হৃদয় হোসেন মুন্না, বেতাগী (বরগুনা)
দেশজুড়ে কালের সাক্ষী হয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে হাজারো ঐতিহাসিক স্থাপনা। মোগল আমলের অনেক পুরাকীর্তির নিদর্শনও রয়েছে। এর মধ্যে বিবিচিনি শাহি মসজিদ অন্যতম। বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলা সদর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে বিবিচিনি ইউনিয়নে প্রায় সাড়ে তিন শ বছরের পুরোনো এই নিদর্শনের আয়তন বিশাল না হলেও স্থাপত্যরীতিতে মোগল ভাবধারার ছাপ স্পষ্ট প্রতীয়মান। দক্ষিণ বাংলার ইসলাম প্রচারের কেন্দ্র হিসেবে অভিহিত এই মসজিদ নিয়ে প্রচলিত রয়েছে অনেক অলৌকিক কাহিনি।
জানা যায়, সম্রাট শাহজাহানের শাসনামলে ষোড়শ শতকের মাঝামাঝি শাহ নেয়ামতুল্লাহ নামে এক সাধক পারস্য থেকে ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে দিল্লিতে আসেন। সম্রাট শাহজাহানের দ্বিতীয় পুত্র ও বাংলার সুবাদার শাহ সুজা তাঁর শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। ১৬৫৯ খ্রিষ্টাব্দের শেষের দিকে ইসলাম প্রচারের জন্য বজরায় চড়ে গঙ্গা নদী অতিক্রম করে বিষখালী নদীতে (তৎকালীন চন্দ্রদ্বীপে) শিষ্যদের নিয়ে নোঙর করেন শাহ নেয়ামতুল্লাহ। তখন শাহ সুজার অনুরোধে ওই গ্রামে এক গম্বুজবিশিষ্ট শাহি মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয়। পরে সাধক নেয়ামতুল্লাহ শাহের কন্যা চিনিবিবি ও ইছাবিবির নামের সঙ্গে মিলিয়ে ওই গ্রামের নামকরণ করা হয় বিবিচিনি। মসজিদটির নাম রাখা হয় ‘বিবিচিনি শাহি মসজিদ’।
দিগন্তজোড়া সবুজের মাঝখানে ৩০ ফুট উঁচু টিলার ওপর দাঁড়িয়ে থাকা বিবিচিনি শাহি মসজিদের ভবনটি প্রায় ২৫ ফুট উঁচু। দক্ষিণ ও উত্তরে তিনটি দরজা, তবে মূল প্রবেশদ্বার একটি। মসজিদের ধূসর বর্ণের ইটগুলো মোগল আমলের ইটের মাপের সমান। দর্শনার্থী ও নামাজিদের ওঠানামার জন্য মসজিদের পূর্ব ও দক্ষিণ পাশে রয়েছে দুটি সিঁড়ি। মসজিদের পাশেই রয়েছে ৩টি ভিন্নধর্মী কবর। কবরগুলো সাধারণ কবরের মতো হলেও লম্বায় ১৪-১৫ হাত। মসজিদের পশ্চিম ও উত্তর পাশে অবস্থিত কবরে শায়িত আছেন সাধক নেয়ামতুল্লাহ এবং তাঁর দুই মেয়ে চিনিবিবি ও ইছাবিবি।
মসজিদটি নিয়ে প্রচলিত আছে নানা কাহিনি। বলা হয়ে থাকে, শাহ নেয়ামতুল্লাহর দ্বীনি প্রচারে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হন বহু হিন্দু ও বৌদ্ধ। স্থানীয় লোকমুখে প্রচলিত আছে, ওই সময় বিষখালী নদীর পানি ছিল লবণাক্ত। সুপেয় পানির অভাবে মানুষের কষ্ট দেখে শাহ নেয়ামতুল্লাহ নিজের তসবি বিষখালী নদীতে ভিজিয়ে দেন। এরপর থেকেই নদীর পানির লবণাক্ততা দূর হয়। সে যুগে সুন্দরবন সংলগ্ন এই অঞ্চলের নদীগুলোতে অসংখ্য কুমির ছিল। কিন্তু একই কারণে বিষখালী নদীতে কুমির আসত না বলেও প্রচলিত আছে।
মোগল স্থাপত্যের গৌরব, মর্যাদা ও ইতিহাসের সাক্ষী হিসেবে শুধু দেশেই নয়, বাংলাদেশের বাইরে এমনকি ইতিহাসখ্যাত ব্রিটেন জাদুঘরেও এ স্থাপত্যটি সম্পর্কে নিদর্শন পাওয়া গেছে বলে জানা যায়। ১৯৯২ সালে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ মসজিদটি রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কারের দায়িত্ব নেয় এবং ঐতিহাসিক নিদর্শনের তালিকাভুক্ত করে। কিন্তু শৈল্পিক এই স্থাপনার শরীরজুড়ে এখন শুধুই অযত্ন আর অবহেলার ছাপ। নিদর্শনটি দেখতে আসা-যাওয়ার উপযোগী রাস্তার অভাবে দর্শনার্থীদের ভোগান্তি হচ্ছে। বিশুদ্ধ পানি পান, অজু ও স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ব্যবহারের ব্যবস্থা নেই এখানে। বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুহৃদ সালেহীন বলেন, সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা হিসেবে বিবিচিনি শাহি মসজিদের প্রতি স্থানীয় প্রশাসনের বিশেষ নজর আছে। মসজিদটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।
দেশজুড়ে কালের সাক্ষী হয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে হাজারো ঐতিহাসিক স্থাপনা। মোগল আমলের অনেক পুরাকীর্তির নিদর্শনও রয়েছে। এর মধ্যে বিবিচিনি শাহি মসজিদ অন্যতম। বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলা সদর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে বিবিচিনি ইউনিয়নে প্রায় সাড়ে তিন শ বছরের পুরোনো এই নিদর্শনের আয়তন বিশাল না হলেও স্থাপত্যরীতিতে মোগল ভাবধারার ছাপ স্পষ্ট প্রতীয়মান। দক্ষিণ বাংলার ইসলাম প্রচারের কেন্দ্র হিসেবে অভিহিত এই মসজিদ নিয়ে প্রচলিত রয়েছে অনেক অলৌকিক কাহিনি।
জানা যায়, সম্রাট শাহজাহানের শাসনামলে ষোড়শ শতকের মাঝামাঝি শাহ নেয়ামতুল্লাহ নামে এক সাধক পারস্য থেকে ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে দিল্লিতে আসেন। সম্রাট শাহজাহানের দ্বিতীয় পুত্র ও বাংলার সুবাদার শাহ সুজা তাঁর শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। ১৬৫৯ খ্রিষ্টাব্দের শেষের দিকে ইসলাম প্রচারের জন্য বজরায় চড়ে গঙ্গা নদী অতিক্রম করে বিষখালী নদীতে (তৎকালীন চন্দ্রদ্বীপে) শিষ্যদের নিয়ে নোঙর করেন শাহ নেয়ামতুল্লাহ। তখন শাহ সুজার অনুরোধে ওই গ্রামে এক গম্বুজবিশিষ্ট শাহি মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয়। পরে সাধক নেয়ামতুল্লাহ শাহের কন্যা চিনিবিবি ও ইছাবিবির নামের সঙ্গে মিলিয়ে ওই গ্রামের নামকরণ করা হয় বিবিচিনি। মসজিদটির নাম রাখা হয় ‘বিবিচিনি শাহি মসজিদ’।
দিগন্তজোড়া সবুজের মাঝখানে ৩০ ফুট উঁচু টিলার ওপর দাঁড়িয়ে থাকা বিবিচিনি শাহি মসজিদের ভবনটি প্রায় ২৫ ফুট উঁচু। দক্ষিণ ও উত্তরে তিনটি দরজা, তবে মূল প্রবেশদ্বার একটি। মসজিদের ধূসর বর্ণের ইটগুলো মোগল আমলের ইটের মাপের সমান। দর্শনার্থী ও নামাজিদের ওঠানামার জন্য মসজিদের পূর্ব ও দক্ষিণ পাশে রয়েছে দুটি সিঁড়ি। মসজিদের পাশেই রয়েছে ৩টি ভিন্নধর্মী কবর। কবরগুলো সাধারণ কবরের মতো হলেও লম্বায় ১৪-১৫ হাত। মসজিদের পশ্চিম ও উত্তর পাশে অবস্থিত কবরে শায়িত আছেন সাধক নেয়ামতুল্লাহ এবং তাঁর দুই মেয়ে চিনিবিবি ও ইছাবিবি।
মসজিদটি নিয়ে প্রচলিত আছে নানা কাহিনি। বলা হয়ে থাকে, শাহ নেয়ামতুল্লাহর দ্বীনি প্রচারে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হন বহু হিন্দু ও বৌদ্ধ। স্থানীয় লোকমুখে প্রচলিত আছে, ওই সময় বিষখালী নদীর পানি ছিল লবণাক্ত। সুপেয় পানির অভাবে মানুষের কষ্ট দেখে শাহ নেয়ামতুল্লাহ নিজের তসবি বিষখালী নদীতে ভিজিয়ে দেন। এরপর থেকেই নদীর পানির লবণাক্ততা দূর হয়। সে যুগে সুন্দরবন সংলগ্ন এই অঞ্চলের নদীগুলোতে অসংখ্য কুমির ছিল। কিন্তু একই কারণে বিষখালী নদীতে কুমির আসত না বলেও প্রচলিত আছে।
মোগল স্থাপত্যের গৌরব, মর্যাদা ও ইতিহাসের সাক্ষী হিসেবে শুধু দেশেই নয়, বাংলাদেশের বাইরে এমনকি ইতিহাসখ্যাত ব্রিটেন জাদুঘরেও এ স্থাপত্যটি সম্পর্কে নিদর্শন পাওয়া গেছে বলে জানা যায়। ১৯৯২ সালে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ মসজিদটি রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কারের দায়িত্ব নেয় এবং ঐতিহাসিক নিদর্শনের তালিকাভুক্ত করে। কিন্তু শৈল্পিক এই স্থাপনার শরীরজুড়ে এখন শুধুই অযত্ন আর অবহেলার ছাপ। নিদর্শনটি দেখতে আসা-যাওয়ার উপযোগী রাস্তার অভাবে দর্শনার্থীদের ভোগান্তি হচ্ছে। বিশুদ্ধ পানি পান, অজু ও স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ব্যবহারের ব্যবস্থা নেই এখানে। বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুহৃদ সালেহীন বলেন, সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা হিসেবে বিবিচিনি শাহি মসজিদের প্রতি স্থানীয় প্রশাসনের বিশেষ নজর আছে। মসজিদটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন বিএনপি নেতা। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যায় বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার করার অভিযোগে গাজীপুর আদালতে এ মামলা করেছেন তিনি।
২৪ দিন আগেলক্ষ্মীপুরে রামগতিতে নৌকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ফারুক হোসেন (৪০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন দুজন। এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন আরও দুজন। আজ মঙ্গলবার ভোরে জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারুক হোসেন মারা যান।
২৪ দিন আগেদুই বছর আগে ফেনী পৌরসভার সুমাইয়া হোসেন আনিকা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সিং ও গ্রাফিক ডিজাইনের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। এরপর বিভিন্ন অনলাইন প্রতিষ্ঠানে চাকরির চেষ্টা করেও সফল হননি। এখন স্বামীর অনলাইন ব্যবসা দেখাশোনা করছেন। আনিকা বলেন, ‘প্রশিক্ষণ পেয়েছি, কিন্তু কাজের সুযোগ খুবই কম।’ আনিকার
২৪ দিন আগেচট্টগ্রাম বন্দরে আন্দোলন দমাতে টাকা দাবির ভিডিও ভাইরালের পর এবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম নগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিনকে কেন্দ্র থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তাঁর লিখিত ব্যাখা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দলকে জানানো কথা বলা হয়েছে।
২৪ দিন আগে