রঞ্জন কুমার দে, শেরপুর (বগুড়া)
বাঁশের বেড়া দিয়ে পাঁচটি পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে আবার টাকা দিলে বেড়া তুলে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বগুড়ার শেরপুর উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের মধ্যভাগ গ্রামে স্থানীয় প্রভাবশালীরা এই কাজ করছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
ইসমাইল শেখ (৬২) নামের এক কৃষক মাত্র চার শতক জায়গার ওপর পৈতৃক বাড়িতে সপরিবারে বসবাস করেন। গত ৯ জুন থেকে নিজ বাড়িতেই অবরুদ্ধ হয়ে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। একইভাবে দিন কাটছে তাঁর প্রতিবেশী মো. নবীর উদ্দিন সরকার (৫০), রাশেদুল ইসলাম (৩১), ও রাজু সরকারের (২৫) পরিবারের। এ বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়নের মেম্বার ও চেয়ারম্যানকে জানিয়ে প্রতিকারের বদলে হুমকি পেয়েছেন বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, এই গ্রামে আগে কোনো রাস্তা ছিল না। বিত্তশালীদের জায়গার ওপর দিয়ে চলাচল করতে করতে হাঁটার রাস্তা তৈরি হয়েছে। প্রায় ১৫ বছর ধরে সরকারি বিভিন্ন প্রকল্প ও কর্মসূচির অর্থায়নে তা রাস্তায় পরিণত হয়। কয়েক মাস আগে ইউপি মেম্বার ও প্রভাবশালীরা রাস্তা প্রশস্ত করার উদ্যোগ নেন। রাস্তার দক্ষিণ দিকে আবাদি জমি ও জলাশয় থাকায় উত্তর দিকের বসতবাড়ি থেকে জায়গা অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। কিন্তু বাড়ির মালিকেরা অস্বীকৃতি জানান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে স্থানীয় মাতবর হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে পাঁচটি পরিবারের বাড়ি থেকে বের হওয়ার পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে অন্যতম—আবু বককার, গোলাম রব্বানী, আবু সাঈদ, আব্দুল মালেক, দুলাল, জাহের, মতলবে, হাশেম, আজিম ও আব্দুল খালেক।
প্রভাবশালীরা শুধু বাঁশের বেড়া দিয়েই ক্ষান্ত হননি। বাড়ি থেকে বের হলে মারধর করারও হুমকি দিচ্ছেন বলে জানান রাশেদুল ইসলাম (৩১)। তিনি বলেন, ‘গত ৯ জুন সকালে হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ জন লোক আমার বাড়ি বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে দেয়। তাঁরা আমাদের বাড়ি থেকে বের হতে নিষেধ করেছেন। কথা না শুনলে পা ভেঙে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।’
এই ঘটনার পরে গত রোববার সুঘাট ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় মেম্বার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন। এ সময় ভুক্তভোগীরা অবরোধ তুলে নেওয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু চেয়ারম্যান তা না করে, প্রয়োজনে বাড়ি ভেঙে রাস্তার জায়গা দিতে বলেন।
ভুক্তভোগী মো. নবীর উদ্দিন সরকার (৫০) বলেন, ‘চেয়ারম্যান আসাতে কিছুটা আশ্বস্ত হয়েছিলাম। কিন্তু তাঁর কথায় ভয় পেয়ে যাই। তাই তাঁর কথা মতো ৪ হাজার টাকা খরচ করে সোমবার আমার ঘর স্থানান্তর করায় অবরোধ তুলে নেওয়া হয়েছে।’
এই পরিস্থিতিতেও আইনের আশ্রয় নিতে সাহস পাচ্ছেন না ভুক্তভোগীরা। শিউলি বেগম বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। ঘর সরিয়ে নতুন করে করার ক্ষমতা নেই। চেয়ারম্যান মেম্বারও তাদের সঙ্গে। তাই থানায় অভিযোগ করার সাহস পাচ্ছি না।’
আবার টাকা দেওয়ার শর্তে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে রেহাই পেয়েছেন হায়দার আলী। তিনি বলেন, ‘হাফিজুর রহমান ২০ হাজার টাকা দাবি করলে রাজি হই। তাই আমার বাড়ির সামনে বেড়া দেওয়া হয়নি।’
স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হযরত আলী মাসুদ বলেন, ‘বর্তমান সরকার অসহায়দের বাড়ি করে দিচ্ছে। কিন্তু এখানে কিছু গরিব মানুষকে বাড়ি ভাঙার চাপ দেওয়া হচ্ছে। এই অন্যায়ের বিচার হওয়া দরকার।’
জানতে চাইলে বাঁশের বেড়া দেওয়ার কথা স্বীকার করে হাফিজুর রহমান বলেন, ‘বর্তমানের রাস্তাটি আমার জায়গায়। এটা প্রশস্ত করার জন্য যারা জায়গা দিচ্ছে না, তাদের এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে দেব না। এরই মধ্যে যারা ঘর ভেঙে জায়গা দিয়েছে তাদের অবরোধ তুলে নেওয়া হয়েছে।’
তবে এই ঘটনায় সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেছেন সুঘাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান জিন্নাহ। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি অবগত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অবরোধ তুলে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।’
জিন্নাহ বলেন, ‘এটা কোনো সরকারি রাস্তা নয়। গ্রামের লোকজন জায়গা দিলে সরকারি বরাদ্দ দিয়ে রাস্তা করে দেওয়া হবে। তারা সহযোগিতা না করলে আমার করার কিছু নেই।’
শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ময়নুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এভাবে কাউকে অবরুদ্ধ করে রাখা বেআইনি। ঘটনাটি তদন্ত করে সমাধানের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বাঁশের বেড়া দিয়ে পাঁচটি পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে আবার টাকা দিলে বেড়া তুলে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বগুড়ার শেরপুর উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের মধ্যভাগ গ্রামে স্থানীয় প্রভাবশালীরা এই কাজ করছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
ইসমাইল শেখ (৬২) নামের এক কৃষক মাত্র চার শতক জায়গার ওপর পৈতৃক বাড়িতে সপরিবারে বসবাস করেন। গত ৯ জুন থেকে নিজ বাড়িতেই অবরুদ্ধ হয়ে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। একইভাবে দিন কাটছে তাঁর প্রতিবেশী মো. নবীর উদ্দিন সরকার (৫০), রাশেদুল ইসলাম (৩১), ও রাজু সরকারের (২৫) পরিবারের। এ বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়নের মেম্বার ও চেয়ারম্যানকে জানিয়ে প্রতিকারের বদলে হুমকি পেয়েছেন বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, এই গ্রামে আগে কোনো রাস্তা ছিল না। বিত্তশালীদের জায়গার ওপর দিয়ে চলাচল করতে করতে হাঁটার রাস্তা তৈরি হয়েছে। প্রায় ১৫ বছর ধরে সরকারি বিভিন্ন প্রকল্প ও কর্মসূচির অর্থায়নে তা রাস্তায় পরিণত হয়। কয়েক মাস আগে ইউপি মেম্বার ও প্রভাবশালীরা রাস্তা প্রশস্ত করার উদ্যোগ নেন। রাস্তার দক্ষিণ দিকে আবাদি জমি ও জলাশয় থাকায় উত্তর দিকের বসতবাড়ি থেকে জায়গা অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। কিন্তু বাড়ির মালিকেরা অস্বীকৃতি জানান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে স্থানীয় মাতবর হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে পাঁচটি পরিবারের বাড়ি থেকে বের হওয়ার পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে অন্যতম—আবু বককার, গোলাম রব্বানী, আবু সাঈদ, আব্দুল মালেক, দুলাল, জাহের, মতলবে, হাশেম, আজিম ও আব্দুল খালেক।
প্রভাবশালীরা শুধু বাঁশের বেড়া দিয়েই ক্ষান্ত হননি। বাড়ি থেকে বের হলে মারধর করারও হুমকি দিচ্ছেন বলে জানান রাশেদুল ইসলাম (৩১)। তিনি বলেন, ‘গত ৯ জুন সকালে হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ জন লোক আমার বাড়ি বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে দেয়। তাঁরা আমাদের বাড়ি থেকে বের হতে নিষেধ করেছেন। কথা না শুনলে পা ভেঙে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।’
এই ঘটনার পরে গত রোববার সুঘাট ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় মেম্বার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন। এ সময় ভুক্তভোগীরা অবরোধ তুলে নেওয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু চেয়ারম্যান তা না করে, প্রয়োজনে বাড়ি ভেঙে রাস্তার জায়গা দিতে বলেন।
ভুক্তভোগী মো. নবীর উদ্দিন সরকার (৫০) বলেন, ‘চেয়ারম্যান আসাতে কিছুটা আশ্বস্ত হয়েছিলাম। কিন্তু তাঁর কথায় ভয় পেয়ে যাই। তাই তাঁর কথা মতো ৪ হাজার টাকা খরচ করে সোমবার আমার ঘর স্থানান্তর করায় অবরোধ তুলে নেওয়া হয়েছে।’
এই পরিস্থিতিতেও আইনের আশ্রয় নিতে সাহস পাচ্ছেন না ভুক্তভোগীরা। শিউলি বেগম বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। ঘর সরিয়ে নতুন করে করার ক্ষমতা নেই। চেয়ারম্যান মেম্বারও তাদের সঙ্গে। তাই থানায় অভিযোগ করার সাহস পাচ্ছি না।’
আবার টাকা দেওয়ার শর্তে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে রেহাই পেয়েছেন হায়দার আলী। তিনি বলেন, ‘হাফিজুর রহমান ২০ হাজার টাকা দাবি করলে রাজি হই। তাই আমার বাড়ির সামনে বেড়া দেওয়া হয়নি।’
স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হযরত আলী মাসুদ বলেন, ‘বর্তমান সরকার অসহায়দের বাড়ি করে দিচ্ছে। কিন্তু এখানে কিছু গরিব মানুষকে বাড়ি ভাঙার চাপ দেওয়া হচ্ছে। এই অন্যায়ের বিচার হওয়া দরকার।’
জানতে চাইলে বাঁশের বেড়া দেওয়ার কথা স্বীকার করে হাফিজুর রহমান বলেন, ‘বর্তমানের রাস্তাটি আমার জায়গায়। এটা প্রশস্ত করার জন্য যারা জায়গা দিচ্ছে না, তাদের এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে দেব না। এরই মধ্যে যারা ঘর ভেঙে জায়গা দিয়েছে তাদের অবরোধ তুলে নেওয়া হয়েছে।’
তবে এই ঘটনায় সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেছেন সুঘাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান জিন্নাহ। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি অবগত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অবরোধ তুলে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।’
জিন্নাহ বলেন, ‘এটা কোনো সরকারি রাস্তা নয়। গ্রামের লোকজন জায়গা দিলে সরকারি বরাদ্দ দিয়ে রাস্তা করে দেওয়া হবে। তারা সহযোগিতা না করলে আমার করার কিছু নেই।’
শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ময়নুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এভাবে কাউকে অবরুদ্ধ করে রাখা বেআইনি। ঘটনাটি তদন্ত করে সমাধানের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন বিএনপি নেতা। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যায় বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার করার অভিযোগে গাজীপুর আদালতে এ মামলা করেছেন তিনি।
১২ আগস্ট ২০২৫লক্ষ্মীপুরে রামগতিতে নৌকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ফারুক হোসেন (৪০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন দুজন। এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন আরও দুজন। আজ মঙ্গলবার ভোরে জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারুক হোসেন মারা যান।
১২ আগস্ট ২০২৫দুই বছর আগে ফেনী পৌরসভার সুমাইয়া হোসেন আনিকা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সিং ও গ্রাফিক ডিজাইনের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। এরপর বিভিন্ন অনলাইন প্রতিষ্ঠানে চাকরির চেষ্টা করেও সফল হননি। এখন স্বামীর অনলাইন ব্যবসা দেখাশোনা করছেন। আনিকা বলেন, ‘প্রশিক্ষণ পেয়েছি, কিন্তু কাজের সুযোগ খুবই কম।’ আনিকার
১২ আগস্ট ২০২৫চট্টগ্রাম বন্দরে আন্দোলন দমাতে টাকা দাবির ভিডিও ভাইরালের পর এবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম নগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিনকে কেন্দ্র থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তাঁর লিখিত ব্যাখা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দলকে জানানো কথা বলা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫