বদরুল ইসলাম মাসুদ, বান্দরবান
বান্দরবান পার্বত্য জেলায় সাম্প্রতিক সময়ে নারীর প্রতি সহিংসতা উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। তাঁদের নানাভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে। একটি বেসরকারি সংস্থার প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
এই প্রতিবেদনে প্রকাশিত সূত্রমতে, বান্দরবানে সবচেয়ে বেশি নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে পারিবারিক সহিংসতায়। এতে বলা হয়, বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং মানবাধিকার সংগঠনের তথ্য-উপাত্তে ধর্ষণ, ফৌজদারি অপরাধ, পারিবারিক সহিংসতার শিকার নারী ও শিশুর সংখ্যা গত বছরের তুলনায় বেড়েছে।
তবে আট মাসের হিসাবে, জেলার সাত উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে রোয়াংছড়ি উপজেলায়। রোয়াংছড়িতে এইি সময়ে ছয়টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এরপর লামায় চারটি, সদরে দুটি, রুমায় একটি, থানচিতে দুটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত ওই বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) সরকারি ও বেসরকারি দুভাবে জেলার নারীর প্রতি সহিংসতার চিত্র সমন্বয় করে তা প্রকাশ করেছে।
গত বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) বান্দরবান সদরে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা বলিপাড়া নারী কল্যাণ সমিতির (বিএনকেএস) বাস্তবায়নে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন ও সিডার সহযোগিতায় ‘জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও মোকাবিলা কর্মসূচি প্রকল্পের’ (জিবিভি) উদ্যোগে সাংবাদিকদের সঙ্গে সংলাপে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
এতে বলা হয়, জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত আট মাসে বান্দরবান জেলায় পারিবারিক সহিংসতায় শারীরিক নির্যাতন ১৭৫টি, মানসিক নির্যাতন ৪৮টি, অর্থনৈতিক নির্যাতন ৬৫টি ও যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে তিনটি। নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনায় ধর্ষণ সাতটি, নির্যাতনের পর হত্যা একটি এবং মেয়েশিশুর প্রতি সহিংসতার ঘটনায় ধর্ষণ ১৫টি, মানসিক নির্যাতন ৯টি, শারীরিক নির্যাতন ২৪টি। একই সময়ে জেলায় তালাকের ঘটনা ঘটেছে সাতটি।
প্রতিবেদনমতে, এসব ঘটনায় অধিকাংশই স্থানীয়ভাবে সমাধান করা সম্ভব হলেও আদালতে পাঠানো হয়েছে সাতটি মামলা।
বিএনকেএসের জিবিভি প্রকল্প সমন্বয়ক উবানু মারমা বলেন, ‘দুটি সরকারি প্রতিষ্ঠান—জেলা লিগ্যাল এইড ও জেলা ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেল (ওসিসি) এবং তিনটি এনজিও—বিএনকেএসের জিবিভি প্রকল্প, অনন্যা কল্যাণ সংগঠন (একেএস) ও বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন জেলা শাখা—এই পাঁচটি সংস্থার জরিপ থেকে প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
এতে দেখা যায়, সরকারি সংস্থা জেলা লিগ্যাল এইডের তথ্যমতে জেলায় গত আট মাসে পারিবারিক সহিংসতার ঘটনা ৪১টি, ওসিসির তথ্যমতে, পারিবারিক সহিংসতা ১৯৪টি। এর মধ্যে শারীরিক নির্যাতন ১৬২ ও মানসিক নির্যাতন ৩২টি, মেয়েশিশু ধর্ষণের ঘটনা ৬টি, মানসিক নির্যাতন ৯টি ও ২২টি শারীরিক নির্যাতনের ঘটনা। পাঁচটি ঘটনা আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এনজিওর মধ্যে বিএনকেএস জিবিভি প্রকল্পের তথ্যমতে, পারিবারিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে ৩৭টি। এর মধ্যে শারীরিক নির্যাতন ১০টি, মানসিক নির্যাতন ৯টি, অর্থনৈতিক নির্যাতন ১৫টি ও যৌন নির্যাতন তিনটি। নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনা তিনটি। এর মধ্যে ধর্ষণ দুটি এবং নির্যাতনের পর হত্যা একটি। নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনা একটি। মেয়েশিশুর প্রতি সহিংসতার ঘটনা ১১টি। এর মধ্যে ধর্ষণ ৯টি ও শারীরিক নির্যাতন ২টি। তাঁরা আদালতে দুটি ঘটনা স্থানান্তর করেছেন।
অনন্যা কল্যাণ সংগঠনের (একেএস) তথ্যমতে, পারিবারিক সহিংসতা ১০টি। এর মধ্যে শারীরিক নির্যাতন তিন ও মানসিক নির্যাতন সাতটি। নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনা দুটি (ধর্ষণ)।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের তথ্যমতে, জেলায় পারিবারিক সহিংসতার ঘটনা মোট ৫০টি।
বান্দরবান পার্বত্য জেলায় সাম্প্রতিক সময়ে নারীর প্রতি সহিংসতা উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। তাঁদের নানাভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে। একটি বেসরকারি সংস্থার প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
এই প্রতিবেদনে প্রকাশিত সূত্রমতে, বান্দরবানে সবচেয়ে বেশি নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে পারিবারিক সহিংসতায়। এতে বলা হয়, বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং মানবাধিকার সংগঠনের তথ্য-উপাত্তে ধর্ষণ, ফৌজদারি অপরাধ, পারিবারিক সহিংসতার শিকার নারী ও শিশুর সংখ্যা গত বছরের তুলনায় বেড়েছে।
তবে আট মাসের হিসাবে, জেলার সাত উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে রোয়াংছড়ি উপজেলায়। রোয়াংছড়িতে এইি সময়ে ছয়টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এরপর লামায় চারটি, সদরে দুটি, রুমায় একটি, থানচিতে দুটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত ওই বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) সরকারি ও বেসরকারি দুভাবে জেলার নারীর প্রতি সহিংসতার চিত্র সমন্বয় করে তা প্রকাশ করেছে।
গত বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) বান্দরবান সদরে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা বলিপাড়া নারী কল্যাণ সমিতির (বিএনকেএস) বাস্তবায়নে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন ও সিডার সহযোগিতায় ‘জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও মোকাবিলা কর্মসূচি প্রকল্পের’ (জিবিভি) উদ্যোগে সাংবাদিকদের সঙ্গে সংলাপে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
এতে বলা হয়, জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত আট মাসে বান্দরবান জেলায় পারিবারিক সহিংসতায় শারীরিক নির্যাতন ১৭৫টি, মানসিক নির্যাতন ৪৮টি, অর্থনৈতিক নির্যাতন ৬৫টি ও যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে তিনটি। নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনায় ধর্ষণ সাতটি, নির্যাতনের পর হত্যা একটি এবং মেয়েশিশুর প্রতি সহিংসতার ঘটনায় ধর্ষণ ১৫টি, মানসিক নির্যাতন ৯টি, শারীরিক নির্যাতন ২৪টি। একই সময়ে জেলায় তালাকের ঘটনা ঘটেছে সাতটি।
প্রতিবেদনমতে, এসব ঘটনায় অধিকাংশই স্থানীয়ভাবে সমাধান করা সম্ভব হলেও আদালতে পাঠানো হয়েছে সাতটি মামলা।
বিএনকেএসের জিবিভি প্রকল্প সমন্বয়ক উবানু মারমা বলেন, ‘দুটি সরকারি প্রতিষ্ঠান—জেলা লিগ্যাল এইড ও জেলা ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেল (ওসিসি) এবং তিনটি এনজিও—বিএনকেএসের জিবিভি প্রকল্প, অনন্যা কল্যাণ সংগঠন (একেএস) ও বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন জেলা শাখা—এই পাঁচটি সংস্থার জরিপ থেকে প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
এতে দেখা যায়, সরকারি সংস্থা জেলা লিগ্যাল এইডের তথ্যমতে জেলায় গত আট মাসে পারিবারিক সহিংসতার ঘটনা ৪১টি, ওসিসির তথ্যমতে, পারিবারিক সহিংসতা ১৯৪টি। এর মধ্যে শারীরিক নির্যাতন ১৬২ ও মানসিক নির্যাতন ৩২টি, মেয়েশিশু ধর্ষণের ঘটনা ৬টি, মানসিক নির্যাতন ৯টি ও ২২টি শারীরিক নির্যাতনের ঘটনা। পাঁচটি ঘটনা আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এনজিওর মধ্যে বিএনকেএস জিবিভি প্রকল্পের তথ্যমতে, পারিবারিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে ৩৭টি। এর মধ্যে শারীরিক নির্যাতন ১০টি, মানসিক নির্যাতন ৯টি, অর্থনৈতিক নির্যাতন ১৫টি ও যৌন নির্যাতন তিনটি। নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনা তিনটি। এর মধ্যে ধর্ষণ দুটি এবং নির্যাতনের পর হত্যা একটি। নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনা একটি। মেয়েশিশুর প্রতি সহিংসতার ঘটনা ১১টি। এর মধ্যে ধর্ষণ ৯টি ও শারীরিক নির্যাতন ২টি। তাঁরা আদালতে দুটি ঘটনা স্থানান্তর করেছেন।
অনন্যা কল্যাণ সংগঠনের (একেএস) তথ্যমতে, পারিবারিক সহিংসতা ১০টি। এর মধ্যে শারীরিক নির্যাতন তিন ও মানসিক নির্যাতন সাতটি। নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনা দুটি (ধর্ষণ)।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের তথ্যমতে, জেলায় পারিবারিক সহিংসতার ঘটনা মোট ৫০টি।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন বিএনপি নেতা। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যায় বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার করার অভিযোগে গাজীপুর আদালতে এ মামলা করেছেন তিনি।
১২ আগস্ট ২০২৫লক্ষ্মীপুরে রামগতিতে নৌকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ফারুক হোসেন (৪০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন দুজন। এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন আরও দুজন। আজ মঙ্গলবার ভোরে জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারুক হোসেন মারা যান।
১২ আগস্ট ২০২৫দুই বছর আগে ফেনী পৌরসভার সুমাইয়া হোসেন আনিকা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সিং ও গ্রাফিক ডিজাইনের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। এরপর বিভিন্ন অনলাইন প্রতিষ্ঠানে চাকরির চেষ্টা করেও সফল হননি। এখন স্বামীর অনলাইন ব্যবসা দেখাশোনা করছেন। আনিকা বলেন, ‘প্রশিক্ষণ পেয়েছি, কিন্তু কাজের সুযোগ খুবই কম।’ আনিকার
১২ আগস্ট ২০২৫চট্টগ্রাম বন্দরে আন্দোলন দমাতে টাকা দাবির ভিডিও ভাইরালের পর এবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম নগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিনকে কেন্দ্র থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তাঁর লিখিত ব্যাখা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দলকে জানানো কথা বলা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫