নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী ও বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন। গত রোববার রাজধানী বসুন্ধরা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর (গোয়েন্দা) পুলিশ।
এদিকে স্বামী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের মুক্তি চেয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে খোলা চিঠি দিয়েছেন তাঁর স্ত্রী আয়েশা সুলতানা। আজ বুধবার চিঠিটি প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে পৌঁছে দেওয়ার কথা জানান তিনি।
জানতে চাইলে মোবাইল ফোনে আয়েশা সুলতানা আজকের পত্রিকা বলেন, ‘আজ বুধবার বিকেলে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার কাছে খোলা চিঠিটি জমা দিয়েছি। আশা করছি, উনি বিবেচনায় নেবেন।’
চিঠিটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো–
মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়,
আমার সালাম এবং আন্তরিক শুভেচ্ছা নেবেন। আমি নিম্নস্বাক্ষরকারী চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলে আপনার নেতৃত্বাধীন স্কাউট টিম মেম্বার ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের স্ত্রী। দেশের বিশেষ পরিস্থিতিতে আপনি বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। শপথ গ্রহণের পর আপনি আইনের শাসন বজায় রাখা এবং দুঃশাসনের অবসানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হলো—রাজধানীর পল্টন থানায় ২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বরের ঘটনায় একটি হত্যা মামলায় আমার স্বামী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে (৮২) অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে মিথ্যা মামলায় আসামি করা হলো। যার নম্বর-৪৮/৪০২। অথচ ২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বর তিনি ছিলেন কক্সবাজারে। উক্ত মামলায় বিগত ২৭ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে ডিবি পুলিশ বসুন্ধরার বাসভবন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
পল্টন থানায় মামলার পর তাঁর বিরুদ্ধে তিন থেকে দশ বছর আগের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। বেশির ভাগ মামলাই বিগত কয়েক দিনে হয়েছে—যেগুলো বানোয়াট এবং বেশ তাড়াহুড়ো করে দায়ের করা হয়েছে। জোরারগঞ্জ থানার মামলা নম্বর-৩, ৬ অক্টোবর ২০২৪, মামলা নম্বর-১৭, তারিখ ৮ অক্টোবর ২০২৪, মীরসরাই থানার মামলা নম্বর-১৮, তারিখ ২৪ অক্টোবর ২০২৪।
গত কয়েক বছর ধরে তিনি গুরুতর শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন। তিনি বছর দুয়েক পূর্বে সিঁড়িতে পড়ে গুরুতর অসুস্থ হলে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে তাঁর বড় হিপ সার্জারি হয়। কিন্তু ত্রুটিপূর্ণ সার্জারি হওয়াতে তিনি কারও সহায়তা ছাড়া হাঁটতে পারেন না। গ্রেপ্তারের সময় তাঁর হুইলচেয়ারটিও সঙ্গে নেওয়া হয়নি।
সম্প্রতিক কোভিড-১৯ সংক্রমণের কারণে বেড়ে যাওয়া পারকিনসন রোগ এবং আন্তস্থায়ী ফুসফুসের রোগের সঙ্গে চলমান লড়াইয়ে তাঁর শ্বাস-প্রশ্বাসের অবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ে। তাঁর ভারসাম্যহীনতা এবং পারকিনসনের কারণে তিনি প্রায়শই পড়ে যাচ্ছেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এবং বাংলাদেশে তাঁর স্বাস্থ্য পরিচর্যার সঙ্গে জড়িত নিউরোলজিস্ট, অর্থোপেডিক সার্জন, পালমোনোলজিস্ট এবং ফিজিও থেরাপিস্ট তাঁর স্বাস্থ্যের জন্য সমাধান করতে এবং আরও অবনতি রোধ করতে অবিলম্বে চিকিৎসা হস্তক্ষেপের সুপারিশ করেছেন।
প্রস্তাবিত চিকিৎসা পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে—তাঁর হিপ ফ্র্যাকচার সার্জারির সম্ভাব্য প্রত্যাবর্তন, জোরালো শারীরিক থেরাপি, তাঁর পারকিনসনস রোগের আরও অগ্রগতি রোধ করার জন্য নিউরো মূল্যায়ন এবং তাঁর অন্তর্বর্তী ফুসফুসের রোগের পুঙ্খানুপুঙ্খ অনুসরণ।
তা ছাড়া তিনি ডায়বেটিস, হৃদ্রোগ, থাইরয়েড, প্রাথমিক ডিমেনশিয়া সহ নানাবিধি শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। আমি এবং সার্বক্ষণিক দুজন সহকারী ওনার ওষুধপত্র, খাওয়াদাওয়া তদারকি করি। সেই ১৮ বছর বয়সে আমার বিয়ের পর থেকেই অনিশ্চয়তা এবং উদ্বেগের মধ্যে বসবাস করছি; যখন আমার স্বামী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একজন এমপি হয়েও ’৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সশস্ত্র সংগ্রামে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে আজও ৭৩ বছর বয়সে এই স্বাধীন বাংলাদেশে ৫৪ বছরের সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের পরেও আমি একই ভয় ও উদ্বেগের মধ্যে বসবাস করছি।
তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় শুভপুর ব্রিজ উড়িয়ে দিয়ে আপনার জন্মস্থান চট্টগ্রাম এবং বাসিন্দাদের পাক বাহিনীর গণহত্যা থেকে রক্ষা করেছিলেন। বড় বড় দুঃসাহসিক অভিযান চালিয়ে পাক বাহিনীর বুকে কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছেন। তৎকালীন খুব কম জনপ্রতিনিধি রণাঙ্গনে সম্মুখযুদ্ধ করেছিলেন; তিনি হাতে গোনাদের মধ্যে একজন।
তিনি সাতবার এমপি ছিলেন, দুবার মন্ত্রী ছিলেন। একাধিকবার প্রতিপক্ষের আক্রমণে মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসেছেন; কিন্তু কারও প্রতি প্রতিহিংসাপরায়ণ ছিলেন না। কারও ক্ষতি করেন নাই তিনি। জীবনভর উদারনৈতিক রাজনীতি করেছেন। তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেছেন। কিন্তু যখন তিনি জনপ্রতিনিধি তখন তিনি দলমতের ভেদাভেদ করেন নাই।
কর্মজীবনে তিনি দেশ, চট্টগ্রাম, মীরসরাইয়ের মানুষের জন্য কাজ করেছেন। কৃষিজমির টপসয়েল রক্ষা, জলাধার রক্ষা আইন, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ, সিঙ্গাপুর-হংকংয়ের আদলে ঊর্ধ্বমুখী ভবনসহ অসংখ্য জনবান্ধব প্রকল্প তিনি বাস্তবায়ন করেছেন। মীরসরাইতে ৩৩,০০০ একর জায়গায় এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ অর্থনৈতিক অঞ্চল তাঁর মস্তিষ্কপ্রসূত। যেখানে ৩০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে। বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা লাভ করা ‘থ্রি জিরো’ ধারণার মতো বাস্তবায়িত হচ্ছে এটি।
আমার পারিবারিক জীবনে উনাকে আমি ও আমার ছেলে–মেয়েরা পাইনি। উনি সব সময় দেশের উন্নয়নে ছুটেছেন। গত ২ বছর ধরে অবসরজীবনে মূলত উনাকে পেয়েছি ওনার বার্ধক্যজনিত কারণে। অথচ এই সময়েও আমাকে বন্দী জীবন যাপন করতে হচ্ছে।
১/১১-এর সময় সুযোগ থাকা সত্ত্বেও অনেকের মতো তিনি বিদেশ চলে যাননি এবং তাঁকে কোনো চার্জশিট ছাড়াই ১৯ মাস আটক রাখা হয়েছিল। বর্তমান উদ্ভূত পরিস্থিতিতেও অনেকের মতো তিনিও বিদেশ চলে যেতে পারতেন। এমনকি দুর্বৃত্তদের দ্বারা ভাঙচুর ও হামলার একাধিক হুমকির পরেও কিন্তু তিনি আইনের শাসন, ন্যায়বিচারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে নিজের বাসভবনেই অবস্থান করেছেন। আপনার নেতৃত্বাধীন সরকার মিথ্যা মামলা, বেআইনি গ্রেপ্তার, হয়রানিকে প্রশ্রয় দিবে না বলে বিশ্বাস করি।
এমতাবস্থায় নানান শারীরিক জটিলতায় আক্রান্ত ৮২ বছর বয়স্ক ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের মিথ্যা মামলার জামিনে আপনার সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
বিনীত নিবেদক-
আয়েশা সুলতানা
ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের স্ত্রী
মোবাইল নম্বর-
সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী ও বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন। গত রোববার রাজধানী বসুন্ধরা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর (গোয়েন্দা) পুলিশ।
এদিকে স্বামী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের মুক্তি চেয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে খোলা চিঠি দিয়েছেন তাঁর স্ত্রী আয়েশা সুলতানা। আজ বুধবার চিঠিটি প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে পৌঁছে দেওয়ার কথা জানান তিনি।
জানতে চাইলে মোবাইল ফোনে আয়েশা সুলতানা আজকের পত্রিকা বলেন, ‘আজ বুধবার বিকেলে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার কাছে খোলা চিঠিটি জমা দিয়েছি। আশা করছি, উনি বিবেচনায় নেবেন।’
চিঠিটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো–
মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়,
আমার সালাম এবং আন্তরিক শুভেচ্ছা নেবেন। আমি নিম্নস্বাক্ষরকারী চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলে আপনার নেতৃত্বাধীন স্কাউট টিম মেম্বার ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের স্ত্রী। দেশের বিশেষ পরিস্থিতিতে আপনি বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। শপথ গ্রহণের পর আপনি আইনের শাসন বজায় রাখা এবং দুঃশাসনের অবসানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হলো—রাজধানীর পল্টন থানায় ২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বরের ঘটনায় একটি হত্যা মামলায় আমার স্বামী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে (৮২) অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে মিথ্যা মামলায় আসামি করা হলো। যার নম্বর-৪৮/৪০২। অথচ ২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বর তিনি ছিলেন কক্সবাজারে। উক্ত মামলায় বিগত ২৭ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে ডিবি পুলিশ বসুন্ধরার বাসভবন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
পল্টন থানায় মামলার পর তাঁর বিরুদ্ধে তিন থেকে দশ বছর আগের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। বেশির ভাগ মামলাই বিগত কয়েক দিনে হয়েছে—যেগুলো বানোয়াট এবং বেশ তাড়াহুড়ো করে দায়ের করা হয়েছে। জোরারগঞ্জ থানার মামলা নম্বর-৩, ৬ অক্টোবর ২০২৪, মামলা নম্বর-১৭, তারিখ ৮ অক্টোবর ২০২৪, মীরসরাই থানার মামলা নম্বর-১৮, তারিখ ২৪ অক্টোবর ২০২৪।
গত কয়েক বছর ধরে তিনি গুরুতর শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন। তিনি বছর দুয়েক পূর্বে সিঁড়িতে পড়ে গুরুতর অসুস্থ হলে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে তাঁর বড় হিপ সার্জারি হয়। কিন্তু ত্রুটিপূর্ণ সার্জারি হওয়াতে তিনি কারও সহায়তা ছাড়া হাঁটতে পারেন না। গ্রেপ্তারের সময় তাঁর হুইলচেয়ারটিও সঙ্গে নেওয়া হয়নি।
সম্প্রতিক কোভিড-১৯ সংক্রমণের কারণে বেড়ে যাওয়া পারকিনসন রোগ এবং আন্তস্থায়ী ফুসফুসের রোগের সঙ্গে চলমান লড়াইয়ে তাঁর শ্বাস-প্রশ্বাসের অবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ে। তাঁর ভারসাম্যহীনতা এবং পারকিনসনের কারণে তিনি প্রায়শই পড়ে যাচ্ছেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এবং বাংলাদেশে তাঁর স্বাস্থ্য পরিচর্যার সঙ্গে জড়িত নিউরোলজিস্ট, অর্থোপেডিক সার্জন, পালমোনোলজিস্ট এবং ফিজিও থেরাপিস্ট তাঁর স্বাস্থ্যের জন্য সমাধান করতে এবং আরও অবনতি রোধ করতে অবিলম্বে চিকিৎসা হস্তক্ষেপের সুপারিশ করেছেন।
প্রস্তাবিত চিকিৎসা পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে—তাঁর হিপ ফ্র্যাকচার সার্জারির সম্ভাব্য প্রত্যাবর্তন, জোরালো শারীরিক থেরাপি, তাঁর পারকিনসনস রোগের আরও অগ্রগতি রোধ করার জন্য নিউরো মূল্যায়ন এবং তাঁর অন্তর্বর্তী ফুসফুসের রোগের পুঙ্খানুপুঙ্খ অনুসরণ।
তা ছাড়া তিনি ডায়বেটিস, হৃদ্রোগ, থাইরয়েড, প্রাথমিক ডিমেনশিয়া সহ নানাবিধি শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। আমি এবং সার্বক্ষণিক দুজন সহকারী ওনার ওষুধপত্র, খাওয়াদাওয়া তদারকি করি। সেই ১৮ বছর বয়সে আমার বিয়ের পর থেকেই অনিশ্চয়তা এবং উদ্বেগের মধ্যে বসবাস করছি; যখন আমার স্বামী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একজন এমপি হয়েও ’৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সশস্ত্র সংগ্রামে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে আজও ৭৩ বছর বয়সে এই স্বাধীন বাংলাদেশে ৫৪ বছরের সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের পরেও আমি একই ভয় ও উদ্বেগের মধ্যে বসবাস করছি।
তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় শুভপুর ব্রিজ উড়িয়ে দিয়ে আপনার জন্মস্থান চট্টগ্রাম এবং বাসিন্দাদের পাক বাহিনীর গণহত্যা থেকে রক্ষা করেছিলেন। বড় বড় দুঃসাহসিক অভিযান চালিয়ে পাক বাহিনীর বুকে কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছেন। তৎকালীন খুব কম জনপ্রতিনিধি রণাঙ্গনে সম্মুখযুদ্ধ করেছিলেন; তিনি হাতে গোনাদের মধ্যে একজন।
তিনি সাতবার এমপি ছিলেন, দুবার মন্ত্রী ছিলেন। একাধিকবার প্রতিপক্ষের আক্রমণে মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসেছেন; কিন্তু কারও প্রতি প্রতিহিংসাপরায়ণ ছিলেন না। কারও ক্ষতি করেন নাই তিনি। জীবনভর উদারনৈতিক রাজনীতি করেছেন। তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেছেন। কিন্তু যখন তিনি জনপ্রতিনিধি তখন তিনি দলমতের ভেদাভেদ করেন নাই।
কর্মজীবনে তিনি দেশ, চট্টগ্রাম, মীরসরাইয়ের মানুষের জন্য কাজ করেছেন। কৃষিজমির টপসয়েল রক্ষা, জলাধার রক্ষা আইন, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ, সিঙ্গাপুর-হংকংয়ের আদলে ঊর্ধ্বমুখী ভবনসহ অসংখ্য জনবান্ধব প্রকল্প তিনি বাস্তবায়ন করেছেন। মীরসরাইতে ৩৩,০০০ একর জায়গায় এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ অর্থনৈতিক অঞ্চল তাঁর মস্তিষ্কপ্রসূত। যেখানে ৩০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে। বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা লাভ করা ‘থ্রি জিরো’ ধারণার মতো বাস্তবায়িত হচ্ছে এটি।
আমার পারিবারিক জীবনে উনাকে আমি ও আমার ছেলে–মেয়েরা পাইনি। উনি সব সময় দেশের উন্নয়নে ছুটেছেন। গত ২ বছর ধরে অবসরজীবনে মূলত উনাকে পেয়েছি ওনার বার্ধক্যজনিত কারণে। অথচ এই সময়েও আমাকে বন্দী জীবন যাপন করতে হচ্ছে।
১/১১-এর সময় সুযোগ থাকা সত্ত্বেও অনেকের মতো তিনি বিদেশ চলে যাননি এবং তাঁকে কোনো চার্জশিট ছাড়াই ১৯ মাস আটক রাখা হয়েছিল। বর্তমান উদ্ভূত পরিস্থিতিতেও অনেকের মতো তিনিও বিদেশ চলে যেতে পারতেন। এমনকি দুর্বৃত্তদের দ্বারা ভাঙচুর ও হামলার একাধিক হুমকির পরেও কিন্তু তিনি আইনের শাসন, ন্যায়বিচারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে নিজের বাসভবনেই অবস্থান করেছেন। আপনার নেতৃত্বাধীন সরকার মিথ্যা মামলা, বেআইনি গ্রেপ্তার, হয়রানিকে প্রশ্রয় দিবে না বলে বিশ্বাস করি।
এমতাবস্থায় নানান শারীরিক জটিলতায় আক্রান্ত ৮২ বছর বয়স্ক ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের মিথ্যা মামলার জামিনে আপনার সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
বিনীত নিবেদক-
আয়েশা সুলতানা
ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের স্ত্রী
মোবাইল নম্বর-
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন বিএনপি নেতা। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যায় বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার করার অভিযোগে গাজীপুর আদালতে এ মামলা করেছেন তিনি।
১২ আগস্ট ২০২৫লক্ষ্মীপুরে রামগতিতে নৌকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ফারুক হোসেন (৪০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন দুজন। এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন আরও দুজন। আজ মঙ্গলবার ভোরে জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারুক হোসেন মারা যান।
১২ আগস্ট ২০২৫দুই বছর আগে ফেনী পৌরসভার সুমাইয়া হোসেন আনিকা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সিং ও গ্রাফিক ডিজাইনের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। এরপর বিভিন্ন অনলাইন প্রতিষ্ঠানে চাকরির চেষ্টা করেও সফল হননি। এখন স্বামীর অনলাইন ব্যবসা দেখাশোনা করছেন। আনিকা বলেন, ‘প্রশিক্ষণ পেয়েছি, কিন্তু কাজের সুযোগ খুবই কম।’ আনিকার
১২ আগস্ট ২০২৫চট্টগ্রাম বন্দরে আন্দোলন দমাতে টাকা দাবির ভিডিও ভাইরালের পর এবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম নগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিনকে কেন্দ্র থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তাঁর লিখিত ব্যাখা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দলকে জানানো কথা বলা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫