফীর মৃত্যুর পর মাওলানা আনাস ও তার অনুসারীরা গত এক বছরে হেফাজত ইসলাম এবং হাটহাজারী মাদ্রাসায় আর সুবিধা করতে পারেনি।
হেফাজতের বর্তমান আমির মাওলানা মহিবুল্লাহ বাবুনগরী, যিনি এক সময় মাওলানা শফির অনুসারী হলেও পরে তার বিপক্ষে অবস্থান নেন। একইভাবে দলের মহাসচিব নুরুল ইসলাম জিহাদীও মাওলানা শফির সঙ্গে ভিন্নমত পোষণকারী অন্যতম নেতা। আর হাটহাজারি মাদ্রাসার মহাপরিচালকের পদেও এখন দায়িত্ব পালন করছেন মাওলানা ইয়াহইয়া। একই সঙ্গে তিনি হেফাজতে ইসলামির নায়েবে আমিরের দায়িত্বে আছেন।
মাওলানা ইয়াহইয়া’র স্বীকার করেন, আহমদ শফির প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে দল কিংবা মাদ্রাসায় কিছু করা হচ্ছে না। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, অতীতেও মহাপরিচালক মৃত্যুর পর কোনো দোয়া হয়নি। এসব শরিয়ত সম্মত নয়।
তবে আল্লামা শফির ছেলে আনাস মাদানি আজকের পত্রিকাকে বলেন, শাইখুল হাদিস আল্লামা শাহ আহমদ শফি রহ. এর মাগফিরাত কামনায় তার খোলাফা, শাগরেদ, আত্মীয়স্বজন ও প্রিয়জনরা সাড়ে তিন হাজার কোরআন খতম, বিশটি বুখারি খতম, চার হাজার খতমে ইউনুস দুই লাখ বিশ হাজার দরুদ শরিফ খতম ও পাঁচশ’ সুরা ইয়াসিন খতম সম্পন্ন করেছেন। শুক্রবার জুমার নামাজের পর শাইখুল ইসলামের মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয়।
মারা যাওয়ার এক বছর যেতে না যেতেই চট্টগ্রামে হাটহাজারী মাদ্রাসা নামে পরিচিত দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারি মাদ্রাসার নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি হাতছাড়া হয়ে গেছে মরহুম আল্লামা আহমদ শফির অনুসারীদের। একই সঙ্গে তার নিজ হাতে গড়া সংগঠন হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশেও তিনি উপেক্ষিত। এ কারণে তার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীর দিনে আজ শনিবার তার দল কিংবা মাদ্রাসার কোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠান হচ্ছে না, অন্য কোনোভাবেও স্মরণ করা হচ্ছে না তাকে।
গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান আল্লামা আহমদ শফি। মৃত্যুর একদিন আগে হেফাজতে ইসলামির ভিন্নমতাবলম্বীদের চাপে পড়ে হাটহাজারি মাদ্রাসার মহাপরিচালকের পদটিও ছাড়তে হয়েছিল তাকে। অথচ এর আগে টানা ৩৪ বছর দেশের হাটহাজারি মাদ্রাসার মুহাদ্দিস প্রধান তথা শীর্ষ কর্মকর্তার পদটি ছিল তার। এই মাদ্রাসার শিক্ষার্থীর সংখ্যার সংখ্যা ১২ হাজারেরও বেশি। আল্লামা শফি মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত কওমি মাদ্রাসাগুলোর নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন এবং বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা বোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের (বেফাক) সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন।
রাজনৈতিক বিশ্লষকরা মনে করেন, সারাদেশের কাওমী মাদ্রাসার হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে সঙ্গবদ্ধ করে ২০১০ সালে আত্মপ্রকাশ করে দেশের ধর্মভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামি বাংলাদেশ, যার কেন্দ্রে ছিল হাটহাজারি মাদ্রাসা আর মাওলানা শফির নেতৃত্বে। ২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকায় বৃহত্তম সমাবেশ ও রাজধানীর মতিঝিল চত্বরে লাগাতার অবস্থান করে ঢাকা তথা দেশ অচল করার চেষ্টাও হয়েছিল তার নেতৃত্বকে সামনে রেখে। পরবর্তীতে নানা ঘাত–প্রতিঘাতে দলে শফির ভিন্নমতাবলম্বীরা শক্তিশালি হয়ে ওঠে। বিশেষ করে মাওলানা শফির ছেলে আনাস মাদানির সঙ্গে গোপনে সরকারের যোগাযোগের বিষয়টি প্রকাশ্যে চলে আসার পর হেফাজতের অভ্যন্তরে দ্বিধাবিভক্তি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ছেলের নানা অনিয়ম আর দলে ও হাটহাজারি মাদ্রাসা পরিচালনার ক্ষেত্রে আনাসকে সমর্থনের কারণেও অনেক কট্টর অনুসারী মাওলানা শফির বিপক্ষে চলে যান ধীরে ধীরে। এ কারণে প্রথমে ছেলে এবং পরে বাবা মাওলানা শফিকে ছাড়তে হয় মাদ্রাসা ও দলের নিয়ন্ত্রণ।
হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশ বর্তমান কমিটির একাধিক নেতা বলেন, আল্লামা শফীর মৃত্যুর পর মাওলানা আনাস ও তার অনুসারীরা গত এক বছরে হেফাজত ইসলাম এবং হাটহাজারী মাদ্রাসায় আর সুবিধা করতে পারেনি।
হেফাজতের বর্তমান আমির মাওলানা মহিবুল্লাহ বাবুনগরী, যিনি এক সময় মাওলানা শফির অনুসারী হলেও পরে তার বিপক্ষে অবস্থান নেন। একইভাবে দলের মহাসচিব নুরুল ইসলাম জিহাদীও মাওলানা শফির সঙ্গে ভিন্নমত পোষণকারী অন্যতম নেতা। আর হাটহাজারি মাদ্রাসার মহাপরিচালকের পদেও এখন দায়িত্ব পালন করছেন মাওলানা ইয়াহইয়া। একই সঙ্গে তিনি হেফাজতে ইসলামির নায়েবে আমিরের দায়িত্বে আছেন।
মাওলানা ইয়াহইয়া’র স্বীকার করেন, আহমদ শফির প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে দল কিংবা মাদ্রাসায় কিছু করা হচ্ছে না। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, অতীতেও মহাপরিচালক মৃত্যুর পর কোনো দোয়া হয়নি। এসব শরিয়ত সম্মত নয়।
তবে আল্লামা শফির ছেলে আনাস মাদানি আজকের পত্রিকাকে বলেন, শাইখুল হাদিস আল্লামা শাহ আহমদ শফি রহ. এর মাগফিরাত কামনায় তার খোলাফা, শাগরেদ, আত্মীয়স্বজন ও প্রিয়জনরা সাড়ে তিন হাজার কোরআন খতম, বিশটি বুখারি খতম, চার হাজার খতমে ইউনুস দুই লাখ বিশ হাজার দরুদ শরিফ খতম ও পাঁচশ’ সুরা ইয়াসিন খতম সম্পন্ন করেছেন। শুক্রবার জুমার নামাজের পর শাইখুল ইসলামের মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয়।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন বিএনপি নেতা। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যায় বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার করার অভিযোগে গাজীপুর আদালতে এ মামলা করেছেন তিনি।
২৫ দিন আগেলক্ষ্মীপুরে রামগতিতে নৌকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ফারুক হোসেন (৪০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন দুজন। এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন আরও দুজন। আজ মঙ্গলবার ভোরে জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারুক হোসেন মারা যান।
২৫ দিন আগেদুই বছর আগে ফেনী পৌরসভার সুমাইয়া হোসেন আনিকা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সিং ও গ্রাফিক ডিজাইনের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। এরপর বিভিন্ন অনলাইন প্রতিষ্ঠানে চাকরির চেষ্টা করেও সফল হননি। এখন স্বামীর অনলাইন ব্যবসা দেখাশোনা করছেন। আনিকা বলেন, ‘প্রশিক্ষণ পেয়েছি, কিন্তু কাজের সুযোগ খুবই কম।’ আনিকার
২৫ দিন আগেচট্টগ্রাম বন্দরে আন্দোলন দমাতে টাকা দাবির ভিডিও ভাইরালের পর এবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম নগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিনকে কেন্দ্র থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তাঁর লিখিত ব্যাখা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দলকে জানানো কথা বলা হয়েছে।
২৫ দিন আগে